অমর একুশে বই মেলা ( পর্ব:-১).(Amar Ekushey Book Fair (Part:-1))

in hive-120823 •  11 hours ago 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।



1000007720.jpg

সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম আমার আরেকটা নতুন পোষ্ট নিয়ে। আজকে অমর একুশে বই মেলাতে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করব৷


প্রবাদে বলে, বই কিনে কেউ কোনো দিন দেউলিয়া হয় নাই। বই কেনা আর বই পড়ার মধ্যে কিন্তু পাথর্ক্য আছে। কেউ বই কেনে শখে কেউ বা অনইচ্ছায়, একাডেমিকের চাপে। বই প্রেমীরা বুঝতে পারে বই মেলা কতটা জনপ্রিয়। যদিও যারা বই পড়তে ভালোবাসে না,তারাও বই মেলাতে ঘুরতে যায়। বাংলাদেশে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী মাস জুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে বই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে শত শত প্রকাশনী, প্রতিষ্ঠান স্টোল দিয়ে থাকে। হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ভির করে এই বই মেলা দেখতে। হাজারও লেখকের, কতশত প্রকাশনা এই বই মেলাতে পাওয়া যায়। নতুন নতুন বই, লেখা, প্রতিভা প্রকাশ পায় এই মেলাতে। কোনো বই বাজারে আসতে হলে আগে একুশের বই মেলাতে প্রথম প্রকাশ করা হয়, তারপর সেটা বাজারে বিক্রয় হয়। তবে এর বাইরেও অনেক বই পাওয়া যায়। সে সম্পর্কে কথা না বলাই ভালো।


ইচ্ছা থাকলেও বই মেলাতে যাওয়ার স্বপ্নটা গত ২২ বছরেও পূরণ হয় নাই৷ কারণ, ঢাকা যাওয়া প্রয়োজন ছাড়া হয় না। এখন নিজের পড়াশুনার জন্য ঢাকাতে থাকলেও, কোথাও যেতে পারি না প্রয়োজন ছাড়া। গত পোষ্টে আপনাদের সাথে মেট্রোরেল ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করেছি। মেট্রোতে চড়ে মূলত গিয়েছিলাম এই বই মেলাতে। সেটা আজকে শেয়ার করব৷ সন্ধার পর মেট্রো থেকে নামলাম। স্টেশনের বাইরে গিয়েই দেখি বই মেলার বড় গেট। আমি ভাবছিলাম, হয়ত স্টেশন থেকে দূরে হবে। কিন্তু নেমেই দেখি গেইট। এতো কাছে কল্পনাও করি নাই, আসলে না জানলে বা না আসলে যা হয়। আমরা তিন বন্ধু চলে গেলাম গেটে ভিতরে ঢোকার জন্য। এতো মানুষের ভীর লাইন ধরে ভিতরে প্রবেশ করা লাগতেছিল।


ভিতরে প্রবেশ করে, আগে আমি সামনের একটা পানির ট্যাপ থেকে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম। সারা দিন রোজা ছিলাম তারপর জার্নি করছি। এরপর আগে ভেবে নিলাম কিভাবে ঘুরা শুরু করব৷ আসলে মূলত ঘুরার উদ্দেশ্যে যাওয়া, তবে ভালো লাগলে দুই একটা বইও কিনব৷ এখানে মোটামুটি ২ হাজার মতো বইয়ের স্টোল আছে। প্রতিটা স্টোলে গিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখতে গেলে রাত কাভার হয়ে যাবে। এজন্য এক দিক দিয়ে শুধু স্টোলের নাম পড়ে হাটা শুরু করেছিলাম। কারণ রাতের মধ্যে আবার রুমে ফেরার তারাও ছিল। যে স্টোলগুলো ভাল লাগতেছিল সেখানে ঢুকে বই দেখতেছিলাম পছন্দ হয় নাকি। যদিও আমি ইসলামিক বই বাদে তেমন কোনো বই পড়া হয় না একাডেমিক বাদে।


1000007107.jpg1000007109.jpg

1000007111.jpg

1000007114.jpg

বই মেলার প্রথম গেট এবং ভিতর ঢুকার পর।


ভিতরে ঢুকে, সাহিত্য কুঠির, সংহতি, রূপসী বাংলা সহ কত শত স্টোল চোখে পড়ল। আমি খুজতেছিলাম ইসলামি স্টোলগুলো কোথায়। দেখতে দেখতে, ছবি তুলতে তুলতে আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে ভিতরে ঘুরতেছিলাম আর স্টোলগুলোতে গিয়ে বই দেখতেছিলাম। তবে কিছু বই পছন্দ হলেও দাম জানতেই যেন মনে হলো আকাশ থেকে নামতেছি। যেখানে বই মেলাতে বইয়ের দাম কম হওয়ার কথা, সেখানে যেনো বাইরের দোকানের মতোই দাম। যদিও কিছু পারসেন্ট্যান্স ছাড় দিচ্ছিল।


1000007115.jpg1000007122.jpg
1000007125.jpg1000007124.jpg
1000007126.jpg1000007130.jpg
1000007138.jpg1000007140.jpg

স্টোলে বই দেখার মুহূর্ত গুলো।


পোষ্টে আমার ছবিই বেশি পাবেন, বন্ধুরা ছবি উঠতে ইচ্ছুক ছিল না বেশি। অনেক হাটাহাটি করেও যেন স্টোলগুলো শেষ হচ্ছিল না৷ এখন আমাদের এদিকে খুদা লাগছিল খুব ভাবলাম কিছু খাওয়া যাক। কিন্তু খাবারের দোকানও ভিতর চোখে পরে না৷ পরে একজনকে জিগাতেই জানতে পারলাম স্টোলগুলোর শেষের দিকে মানে মাঠের শেষ প্রান্তে খাবারের দেকানগুলো। খেতে যেতে হলে কয়েকশত স্টোল পার করে যেতে হবে। এজন্য ভাবলাম পরে যাব। অন্য দিকে তাকাতেই বাংলা একাডেমি স্টোল চোখে পড়ল। কত নাম শুনেছি জীবনে বাংলা একাডেমি, আজকে তার স্টেল ঘুরে দেখলাম। এরপর সামনের দিকে আবার হাটতে থাকলাম।


1000007145.jpg1000007148.jpg
1000007144.jpg1000007146.jpg

বাংলা একাডেমি এর স্টোল।


আমি এবং আমার বন্ধু আবার স্টোলের সামনে দাড়িয়ে ছবি উঠলাম। এরপর সামনের দিকে হাটা শুরু করলাম। আসলে চারি দিকে এতো প্রকাশনি, আর মানুষের ভির, কোনটা রেখে কোনটাতে যাব বুঝতে পারতেছিলাম না। মানুষ বই কেনার থেকে, স্টোলগুলোতে ঢুকে ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিল। চলবে..............

1000007009.png

1000007010.gif

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আজকের পোষ্টটা পড়ার জন্য।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Loading...

আপনারা অমর একুশে বইমেলায় ঘুরতে গিয়েছেন 21 আমাদের অহংকার যেটা হাজার ১৯৫২ সালে ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আর বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই দিবসটাকে পালন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান পালন করা হয়ে থাকে সেই সাথে বইমেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে আপনি খুব সুন্দর ভাবে বইমেলার দৃশ্যগুলো এবং সেখানে কি কি করেছেন সপ্তাহে আমাদের সাথে বর্ণনা করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ বোন, এতো সুন্দর ভাবে মন্তব্য করার জন্য।