হ্যালো বন্ধুরা!
আমার আজকের পোস্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম জানাই। কেমন আছেন সবাই? অনেকদিন বাদে আবারো আমি আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম। গত এক সপ্তাহে কোন পোস্ট করতে পারিনি, কারণ দুই দিন ভীষণ শরীর খারাপ ছিল, তাই ফোনের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারিনি। তারপর থেকে আবার ওয়াইফাইয়ের সমস্যা হয়ে গেছে। ইনশাআল্লাহ, এবার থেকে প্রত্যেকদিন পোস্ট করার চেষ্টা করব। চলুন এবার শুরু করি আমার আজকের ডাইরি গেম, আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সকাল শুরু
সকাল সাড়ে সাতটায় ঘুম ভাঙলো। উঠে দেখি, মেয়ে বিছানায় নেই, মাদ্রাসায় চলে গেছে। আজকে মাদ্রাসায় লেট করে গেল, পরীক্ষা গেছে তাই পড়ার চাপ কম। সকাল ৭:২০ এ চলে গেল। মাদ্রাসায় গিয়েও নাকি তেমন একটা পড়ালেখার ব্যস্ত ছিল না; পরীক্ষা যাওয়ার জন্য ম্যাডামকে কিছু গিফট দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আমি ঘুম থেকে উঠে মুখ হাত ধুয়ে এসে বসি, তারপর এক গ্লাস পানি খেলাম। এরপর ছেলেকে এক প্যাকেট এনার্জি বিস্কুট খাইয়ে দিলাম। ছেলেকে বিস্কুট খাইয়ে দিয়ে আমি রান্না করার দিকে চলে গেলাম। তবে আজকে সকালে কোন নাস্তার আয়োজন করিনি। ভাত ছিল, আর ডিম ভেজে কালকের তরকারি দিয়ে সকালে খেয়ে নিলাম। সকালে নাস্তার চেয়ে ভাত খেতে আমার ভীষণ ভালো। মাঝে মাঝে নাস্তা বানাই।
দুপুরের রান্না
সকালে ভাত খেয়ে এগারোটার দিকে রান্নার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম। কি কি রান্না করব, সবকিছু গুছিয়ে নিলাম। এরপর আস্তে আস্তে রান্না বসিয়ে দিলাম। আজকে দুপুরে রান্না করলাম পাবদা মাছ দিয়ে বরবটি আলু, কচুর লতি, আর তার সাথে রয়েছে বেগুন ভর্তা। অনেকদিন বাদে ভর্তার স্বাদ নিলাম, খুব ভালো লাগলো।
দুপুরের রান্না ১২:৩০ টার দিকে শেষ হলো। রান্না শেষ হওয়ার পর রান্নাঘরটা ভালো করে মুছে, তারপর রুমগুলো ঝাড়ু দিয়ে ছেলেকে গোসল করিয়ে দিলাম। এরপর আমি গোসল করতে গেলাম। গোসল করতে গিয়ে সাহেবের অনেকগুলো কাপড়চোপড় আর একটা কম্বল ধোয়া হলো। এগুলো ধুয়ে আসতে প্রায় দেড়টা বেজে গেল।
দুপুরের খাবার
গোসল শেষে রুমে এসে প্রায় ৫ মিনিট বিশ্রাম নিলাম। তারপর জোহরের নামাজ পড়লাম। নামাজ শেষে দুইটার মধ্যে ছেলেকে দুপুরের খাবার খাওয়াতে বসি। ছেলেকে ভাত খাওয়াতে প্রায় ৪০ মিনিট লাগলো, এরপর আমি খেয়ে নিলাম।
দুপুরে খাবার খেয়ে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে তিনটার মধ্যে শুয়ে পড়লাম। ওরা ঘুমিয়ে যায়, আমি আর ঘুমাইনি, কিছুক্ষণ শুয়ে মোবাইল ব্যবহার করলাম।
কিছুক্ষণ পর সাহেব আসলো। হাত-মুখ ধুয়ে এসে টেবিলে বসলেও আমি তাকে খাবার দিয়ে আসরের নামাজ পড়তে গেলাম। আসরের নামাজ পড়লে ছেলের পাশে বসলাম। ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেল, তারপর ওর সাথে কিছুক্ষণ দুষ্টুমি করলাম।
সন্ধ্যা ও রাত
এরই মধ্যে মাগরিবের আযান দিলো। এরপর অজু করে নামাজ পড়তে গেলাম। নামাজ শেষে ছেলেকে চানাচুর মুড়ি দিলাম, ছেলে খেতে লাগলো। আর আমি কাঁচা তেঁতুল সেদ্ধ করে গুঁড়ো মরিচ ও সরিষার তেল দিয়ে মেখে খেতে বসি।
আমার তেঁতুল ভর্তাটা দেখে যে নাও খায়, তার মুখেও পানি এসে যাবে! এমনি তো টক জিনিস দেখলে সবার মুখে পানি এসে যায়। আমি ভর্তাটা বানিয়ে বিছানায় বসে খেতে লাগলাম। সাহেবের আমার ভর্তায় উপরে চোখ পড়লে তার মুখেও পানি এসে গেল। সে তেমন একটা টক জিনিস পছন্দ করে না, তবুও জোর করে এক চামচ ভর্তা খাইয়ে দিলাম।
এরপর ছেলেকে কিছুক্ষণ পড়তে বসালাম। পড়া শেষ হলে ওকে রাতে খাবার খাইয়ে দিলাম। এরপর ওকে ঘুম পড়িয়ে আমি এশার নামাজ পড়ে ছেলে-মেয়ের পাশে শুয়ে থাকলাম।
যাইহোক, এরকম করে আমার আজকের দিনটা আমি পার করি। আজকের মতো আমার লেখা এখানেই সমাপ্ত করতে চাই। (আল্লাহ হাফেজ)