Better Life With Steem || The Diary game || 2/8/2024

in hive-120823 •  4 months ago 
1000134075.jpg

প্রিয় বন্ধুরা, আশা করছি সকলের খুব ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ, আর ভালো থাকলে না ভালো থাকার মতন, কারন দেশে যে অবস্থা কিছুই ভালো লাগছে না এরকম পরিস্থিতি দেখে। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার আজকের দিনলিপি নিয়ে হাজির হয়েছি । তাই আমার আজকের পোস্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।


1000133397.jpg

আজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে কোন তাড়াহুড়া হয়নি, কারণ শুক্রবার ছিল মেয়ের মাদ্রাসা বন্ধ ছিল তাই সকালে তাড়াতাড়ি নাস্তা বানানোর কোন ঝামেলা ছিল না। তাই নিজের মতন করে ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে রান্নাঘরে চলে যাই, রান্না ঘরে গিয়ে প্রথমে রাখা থালা-বাসন গুলো ধুই তারপর সকলের নাস্তার জন্য নুডুলস রান্না করি।

সকালে খাওয়ার জন্য নুডুলস রান্না করে রেখে তারপর আমি বাসায় সমস্ত কাজগুলো করি। আর এদিকে সবাই ঘুমাচ্ছে, সকালের টিপটিপ বৃষ্টি পড়াতে এবং ঠান্ডা বাতাসে কম্বল পেঁচিয়ে ঘুমাচ্ছে। তারপর যখন দেখি সকাল সাড়ে দশটা বেজে গেছে তারপর তাদেরকে ডেকে উঠালাম। তারা ওঠার পর হাত মুখ ধুয়ে আসলো তারপর সকলে মিলে একসাথে সকালের নাস্তা করি।

1000133609.jpg

সকালে খাওয়ার পর্ব শেষ করে তারপর সাহেব এবং ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করি আজকে দুপুরে কি কি তরকারি রান্না করব। এরপর ভাইয়া বলল আজকে ভাত তরকারি রান্না করতে হবে না আজকে দুপুরে খিচুড়ি খাব। তারপর তাদের মতামত শুনে আমি রান্না ঘরে গিয়ে খিচুড়ি রান্নার প্রস্তুতি নিলাম। খিচুড়ি রান্নার জন্য কয়েক পদে সবজি কেটে তারপর খিচুড়ি রান্না বসিয়ে দিলাম।

আর এদিকে সাহেব আট ভাইয়া তারা গোসল করে নামাজ পড়তে মসজিদে চলে গেল। আমার রান্না শেষ হলে সবকিছু গুছিয়ে রেখে ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি। গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ি, তারপর দেখি সাহেব আর ভাইয়া তারা নামায পরে চলে এসেছে। তারা আসার পর কিছুক্ষণ বসলো তারপর তাদেরকে দুপুরে খাবার খেতে দিলাম এবং আমিও খেলাম।

দুপুরে খানা খেয়ে ছেলেকে ঘুম পাড়াতে নিয়ে গেলাম, ছেলে ঘুমিয়ে গেল আর আমি ঘুমাবার আগে কিছুক্ষণ ফোনে নিউজ দেখি, এখনকার দেশে নিউজ দেখলে এতটা খারাপ লাগে যা মনকে না বোঝাবার মতন। যা আগে শুনে এসেছি তা এখন নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছি কি আমার স্বাধীন বাংলাদেশ দেশের অবস্থা। কিছুক্ষণ নিউজ দেখে ঘুমিয়ে পড়ি।

1000133869.jpg

*এরপর ঘুম থেকে উঠে আসরের নামাজ পড়ে মেয়ের মাদ্রাসায় চলে যাই বেতন টাকা দিয়ে আসতে। সেখান থেকে এসে আবার রান্না করে চলে যাই রাতের জন্য রান্না করতে। রাতের খাওয়ার জন্য রান্না করেছি আলু ভাজি, ডাল আর ডিম ভাজি। এগুলো রান্না করতে করতে সন্ধ্যা পেরিয়ে যায়।

মাগরিবের আজান দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই কারেন্ট চলে যায়। আর কারেন্টে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দরজার বাহিরে কয়েকজন মানুষের অনেক কথা শোনা যায়। তারপর দরজা খুলে দেখি আমাদের পাশের বাসায় ১২ বছরের একটি মেয়ে লিফটে আটকে গেছে। তাই ও যাকে ভয় না পায় তার জন্য বাহির থেকে শব্দ করছে। পাচ সেকেন্ড পর লিফট খুলে গেল, মেয়েটা বের হয়ে অনেক কান্না করলো এবং ভয়ে পুরো শরীর কাপে আর অনেক ঘেমে গেছে।

1000133860.jpg

ওখানে ৩ - ৪ মিনিটের মতন দাঁড়িয়ে থেকে বাসায় এসে পড়ি তারপর ছেলের জন্য নুডুলস রান্না করি। এরপর সাহেব বলে আমার জন্য আদা আর এলাচ দিয়ে এক কাপ রং চা বানাও, সাহেবকে চা করে দিলাম এবং আমিও খেলাম।

সন্ধ্যার চা পানি খেয়ে পোস্ট লেখাটা কমপ্লিট করি। এরপর মেয়ে মাদ্রাসা থেকে এসে যায় ছেলে মেয়েক দুজনকে রাতে খাবার খেতে দি। ওরা খাওয়া দাওয়া করে বিছানায় শুয়ে লেপটপ দেখে আর এদিকে আমরা ততক্ষণে সবাই রাতে খাবার খেয়ে নিলাম। এভাবেই করে আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন পার হয়ে গেল, সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মতন এখানেই শেষ করছি।। (আল্লাহ হাফেজ)

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি আজকে অনেক কিছুই রান্নাবান্না করেছেন। সত্যি কারেন্ট চলে গেলে লিফটে আটকে গেলে বড়দেরই ভয় লাগে। ওতো বাচ্চা ওর তো ভয় লাগবে। এই সমস্যাগুলোর জন্যই আমি কোথাও গেলে লিফ্টে যাতায়াত করা একদম পছন্দ করি না। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো।

thank you

মজার মজার খাবার রান্না করেছেন আজ আপনি দেখতে বেশ লাগছিল।
ছোট বাচ্চাদের কখনো একা একা লেফটে উঠতে দিতে নেই, যেহেতু এটা বিদ্যুতের মাধ্যমে চলে যেকোনো সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আর তার থেকে সবচেয়ে বড় কথা ছোট বাচ্চারা তো অনেক বেশি ভয় পেয়ে যায় যেটা ওদের জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর। তাই প্রত্যেকটা বাবা মায়ের উচিত একটু সতর্কতার সাথে বাচ্চাদের নিয়ে বের হওয়া। সাবধানে থাকবেন।

বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি আমাদের সকলের কাছে খুবই ভালো একটি খাবার। তবে আপনার দুপুরে খিচুড়ি খাওয়ার বিষয় আমার খুবই ভালো লেগেছে। আশা করি আপনার দিনটি অনেক সুন্দর কেটেছে। আপনার আগামী দিন গুলো আরো সুন্দর হোক দোয়া করি। ধন্যবাদ সুন্দর কন্টেন্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।