Steem engagement challenge-S12/W6|"The grand festival in my country."

in hive-120823 •  last year 
20231015_121807_0000.png edit canva

প্রত্যেকটা দেশেই বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান পালিত হয়। আমাদের দেশ তার ব্যতিক্রম নয়। আমাদের দেশে পালিত হয় পহেলা বৈশাখ। আমাদের দেশের সনাতন ধর্মের জন্য পালিত হয় ১২ মাসে ১৩ পুজো। আবার মুসলমান ধর্মের জন্য পালিত হয় দুইটা ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। আমি যেহেতু একজন মুসলমান। সেজন্য আমাদের সবচাইতে বড় উৎসব হচ্ছে ঈদুল ফিতুল এবং ঈদুল আযহা।

প্রথমেই আমি আমাদের ম্যামকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। যিনি কিনা এংগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জের ষষ্ঠ সপ্তাহের জন্য,এমন একটা বিষয় নির্বাচন করেছে। যেখানে আমরা আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী জমকালো উৎসব সম্পর্কে আলোচনা করতে পারি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একজন মুসলমান হিসেবে, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা নিয়ে কথা বলব।

তার আগে আমি আমার প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী, তিনজন বন্ধুকে অবশ্যই এখানে আমন্ত্রণ জানাতে চাই।

@ripon0630, @jakaria121, @ninapenda

আপনারা ও এখানে অংশগ্রহণ করুক। এবং আপনাদের নিজেদের মতামত নিজের মত করে, এখানে আমাদের সামনে উপস্থাপন করুক।

What is the grand festival in your country, and how do you celebrate that festival?(Mention some rituals if you follow)

holy-quran-1409496_1280.jpg

image source

একজন মুসলমান হিসেবে আমি আগেও বলেছি আমাদের দেশে সবচাইতে বড় উৎসব হচ্ছে ঈদুল ফিতর ঈদুল আযহা। ঈদুল ফিতর আমাদের মাঝে আসে দীর্ঘ ৩০ দিন রোজা রাখার পর। এরপর আমাদের ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়। তখন আমাদের দেশের প্রত্যেকটা কোনায় মুসলমানরা এই উৎসবটি পালন করে থাকে।

আমি আমার পরিবারের সাথে খুব সুন্দর ভাবে এই উৎসব উদযাপন করে থাকি। বিশেষ করে আর যখন আমার বিয়ে হয়নি তখন আমি বাবার বাড়িতে ছিলাম। প্রথমত সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে নিতাম। এরপর সবাই ঈদের নামাজে যেত। ঈদের নামাজ থেকে আসার পর সবাইকে সালাম করতাম।

সবাই আমাদের হাতে সালামি এবং সবার ঘরে গিয়ে আমরা ঈদের দিন নাস্তা করতাম। আসলে আমার এখনো মনে আছে আমার চাচাতো ভাইয়ের বিয়ে হওয়ার পর। আমরা প্রথম তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলাম ঈদের দিন। ঐদিন আমরা অনেক বেশি আনন্দ করেছিলাম।

eid-al-adha-5374988_1280.jpg

Image source

Would you love to go on a vacation during this festive period, or would you love to stay in your country and celebrate the festival with your family? Give the reason behind your choice.

আমি কখনোই এই উৎসবের সময় কোথাও ছুটি কাটাতে যেতে চাই না। কেননা আমি এই সময়টা আমার পরিবারের সাথে কাটাতে চাই। এমন একটা আনন্দঘন মুহূর্ত হয়তোবা জীবনে আর ফিরে পাবো কিনা সেটা আমার জানা নেই। তাই আমি এই আনন্দটা, আমার পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে নিতেই অনেক বেশি পছন্দ করি।

বিয়ের আগে তো বাবা মায়ের সাথে ঈদ করতাম। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তো শ্বশুর বাড়িতে ঈদ করতে হয়। প্রথমত আমি যেটা দেখেছি, আমার ননদরা আমাদের বাড়িতে আসে ঈদের দিন। তারপর সবাই মিলে অনেক আনন্দ করি, এর কিছুদিন পরে অর্থাৎ ঈদের তিন থেকে চারদিন পর, আমি আমার বাবার বাড়িতে যাই। এবং আমার বাবা-মায়ের সাথে আনন্দের কিছুটা মুহূর্ত পার করি।

family-4632811_1280.jpg

Image source

এইটা পছন্দের পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। কেননা আমি প্রায় বছরের বেশিটা সময় আমার শ্বশুর বাড়িতেই থাকি। তো ঈদের সময় আমি অনেকটা সময় পাই সেটা হতে পারে 15 দিন কিংবা 20 দিন। সেটা আমি আমার বাবা-মায়ের সাথে সময় কাটাতে পারি। সেজন্য আমি মনে করি আমার কাছে উত্তম সময় হচ্ছে, এটাই ঈদুল ফিতুল এবং ঈদুল আযহার সময়। আমি আমার বাবা মায়ের সাথে অনেকটা বেশি সময় থাকতে পারি। তাদের বিপদ আপদে তাদেরকে সাহায্য করতে পারি।

Share with us if you have any memorable moments related to the festival.

pregnancy-5098881_1280.jpg

Image source

এই উৎসব সম্পর্কে অবশ্যই আমার একটা স্মরণীয় মুহূর্ত আছে। আজকে সেটাই আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব। সময়টা ছিল ২০১৬ সাল আমার বিয়ে হওয়ার পর আমার হাসবেন্ড বাহিরে ছিল। ও আসার পরে প্রায় সাত মাস পর আমাদের রমজান মাস আসে। তো রমজান মাসের কিছুদিন আগেই আমার একটু সমস্যা হয়। যার কারণে আমাকে আমার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কারণ আমার শাশুড়ি চাইছিলেন না আমার এই সমস্যাটা আরো বেশি বৃদ্ধি পাক। আমি এখানে থাকলে কাজ করতে হবে। সেজন্য উনি আমাকে আমার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

আমি দীর্ঘ একটা মাস আমার বাবা বাড়িতে ছিলাম। এরপরে ঈদের দুই দিন আগে আমার শাশুড়ি আমাকে বলেছিল চলে আসার জন্য। যেহেতু ওনার ছেলে বাড়িতে এসেছে, কারণ আমার হাজব্যান্ড তখন ঢাকায় চাকরি করত। ও বিদেশ থেকে চলে এসেছে একেবারে জন্য। এরপর দুইদিন আগে আমি জানতে পারি যে আমি প্রেগন্যান্ট। এবং আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তখন আমার হাজব্যান্ড বলে যে এখন আর আসার দরকার নাই।

এরপর আমার শাশুড়ি ও তার সাথে সম্মতি জানায়। কেন না আমাদের প্রথম বাচ্চা আর এই সময়টায় নাকি একটা জায়গায় থাকা ভালো। কারণ এতে করে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। সেজন্য আমাকে আমার বাবার বাড়িতেই রাখা হয়। ওই সময়টাতে আমার হাজব্যান্ড আমার সাথেই আমার বাবার বাড়িতে ঈদ করে। আসলে ওই ঈদের সময়টা আমার কাছে অনেক বেশি আনন্দের ছিল। কেননা আমি নতুন একটা মানুষকে নিজের মধ্যে ধারণ করছি। এটা ভেবেই অনেক বেশি আনন্দ লাগছিল।

couple-4615557_1280.jpg

Image source

  • ওই সময়ের আনন্দের কথা হয়তোবা আমি কখনোই ভুলতে পারবো না। কারণ আমি যখন ওই ঈদের দিন নতুন জামা পরে সবার কাছে গিয়ে সালাম করছিলাম। তখন আমার দাদু আমার অন্যান্য চাচা চাচিরা সবাই আমাকে একটাই দোয়া করছিল। যে আল্লাহ তোমার সব কিছু ভালো রেখে একটা ছেলে সন্তান দান করুক। ওই দিনটার কথা আমি কখনো ভুলতে পারবো না।

আমি চেষ্টা করেছি আমার নিজের মতো করে প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দেয়ার জন্য। আমি ঠিক জানিনা সঠিকভাবে দিতে পেরেছি কিনা। তবে চেষ্টা করেছি আমার নিজের অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

ঈদুল ফিতর উৎসব সম্পর্কে খুব সুন্দর ভাবে আলোকপাত করেছেন, আপনি চান উৎসবের মুহূর্তগুলো আপনার পরিবারের সাথে কাটাতে। আমরা এমনটাই চাই পরিবারের সাথে সবসময় উৎসব উদযাপন করতে কেননা উৎসবের খুশির মুহূর্তগুলো একবার চলে গেলে আর ফিরে পাওয়া যায় না। আসলে ঈদের দিন সালামি দেওয়া এবং সালামি নেওয়া এটি খুবই আনন্দময় মুহূর্তের একটি সময়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চ্যালেঞ্জের প্রতিটা প্রশ্ন উত্তর খুব সুন্দর ভাবে দিয়েছেন এবং আপনার লেখার কোয়ালিটি খুবই উন্নত আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, ভালো থাকবেন।

Posted using SteemPro Mobile

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

আপনি ঈদকে বেছে নিয়েছেন, এবং এই ঈদকে ঘিরে স্মৃতি শেয়ার করেছেন। প্রতিযোগিতার প্রতিটি প্রশ্নের খুব সুন্দর গোছানো উত্তর দিয়েছেন। আপনার জন্যে শুভেচ্ছা কামনা

আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

Posted using SteemPro Mobile

Loading...

Congratulations!

This post has been supported through the account Steemcurator06 for containing good quality content.

Curated by : @pelon53

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সাপোর্ট করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

একজন মুসলমান হিসেবে আমি আগেও বলেছি আমাদের দেশে সবচাইতে বড় উৎসব হচ্ছে ঈদুল ফিতর ঈদুল আযহা। ঈদুল ফিতর আমাদের মাঝে আসে দীর্ঘ ৩০ দিন রোজা রাখার পর। এরপর আমাদের ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়। তখন আমাদের দেশের প্রত্যেকটা কোনায় মুসলমানরা এই উৎসবটি পালন করে থাকে।

আপনার পোষ্টের মধ্য থেকে আমি এই লাইন কয়টি উঠিয়ে নিয়েছি। আসলে আপনি ঠিক বলেছেন ৩০ টি রোজা পার করে আমাদের একটি ঈদুল ফিতর উৎসব পালন করে। মুসলমানের ঘরে কোনায় কোনায় ধনী গরিব সবাই এক হয়ে এই উৎসব পালন করে। ঈদুল আযহা ধনি দেখে না গরীব দেখে না আনন্দ থাকে প্রত্যেকটা মুসলমানের ঘরে।

সুন্দর এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমার পোষ্ট পরিদর্শন করে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।

আমি আপনার সম্পূর্ণ লেখাটি পড়েছি। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আপনার এংগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জের লিখেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনি আপনার লেখাতে সনাতন ধর্মের উৎসবের কথা বলেছেন, বাঙালির উৎসবের কথা বলেছেন আরো মুসলমান ধর্মের উৎসবের কথা বলেছেন।

যাইহোক, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল এবং আপনার পরবর্তী পোস্টটি পড়ার জন্য অপেক্ষা থাকলাম।

ঈদ হয়তোবা বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম এর কাছেই সবচেয়ে বড় উৎসব। আর এর সাথে জড়িয়ে থাকে আমাদের জীবনের হাজারো স্মৃতি।
আপনি খুব সুন্দরভাবে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।আপানার জন্য শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন সবসময়।

Posted using SteemPro Mobile

অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তরগুলো দিয়েছেন। ঈদের সময় গুলো আপনি কিভাবে কাটান ও আপনার অনুভূতিটা কেমন থাকে এটি আপনি বেশ গুছিয়ে প্রকাশ করেছেন।

তবে শেষের দিকে আপনার লেখাটি পড়ে একটু মন খারাপ হয়ে গেল। আসলে শ্বশুরবাড়ি এমন একটা জায়গা যেখানে যেকোনো সময় যে কেউ আপনার উপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে ।অনেক সময় এজন্য এখানে কিছু বলাও যায় না। কারণ মান সম্মানটা অনেক বড় ব্যাপার।এই পরিস্থিতিটা আমরা নারীরা সবচেয়ে বেশি ভালো বুঝতে পারি।তারপরও আপনার স্বামী আপনাকে ঈদের দিন সঙ্গ দিয়েছে এবং আপনার ঈদ সুন্দর ভাবে কেটেছে জেনে খুব ভালো লাগলো।

প্রতিযোগিতায় আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।