অনেক দিন পর গ্রামের বাড়ি এসেছি।অনেক দিন এই কারণে বলছি যে আমি গত ৩.৫ বছর বাড়িতে থেকেছি বেশিরভাগ সময়ই। খুলনা গেলেও বাড়ির উঠানের পর দিয়ে গিয়েছি।এতদিন একটা অভ্যাস থেকে আরেকটা অভ্যাসে অভ্যস্ত হতে সময় লাগবে হয়তো।গতকাল রাতে স্টাফ বাসে করে খুলনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছিলাম। কিন্তু কাটাখালি পৌছানোর কয়েক মিনিট আগে আমার পাশের বাড়ির একজন প্রতিবেশী ফোন দিয়ে বলল সে কাটাখালি আছে,কাজেই আমি বাড়ি গেলে তার সঙ্গে যেতে পারব।মুহুর্তেই খুলনা যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে কাটাখালি নেমে বাড়ি চলে এসেছি।
আজ সকালে অনেক তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছি।কিছু কাজ করব আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল।ঘুম থেকে উঠে আগে ছাদে গিয়েছি।সেখানে থাকা ক্যাপসিকাম গাছ থেকে কয়েকটা ক্যাপসিকাম সংগ্রহ করলাম।নিজের গাছের প্রথম ফলন,এ আলাদা একটা অনুভূতির জায়গা।বাড়িতে এই সবজি টা কেউ ভাল খায় না।তাই বাড়িতে একটা রেখে বাকি গুলো আমি খুলনা নিয়ে আসব বিধায় ব্যাগে রেখে দিলাম।এরপর নিজের ওয়াশরুম টা পরিস্কার করে স্নান সেরে দ্রুত নিচে এলাম।আজ পুনরায় সেই প্রতিবেশীর সঙ্গে কাটাখালি পৌছাতে হবে।তাই দ্রুত খাওয়া দাওয়া সেরে বেরিয়ে পড়লাম।
বাইকে উঠে সে খুব স্পিডে চালানো শুরু করলে আমার ভিষণ ভয় করছিল।এরই মধ্যে নওয়াপাড়া পার হওয়া মাত্রই আমরা বৃষ্টির কবলে পড়লাম।আশপাশে কোথাও যে দাঁড়াব সে জায়গা না পেয়ে দ্রুত এসে কাটাখালি নামলাম।এরপর স্টাফ বাসে ভাগা নেমে বাকি পথ মোটামুটি যুদ্ধ করে অফিসে পৌছালাম।বৃষ্টির ভিতরও কাজের চাপ মোটামুটি ভালোই ছিল।দুপুরে খাওয়ার পর অফিসের জানালা দিয়ে দেখি পাশের স্কুল মাঠ পুরোপুরি জলে ভাসছে।সেখান থেকে একটা ছবি তুলে নিলাম।
আজ বৃহস্পতিবার থাকায় সব অফিসারদের মধ্যে বাড়ি যাওয়ার একটা তাড়া ছিল।যদিও এটা আমার ভিতর সারা সপ্তাহই থাকে।৫:৩০ টা নাগাদ আমি ও আমার এক কলিগ একসাথে বেরিয়ে পড়ি।ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছিল।এরই মধ্যে আমরা অটোতে করে রওয়ানা হই।এদিন আর স্টাফ বাসের জন্য অপেক্ষা করি না।লোকাল বাসে চড়ে কাটাখালি পৌছায়।বিকালে আমার ওয়াইফ বলেছিল আমার ছোট ভাই ওর তার ওয়াইফ আমাদের বাসায় আসছে।তাই কিছু বাজার করতে হবে।
আমি রূপসা বাজারে গিয়ে প্রয়োজনমতো বাজার করে নিলাম।রূপসা বাজারে থাকা অবস্থায় ভিষণ বৃষ্টি আরম্ভ হলো।আমি এর ভিতর বাসায় চলে গেলাম।খুব কষ্ট হয়েছে বাসায় পৌঁছাতে।যেহেতু বাসায় গেষ্ট আসবে তাই আমার সহধর্মিণী বলল বিরিয়ানি রান্না করবে।তাকে সাহায্য করতে হবে।শরীর আর মোটেই পারছিল না,কিন্তু কিছু করার নাই।তাকে সাহায্য না করলে সেও এই অল্প সময়ে সব কাজ শেষ করতে পারবে না।দুজন মিলে রান্নার কাজ শেষ করলাম।এরপর খাওয়া দাওয়া সেরে বিছানায় বসতেই কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি নিজেও ঠিক পায়নি।এই ছিল আমার সারা দিনের গল্প।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |