আজ আমরা জানবো- SEO, Video SEO, YouTube SEO or YouTube Video SEO (যাই বলেন) সব কিছুর root, unexplained & all of the hidden and guaranteed working strategy (এখন পর্যন্ত)। আপনি সারা বাংলার সমস্ত YouTube creator দের থেকে কখনওই যা পাননি তা আজ আপনাদের উপহার দিতে চলেছি সহজ এবং সাবলিল ভাষায় পর্যাপ্ত উদাহরণের মাধ্যমে। আমার দেখা হাতে গোনা কয়েকজন YouTube Creator আছে যারা মোটামুটি YouTube expert কিন্তু তারা এইসব বিষয়গুলো নিয়ে কখনওই এভাবে আলোচনা করেনি (অনেকে হয়তো জানেওনা)।
আপনাদের নিকট আমার একটা পরামর্শ, দয়া করে আপনারা সকল ইউটিউবারেদের সকল টিপসই/সাজেশন্স বিশ্বাস করে নিবেননা। তা যাচাই করুন নিজের বুদ্ধিমত্তায় ও তুলনা করে। তাছাড়া আপনি একটি বিষয়ের উপর ৫-৬ টা ভিডিও দেখুন অথবা ব্লগ পড়ুন যাতে আপনি এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ও নির্ভুল ধারণা পেতে পারেন যাতে কেউ ভুল তথ্য দিলে তা ধরতে পারেন। তবে আমার এই ব্লগটি পড়ার পর আপনার আর দ্বিতীয় কোন ব্লগ কিংবা ভিডিও দেখতে হবেনা বলেই আমার প্রত্যাশা।
সতর্কতা: একজনের Subscriber অনেক বেশী হলেই যে সে অনেক বেশী জানে (Expert) এমন কিন্তু নয়!
তো চলুন আমাদের মূল বিষয়ে ফিরে যাই-
আজকে আমি ১০টি প্রধান এবং অবিচ্ছেদ্য YouTube SEO Technique নিয়ে খুবই সহজবোধ্য এবং বোঝার সুবধার্থে বিভিন্ন ভাষার সংমিশ্রনে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি, যেন আপনাদের বোঝার কোন সমস্যা না হয়। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।
YouTube SEO STRATEGY #1
Video দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করুন আর ৩০ সেকেন্ড গহনায় ভরে দিন :
আপনাকে Video SEO করার জন্য ১ম থেকেই যত্নবান হতে হবে। যখন আপনি আপনার Video Make করবেন, তখনই ভিডিওটির Content & Quality রক্ষার পাশাপাশি একটি সঠিক দৈর্ঘ্যও নির্ধারণ করতে হবে। বিভিন্ন ব্লগ কিংবা ইউটিউবারদের মতে ইউটিউবে বড় ভিডিওগুলো মানুষ কম দেখে ও YouTube অপছন্দ করে, আবার অনেকের মতে বড় ভিডিওগুলোই বেশী দেখে ও YouTube ও বেশী পছন্দ করে।
এখন কথা হচ্ছে- YouTube নিজে কী বলে?- YouTube বলে, যে ভিডিও মানুষ বেশী সময় ধরে দেখবে সেই ভিডিওগুলোই আমরা (YouTube) বেশী পছন্দ করি এবং তাদের ভিডিও promote করি।
উদাহরণ দিয়ে বুঝি: মনে করি, একটা ভিডিও ২ মিনিটের ও আরেকটি ভিডিও ১০ মিনিটের। ২টি ভিডিওরই ৫০% View হলো। সবশেষে রেজাল্টে প্রথম ভিডিওটি ৫০% মানে ১ মিনিট এবং ২য় ভিডিওটি ৫০% মানে ৫ মিনিট View হলো। এখন আপনিই বলেন কোন ভিডিওটিকে ইউটিউব পছন্দ করবে?-।
তাহলে ভিডিওর দৈর্ঘ্য কত হওয়া উচিত?
Content & Quality ঠিক রেখে আমাদের একটা ভিডিওর দৈর্ঘ্য হওয়া উচিত কমপক্ষে ৫ মিনিট এবং ১০ মিনিটের উপরে হলে বেশী ভালো হয়, তবে ১৫ মিনিট এর মধ্যে শেষ করা ভালো। আর Best suggestion হলো একটি ভিডিওর দের্ঘ্য ৮-১৫ মিনিট।
বি.দ্র: অবশ্যই আপনার ভিডিও যদি ২ মিনিটের একটা বিষয়ের উপর হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে সেটাকে কখনওই অপ্রয়োজনীয় বা অবাঞ্ছিত তথ্য দিয়ে টেনে বড় করার চেষ্টা করবেননা।
১ম ৩০ সেকেন্ড কেমন করা উচিত?
প্রথম ১৫-৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই আমাদের viewer সব থেকে বেশী ঝরে পড়ে। তাই আমাদের ভিডিওর মূল এবং আকর্ষণীয় অংশ সম্পর্কে প্রথম ১৫-৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ভিউয়ারদের অবহিত করতে হবে। তারা যেন এই ৩০ সেকেন্ড দেখার পর মনে করতে পারে, তারা যে জন্য এসেছে তা এই ভিডিওতেই আছে।
(প্রথম দিকে পরিচিতি ও অতিরিক্ত কিছু বাদ দিন এবং প্রয়োজনে ইন্ট্রোও পরিহার করতে পারেন)
YouTube SEO STRATEGY #2
পরে নয় প্রথমেই KEYWORD রাখুন :
আমরা সৌন্দর্যের পূজারী, হোক নিজের ব্যক্তিগত জীবন কিংবা একটা ভিডিওর টাইটেল। আমরা একটা সুন্দর, পূর্ণ ও নির্ভুল বাক্য তৈরী করি এবং তা ভিডিওর টাইটেল হিসেবে ব্যবহার করি, যেখানে আমাদের মূল keyword কোথায় গেল সেদিকে লক্ষ্য থাকেনা। তবে সাধারণত এইভাবে টাইটেল দিলে বেশীর ভাগ সময়ই আমাদের মূল শব্দটি বাক্যের মাঝে বা শেষের দিকেই স্থান পায়। এটা কিন্তু অস্বাভাবিক নয়, আমরা প্রায় সবাই একই সূত্র অবলম্বন করে থাকি।
কিন্তু আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, আপনি কি কোন কিছু দেখার জন্য, জানার জন্য বা শেখার জন্য যখন কোথাও (google/ YouTube) সার্চ দেন, তখন কি,এইভাবে সুন্দর করে সাজিয়ে বাক্য লিখে সার্চ দেন?
উত্তর হলো- না। কারণ আমরা কেবল আমাদের মূল শব্দ বা keyword লিখে সার্চ দেই।
এখন আরেকটি প্রশ্ন আপনার জন্য-
যখন আপনি কোন একটি ভিডিও সার্চ দিয়ে পান তখন কি আপনি প্রত্যেকটি ভিডিওর টাইটেল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়েন?
উত্তর হলো- না। কারণ এক্ষেত্রেও আমরা কেবল আমাদের মূল শব্দ খুজে বেড়াই।
নিচের বাক্যটি থেকে দেখুন তো আমার মূল শব্দটি খুজে বের করতে পারেন কিনা!
“আমি আজ কলেজ থেকে বাসায় গিয়ে দুপুরে ঘুমানোর ফলে গভীর রাতে ভাত খাবার পরেইতো টয়লেটে গিয়ে ডাকাত ধরেছি”
এবার এখানে দেখুন তো মূল শব্দটি খুজে পান কিনা!
“ডাকাত ধরেছি: গভীর রাতে ঘুমানোর আগে টয়লেটে গিয়ে কি করেছি দেখুন”
আমরা সব সময়ই সহজ পথ বেছে নিতে অভ্যস্ত, তাই নিজেকে দিয়েই সব সময় পরীক্ষা করে দেখবেন।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য- আমাদের ভিডিওর ৬০% ভিউই আসে suggested video থেকে। আর suggested ভিডিওর টাইটেলের শেষের অংশ দেখা যায় না, হয়তো ঠিক যেখাটায় আপনি আপনার main keyword দিয়েছিলেন (টাইটেল বড় হলে)। তাই হয়তো এজন্যই আপনার ভিডিওটি সবার সামনে থাকার পরেও কেউ এটা দেখলইনা!
করণীয়: তাই বাক্য সুন্দর না করে টাইটেল সুন্দর করুন। সবার প্রথমেই আপনার main keyword রাখুন। আর এটাই সর্বোৎকৃষ্ট।
নিচের উদারণ ২টি দেখুন।
উদাহরণ:
সাধারণ টাইটেল: MY 10 BEST TIPS EVER FOR YOUTUBE VIDEO SEO
অধিক কার্যকরী টাইটেল: YOUTUBE VIDEO SEO: MY 10 BEST TIPS EVER
YouTube SEO STRATEGY #3
ভিডিও TITLE-এ (ব্র্যাকেট) ব্যবহার করুন :
ব্র্যাকেট আমাদেরকে একটা বড় লাইন বা পেজের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট শব্দকে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর মত কাজ করে।
ব্র্যাকেট সম্পর্কে বলতে গেলে, এটা ছোট্ট কিন্তু খুবই পরীক্ষিত একটি কার্যকরী বিষয়। কারণ যখনই আপনি কোন একটি লাইনের কোন একটি শব্দের আগে-পরে ব্র্যাকেট ব্যবহার করবেন তখন একটা পেজে অনেক লাইন, লেখা বা শব্দ (ভিডিও) থাকা সত্ত্বেও প্রত্যেকেরই আপনার ওই লাইন এবং বিশেষ করে ওই শব্দের দিকে চোখ যাবার সম্ভাবনা ৯০% বেড়ে যাবে। কারণ, এই শব্দটি অন্য সব শব্দ থেকে আলাদা করা হয়েছে ব্র্যাকেটের মাধ্যমে। আর আমরা সবাই এটা জানি যে আমাদের ওই বস্তু বা বিষয়ের উপর নজরটা একটু বেশীই যায় যেটা আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে একটু আলাদা।
উদাহরণ: YOUTUBE VIDEO SEO: MY 10 BEST TIPS EVER(Fast!)
YouTube SEO STRATEGY #4
ভিডিও TITLE-এ বর্তমান সাল উল্লেখ করুন :
ভিডিওর টাইটেলে চলতি বছর উল্লেখ করাটা অনেকটাই এরকম কাজ করে:
ধরুন আমরা একটা দোকানে আমাদের অনার্স শেষ বর্ষের আয়কর (ট্যাক্স) বই কেনার জন্য গেলাম। দোকানদার আমাদের 2015 সালের একটা বই হাতে ধরিয়ে দিল, যখন আমরা 2019 সালে অবস্থান করছি।
যেখানে ১ বছর পুরাতন আয়কর বই অচল এবং অনেক ক্ষেত্রে ১ মাসের ব্যবধানে অনেক তথ্যর পরিবর্তন হয়ে থাকে সেখানে এই ৫ বছরের পুরোন বই কিভাবে ব্যবহার করা সম্ভব।
তাই চলতি বছর উল্লেখ করার ফলে দু’দিক থেকেই সুবিধা পাওয়া যায়-
আপনি কখনওই ওই পুরাতন বইগুলো কিনতে চাইবেননা। অর্থাৎ ইউটিউবে ৫ বছর আগের ভিডিও আপনি কখনওই দেখতে চাইবেননা।
সচারচর আমরা ৯০% ক্ষেত্রেই সাল উল্লেখ করে ভিডিও সার্চ দেই। আর আমরা যখনই চলতি বছর লেখা দেখি তখনই মনে করি যে এতে নিশ্চয়ই কিছু নতুন এবং নির্ভুল তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, এই দোকানদার কখনওই আপনার সামনে ওই পুরাতন বইগুলো উপস্থাপন করবেনা (যদিনা আপনি পুরাতনগুলোই চান)। অর্থাৎ ইউটিউব আপনার সামনে সব সময় নতুন ভিডিও গুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করে। কারণ তারাও জানে এতে নতুন অর্থাৎ আপডেট তথ্য থাকতে পারে।
[বি.দ্র: পুরাতন ভিডিওগুলোর টাইটেল পরিবর্তন করে পাশে বর্তমান বছর উল্লেখ করে দিন আর ভিডিওর description এবং কমেন্টে বর্তমান সময়েরর নতুন আরেকটি ভিডিওর লিংকও দিয়ে দিন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।]
উদাহরণ: YOUTUBE VIDEO SEO: MY 10 BEST TIPS EVER in 2019
YouTube SEO STRATEGY #5
DESCRIPTION খালি রাখার বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন (১০০-২০০ শব্দ) :
ভিডিও description নিয়ে আমরা এতটাই অবহেলা করি যে সেখানে অনেকেই আমরা কোন কিছু লেখার প্রয়োজনই অনুভব করিনা। আবার অনেকেই হয়তো কিছু লিখি তবে সেখানে ভিডিও সম্পর্কে একটা শব্দও থাকেনা। শুধু হাই, হ্যালো, লাইক, কমেন্ট, সাবস্ক্রাইব- নাইস, জোস, অসাম ভিডিও এই রকম কিছু শব্দ লিখেই শেষ দেই।
আমাদের একটা ভুল ধারণা আছে, আমরা সবাই বিশ্বাস করি যে আমাদের ভিডিওর ডেসক্রিপশন লিখে সময় নষ্ট করে লাভ নেই, কারণ কেউ এটা পড়ে না। এটা ঠিক যে যারা ভিডিও দেখে তাদের বেশীর ভাগই ডেসক্রিপশন পড়েনা, কিন্তু আপনি কি জানেন, ইউটিউব ও গুগল আপনার সবকিছুই পড়ে-।
আর ভিডিও র্যাংক হবার ক্ষেত্রে ভিডিওর ডেসক্রিপশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার ভিডিওর ডেসক্রিপশন থেকে YouTube ও Google আপনার ভিডিওর ধরণ বুঝতে পারে। আপনার ভিডিওতে কি রয়েছে তার একটা সংক্ষিপ্ত বর্ণনা হচ্ছে ভিডিও ডেসক্রিপশন। তাই Video Description লিখে আপনি YouTube-কে সাহায্য করুন, YouTubeও আপনার ভিডিও র্যাংক হতে সাহায্য করবে।
এজন্য কমপক্ষে 100-200 শব্দের মধ্যে একটা ছোট কিন্তু পূর্ণাঙ্গ ব্লগ পোস্ট খুবই ইতিবাচক।
YouTube SEO STRATEGY #6
অল্প কিন্তু সঠিক KEYWORDS দিন :
১টা, ৫টা, ১০ টা, ২০ না আরও বেশী? আপনি কি মনে করেন, কতগুলো tags একটা ভিডিওতে ব্যবহার করা উত্তম?
আচ্ছা আমরা একটা উদাহরণের মাধ্যমে বুঝার চেষ্টা করি:
ধরুন আপনি অসুস্থ্য হয়েছেন, তখন এক ব্যক্তি আপনার রোগের জন্য একটা ঔষধ দিল এবং বলল এই ঔষধটি সব রোগের সমাধান, যেমন: জ্বর, যক্ষা, ক্যান্সার, চুল পড়া, গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি সকল রোগের সমাধান। তো এখন আপনি কি করবেন, এই ব্যক্তিটির কথা বিশ্বাস করবেন? উত্তর হলো কখনওই না।
এখন আবারো প্রশ্ন হলো কেনো আমরা বিশ্বাস করবনা?- কারণ হলো একটাই, একটা ঔষধ দিয়ে কেবল একটা রোগের বা সমস্যারই সমাধান করা সম্ভব। এর ফলে এই লোকটিকে সবাই পাগল বলে গণ্য করবে।
এখন কি তাহলে এ প্রশ্নটিও ও উঠেনা!- এত এক্সপার্ট ইউটিউবকে কিভাবে বোকা বানানো সম্ভব? ইউটিউব তাহলে কেন আমাদের এই একটা ভিডিওকে ৩০ টা রোগের সমাধান অর্থাৎ ৩০ টা ট্যাগ সম্বলিত ভিডিওকে স্বাভাবিক বলে মনে করবে? আর তখন সেক্ষেত্রে আপনি নিজেওতো ইউটিউবের কাছে পাগল বলে গণ্য হতে পারেন। বেশী ট্যাগ ব্যবহার করলে ইউটিউব স্প্যাম হিসেবে গন্য করতে পারে।
মূলত একটা ভিডিওতে বেশী tags ব্যবহার করলে YouTube দ্বন্দে পরে যাবে যে, এটা আসলে কি রোগের সমাধান (কোন বিষয়ের ভিডিও)। আর তাই এক্ষেত্রে আপনার ভিডিও র্যাক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
কারণ ১টা ঔষধ যেমন ১টার বেশী রোগের সমাধান করতে পারবেনা তেমনি ১টা ভিডিও কখনওই অধিক ট্যাগে র্যাংকও করতে পারবেনা।
তাই সবশেষে পরামর্শ হচ্ছে, সর্বোচ্চ ৫ টা ট্যাগ একটা ভিডিওতে ব্যবহার করা উত্তম। আর single word এর tag কম ব্যবহার করা।
YouTube SEO STRATEGY #7
Rank করান SUGGESTED ভিডিওতে :
[Here is the deal, YouTube SEO is more than just ranking in the search results]
Suggested Video আসলে কি, এটা কিভাবে কাজ করে?- Suggested video বলতে, আমরা যখন একটি ভিডিও দেখি ঠিক তখন সেই ভিডিওর ডান পার্শ্বে যেই ভিডিওগুলো একটা লিস্ট আকারে দেখা যায় ওই ভিডিওগুলোই হলো Suggested Video। এই ধরণের ভিডিও ইউটিউব নিজ দায়িত্বে related Video দেখার সময় suggest করে।
আমরা কি জানি ৬০% এরও বেশী ভিউ আমরা Suggested Video থেকে পেয়ে থাকি। আমরা সবাই আমাদের ভিডিওর ট্যাগ র্যাংক করানোর চিন্তায় মগ্ন থাকি যেটা থেকে আমাদের সাধারণত ৩০% এর বেশী ভিউ আসেনা। এখন আমি মনে করি যে আমরা বুঝতে পেরেছি যে suggested video এর গুরুত্ব ঠিক কতটুকু।
এখন আমরা কিভাবে আমাদের ভিডিওগুলোকে এই ধরণের suggested video এর স্থানে নিতে পারি?-
যে জন্য আমাদের ভিডিওর সমস্ত গুন থাকার পরে আরও একটু কাজ করতে হবে, সেটা হলো জনপ্রিয় ভিডিওর ট্যাগ থেকে related এবং volume tags গুলো same to same আমাদের ভিডিওতে ব্যবহার করতে হবে।
এর ফলে যখনই কেউ ওই জনপ্রিয় ভিডিওগুলো দেখবে তখনই related tags অর্থাৎ একই ধরণের tags আপনার ভিডিওতে থাকার জন্য আপনার ভিডিওটি suggested video list এ আসার সম্ভাবনা থাকবে।
YouTube SEO STRATEGY #8
THUMBNAIL-এ চুম্বক লাগান:
YouTube-এ Thumbnail বলতে আমরা সাধারণত বুঝি এমন একটা চিত্র বা ছবি বা কোন বাহ্যিক স্থীর রূপ, যা কোন একটা ভিডিওর ভিতরে ঢুকার পূর্বে ভিডিওর কোন একটা অংশ কিংবা customized কোন অংশ বা Photo স্থীর আকারে দেখানো হয়, যা দেখে ভিডিওটির মূলভাব বা মূল বিষয় সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়।
Thumbnail হলো কোন একটা ভিডিওর প্রধান অংশ,- Heart of the part! মানে এর দরুনই আমাদের view বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে। আপনার ভিডিওটা যদি খুবই খারাপ মানের হয় তারপরেও attractive thumbnail ব্যবহার করা হলে অন্যান্য ভালো মানের ভিডিওর চেয়েও আপনার ভিডিওতে ক্লিক করার সম্ভাবনা অনেক বেশী যাবে।
একটা ভালো thumbnail আপনার ভিডিওতে ক্লিক করার সম্ভাবনা ৯০% পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে।
Magnetic Thumbnail তৈরী করার জন্য অন্যতম প্রধান ২টি বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখুন:
প্রথমত, USE NON YOUTUBE COLOR. অর্থাৎ ইউটিউবের নিজস্ব রং ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা। লাল, সাদা এবং কালো এই ৩টি রং হচ্ছে ইউটিউবের নিজস্ব রং। এই ৩টি রং যখনই আপনি আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করবেন তখন আপনার ভিডিওটি ইউটিউব এবং অন্যান্য ভিডিওর সঙ্গে মিলে যাবে, ফলে এতে আপনার ভিউয়ারের চোখ নাও পরতে পারে।
কিন্তু যখনই ইউটিউবের এই ৩টি রং ব্যতিত অন্য রং ব্যবহার করবেন তখনই আপনার ভিডিওটি ইউটিউব এবং অন্যান্য ভিডিও থেকে একটু আলা দেখাবে। ফলে এতে সহজেই সকলের চোখ পরার সম্ভাবনা অনেকগুন বেড়ে যাবে।
দ্বিতীয়ত, DON'T USE MORE THAN 30 CHARACTERS ON THUMBNAIL অর্থাৎ ৩০ টার বেশী বর্ণ আপনার thumbnail-এ ব্যবহার না করা। কারণ বর্ণ যত বেশী হবে ততই আপনার মেসেজটি কম বোধগম্য হবে। আর কম সংখ্যাক বর্ণের দরুন তা আকারে বড় এবং বোঝাও সহজ হবে।
(YouTube Video Thumbnail-কে সুন্দর, আকর্ষণীয় এবং অন্যদের থেকে একটু ভিন্নভাবে তৈরী করুন)
YouTube SEO STRATEGY #9
ENGAGEMENT বাড়ান আর COMMENT তো অবশ্যই:
Engagement মানে হচ্ছে কোন একটা ভিডিও দেখে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং ভিডিওটি থেকে আপনার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করা।
আর আপনার ভিডিওটিতে যত বেশী লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং ভিডিওটি থেকে সাবস্ক্রাইব আসবে ঠিক ততটাই আপনার ভিডিওটি র্যাংক করবে।
এখন তাহলে কিভাবে এই engagement increase করা যাবে এবং কোন ধরণের engagement সব থেকে বেশী কার্যকরী?-
কোন একটা ভিডিওর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ engagement হচ্ছে COMMENT, কমেন্ট আপনার বাকি আর সমস্ত engagement বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
কিভাবে কমেন্টের পরিমান বাড়াবো?
সমাধান: আপনার ভিডিওটির অন্যান্য গুনাবলী থাকার পাশাপাশি আরও ২টি বিষয়ে যত্নবান হতে হবে।
প্রথমত, আপনার ভিডিওটিতে যারা কমেন্ট করেছে তাদের কমেন্টে লাইক, love এবং যথাযথভাবে reply দিতে হবে। একটা short সময়ের মধ্যে একটা ভিডিওর সমস্ত কমেন্টের উত্তর না দিয়ে বেশ কিছু সময় নিয়ে উত্তর দিলে ভিডিওটির reach আরও বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। মাঝে মাঝে review এ থাকা কমেন্টগুলো approve করে দিন।
আমরা অনেকেই আমাদের ভিউয়ারদের কোন সমস্যা থাকলে তাদেরকে আমাদের ফেইসবুক গ্রুপে পোস্টা করার জন্য বলে থাকি। আর যদি আপনি তাদের এই ভিডিওতেই প্রশ্ন করার জন্য বলেন তো সেক্ষেত্রে কমেন্টের পরিমান বেড়ে যাবে। আর আপনি যখন তাদের সমস্যার সমাধান এই কমেন্টেই দিয়ে দিবেন তখন আপনার কমেন্টের সংখ্যা ২ গুন হয়ে যাবে। আপনার নিজের পক্ষে সম্ভব না হলে এর জন্য আপনি moderator নিয়োগ করতে পারেন।
আরেকটি মজার এবং কার্যকরী পদ্ধতি হলো প্রত্যেকটি ভিডিওতে “Best Comment” নির্বাচন করা। অর্থাৎ প্রতি ভিডিওতেই যদি আপনি ভালো কমেন্ট দাতার নাম উল্লেখ করেন, তখন কমেন্ট দাতার খুশিটা বলে বোঝানো যাবেনা। আর যেটা আপনার চ্যানেলের জন্য শতভাগ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। আর এর ফলে কমেন্টের সংখ্যা বহুগুন বৃদ্ধি পাবে, কারণ সবাই আপনার Best Comment-এ স্থান পেতে মরিয়া হয়ে থাকবে। আর তাছাড়া আপনি যদি কমেন্ট নিয়ে প্রতি সপ্তাহে একটা ভিন্ন ধরণের ভিডিও তৈরী করেন তো সেক্ষেত্রেও আপনার Video Engagement এতটাই বৃদ্ধি পাবে যে তা আপনার কল্পনারও বাইরে।
দ্বিতীয়ত, Call to the Action অর্থাৎ ভিউয়ারদের action এ যেতে বাধ্য করা। ভিডিওটির শেষের দিকে এমন একটি প্রশ্ন করুন যাতে তার উত্তর দিতে viewer অনুপ্রাণিত হয় এবং মজা পায়। [আপনার ভিডিওটির Content & Quality যদি ভালো লাগে তো আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে Viewer আনন্দিত বোধ করবে]
যেমন-
”আমার এই আলোচিত YouTube SEO Strategy এর মধ্যে কোনটি আপনার নিকট সব থেকে কার্যকরী বলে মনে হয়েছে? নিচে কমেন্টে জানান।”
YouTube SEO STRATEGY #10
WATCH TIME বাড়ান আর Market দখল করুন :
WatchTime, Watch-Time and watch time! This is the FACT! মার্কেট তার ওয়াচ টাইম যার।ওয়াচ টাইমের মানে আমরা সবাই জানি যে, আমাদের ভিডিওটি Viewer কতক্ষণ যাবত দেখে । আর এর গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি কিন্তু যারা নতুন ইউটিউবার তাদের কাছে বিষয়টি নিতান্তই সংজ্ঞার মধ্যেই আবদ্ধ। ওয়াচ টাইমের গুরুত্বকে তুলনা করলে সাবস্ক্রাইবারের থেকেও একটা ভালো ওয়াচ টাইম অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
এককথায় বলতে গেলে যে ব্যক্তি তার ভিডিওর ওয়াচ টাইম নিয়ন্ত্রণে সক্ষম সে ইউটিউবে ক্যারিয়ার গড়তেও সক্ষম।
ওয়াচ টাইম বৃদ্ধি:
প্রতিনিয়ত আমাদের Audience Retention লক্ষ্য করতে হবে। আমাদের দেখতে হবে যে, আমাদের ভিডিওটির কোন অংশ ভিউয়ার অপছন্দ করে এবং কোন অংশটুকুতে ভিউয়াদের নিকট বেশী পছন্দীয়। আমাদের এই সকল গ্রাফ সংগ্রহ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যে অংশটুকু ভিউয়ারদের নিকট অপছন্দনীয় তা পরবর্তী ভিডিওগুলোতে বর্জন এবং যেটুকু পছন্দ করেছে তা পরবর্তী ভিডিওগুলোতে বেশী বেশী ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে।
Audience Retention খুবই সহজ, সাধারণ কিন্তু খুবই কার্যকরী একটি পন্থা
যেখানে ইউটিউব নিজেই এত বড় একটি সুন্দর পদ্ধতির ব্যবস্থা করে দিয়েছে সেখানে এটার যথার্থ ব্যবহার না করাটা নিরর্থক ও বোকামি ছাড়া আর কি!
ওয়াচ টাইম বৃদ্ধি করার জন্য আরও কিছু বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে:
উল্লা পাল্টা ভিডিও টাইটেল ব্যবহার না করা। অবশ্যই মূল শব্দ আমাদের টাইটেলের মধ্যে রাখতে হবে।
Video Thumbnail -এ কখনওই ভিডিওর সাথে মিলে না এমন কোন কিছু ব্যবহার করা যাবেনা। কারণ এতে হয়তো ক্লিক এবং ভিউ বেশী হবে কিন্তু এটাই ওয়াচ টাইম নষ্ট করার মূল অস্ত্র।
ভিডিওর Content এর পাশাপিাশি Quality এর দিকেও নজর দিতে হবে।
ভিডিওতে অপ্রাসঙ্গিক সংজ্ঞা বা পরিচিতি পরিহার করতে হবে।
ভিডিওতে অতিরিক্ত Ads সেট না করা।
ধন্যবাদ, আপনাদের সময় নিয়ে আমার এই লেখাটি পড়ার জন্য।
আমার এই আলোচিত YouTube SEO Strategy এর মধ্যে কোনটি আপনার নিকট সব থেকে কার্যকরী বলে মনে হয়েছে? নিচে কমেন্টে জানাবেন। আর কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই বলবেন।
ব্লগটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করতে পারেন।
please upvote and help me to increase more and get you also some points. Thanks for your time.
Sources: Experience, Experiment & Internet