Hello,
Everyone,
সকলকে জানাচ্ছি কোজাগরী লক্ষী পূজার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । আশা করি সকলের দিনগুলো ভালোই কেটে যাচ্ছে ।আমাদের শরীরের সাথে মন অতপ্রতভাবে জড়িত, তাইতো শরীর ভালো না থাকলে মনও ভালো থাকে না ।কোন কাজ করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সেই কাজ না করতে পারার কষ্টটা অনেক বেশি হয় ।
এবারের তিথি নক্ষত্র অনুযায়ী লক্ষ্মী পূজা দুই দিন পরেছে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ।পূর্ণিমার নিশি পালন শুরু হয়েছিল বুধবার রাত ৮:১২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড থেকে এবং বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পাঁচটা ৪৭ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড পর্যন্ত পূর্ণিমা তিথি ছিল । এবারের পূজো নিয়ে অনেকের মনে অনেক ধারণা তৈরি হয়।
অনেকে বুধবার রাতে পুজো করেছে আবার অনেকে বৃহস্পতিবার দিনের বেলা পূজা করেছে । যেহেতু ”কোজাগরী লক্ষী পূজো ” তাই রাত্রে করা উচিত বলে আমি মনে করি । আমিও আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি, বুধবার রাতে পুজো করার ।
আপনারা সকলেই জানেন , লক্ষ্মী দেবী হল আমাদের ধন-সম্পদের দেবী । হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতিটি ঘরে লক্ষ্মী পূজা উদযাপন করা হয়ে থাকে । সকল এয়ো নারীগণ উপবাস থেকে সংসারের মঙ্গল কামনার জন্য লক্ষ্মী পূজার আয়োজন করে থাকেন।
আমি এর আগে বলেছিলাম যে কিছুদিন থেকে আমি অসুস্থ । এখন সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পরিনি। চেষ্টা করেছি সাধ্যমত আমি এই পূজার আয়োজন করার । তবে এবার আমার সাথে আমার মেয়ে উপবাস ছিল। মেয়েরা বড় হলে মায়ের অনেক উপকারে আসে ।
আজকের সকাল |
---|
আজ খুব সকালে ঘুম থেকে উঠলাম। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে পুজোর পিতলের থালা-বাসন পরিস্কান করি ।পিতলের থালা-বাশন পরিষ্কার করা অনেক কষ্টসাধ্য বিষয়। আমরা দুজনে উপবাস ছিলাম তাই সকলের কোনো নাস্তা তৈরি করা হয়নি ।
আজকের দুপুর |
---|
আমি অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও চেষ্টা করছি পুজার আয়োজন করা তবে সাথে আমার মেয়ে অনেক সাহায্য করেছিল ।ভেবেছিলাম বৃহস্পতিবারে পুজো করবো তাই আমি মঙ্গলবারে কোন কাজ গুছিয়ে রাখিনি। কিন্তু যখন দেখলাম বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ণিমা থাকছে না তাই আমি বুধবারে পুজো করলাম ।
মেয়ে আমাকে হাতে হাতে অনেক কাজে সাহায্য করেছেন। লুচি, সুজি নাড়ু বানালাম ।আজকে মামনি একটি নতুন খিরের সন্দেশ বানিয়েছে । সারাদিন উপবাস থাকার জন্য হয়তো আমার প্রেশার আবার নেমে গিয়েছিল তাই আবার অসুস্খ হয়ে পরি। এরই মাঝে আর্মি বাবু বাসায় চলে আসেন।
আমাকে কাজ করতে বারণ করা হয়েছে ।বাবা আর মেয়ে দুজনে মিলে সম্পূর্ণ পূজোর আয়োজন সম্পন্ন করে ।আমার বসে থাকতে ভালো লাগছিল না । আমি ওদের কাছে এসে সাহায্য করবো তাও পারছিলাম না। তখন নিজেকে খুব অসহায় লাগছিল।
আজকের সন্ধ্যা ও রাত : |
---|
সবকিছু আয়োজন সন্ধ্যা হয়ে গেলো । এখানে পুরোহিত পাওয়া অনেক কঠিন ছিল। মামনি পূজার কাজ সম্পন্ন করে এবং আমিও সাথে সাথে কিছুটা বলে দেই । রাতে আর্মি বাবুর কিছু বন্ধু আসেন । এ বছর আমি বেশি নাড়ু তৈরি করতে পারিনি। ওরা সকলেরই আমাদের নাড়ু পছন্দ করে ।প্রতি বছর নাড়ু তৈরি করে অফিসে দেই কিন্তু এই বছর অসুস্থ থাকার কারণে আর দিতে পারচ্ছিনা ।
এ বছরে সবজি খিচুড়ি এবং জলপাই চাটনি করেছিলাম। ছোটবেলা থেকেই দেখতাম বাবার অফিসের সহকর্মীগন লক্ষ্মী পূজার জন্য অনেক আগ্রহে থাকতেন ।বিশেষ করে নাড়ু , মোয়া, লুচি এগুলো খুবই পছন্দ করতেন । আমরা তাদের লক্ষ্মীপূজায় নিমন্ত্রণ করতাম এবং তারা আমাদেরকে ঈদের সময় নিমন্ত্রণ করতেন । ছোটবেলার ফেলে আসা সেই সুন্দর দিনগুলো খুব মনে পড়ছে আজ।
আমরা অনেককে দেখি লক্ষ্মী পূজার সময় বিভিন্ন ধরনের আতশবাজি ফাটিয়ে থাকেন কিন্তু আমার ধারণা মতে লক্ষ্মী দেবী আতশবাজি শব্দে খুব ভয় পেয়ে থাকেন । ঘন্টা ,কাশ ও আতশবাজি ফাটানো নিষেধ ।এমনকি লক্ষী দেবীর পূজাতে তুলসী পাতা দেওয়া উচিত নয়। লক্ষ্মীর পাঁচালী পাঠ শেষে উলুধ্বনি দিতে হয় এবং শঙ্খ বাজানো উচিত । সকল এয়োনারীদের সিঁদুর ও আলতা পড়া উচিত। সকলের মঙ্গল কামনার জন্য লক্ষী দেবীর কাছে বর চেয়ে নিলাম।
পূজো শেষ হতে হতে রাত ১১ টা বেজে গিয়েছিল । ওদেরকে প্রসাদ দিলাম এবং আমিও অল্প কিছু প্রসাদ খেয়ে শুয়ে পড়লাম। মেয়ে এবং আর্মি বাবু দুজনে মিলে কিছু কাজ গুছিয়ে রেখেছেন। মেয়েদের মত সে ততটা কাজ করতে পারে না তারপরও চেষ্টা করেছে আমাকে সাহায্য করার।
এভাবে কেটে গেল আমার ১৬ তারিখ লক্ষ্মীপূজোর দিন । শ্রী শ্রী লক্ষী দেবী অচলা হয়ে সকলের সংসারে বিরাজ করুক এবং সকলের দুঃখ দূর হয়ে যাক এই কামনা রেখে আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি ।ভালো থাকবে এবং সুস্থ থাকবে।
Device | Description |
---|---|
Smartphone | oppo |
Smartphone Model | oppo A83(2018) |
Photographer | @muktaseo |