Photo edited by canva
আসসালামু আলাইকুম আশা করছি সবাই ভালো আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি,দেখতে দেখতে রোজা পাঁচটা হয়েও গেলো সময় যে আমাদের জীবন থেকে কত দূর হতে চলে যায় , তা বোঝা মুশকিল।এই কয়েক টা দিন খুব ব্যস্ততার মধ্যে পার করেছি।আজ খানিক টা ফ্রি হয়েছি তাই আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে।
পরিবারের সবাই রোজা রাখে শুধু আমি এবং আমার ছোট্ট মেয়ে ছাড়া, প্রতি বছর এই কম বেশি প্রত্যেক টা রোজা রাখার চেষ্টা করেছি তবে এ বছর বাবু যেহেতু খুব ছোট তাই রাখতে পারছি না, এজন্য খুব খারাপ লাগা কাজ করছে বাসার মধ্যে সবাই রোজাদার আমি একা শুধু রোজা ছাড়া তবে কিছু করার নেই সবকিছুই তো সৃষ্টিকর্তার হুকুমে হয়।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেছি, তখন প্রায় আট টা বাজে উঠে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে প্রথমে বাবুকে নিয়ে রোদে বসেছি। রোদে বসে খানিক টা সময় তেল লাগিয়েছি গায়ে রোদ লাগিয়েছি,এরপরে বাসায় এসে আমি সকালের নাস্তা টা শেষ করেছি।
এরপরে বাবুকে নিয়ে একটু ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম, বাচ্চাদের এ সময়টা তে অনেক ধরনের সমস্যা হয়, গ্যাসের সমস্যা হঠাৎ করে সারা গায়ে রেসের মত ওঠা, আরো কত কি সমস্যা তো থাকেই। ইদানিং বাবুর গায়ে ছোট ছোট লাল লাল দাগ দেখছিলাম তাই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম।
সাথে আমার আম্মু ছিলো দেখো খুব একটা কষ্ট হয়নি, আজকে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম বাহিরে আজিমপুর হসপিটালে, ভিতর থেকে বাহিরে বের হলে মনে হয় যেন ঢাকায় আসছি এতো জ্যাম ১০ টাকার যেতে যেন দুই ঘন্টায় রাস্তায় বসে থাকতে হয়।
ওখানে আমার এক চাচতো বোন সিনিয়র নার্স হিসেবে আছেন , তাই ওখান থেকে একটা শিশু বিশেষজ্ঞ স্কিনের ডাক্তার দেখিয়ে ছিলাম বাবুকে, ওখানে যেতে যতটুকু সময় লেগেছে তবে ডাক্তার দেখাতে খুব একটা সময় লাগেনি,ডাক্তার দেখানোর পরে আমার আম্মু বেশ খানিকটা সময় বোনের সাথে কথা বললে গল্প করলো, আর আমি বসে বসে ঘুরে ঘুরে কয়েক টা ছবি তুললাম, ডাক্তার দেখিয়ে খুব দ্রুতই বাসায় চলে এসেছিলাম। আমরা আসতে আসতে প্রায় দুইটা বেজে গিয়েছিলো,।
বাসায় ফিরে প্রথমে গোসল টা সেরে নিলাম, কারণ বাহিরে এত ধুলাবালি বের হলে শরীর একদম অস্থিরতা কাজ করে, এরপরে বেশ কিছুটা সময় রেস্ট নিলাম, মেয়ে কে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিলাম,,।এরপর আর বসে থাকি নি সবার জন্য ইফতার তৈরি করার জন্য কাজে লেগে পড়েছিলাম।
রমজান মাসে সারাদিনে কিছু করা হোক বা না হোক প্রতিটা পরিবার এই বিকাল থেকে শুরু হয় ইফতার তৈরি করার কাজ,তাই বাবুকে ঘুম পাড়িয়ে আম্মুর কাছে রেখে সবার জন্য ইফতার রেডি করতে বসে পড়েছি।আজ ইফতারিতে ছিল কয়েক ধরনের ফল, শরবত, ছোলা ভাজা, পিয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, খেজুর, সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে সবাই মিলে একসাথে বসে পড়েছিলাম।
আজান দেওয়ার একটুখানি আগেই বাবু উঠে যায় তাই ওকে কোলে নিয়ে আমাকে বসতে হয়েছিলো, কারণ সবার সাথে মিলে ইফতারি করার মজাটা এই অন্যরকম আমার কাছে তো খুব ভালো লাগে।ইফতারি করা শেষে বাবুকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিলাম, এর পরের মেয়েকে নিয়ে পড়াতে বসেছি।
সারাটা দিন এভাবে কেটেছে চেষ্টা করব প্রতিটা দিন আপনাদের সাথে একটু করে বসার জন্য, যাই হোক সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

আমার সময় যেহেতু রোজার মাস তাই সবাই রোজা রাখবে এটাই স্বাভাবিক তবে আপনি যেহেতু ছোট বাচ্চার মা রোজা রাখাটা আপনার কাছে সম্ভব না সেই সাথে বাচ্চাকে ঘন ঘন দুধ খাওয়ানো অনেক বেশি প্রয়োজন।
সেখানে আপনার চাচাতো বোন নার্স হিসেবে রয়েছে এটা আপনার জন্য খুবই ভালো একটা বিষয় বাহিরে গেলে ধুলাবালি নিজের শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে যায় সে সাথে ছোট বাচ্চার অবস্থা আরো বেশি খারাপ হবে এটাই স্বাভাবিক ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit