Better Life With Steem || The Diary Game || 3rd April.

in hive-120823 •  6 months ago 

আসসালামু আলাইকুম।

কেমন আছেন সকলে? আর এই গরমের তাপে কেমন কাটছে আপনাদের সকলের দিন? আমার অবস্থা তো খুবই খারাপ। তার ওপর লোডশেডিং এর কথা কি আর বলবো। লোডশেডিং এর জন্য কোনো কাজই সময় মতো করা হচ্ছে না।

1000013380.jpg

যাইহোক আজ আমি আপনাদের সাথে আমার গতকালের অর্থাৎ ৩রা এপ্রিল এর দিনলিপি শেয়ার করবো।

সকাল

সেহরি খেয়ে ঘুমানোর পরে কোন দিক দিয়ে যে এতো বেলা হয়ে যায় তা টেরই পাওয়া যায় না।
সকাল বেলা ৯টার সময় ঘুম থেকে উঠে পরি।

1000013328.jpg

আর ঘুম থেকে উঠেই তারাতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে গোসল করে নেই, যেহেতু থেরাপি দিতে যাবো,তাই গোসল করে ভেজা চুলে বের হলে মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। গোসল করে এসে মেয়েদের নাস্তা করিয়ে দেই, আর বিছানাটা গুছিয়ে নেই। এরপরে বড় মেয়েকে ও গোসল করিয়ে দেই, কারণ ওকে আজ আমি আমার সাথে নিয়ে যাবো।

1000013329.jpg

যাইহোক এরপরে সকাল সাড়ে ১০টার সময় আমরা বাসা থেকে বেরিয়ে পরি।রাস্তায় প্রচন্ড গরম ছিল,আর আমার মেয়ের চুল ভেজা থাকাট কারণে ওর চুল বাধতে পারি নি তাই ওর অনেক গরম লাগছিল।

দুপুর

বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছাই। আমার ভাগ্য আজ অনেক ভালো ছিল তাই সময় মতো পৌঁছাতে পেরেছি,কেন না আমি পৌছানোর পাচ মিনিট পরেই প্রায় ৭-৮ জন রুগী চলে এসেছিল।

থেরাপি চলা কালীন আমার চাচাতো ভাই আমাকে কল দিয়ে মার্কেট এ যেতে বললো,কারণ আমার চাচী আর চাচতো বোনের জন্য কেনা কাটা করবে। আমার এই গরমে মোটেও যেতে ইচ্ছা করছিল না,কিন্তু না যেয়েও উপায় নেই। থেরাপি দিয়ে সাড়ে ১১টার দিকে আমি সাভার স্ট্যান্ড এ চলে যাই।

1000013339.jpg

এরপরে সিটি সেন্টারে গিয়ে ওকে কেনা কাটা করতে সাহায্য করি। আমার জন্যও ড্রেস কিনে দিতে চেয়েছিল কিন্তু আমার যেহেতু এবার অনেক ড্রেস,কেনা হয়েছে তাই আর আমি নেই নি।কিন্তু ভাই অনেক জোর করছিল, তাই আমি ওকে বলি- এতোই যখন জোর করছিস তাহলে আমাকে টাকা দিয়ে দে আমি আমার মন মতো কিছু একটা খরচ করবো।মজা করেই বলেছিলাম, কারণ ও টাকা খসানোর বান্দা না।কিন্তু ভাই সত্যি সত্যিই আমাকে দুই হাজার টাকা দেয়। অনেকটা অবাকই হলাম।

যাইহোক ব্যবসায়ী ভাই আমার এখন উদার মনের হয়ে গিয়েছে। এরপরে ও আমাকে আর আমার মেয়েকে রিক্সায় উঠিয়ে দেয়,আর আমরা বাসায় চলে আসি।

বাসায় এসে খুবই গরম লাগছিল, মনে হচ্ছিলো যে আবারও গোসল করি।হাত মুখ ধুয়ে মুছে একটু রেস্ট করি।আর আম্মু আমার দুই মেয়েকে খাবার খাইয়ে দেয়।আর এই ফাকে আমি যে কখন ঘুমিয়েছি জানি না

বিকাল

বিকালবেলা ঘুম থেকে উঠে, প্রতিদিনের মতো ইফতার বানাতে রান্না ঘরে যাই।আর এই গরমে বেশি একটা ভাজা ভাজি খেতে ইচ্ছা করে না তাই খুবই অল্প করে পিয়াজু আর ছোলা করি।

1000013346.jpg

এইটুকু ইফতার ভাজতেই আমি ঘেমে নেয়ে শেষ।
রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে ফ্যানের নিচে বসে পরি।গরমে খুবই কষ্ট হচ্ছিল, গলা শুকিয়ে মাথা ঘুরতে লাগলো,পরে আবারও শুয়ে পরি।
এরই মধ্যে ইফতারের সময় হলে আম্মু ইফতার গুছিয়ে নেই, এরপর আমিও গিয়ে ইফতারে বসে পরি।

সন্ধ্যা থেকে রাত

ইফতারের পরে শরীর আরও বেশি ক্লান্ত লাগে।বর এদিকে এত পরিমাণে লোডশেডিং হচ্ছে যে আই পি এস টা যে একটু চার্জ হবে সেই সুযোগটা পাচ্ছে না।

1000013348.jpg

তাই হাসবেন্ড চার্জার ফ্যান কিনার জন্য যেতে বললো,বাহিরে যাওয়ার বিন্দু পরিমান মন ছিল না,কিন্তু আমি না গেলে সেও যাবে না তাই বাধ্য হয়ে যাওয়া।দুজনে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পরি। বাহিরে কিন্তু মাশাআল্লাহ বেশ ভালোই বাতাস ছিল,কিন্তু ঘরের ভেরতে আগুনের মতো গরম।

1000013351.jpg

যাইহোক ফ্যানের দোকানে গিয়ে দেখি আমি যেমনটা চাচ্ছি সে গুলো নাকি এখন এই মার্কেট এ আসে নি সপ্তাহ খানিক সময় লাগবে। আর গরম পরাতে চার্জার ফ্যানের প্রচুর দাম বেড়েছে। আর মানুষও সমানে কিনছে,না কিনে উপায়ও নেই।

আমি একটা মিনি হ্যান্ড ফ্যান কিনে চলে আসি।আর গরমে গলা শুকিয়ে গিয়েছিল,আর রাস্তার ধারে দেখলাম মাঠা বিক্রি করছে,আমরা বাইক থাকিয়ে দুজনে মিলে চার গ্লাস মাঠা খেয়ে নেই, গ্লাস প্রতি বিশ টাকা ছিল।

1000013356.jpg

এরপরে বাসায় এসে দ্রুত ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে নেই। আর রাত দশটার সময় আমাদের কমিউনিটির হ্যাং আউটে জয়েন করি।বেশ ভালোই সময় কেটেছে হ্যাং আউটে, আর সময়টা অনেক উপভোগ করেছি।
আর হ্যাং আউট শেষ হতেই কারেন্ট চলে যায় তাই আমি মেবাইল রেখে ঘুমিয়ে পরি।

আমার পোস্ট পড়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

হঠাৎ গরম বাড়াতে লোডশেডিং এ খুব বেড়ে গেছে। আর এই গরমে বিশেষ করে বিকেলের দিকে সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে। তারপর রহমতের এই মাস যেন সুন্দরভাবে কেটে যায় এই কামনা করছি। আপনার চাচাতো ভাই আপনাকে ভালোই ট্রিট দিল। আর আপনার সারাদিন বেশ ব্যস্ততায় কেটেছে। হবে মাঠা খেয়ে খুব ভালো কাজ করেছেন। এটা গরমে বেশ প্রশান্তি এনে দেয়। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর দিন কাটিয়েছেন যা পড়ে খুবই ভালো লেগেছে।

Loading...

প্রতিদিনের মতোই থেরাপি নিতে গিয়েছেন সেখানে আপনার চাচাতো ভাই ফোন দিয়েছিল। আপনার চাচি এবং চাচাতো ভাই মার্কেটে যেতে বলেছেন কেনাকাটা করার জন্য। আপনি বেশ অসুস্থ তারপরও তাদের কথায় মার্কেটে গিয়েছেন। এছাড়া আপনার চাচাতো ভাই আপনাকে ট্রিট দিয়েছে।

সারাদিনে মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

একদিন আসলেই মারাত্মক রকমের গরম ছিলো। শুনতেছি এবার এত গরম পড়বে যে পুরো দেশ নাকি জলন্ত ওভেনে পরিণত হবে।

আমরা প্রকৃতিকে ধ্বংস করতেছি ফলশ্রুতিতে
প্রকৃতিও আমাদেরকে শাস্তি দিতেছে।
চাচাতো ভাইতো বেশ ভালোই ট্রিট দিলো।
এতো গরম এর মাঝে মাঠা খেয়ে অনেক ভালো করেছেন।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়তে।
এত সুন্দর করে আপনার দিনলিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

হঠাৎ করে গরম বাড়াতে প্রচুর লোডশেডিং করছে। বিশেষ করে বিকেলের দিকে গরমের কারণে একটু খারাপ লাগে। বেশি বেশি করে লোডশেডিং এর কারণে এর কারণে আপনার হাসবেন্ড ও আপনি বাজারে গিয়ে চার্জার ফ্যান কিনে আনলেন।

দুজনে আবার চার গ্লাস মাঠা খেলেন, গরমের সময় এ ঠান্ডা ঠান্ডা মাঠা খেতে খুব ভালোই লাগে। ধন্যবাদ সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি দিন
কাটলেন।