Photo edited by canva
প্রতিদিনের মতো আজও খুব ভোরে এই ঘুম থেকে উঠেছিলাম, এরপর খানিক টা সময় কোরআন শরীফ পড়ে একটু শুয়ে ছিলাম, কারণ সকালের নাস্তা বানানো খুব একটা তারা ছিল না, গতকাল রাতে হাজবেন্ড বাসায় ফিরে একটা রান্না তৈরি করেছিলো চিংড়ি মাছ ভুনা, তাই রাইস কুকারে কিছুটা ভাত বসিয়ে দিয়ে একটু শুয়ে ছিলাম ।
এরপরে হাজবেন্ড অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হলো এবং সবাই মিলে একসাথে সকালে নাস্তা করে নিলাম। মাঝেমধ্যে এ রকম কেউ যদি রান্না করে খাওয়ায় তাহলে অনেক ভালো লাগে কারণ, নিজের রান্না করতে করতে সে খাবারের মাঝে মধ্যে স্বাদ হারিয়ে ফেলি। তাই খুব ভালো লাগে যখন মানুষ টা আমাকে কিছু তৈরি করে খাওয়ায়।
সে যাই হোক সকাল সকাল অনেক কথা বলে ফেললাম এবার দুপুরের দিকে যাওয়া যাক, দুপুরে রান্না করতে হবে তার আগে ফ্রিজ পরিষ্কার করতে হবে, গত একমাস বাসায় না থাকার কারণে ফ্রিজের অবস্থা যা হয়েছে হ য ব র ল তাই সবকিছু নামিয়ে খুব সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখলাম।
এরপরে ঝটপট করে দুপুরে রান্নাটাও করে নিলাম,আজ দুপুরে রান্না করেছিলাম ফুলকপি, গাজর ও সীম দিয়ে ভাজি, সেই সাথে তেলাপিয়া মাছ ভুনা। দুপুরে রান্না বান্না শেষ করে, রুমগুলো পরিষ্কার করে মেয়েকে নিয়ে দুপুরের গোসল টা ও শেষ করে নিলাম। বর্তমানে বাহিরে প্রচন্ড ঠান্ডা আর পানি তো ধরাই যায় না।
গরম গরম চিতই পিঠা এবং ভর্তা নিয়ে, এমন খাবার দেখলে কেমন লাগে বলুন তো, 😋 এরপরে আমি একটু টেস্ট করে দেখলাম সত্যি কথা বলতে চিতই পিঠা আমি পছন্দ করি, তবে ভর্তা দিয়ে কখনো এভাবে খুব একটা খাওয়া হয়নি।
এখানে একটা ছিল আমার কাছে একদম নতুন একটা ভর্তা পেঁয়াজের কলি, পিঠার সাথে মাখিয়ে একটু মুখে দিতেই আহা সে যে কি স্বাদ সত্যিই দারুন লেগেছিলো, তবে হ্যাঁ, আমার এই লেখাপড়া কারো যদি খেতে মনে চায় সে দায় কিন্তুু আমি নিবো না।যাই হোক আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।
এরপরে দুপুরে আর ভাত খাওয়া হয়নি পিঠা খেয়ে ছিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে খানিক টা সময় রেস্ট নিয়েছিলাম। এরপরে আর কম্বল ছেড়ে উঠতে মন চাইছিলো না , কিন্তুু কিছু করার নেই আমার মেয়ে বায়না ধরেছে নিচে যাবে হাঁটতে, কোনভাবে বুঝিয়ে তাকে রাখা গেল না , অবশেষে চকলেট বের করে মেয়েকে সাথে নিয়ে খেলাম।
এরপরে হাজব্যান্ড কিছুটা সময় মেয়ে কে সাথে নিয়ে বল খেললো, আর আমি একটু হালকা নাস্তা তৈরি করলাম, তাল পিঠা তাল আমাদের ফ্রিজে ছিলো,আর অসময়ে এমন ধরনের পিঠা খেতে কিন্তুু বেশ ভালই লাগে। এরপর মাগরিবের আজান হলো নামাজ আদায় করে মেয়েকে নিয়ে পড়তে বসেছিলাম। যেহেতু আমার পরীক্ষা আর বেশি দিন বাকি নেই তাই পড়ালেখার দিকেও বেশ খানিক টা নজর দিতে হবে।
তো আজ এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আপনার দৈনন্দিন দিনের কর্মকাণ্ড এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সত্যিই শীতকালে চিতই পিঠা দিয়ে ভর্তা খাওয়া আলাদা একটি মজা। আমারও খুব পছন্দের চিতই পিঠা। কিছুদিন আগে ও আমার মা বাসায় কি তুই পিঠা তৈরি করেছিল। খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার লেখাটা খুবই মনোমুগ্ধকর এবং প্রাণবন্ত ছিল। আপনার দিনযাপনের বর্ণনা এমনভাবে দিয়েছেন, যে আমি সেই মুহূর্তগুলো অনুভব করতে পাচ্ছি। আমি খুব আনন্দিত যে আমার হাতের চিতই পিঠা ও ভর্তা আপনার এত ভালো লেগেছে। পেঁয়াজ কলির ভর্তার স্বাদ আপনাকে নতুন অভিজ্ঞতা দিয়েছে শুনে আরও ভালো লাগল।
আপনার প্রতিটি দিন যেন এমন আনন্দময় এবং শান্তিতে কাটে, এটাই দোয়া করি। আপনার পরীক্ষা ভালো হোক এবং আল্লাহ যেন সবসময় আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে সুস্থ রাখেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit