আজকে রবিবার বাচ্চাদের স্কুল-কলেজ খোলা। যথারীতি বেশ ভোরে ঘুম থেকে উঠে গেলাম।আগে মেয়েকে নাস্তা রেডি করে দিলাম। ও একটা পরোটা ও ডিম ভাজি দিয়ে নাস্তা খেয়ে নিল।টিফিনে একটা ড্যানিশ দিলাম।ওরা বের হয়ে যাওয়ার পরে ছেলের স্কুলের প্রস্তুতি নিতে লাগলাম।ছেলেকেও টিফিন দিলাম একটা ড্যানিস ও ডানকেক।
সব কাজ গুছিয়ে ছেলেকে নিয়ে বের হতে হতে আজকে দশ মিনিট দেরি হয়ে গেলো।আমি জানি এই ১০ মিনিটই যথেষ্ট বড় ব্যাপার।কারণ ১০ মিনিট দেরি হলে স্কুলে পৌঁছাতে প্রায় এক ঘন্টা দেরি হয়।আজকে হলোও তাই। পুরো একঘন্টা পরে স্কুলে পৌঁছালাম।ছেলেকে ক্লাসে দিয়ে প্রথমে একটু হেঁটে নিলাম।খুব বেশিক্ষণ হাঁটা হয়নি।আবার ক্যান্টিনে চলে আসলাম। এরপর নাস্তা করে নিলাম।
নাস্তা শেষে এক কাপ কফি অর্ডার করলাম।ইদানিং এটা খুব অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। যাই হোক কফি শেষ করে কিছুক্ষণ বন্ধুদের সাথে গল্প করলাম।এরপরে হেঁটে চলে গেলাম সিএসডি তে।সাথে ছিল বান্ধবী জেরিন ও নার্গিস।ওরা বেশ কিছু জিনিস কিনলো।আমার তেমন কিছু কেনার উদ্দেশ্য ছিল না তবে ওখানে যেয়ে এ কথা ভুলে গেছি।
বেশ কিছু জিনিস কেনা হয়ে গেল।একটা নতুন কিসমিসের ব্রেড এসেছে।তাই কিনলাম আর আমার টক দই নিতে ভুলে গেলাম না।এরপর আবার ক্যান্টিনে চলে আসলাম।সাড়ে বারোটার দিকে ছেলের ছুটি হয়ে গেল।ছেলেকে নিয়ে মেয়ের কলেজে গেলাম।এরপর মেয়ের ছুটি হলে ওকে নিয়ে বাসায় রওনা দিলাম।বাসায় পৌঁছাতে প্রায় দুইটা বেজে গেল।
টেবিলে খাবার দিয়ে গোসল শেষ করে নিলাম। গোসল থেকে বের হয়ে দেখি আমার হাজব্যান্ড চলে এসেছে।এজন্য আগে প্রথমে জোহরের নামাজ পড়ে নিলাম।এরপরে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।দুপুরের খাবার শেষ করে এক কাপ চা খেয়ে নিলাম।এরপর কিছুক্ষণ শুয়ে ছিলাম। চোখে প্রায় ঘুম জড়িয়ে এসেছে কিন্তু মাথায় চিন্তা আছে যে একটু পরে খালা আসবে।আসরের আযান দিয়ে দিল।এরপর খালাও চলে আসলো।খালাকে তার কাজগুলো বলে দিলাম।
হঠাৎ করে দেখি বিদ্যুৎ ভোল্টেজ খুব উঠানামা করছে।প্রথমে বুঝতে পারিনি।কিছুক্ষণ পরে বুঝলাম যে বৈদ্যুতিক লাইনে কোন সমস্যা হচ্ছে ।ইন্টারকমে ফোন দিলাম তবে ওরা তেমন কিছু বলতে পারল না।এই ফাঁকে মেইন সুইচ বন্ধ করে রাখলাম।আর তখন টের পেলাম প্রচণ্ড গরম পড়েছে আজকে।
সন্ধ্যার দিকে বিদ্যুৎ লাইন ঠিক হলো।এরপর মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। মেয়ের টিচার আসলে তাকে নাস্তা দিলাম।এরপরে রাতের খাবার গুলো টেবিলে গুছিয়ে নিলাম। এসময় গ্ৰামের বাড়ি থেকে এক প্রতিবেশী ফোন করলো।সে বন্যায় ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরো অন্যদেরও খোঁজখবর করলাম।সবকিছু শুনে মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেলো।আসলে এবার আমার শ্বশুরবাড়ি ফেনীতে প্রত্যেকে কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।মনে মনে ভাবছিলাম যে কি সহযোগিতা করা যায় তাদেরকে।এরপর পোস্ট লিখতে বসলাম।আজকের মত লেখা এখানেই শেষ করছি।ভালো থাকবেন সবাই।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
রবিবারে সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবস, যেদিন ছুটি থাকার পর রবিবারে কাজে যেতে একটু অলসতা চলে এসো, অনেক সময় বাড়ি থেকে বের হতে ১০ মিনিট দেরি হলে রাস্তায় অনেকক্ষণ জ্যামে আটকে থাকতে হয়। ধন্যবাদ সারা দিনের কার্যক্রমগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রবিবার দিন বাবাদের সাথে সাথে মায়েদেরও কাজের চাপ বেড়ে যায় ।মা যদি হাউস ওয়াইফ হয় তাতেও তারা রবিবার ব্যস্ত কম থাকে না । বাচ্চাদের স্কুল- কলেজ খুলে যায় তাই বাসা সম্মেলনের সাথে সাথে ওদেরকে নিয়ে স্কুল-কলেজে যেতে হয় ।
আপনিও বাচ্চাদের ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে বান্ধবীর সাথে গল্প করলেন ।সিএনডি থেকে অনেক কিছু ক্রয় করলেন ।হ্যাঁ বর্তমানে আমাদের এই বন্যায় ফেনী ,নোয়াখালী ,কুমিল্লা সহ ৮ টি অঞ্চলে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো কিছু কিছু অঞ্চল পানি বন্দি রয়েছে ।
এই পানি নেমে যাওয়ার পরে পানি বাহিত রোগ দেখা দিয়েছে। আমাদের সকলেরই এই সময় যতটুকু সম্ভব দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ। আপনার সুন্দর একটি দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
"ধন্যবাদ সবাইকে লেখাটি পড়ার জন্য! 🙏✍️
আমি তো হুষিয়ার ভাইয়ের দিনছো কিছু সহায়তা। লেখাটি শুনে আমার মন ক্ষবে গেছে এবং ভালো থাকবে সবাইকে। 🙏
ধরে নিয়ে আপনি তো কম্বায়ন্ড হুষিয়ার ভাই। লেখাটি শুনে সব থেকে একটু আরও জাগিয়ে দিন, তাহলেই চলবে মন। 🙏
ধন্যবাদ সবাইকে। 😊👍"
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছেলে মেয়েদের স্কুল খোলা তাই ঘুম থেকে উঠে তাদের রেডি করে দিয়েছে আজ ছেলেকে টেডি করাতে ১০ মিনিট দেরি হয়েছিল তাই যেতেও দেরি হয়েছে।। নিজের বন্ধুদের সাথে হাঁটতে বের হয়েছিলাম সেই সাথে অনেক কিছু কেনাকাটাও করেছে অনেক সময় অনেক কেনাকাটা দেখে নিজের ইচ্ছা করে।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit