(সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
আমি আজ এই পর্যায় জানিনা আমার Future শুধু জানি লেখা পড়া ছাড়া আমার জীবনের গতি মন্থর। স্থিমিত হয়ে যাবে আমার শখময় বিলাসবহুল জীবনের গতি, নেমে আসবে আমার অবুঝ (যখন তাঁরা বৃদ্ধ) পিতামাতাকে নিয়ে হাহাকার। পারবকিনা সেই ছোট বাচ্চা দু’টার খেতমত করতে।এই ভবিষ্যৎ .............
এখন আমি ভাল University তে ভর্তির আকাঙ্ক্ষায় ছুটতেচি কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস , রংপুর কারমাইকেল কলেজে হিসাববিজ্ঞান এই সুবাদে একটি ম্যাচে উঠলাম , আজ আমি বাসা যাব বলে মনস্থ করলাম ।যা ভাবনা তাই কাজ হলুদ পতাকার গেটলক একটি বাসে করে সৈয়দপুর বাসায় গিয়ে পৌচ্ছলাম । মা ছুটে এসে দরোজা খুলে আমাকে জরায়ে ধরে আনন্দের অশ্রু বিসর্জন করল । একটু পরেই ফিস ফিস করে কি যেন বলতে ধরল , আর আমিও আচর্যের শিহরিত মনে অপলক আকাঙ্ক্ষায় শুনতে লাগলাম। যা আজও আমার জীবনের অমুছনিয় স্মৃতি ও ইতিহাস। যা আজ অবধি আমরা বয়ে বেড়াচ্ছি আমি আজও ভুলতে পারিনা সেই আট-দশ বছরের স্মৃতি গাথা কয়েক ধরনের চরিত্র,কয়েক ধরনের পরিবেশ,কয়েক ধরনের স্বপ্ন উত্থান আর পতনের ধারাবাহিকতা।
আজ হয়ত আমি কিছু কথা শুরু করতে পারব আর শেষ করা তো কনোমতেই আজকে সম্ভব না ।যা ৮-১০ বছরের বাস্তবিক জীবনের স্মৃতি গাথা কথা যার কিছু শুরু করতে গিয়েই প্রথমের আমার মায়ের কথাটাই কানে বাজে ............আজকে দু’জন কি মানুষ যে আসছিল ! ওরা মানুষ ছিলনা অন্য কিছু ছিল বাবা !!!
আমি শুনতে আগ্রহ দেখালাম , বাবা শুন বলে মা শুরু করল , আজকে আমি অনেক কাজ করছি ঘর –দুয়ার , কাপর-চোপর ধুয়ে মুছে গসোল করে ক্ষুধায় অবস্থা খারাপ তারাতারি খাইতে গিয়ে দেখি অনেক অল্প খাবার জন্যে ভাত আছে অতটুকুই নিয়ে খাইতে বসে শুরু করতে না করতেই জানালা দিয়ে একজন লোক ডাকছিল মা মা একটু ভাত হবে ? অনেক ক্ষুধা লাগছে গেল তিন দিন থেকে কিছুই খাইনি কিছু খাবার দেয়া যাবে ? আমার সাথে আর একজন আছে যিনি আমার গুরু । মা বলল যে আমি কথা বলার আগেই সব বলে ফেললো। পরে আমি বললাম যে বাবা ভাত যে নাই অল্প একটু আছে যদি চান তাহলে একজনের জন্য হতে পারে , তরকারিও নাই।তখন ওরা বললো তাতেই হবে আমরা দু’জনেই তা ভাগ করে খবো।এতখন তারা জানালা দিয়েই কথা বলতেছিল । যখন আমি তাদের ভিতরে আস্তে বললাম ,তখন তারা ভিতরে আসলো এবং বসলো । আর আমি যখন তাদের খাবারটুকু দেবার জন্যে ready হলাম তখন যিনি গুরু তিনি হাসতে হাসতে আমাকে বলতেছিল যে মা তোমার মন অনেক ভাল , তোমার বাসায় তো কোন খাবার নাই, যা আছে তা দিয়েই তোমারেই পেট ভরবেনা আর তুমি আমাদের দিতে চাচ্ছো ! থাক মা ভাত দিতে হবে না আমাকে ৫০০ টাকা দিন আমরা বাহিরে খেয়ে নিব ।বাসায়তো কোন কোনো টাকাই ছিল না ,অনেক খুজা খুজির পর ৫ টাকার কয়েন একটা পাইছি । তখন তাদের বললাম আপনারা একটু অপেক্ষা করেন আমি অন্য কারো কাছ থেকে নিয়ে এসে আপনাদের দিচ্ছি তখন গুরু জন হেসে হেসে বলল ৪৯৫ টাকা এখন কে আপনাকে দিবে ! এজন্যেই মা আমি আপনার কাছে আপনার বাসায়, মা আমারা খাইতে আসিনি বা নিতেও আসিনি যা পাবার ছিল তা পেয়ে গেলাম।
মা আপনার ছেলে সোহাগ তো আজকে বাসায় আস্তেছে যা আপনাকে সে বলে নাই । বাসায় আফ্রোজা আর আমি ছিলাম ওরা আমাকে মা আর আফ্রোজাকে বোন বলে ডাকতেছিল।আমাদের সাথে করে নিয়ে সব ঘর ঢুকে বের হল আর বলল যে আফ্রোজা আমাকে এক গ্লাস পানি দাওতো বোন , যখন আফ্রোজা কাচের গ্লাসে পানি নিয়ে তাঁর কাছে ধরলো , তিনি পানি না নিয়ে শুধু একটা ফুঁ দিয়ে আফ্রোজাকে ও আমাকে নাকে ধরে ঘ্রান নিয়ে পরে রেখে দিতে বললো তোমাদের জন্যে । ঘ্রান নিয়ে আমি হতবাক ও শিহরিত পুরো গ্লাসের পানি আতরে পরিনতো হয়ে গেছে। তারপর তাঁরা একটু মাটি নিয়ে আসতে ধুলিমাটি নিয়ে আসলাম তারা সেগুলো নিয়ে কি বলে যে ফু দিলো তারপর বাসার চার দিকে ছিটিয়ে দিতে বলল । এমন সময় বাসায় তোর ফুকদুলু মামা আসলো তখন তারা তাকে শিমুল গাছের শীকড় নিয়ে আসতে বললো যেই বলা সেই কাজ সে নিয়ে আসলো। তারপর যাবার আগে আমাকে জিজ্ঞেস করলো আপনার ছেলে কয়টা ? বললাম আমার এক ছেলে দুই মেয়ে তখন সে বললও আজকে থেকে আমিও আপনার ছেলে তাই কেউ জিজ্ঞেস করলে আপনি বলবেন আমার দুই ছেলে দুই মেয়ে। ছেলে হিসেবে তাকে নিলাম কিনা সেটা আমার মুখ থেকে নিশ্চিত হয়ে বললো আজ তাহলে আসি মা ,খুইব শিগগিরি আবার দেখা হবে বলে বেরিয়ে গেল তারপরপরেই ফুকদুলকে বললাম যে ভাই তুই দেখতো ওরা কোথায় যায় ? সাথে সাথেই এক থেকে দেড় মিনিটের ব্যবধান ফুকদুল বেরিয়ে পরলো দেখলো লোকগুলো নেই সে সম্ভাভ্য পথ দুটির সব দিকেই খোজ করলো কিন্তু আর খুজে পেলো না । আবার ফুকদুল বাসায় এসে বোলতেছিল যে “বু” লোকগুলো সাধারন লোক ছিলো না এরা জীন গোত্রের কেউ ছিল মনে হয় । এসব বলে কিছুক্ষণ পর ফুকদুলু চলে গেল তারপর তোর আব্বা আসলো আর একটু পরেই তুই আসলি। আর হ্যা বাসায় যখন আমাদের নিয়ে ঘুরতেছিল তখন আমাদের অতীত সবকিছুই বলতেছিল কে কি করছে ? কি হইছে ? আমাদের গ্রামের বাসার সেই মুরগীর ডাক,তোর ভয় পাওয়া সহ অনেক কিছুই বলতেছিল ইত্যাদি।
আমি বাসায় আসলে অবশ্য আতরের গন্ধ পাচ্ছিলাম। জিজ্ঞেস করলাম দেখতে কেমন ছিল ? বললও সুসর্শন মাথায় পাগড়ী। চোখ গুল বড় বড়ো, নাকটা খাড়া, লম্বা ৬ ফিট ২-৩ ইঞ্চি হবে। আমি শুনি তখন আমার কাছে মনে হলো হয়তো সত্যি সত্যিই জীন মানুষের রুপ নিয়ে আসছিল।
(ঠিক ৪০ দিনের দিন তাদের কথা মতো অন্য এক ভয়ংকর রুপে তাদের আবির্ভাব.........)