Better Life With Steem || The Diary game || 10 November 2024 ||

in hive-120823 •  13 days ago 
Picsart_24-11-11_16-12-43-944.jpg

মন খারাপ থাকলে যেন মনে হয় কোন কিছুই আজকে আর করতে পারব না। আমাদের ক্ষেত্রে ঠিক যেমন হয় ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও নিশ্চয়ই ঠিক তেমনি হয়। আজকে সকাল থেকেই আমার ছোট ছেলেটা বলে যাচ্ছে সে মাদ্রাসা যাবে না তার কাছে ভালো লাগে না, কিন্তু আমি তো নাছোড় বান্দা তাকে মাদ্রাসায় নিয়ে যাব। তাই অনেক কষ্ট করে তাকে মাদ্রাসায় নিয়ে গেলাম। তবে তার মন খারাপের কারণটা এখনো জানতে পারলাম না।

IMG_20241110_121953_480.jpg

প্রতিদিনের মতো সকালের দেখা পেয়ে প্রথমত শুকরিয়া করে নিয়েছিলাম সৃষ্টিকর্তার কাছে। তারপর নিজের সংসারের যাবতীয় কাজ এক এক করে শুরু করেছিলাম। কাজ করতে করতেই কখন যে আটটা বেজে গেল বুঝতেই পারলাম না। তাড়াতাড়ি করে উঠে ছেলেদেরকে সকালের খাবার খাইয়ে মাদ্রাসায় পৌঁছানোর জন্য বেরিয়ে পড়লাম।

IMG_20241110_121953_583.jpg
IMG_20241110_121953_887.jpg
IMG_20241110_121953_837.jpg

এরপর ওদেরকে মাদ্রাসায় দিয়ে সোজা বাজারে চলে গেলাম। ওখান থেকে বাজার করে বাসায় এসে রান্না বান্নার জন্য তরকারি কেটে নিয়েছিলাম, কিন্তু গ্যাস ছিল না যার কারণে রান্না করা হয়নি। তাই কিছুক্ষণ বসে নিজের কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে নিলাম। তারপর গ্যাস আসলে প্রথমত রান্না করে নিয়েছিলাম। তারপর ছেলেদের জন্য খাবার রেডি করে আমি গোসল করে নিলাম।

IMG_20241110_121953_626.jpg

গোসল করে নামাজ পড়ে ছেলেদেরকে আগে খাবার খাইয়ে দেয়ার জন্য মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ওদেরকে খাবার খাইয়ে দিয়ে আবার বাসায় এসে নিজে খাবার খেয়ে নিলাম এরপর দেখলাম সাহেব উঠে পড়েছে। তারপর ওকেও দুপুরের খাবার দিলাম ও খাবার খেয়ে বেরিয়ে গেল। আমি একটু শুয়ে পড়লাম কিন্তু ঘুম আসছিল না, কেননা ঘুমিয়ে পড়লে তাদেরকে আবার নিয়ে আসতে একটু দেরি হয়ে যাবে।

IMG_20241110_121953_930.jpg

তাই নিজে নিজে কিছুক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করতে লাগলাম, আসলে কোন কিছুই ভালো লাগছিল না সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে কেমন যেন। যাই হোক তারপরেও যেমন আছি আলহামদুলিল্লাহ। তারপর ওদেরকে মাদ্রাসায় নিয়ে আসার জন্য রওনা করলাম। ওদেরকে মাদ্রাসা থেকে আনতে আনতে আমার প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল।

আসার সময় ওদের জন্য একটা ছোট্ট পিজা নিয়ে নিলাম বাসায় এসে ওদেরকে পিজা খেতে দিলাম। এরপর আমি মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। তারপর রাতের জন্য সামান্য পরিমাণে ভাত বসিয়ে দিয়ে, আমি ওদেরকে রাতের পড়া কমপ্লিট করার জন্য বসিয়ে দিলাম। ছোট ছেলের হাতের লেখা শেষ হলে আমি ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম।

IMG_20241110_121953_989.jpg

এরপর ওদেরকে বলেছিলাম ঘুমিয়ে পড়ার জন্য কিন্তু উনারা ঘুমিয়ে না পড়ে দুই ভাই গেমস খেলতে লাগলো। আমি ওদের পাশে শুয়ে পড়লাম, আসলে নানা ধরনের চিন্তায় বর্তমান সময়ে কোন কিছুই ভালো লাগছে না। জানিনা এই সমস্যাগুলো কবে সমাধান হবে। তবে অবশ্যই একজনের উপর ভরসা আছে তিনি সবকিছু সমাধান করবেন এটা আমি বিশ্বাস করি। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপু প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য। মাদ্রাসা থেকে আসার পথে পিজা কিনে নিয়ে এসেছেন বাড়িতে মাঝেমধ্যে এমন খাবার বাচ্চারা খুব পছন্দ করে থাকে। আপনি সবসময় বাড়িতে অনেক কিছু বানিয়ে খেতে দেন বাচ্চাদের তবুও
বাইরের খাবারের প্রতি আলাদা রকম লোভ থাকে সবারই।

মাথায় চিন্তা টেনশন থাকলে আসলেই কোন কাজ করেও শান্তি পাওয়া যায় না তেমনি ঘুমালেও ঘুম আসে না।

Loading...

ছোটবেলায় মনের ভিতর ধারনা ছিলো, এখনতো খেলাধুলার সময়, সব সময় কি পড়াশুনা করতে ভালো লাগে। তাই প্রতিদিন স্কুলে যেতে ভালো না লাগাটাই স্বাভাবিক। তাই হয়ত আপনার ছেলে আজ মাদ্রাসায় যেতে চাইছিলো না। তবে আমি ছোটবেলায় প্রতিদিনই স্কুলে যেতাম খুব কমই বন্ধ করতাম কারন বাড়িতে বাবার বকাবকির ভয় পেতাম প্রচন্ড।

আপনার প্রথম ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে কেই হয়ত ঘুড়ি উড়াচ্ছিলো আর সেটা বৈদ্যুতিক তারে বেঁধে গেছে। শহরের ছাঁদে অনেকেই ঘুড়ি উড়ায় তবে গ্রামে উড়ানোর মতো আনন্দ পাওয়া যায় না।

আপনার একটি দিনের কার্যক্রম দেখে বুঝতে পারলাম আপনার দিনটা অনেক ব্যস্ততার মধ্য পার হয়েছে সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের সংসারে সব কাজ শেষ করে আবার ছেলেদের মাদ্রাসায় নিয়ে যেতে হয় তার পাশাপাশি বাজার করে নিয়ে এসে আবার রান্নার কাজ করতে হয় এটা একটি মেয়ের ক্ষেত্রে আসলে একটি কষ্টদায়ক এবং সংসারের কাজ করাটা আসলে একটি কষ্টের বিষয় তবুও এই ব্যস্ততার মধ্য থেকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।