হ্যালো গায়েজ,,,
সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। তাই তো আর দেরি না করে আবারো ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে, আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক আজকের পোস্টের কার্যক্রম গুলো।
আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর একটা ভোরের আলো দেখতে পেলাম। আজকের দিনটা বেশ ভালোভাবেই কেটে গেল। আজকের সকালটা শুরু হয় সাড়ে পাচটার সময় ঘুম থেকে উঠে আগে মেয়েকে মাদ্রাসা দিয়ে আসি তারপর ফজরের নামাজ আদায় করি। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ দোয়া দরুদ পরে শুয়ে থাকি।
ফজরের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি তারপর সকালের নাস্তা বানাতে চলে যাই। আজকে সকালে সবার জন্য নুডলস রান্না করেছি। আগে ছেলেটি নাস্তা খাইয়ে দিয়ে এরপর মেয়ের জন্য মাদ্রাসা নাস্তা নিয়ে গেলাম। মেয়ের মাদ্রাসা থেকে এসে আমি নাস্তা করি।
সকালে নাস্তা করে আবার দুপুরে রান্নার কাজে লেগে পড়ি। আসলে বিয়ের পর মেয়েদের বেশিরভাগ সংসারের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। ঘরে পাঁচটা মানুষ থাকলে তাদের মন জয় করে চলতে হয় ; তাদের মনের মতন না হতে পারলে একেক জনের একেক ধরনের কথা শুনতে হয়। তবে এসব থেকে আমি একদম অন্যরকম এইসব ধরনের প্যারা আমার মাথাতে নেই, আমার শ্বশুর বাড়ির লোক বলতে হচ্ছে আমার স্বামী একাই তার মা - বাবা ভাই - বোন কেউ নেই। তাই নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে চলতে পারি।
যাইহোক অনেক কথা বলে ফেললাম এখন আসল কথায় আসি। সাড়ে বারটার ভিতরের রান্না শেষ হয়ে গেল, রান্না শেষ করে ছেলেকে গোসল করতে চলে গেলাম। আগে ওকে গোসল করিয়ে রেখে তারপর আমি আমার গোসলটা সেরে নিলাম। এরপর জোহরের নামাজ পড়ি।
নামাজ কালাম শেষ করে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দি, এর মধ্য মেয়ে মাদ্রাসা থেকে আসে তারপর গোসল করে ভাত খেয়ে নিল। ওদের দুই ভাই বোনের খাওয়া শেষ হলে তারপর আমি খেয়ে নিলে। খাবার খেয়ে শুইলাম কিছুক্ষণ বাদে সাহেব আসে, তারপর সে মুখ হাত ধুয়ে নিলো খেতে দি।
সাহেব খেতে লাগলো ততক্ষণে আমি আসরের নামাজটা পড়ে নিলাম। নামাজটা শেষ করে রান্না ঘরে গিয়ে চটপটির ডাল সেদ্ধ দিলাম। আজকে সন্ধ্যায় নাস্তা হবে চটপটি। এদিকে আবার দেখি ভাইয়া অফিস থেকে আসার সময় সন্ধ্যার নাস্তার জন্য পেটিস নিয়ে এসেছে।
এরপর সন্ধ্যা হয়ে এলো মাগরিবের আজান দিলে নামাজ পড়তে চলে গেলাম। নামাজ টা শেষ করে চটপটির বানানোর কাজে লেগে পড়ি। বানাতে অনেকটা সময় লেগেছে কিন্তু খেতে পাঁচ মিনিট ও সময় লাগেনি। তবে আজকের চটপটিটা খুব মজা হয়েছে। সাহেব নিজেও বলেছে।
খেয়ে দেয়ে পোস্ট লিখতে বসি। পোস্ট লেখা হয়ে গেলে, তারপর ছেলেকে কিছুক্ষণ পড়তে বসাই।পড়ানো শেষ করে সাড়ে নয়টার ভিতরে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দি, মেয়েও মাদ্রাসা থেকে এসে যায় ওকেও খেতে দিলাম। ছেলে- মেয়ের খাওয়া দাওয়া হয়ে গেলে তারপর ওদেরকে নিয়ে শুয়ে পড়ে। এরকম করে আজকে দিনের মুহূর্তগুলো পার করি এখানে লেখা আছে শেষ করতে চাই (আল্লাহাফেজ)