আজকে বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক কাজের শেষ দিন।বৃহস্পতিবার আসতে আসতে আসলে অনেকখানি ক্লান্তি ধরে যায়।তবে এটাও মনে আসে যে পরদিন তো শুক্রবার।ছুটির দিন আছে। এই উদ্যমে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
বেশ ভোরে ঘুম থেকে উঠে যেতে হলো।এরপর একে একে সবগুলো কাজ গুছিয়ে নিলাম। আটটা দশে ছেলেকে নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।ওকে ক্লাসে দিয়ে আমি ক্যান্টিনে ব্যাগ রেখে হাঁটতে বের হলাম।প্রচণ্ড গরম আর বেশ চড়া রোদে উঠেছে আজকে।কিন্তু হাঁটতে তো হবে পাশাপাশি রোদেও বসতে হবে।
কিছুদিন আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় আমার ভিটামিন ডি এর ব্যাপক ঘাটতি দেখা গেছে। নেই বললেই চলে।যার কারণে আমার শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি হয়েছে।এজন্য ডাক্তারের কড়া নির্দেশ ওষুধের সাথে সাথে রোদে আধা ঘন্টা বসতে হবে।ছাতা নিয়ে প্রথমে হেঁটে এলাম।এরপরে স্কুল মাঠে একটি গাছের নিচে রোদের দিকে পিঠ দিয়ে বসলাম।
রোদের এত চড়া আঁচ যেন পুড়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু কিছু করারও নেই।এভাবে প্রায় ২৫ মিনিট বসে রইলাম।আরো পাঁচ মিনিট বসা দরকার। কিন্তু আর পারছিলাম না তাই উঠে চলে গেলাম।
ক্যান্টিনে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে তারপরে নাস্তা করে নিলাম।
নাস্তা শেষে নার্গিস বললো যে ও সিএসডি যাবে।বাচ্চার একটি প্যান্ট কিনেছে ওটা চেঞ্জ করতে হবে।আমি বললাম আমার তো তেমন কোনো কেনাকাটার প্রয়োজন নেই আজকে। তারপরও ওরা বলল যে চলো ঘুরে আসি। ওদের সাথে গেলাম।বেশ কিছুক্ষণ ঘুরলাম।
হঠাৎ দেখলাম চলন্ত এস্কেলেটরে একজন বয়স্ক মহিলা মাথা ঘুরে পড়ে গেছে।ভদ্রমহিলা বেশ আঘাতও পেয়েছেন।তবে উপস্থিত কর্মীরা খুব দ্রুত এস্কেলেটর বন্ধ করে দেয়াতে উনি বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেছেন।ব্যাপারটি সত্যিই অনেক ভয়াবহ লেগেছে।
এরপর আমি ইলেকট্রিক পণ্যের ফ্লোরে দীর্ঘ সময় ঘুরলাম।বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আমার দুটি গ্রাইন্ডার নষ্ট হয়ে গেছে।ঠিক করবো সেই ইচ্ছা আর হচ্ছে না।তাই ভাবছি যে ভালো দেখে একটা কিনবো।এজন্যেই সবগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম।সবগুলোর ধরণ মোটামুটি একই রকম।তফাৎটা শুধু দাম আর ব্র্যান্ডিংয়ে।
৪ হাজার থেকে ১৩০০০ টাকা পর্যন্ত গ্রাইন্ডার এর দাম দেখলাম। অতঃপর ওখান থেকে বের হয়ে নিচে চলে এলাম।তবে ওই যে বলা হয় মানুষ অভ্যাসের দাস।সাংসারিক কিছু জিনিস কেনাকাটা হয়েই যায়।আমি টক দই, কলা, ব্রেড, আমলকি ও অল্প চিংড়ি মাছ কিনলাম।
কেনাকাটা শেষ করে আবার ওদের সাথে স্কুলে চলে আসলাম।ততক্ষণে প্রায় ১১:৩০ বাজে।আমরা কফি অর্ডার করলাম।আর বাসা থেকে বিস্কুট নিয়ে গিয়েছিলাম।কফি আর বিস্কুট দিয়েই সবাই নাস্তা করে নিলাম।এরপর ছেলের স্কুল ছুটি হলে ছেলেকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
বাসায় পৌঁছাতে প্রায় দেড়টা বেজে গেলো।টেবিলে খাবার দিয়ে এরপর গোসল করে যোহরের নামাজ পড়ে নিলাম।দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম।যদিও বেশিক্ষণ বিশ্রামের সুযোগ পেলাম না।বিকেলে রান্না কি হবে তা গোছাতেই অনেকখানি সময় চলে গেল।
ঘর মোছার খালা যাওয়ার সময় বলে গেলো আগামীকাল সে আসবে না।মাগরিবের আজান দিলে নামাজ পড়ে নিলাম।এরপর ব্রেড ও দুধ দিয়ে বিকেলের নাস্তা করলাম।রান্নার খালাও চলে যাওয়ার সময় বলে গেল আগামীকাল সে আসবে না।আমি কি বলবো তা আর বুঝতে পারলাম না।
ঠিক আছে ছুটির দিন,ওরা ছুটি কাটাক।ওদের কাজগুলো না হয় আমিই করবো।এই ভাবতে ভাবতেই আজকের দিনলিপি লিখতে বসলাম। জীবনের প্রতিটি দিন আমার জন্য যেভাবে অপেক্ষা করে তাকেই আমি স্বাগত জানাই।আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকবেন।
.
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
বৃহস্পতিবার আসলেই মনের মধ্যে আনন্দ অনুভব, যদিও শরীরের মধ্যে এক সপ্তাহের ক্লান্তি থাকে, কিন্তু বৃহস্পতিবার পার হলেই দুই দিন ছুটি, যে কারণে অনেক বেশি ভালো লাগে, আপনার সারাদিনে কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার লেখাটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার দিনটা অনেক সুন্দর কেটেছে। আপনাদের কফি এবং বিস্কিট দিয়ে নাস্তা করার বিষয় আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। কারণ আমরা সবাই এর সাথে পরিচিত। আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমরা প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজগুলো করে কখন যেন দিন পার করে ফেলি, কিন্তু সেই ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের জন্য কিছু সময় বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি আপনার শরীরের অবস্থা দ্রুত উন্নতি করবে, আর আগামী দিনগুলোও ভালো কাটবে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর দিনলিপি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit