আপনি যদি আপনার বাবা-মা কিংবা দাদা দাদুদের কে বলেন যে তাদের সময়ে কোন খেলাটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিল সবার উত্তর প্রায় একই হবে সেটা হল ফুটবল। হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন ক্রিকেট নয়। যদিও বাংলাদেশ তখন পাকিস্তানের অংশ ছিল এবং পাকিস্তান ক্রিকেট খেলত। পাকিস্তান জাতীয় দলে বাংলাদেশের রাকিবুল হাসান ও একসময় খেলেছিলেন।
ফুটবলে আগে মোহামেডান ও আবাহনীর খেলা হলেই এমন অবস্থা হতো যে মাঠে দর্শকদের জায়গা হচ্ছে না। সেই সময়ে ভালো মানের ফুটবল যে ছিল তা নয় আসলে সেই সময়ে এত টেলিভিশন সে সময় মানুষ ঘরে বসে শুয়ে রোনালদোর খেলা দেখতে পারত না। আজ তো আমরা টিভি অন করলেই উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ লা লিগা ওয়ার্ল্ড কাপ ইউরোপ চ্যাম্পিয়নশিপ আরো অনেক জাতিক মানের খেলা দেখতে পাই। তাদের সেই সুন্দর পাস সুন্দর ডিফেন্স দেখে আমরা মুগ্ধ হয়ে পড়ি যে আমরা আশা করি আমাদের বাংলাদেশ যেই লোকাল খেলা গুলো হয় সেখানেও আমরা সেরকম খেলা দেখতে পাব।
কিন্তু আমরা যদি এভাবে ফুটবল কে সাপোর্ট না করি তাহলে নতুন প্রজন্ম হারিয়ে ফেলবে। এখনকার বাচ্চারা শুধু ক্রিকেটার হতে চায় কিন্তু খুব কম মানুষই আছে যারা ফুটবল খেলতে চায় কিন্তু এই ফুটবল জনপ্রিয় ওয়ার্ল্ড কাপ শুরু হয় তখন আমরা বুঝতে পারি।
ওয়ার্ল্ড কাপের সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটে খেলা ও ভালো লাগে না। তাহলেই বুঝুন বাংলাদেশ যখন বিশ্বকাপ খেলবে তখন কি অবস্থা হবে।
সালাহউদ্দিনের যে বর্তমানে সেটার ওপর আমি অনেক আশাবাদী ছিলাম। ভেবেছিলাম এবার ভালো কিছু হবে বাংলাদেশের ফুটবলের মান আগের চেয়ে অনেক বাড়বে কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যেই নেপাল কে আগে হারাতো সেই নেপালের কাছে হেরে যাচ্ছে, যেই ভুটান কে আগে হারাতো তো সেই ভুটানের কাছে হেরে যাচ্ছে।