Hello,
Everyone,
সকলকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও বিশ্বের সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই বিশেষ দিনের জন্য অপেক্ষায় ছিল। বছর শেষে সেই অপেক্ষার দিন শেষ করে শুভ মুহূর্ত চলে এসেছে । সারা বিশ্বের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সেজে উঠেছে নতুন সাজে । মন্ডপে মন্ডপে, পাড়া মহল্লা সেজে উঠেছে নতুন সাজে। এক অপরূপ আলোকসজ্জা মানুষের মনে অন্য রকম আনন্দ ছড়িয়ে দিয়েছে।
মা দুর্গার কাছে অনেক কিছু চাওয়ার আছে তার সন্তানদের । শারদীয়া দুর্গা পূজায় আজ অনেকেই হয়তো অনেকে অনেক আনন্দ উৎসব পালন করছেন। আসলে এই আনন্দ উৎসব সকলের ক্ষেত্রে সমানভাবে পালন করা সম্ভব হয় না। বর্তমান পরিস্থিতি অথবা মানসিকতার দিক বিবেচনা করে সবাই একইভাবে উদযাপন করতে পারে না ।
মেয়েকে যতই পোশাক কিনে দেওয়া হয়না কেন, তার মায়ের হাতে তৈরি করা পোশাক তার বেশি ভালো লাগে। তাই তো এবারও মার্কেট থেকে কেনা পোশাকের পাশাপাশি মায়ের হাতে তৈরি করা পোশাক দিতে হবে। পোশাকটি সম্পূর্ণ করতে অনেক রাত হলো তাই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হলো ।
সকাল সাতটার সময় হঠাৎ কলিং বেল বেজে ওঠে। প্রথমে ভেবেছিলাম, হয়তো মোবাইলের রিংটোন বাজছে । ঘুম চোখে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না , মোবাইলের রিংটোন বাজছে কিনা / দরজার কলিং বেল বাজছে। আবার ঘুমিয়ে পড়লাম।
দ্বিতীয়বার যখন আবার কলিং বেল শুনলাম তখন ঘুমটা ভেঙে গেলো । দরজা খুলে দেখি জাহিদ ভাইয়ের ছেলে ”রাখি” । কান্না কান্না গলায় বলছিল, আব্বু আবারও আজকে আম্মুকে মেরে অফিসে চলে গেছেন । সে নীচে পরে আছে, উঠতে পারছে না । কি করবো আমি বুঝতে পারছি না। সঙ্গে সঙ্গে ভাবির কাছে গেলাম এবং তাকে ছোপার উপরে বসানোর চেষ্টা করলাম ।
মাথায় পানি দিলাম। ভাবি কোন কথাই বলতে পারছিল না। লোকটা যখনই আঘাত করে তখনই মাথার দিকে আঘাত করে । অন্য একটি ভাবিকে ফোন দিয়ে আসতে বললাম । কিছুক্ষণ পর ভাবিও আসলেন ।
এদিকে যারা কান্না করছিলাম ।ওকে নিয়ে আমি বাসায় আসি। আমার মেয়েকে ঘুম থেকে তুললাম এবং যারাকে কিছু সময় রাখার জন্য বললাম।
সকালবেলা সত্যি মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। ভেবেছিলাম আজকে সপ্তমীর অঞ্জলি নিতে মন্দিরে যাব কিন্তু আর যাওয়া হলো না । রাফিকে বাসায় ডেকে সকালের নাস্তা দিলাম । ভাবির জন্য সভাপতি ভাবি নাস্তা পাঠিয়ে দিলেন তাই আমি আর দেইনি ।
মেয়ের পোশাক তৈরি করার সাথে সাথে আমি গোপাল সোনার একটি পোশাক তৈরি করেছি। দুপুরের রান্না শেষে আমরা বিকেল ৪টার সময় মায়ের দর্শন করতে বের হলাম। মনের ভিতর অজানা কষ্ট , এক অজানা চিন্তা । আমরা মুখে মুখে অনেক বল “ মা – মেয়েদের স্থান সবার উপরে ”। তবে কেন আজও অনেক নারী ঘরের কোনে গুমরে গুমরে কাঁদছে ।
বাংলাদেশে এবছরের পুজা নিয়ে অনেক কথা, অনেক গুঞ্জন শোনা গেছে । তবে পুজা মন্ডোপের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও সেনাবাহিনী মাঠে ছিলেন ।”উত্তরা সর্বজনীন পূজা কমিটি” আয়োজিত শারদীয় দুর্গাপূজা মন্দিরের আলোকসজ্জা ছিল অনেক সুন্দর । পূজার প্যান্ডেল গুলো অনেক সুন্দর ছিল। এখানে অন্যান্য দেবদেবীর মন্দির ছিল। রাধা গোবিন্দ মন্দির আছে, শিব ঠাকুরের মন্দির আছে। এখনো অনেক মন্দিরের নির্ণাম কাজ চলছে ।
দুর্গাপূজার আনন্দ উৎসব সাধারণত বাচ্চারাই বেশি উপভোগ করে থাকে ।তার সাথে সাথে বাংলার নারীরাও সেজে ওঠে নতুন সাজে ।আমরা সব সময় দেখি বাবাদের থেকে মায়েরাই বেশি সেজে থাকেন । নতুন শাড়ি, নতুন অলংকার । বাবাদের একটি শার্ট হলেই হল, তাতেই তারা খুশি ।অনেক সময় দেখা যায় সেটাও নিতে চায় না। জোর করে দিতে হয় ।
মায়ের আরাধনার পাশাপাশি এখানে একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল এবং বাচ্চাদেরও অনেক ধরনের প্রতিযোগিতা ছিল:- ধুনুচি নাচ, গল্প বলা, আবৃত্তি ,ছবি অঙ্কন প্রতিযোগিতা। এখানে আরেকটি বড় আয়োজন ছিল , পূজা চালাকালীন পাঁচ দিন প্রসাদের ব্যবস্থা আছে। ভুনা খিচুড়ি তার সঙ্গে তিন রকমের সবজি । দিনরাত ২৪ ঘণ্টা আপনি এখানে প্রসাদ পাবেন । সকল ভক্ত বৃন্দের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা আছে।
আমরা মিরপুর-২ দুর্গা মন্দিরের ঠাকুর দেখতে গেলাম । এখানেও অনেক কিছুই আয়োজন ছিল। সেনাবাহিনীর একটি টহল দল এসেছিলেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালোই ছিল। সকলে নিরাপত ভাবে দূর্গা উৎসব উদযাপন করতে পারছে । ভেবেছিলাম আরো কিছু ঠাকুর দেখব কিন্তু আমি খুবই অসুস্থ বোধ করছিলাম তাই বাসায় চলে আসি।বাসায় আসতে আমার রাত দশটা বেজে গেল ।
দেবী দুর্গা মায়ের দর্শনের সাথে সাথে অনেক আত্মীয়-স্বজন বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে যায় । পূজায় ঘুরতে যাব আর বাইরে খাওয়া হবে না তাতো হতে পারে না । ওরা রাতে খাবার বাড়ি থেকে খেয়ে আসলো কিন্তু আমি এতটা অসুস্থ বোধ করেছিলাম যে আমি কিছুই খেতে পারিনি ।বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়ি ।
আমার জন্য প্রার্থনা করবেন, আমি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারি। সকলে ভালো থাকবেন , সুস্থ থাকবেন এবং সকলকে আবার বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানাই বিদায় নিচ্ছি ।
Device | Description |
---|---|
Smartphone | oppo |
Smartphone Model | oppo A83(2018) |
Photographer | @muktaseo |
আপনার কথাগুলো সত্যিই মন ছুঁয়ে গেল। সমাজের অনেক মানুষ এখনো মেয়েদের অধিকার এবং সম্মানের ব্যাপারে উদাসীন। শুধু কথায় সমানাধিকারের কথা বললেই হবে না, বাস্তবেও তার প্রয়োগ করতে হবে। এমন অনেক জায়গায় এখনো মেয়েরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, যা আমাদের সবার জন্য কষ্টের এবং উদ্বেগের বিষয়। আপনি এত সুন্দরভাবে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন যে সবার মনে আনন্দ ছড়িয়ে যাবে। আপনার প্রতি শুভকামনা রইলো, আর আশাকরি ভবিষ্যতে এমন আরও সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit