আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন আবার শনিবার।আগেই প্লান করে রেখেছিলাম আজ বড় ঠাকুরের পূজা দিব আমরা।বাসার সবাই উপোস থেকে পূজা করব।প্রতি মাসেই কমপক্ষে একবার এই পূজা করি আমরা।বাসার কাছাকাছি ধর্মসভা মন্দির থাকায় পূজার্চনার জন্য সেখানে যাওয়া হয় বেশি।তবে অন্যান্য বারের ন্যায় এবার আমরা ধর্মসভা মন্দিরে যাব না। শুনেছি শীতলাবাড়ি মন্দিরে পূজা দুপুরের দিকেই করা হয় তাইএবার পূজা এই মন্দিরে দিব বলে পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম।পূজার বাজার আগেরদিন করে রাখা হয় সবসময়।কিন্তু এদিন বাজার করা ছিল না তাই সকাল সকাল আমি বেরিয়ে পড়ি পূজার কেনাকাটা করতে।
পূজার কেনাকাটা করতে স্নান সেরেই বেরিয়েছি।বাইতিপাড়া বাজার বাসার একদম কাছাকাছি হওয়ায় সেখান থেকে কিছু কেনাকাটা সেরে নিয়েছি।এরপর বাকি কেনাকাটা করতে বড় বাজার গেলাম।সেখান থেকে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা শেষ করে ফেরার পথে আমার এক আন্টি ফোন করে বলল সেও আজ পূজা দিবে,এবং তাকে যেন আমি আখের গুড় কিনে এনে দিই।পুনরায় আবার বাজারে গেলাম গুড় কিনতে।এরপর বাসায় এসে কিছু সময় বিশ্রাম নিলাম।
আমরা ১২ টা নাগাদ সবাই মন্দিরে পৌঁছে যায়।আজ পৌঁছে দেখি মন্দিরের ভিতর ভক্ত বৃন্দ অনেক।কোথাও বসার জায়গাটি পর্যন্ত নাই।আমি পরিবারের সবাইকে ভিতরে পাঠিয়ে দিয়ে বাইরে সিড়িতে বসে রইলাম। শীতলাবাড়ি মন্দির এলাকা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা বলা চলে।তাই এখানে ভক্ত বৃন্দও অনেক বেশি।আগে যেসব মন্দিরে পূজা দিয়েছি সেসব জায়গায় অল্প সময়েই পূজার কাজ শেষ হয়েছে।যাইহোক পূজার অন্জলি প্রদানের সময় আমিও ভিতরে প্রবেশ করে একটা চিপায় গিয়ে বসে পড়লাম। এখানে প্রায় ৩ ঘন্টা যাবত পূজা হলো।এই দীর্ঘ সময় ফ্লোরে বসাটা অনেক কঠিন ছিল।কিছু সময় পর পরই পা অবশ হয়ে পড়ছিল।
বাসায় আসতে আমাদের ৩ টা বেজে গেল। এদিকে আজ আবার কাকি কাকি ডাক্তার দেখাতে খুলনা আসবে।তাই বাসূয় গিয়ে তড়িঘড়ি করে প্রসাদ খেলাম।এই গরমে একটু শরবত তৈরি করে খেতে মন চাইছিল।তাই দই আর কলার শরবত তৈরি করলাম।এটার স্বাদ সত্যিই অতুলনীয়। যেহেতু উপোস ভেঙেছি এখন আর খেতে মানা থাকার কথা না।কিন্তু আমার ওয়াইফের মতানুসারে উপোস করলে একবেলা আহার করতে হয়!তাই ভাত আর জোটেনি এদিন।এরপর কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে বাসা থেকে বের হলাম কাকি কাকিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবার উদ্দেশ্যে।
কাকি ফোন করে বলল তাদের আসতে আরও কিছু সময় লাগবে।তাই দ্রুত প্লান করলাম ঔষধ কিনতে যাব বলে।একটা রিকশা নিয়ে চলে গেলাম ডিপোতে।সেখান থেকে যতটা দ্রুত সম্ভব ঔষধ নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম ডাক্তারের চেম্বারের উদ্দ্যেশে।ডাক্তার দেখাতে আমাদের সন্ধ্যা ৭:৪৫ বেজে গেল।তারপর কাকা কাকি কে অটোতে তুলে দিয়ে বাসায় এলাম।স্নান সেরে আবার ও বউকে নিয়ে বের হলাম নিজেদের কেনাকাটা সারতে।সারা মাসের ঔষধের বাজার করে নিলাম একসঙ্গে। কারণ দুদিন পরপর এটা ওটা কিনতে বাজারে যেতে ভালো লাগে না।
বাজার থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।সারা দিন না খাওয়াতে শরীর আর পারছিল না।হাতে পায়ের ভিতর খারাপ লাগা শুরু হয়ে গিয়েছে ততক্ষণে। এরপর বউকে বললাম দ্রুত রান্না শেষ করতে।ওকে যতটা সম্ভব সাহায্য করলাম।তারপর আমি আমার কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।রাতের খাবার খেতে খেতে ১১ টা বেজে গেল।তারপর পরের দিনের আশায় ঘুমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
ছুটির দিনে আমাদের অনেক কিছু করার প্লান থাকে, ছুটির দিনে কাজ না থাকার কারণে আমরা বাড়ির কাজও করতে পারি এবং বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেও পারি, ছুটির দিনে ঘোরাঘুরির জন্য খুব সুন্দর একটা সুযোগ থাকে, আপনার সারাদিনে কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমরা তো আজকাল কাজের ব্যস্ততার জন্য সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করতেই ভুলে যায়। যেখানে আপনারা প্রতি মাসে একবার হলেও এই পূজা করে থাকেন শুনে অনেক ভালো লাগলো।
পরিবারের সকলেই উপোস থেকে পূজা করতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগছে।। আর হ্যাঁ আমি আপনাদের ধর্মের পূজার নাম জানি না বললেই চলে কয়েকটা ব্যতীত।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার আজকের এই দিনলিপিটা পড়ে বুঝলাম যে অনেকটাই ব্যস্ততার মধ্যেই পার করছেন। সকাল থেকে উপাসনালয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। পূজোর সমস্ত জিনিসপত্র কিনছেন তারপর মন্দিরে গিয়েছেন।
যাইহোক আপনার দিনের সমস্ত কার্যক্রম আপনি পর্যায়ক্রমে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার পরবর্তী দিনলিপি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit