নিজের গ্রামে নিজের বাড়িতে অন্যরকম শান্তি। এই শান্তি আর কোথাও লাগে না। যতই আলিশানি থাকি না কেন যতই ভালো-মন্দ খাই না কেন। সে এখন অন্যরকম শান্তি।অনেক বছর ধরেই কাজের সূত্রে ঢাকাতে থাকা হয়। তো প্রতিবছর গ্রামে যাওয়া হয় রোজার ঈদে কোরবানি ঈদে আর শীতে। এটা তো বাড়িতে যেতেই হবে নানান রকম পিঠা এগুলো খেতে। আর গ্রামের শীত তো একদমই অন্যরকম শহরের মতো একদমই না। ঢাকাতে যে কয়দিন ছিলাম কোন স্মৃতি ছিল না একটা কাঁথা গায়ে দিয়ে এই রাত পার করে দেয়ার গেছে। কিন্তু গ্রামে আসার পর বুঝলাম শীত কতটা। এত ঠান্ডা জ্বালাই বাংলা দরজা খোলা তো দূরের কথা কম্বল থেকে বের হওয়ার মত অবস্থা নেই।
তো যাই হোক আজকে সকাল বেলা হাঁটতে বের হয়েছিলাম। হেঁটে হেঁটে এসে ভাবলাম যাই বাইকটা নিয়ে একটু ঘুরে আসি। এরকম ভাব আছে এরকম কাজ। বাইক নিয়ে টুকটুক করে চলে আসলাম মাঠে। মধ্যে শীতের মধ্যে বাইক চালানো যে কষ্ট। তারপরও শান্তি লাগে। তো মাঠে যেতেই চোখে পড়ল আমাদের সরিষা বাগানটা। কুয়াশা কুয়াশা ভাব বাইরে তার উপর সরিষা ফুলগুলো ফুটে আছে এত মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। এগুলো আসলে ফোনে ক্যাপচার করা যায় না চোখে দেখার যেই শান্তি এই শান্তি ফোনে পিকচার বোঝা যায় না।
তো মাঠে একটু ঘোরাঘুরি করলাম। পরিচিত লোকজনের সাথে দেখা হল। অনেকদিন পর পর গেলে চেনা মুখগুলো সাথে দেখা হয় তাহলে বেশ ভালো লাগে। নামের মানুষের আন্তরিকতায় অন্যরকম। দেখা হলে ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করে খেয়েছি কিনা। রেখে যাওয়ার জন্য অনেক করে বলে। এগুলো আসলে শুধু গ্রামের মানুষদের কাছেই পাওয়া যায়। শহরে জীবন যান্ত্রিক জীবন। সকাল হলেই কাদের জন্য বের হওয়া সারাদিন কাজ করে আবার রাতে ফিরে এসে ঘুমিয়ে পড়া। সকালে আবার সেই কাজের উদ্দেশ্য বের হয় জন্য অপেক্ষা করা। কিন্তু গ্রামের দৃশ্যই অন্যরকম। একজন আরেকজনের বিপদে কি সুন্দর এগিয়ে আসে। কিন্তু শহরে কেউ যদি পরেও থাকে কেউ সাহায্য করারও নেই।
ডিভাইস | স্যামসাং এস ২১ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @surzo |
লোকেশন | ফুলবাড়ি, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
কিছুই করার নেই যার যার কাজের জন্য এভাবেই চলতে হবে এভাবেই যান্ত্রিক জীবনের সাথে মানিয়ে থাকতে হবে। এই যে বছর শেষে একবার আসি এতেই অনেক আনন্দ ভালোবাসা পায় সবার থেকে। হয়তো একভাবে যদি থাকতাম তাহলে হয়তো এই যে গ্রামে আসার যেই ফিলিংস এগুলো হয়তো থাকতো না। তখন মনে হতো এগুলো সব সময়ই তো দেখি। তখন আবার হয়তো শহর ভালো লাগতো এটাই জীবন। যার যেটা থাকে সে সেটা পছন্দ করে না। তারপরেও থেকে গ্রামীণ জীবন অনেক ভালো।