Better Life With Steem || The Diary game || /6/11/2024

in hive-120823 •  12 days ago 
1000151388.jpg

হ্যালো বন্ধুরা, আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম। আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার আজকের কাটানো দিনগুলো শেয়ার করতে চাই। আশা করি আমার পোস্টটি পরে আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে চলুন এবার লেখা শুরু করি।


সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে উযু করে ফজরের নামাজ আদায় করি। নামাজ পড়ে বাসার ভিতরে পাঁচ - ছয় মিনিটের মতন হাঁটাহাঁটি করে তারপর আবার শুয়ে পড়ি। সকাল ছয়টার সময় নামায পড়ে ঘুমিয়েছি আবার সকাল সাড়ে আটটার সময় ঘুম থেকে উঠি। উঠে এক গ্লাস পানি খেয়ে তারপর রান্নাঘরের দিকে চলে যাই।

1000151308.jpg

রান্না ঘরে গিয়ে সকালের নাস্তা বানাতে শুরু করি আর আজকে তিন রকমের ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করেছি। তারপর রান্না করা শেষে খেয়ে দেখলাম আজকেই খিচুড়ি রান্নাটা সেই স্বাদ হয়েছে যা মুখে লেগে থাকার মত। সকালে নাস্তা বানানোর শেষ করে মেয়েকে আগে মাদ্রাসা দিয়ে এসে তারপর ছেলেকে খাইয়ে দিলাম। ছেলেকে খাওয়ানো শেষ করে তারপর আমি ঠান্ডা মাথায় কয়টা খেয়ে নিলাম।

1000151323.jpg

সকালে খাওয়ার পর্ব শেষ করে বাসায় কিছু অগোছানো কাজ করে তারপর আবার রান্না করে দিকে চলে গেলাম। ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে ভিজিয়ে রেখে তারপর ভাতটা বসিয়ে দিয়ে সবজি কাটতে শুরু করি। রান্না করার সব কিছু গোছানো হয়ে গেলে তারপর আস্তে আস্তে করে রান্নাটা শেষ করি।

1000151318.jpg

রান্নাবান্না শেষ করে রান্নাঘরটা গুছিয়ে রেখে তারপর আমার রুমাটা মুছে ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি। গোসলের শেষে ছেলেকে আমার পাশে বসিয়ে রেখে জোহরের নামাজ আদায় করি। এরপর ছেলেকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দি ওকে খাওয়ানো শেষ করে আমি খেয়ে নিলাম।

খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তিনটার ভিতরেই ছেলে মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে যাই। ঘুমোতে গেলে ছেলে কত বাহানা ছল্লি যে করে তারপর সাড়ে তিনটা বাজে ঘুমিয়ে পড়ে। দেরি করে ঘুমানোর কারণে আসরের নামাজ ও পড়তে পারিনি, মাগরিবের আজান দেওয়ার ৫ মিনিট আগে ঘুম থেকে উঠেছি।

1000151315.jpg

ঘুম থেকে উঠে সঙ্গে সঙ্গে বাথরুমে চলে গেলাম মুখ হাতে পানি দিয়ে উযু করে বসেছি তারপরে আজান দিল নামাজ পড়লাম। নামাজ পড়ার কিছুক্ষণ পর ছেলে এবং ছেলের বাবাকে পায়েস খেতে দিলাম। এই পায়েস কালকে সন্ধ্যায় রান্না করেছিলাম এবারের পায়েস রান্নাটা নাকি খুব ভালো হয়েছে সবাইকে বলল। তাদের বাপ ছেলেকে খেতে দিয়ে আমিও একটু খেলাম। খেয়ে দেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপর আজকে ডাইরি গেম লিখতে শুরু করি।

যাইহোক এরকম করে আজকের দিনটা আমি পার করি, আজকের মতো আমার লেখা এখানেই সমাপ্ত কারতে চাই ( আল্লাহ হাফেজ)

Thank You So Mrch For Reading My Blog

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার গোটা দিনের একটা সুন্দর দিনলিপি আমাদের সাথে আপনি শেয়ার করেছেন। সব থেকে বড় কথা রান্না গুলো দেখে লোভ লাগছে।। খিচুড়ি খেতে যদিও আমি বেশি ভালোবাসি না। কিন্তু বর্ষাকালে খিচুড়ি খেতে আমার ভালো লাগে। আর পায়েশ আমার খুব পছন্দের। তাই পায়েস দেখেও বেশ লোভ লাগছে।। আমাদের সাথে আপনার পুরো দিনটা শেয়ার করে নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনি আজ খিচুড়ি রান্না করেছেন এবং সেটা তিন রকমের ডাল দিয়ে। তবে আমার কাছে বুটের ডালের খিচুড়ি আমার কাছে বেশি প্রিয়। আপনার সারা দিনের বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত হয় রান্নাবান্না আর সংসারের বাকি কাজ করতে করতে। তবে পায়েস আমার তেমন ভালো লাগে না, কারন মিষ্টি আমার পছন্দ নয়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।

Loading...

আপনার একটি দিনের কার্যক্রমের মধ্য জানতে পারলাম আপনি বাসায় তিন রকম ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করেছেন খিচুড়ি অনেক খেয়েছি কিন্তু তিন রকমের ডাল দিয়ে কখনো খিচুড়ি খায়নি এবং আপনার খিচুড়ি দেখে মনে হলো সত্যিই সেটা খেতে অনেক সুন্দর ছিলো এবং আপনি এখানেও লিখেছেন সেটা অসাধারণ হয়েছে যাই হোক এই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আমিও মাঝে মাঝে আপনার মত কয়েক প্রকার ডাল এবং সবজি দিয়ে শনিবার দিন খিচুড়ি রান্না করি কেননা রবিবার ছুটি থাকে তাই শনিবারে খিচুড়ি খেতে বেশ ভালোই লাগে।

সংসারের সমস্ত কাজের পাশাপাশি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন এটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।

আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার পরবর্তী দিনলিপি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন।