@pinki.chak ইনি কি সেই রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র যার সভায় গোপাল ভাঁড় ছিলেন?
যদি তাই হয়, তোমার লেখায় উল্লেখিত ইতিহাস আমার অজানা ছিল, অনেক ধন্যবাদ তথ্য মূলক একটি লেখা উপহার দেবার জন্য।
এরপর যেটা দেখতে পাচ্ছি সেটা হলো, কৃষ্ণ নগরের কোনো প্যান্ডেল বোধহয় তোমার দৃষ্টি থেকে বাদ পড়েনি!
মানে, সবকটা প্রতিমাই তোমাকে দেখে মনে মনে ভেবেছেন, মুখটা চেনা চেনা লাগছে!
তারপর বুঝেছেন এর আগে কোন প্যান্ডেলে তুমি তার দর্শনে উপস্থিত হয়েছিল!
ইতিহাস অনেকেই অপছন্দ করে, তবে সৌভাগ্য আমি ভারতীয় তথা ওয়ার্ল্ড ইতিহাস খানিক পড়বার সুযোগ পেয়েছি।
আমার বেশ ভালো লাগে, বিভিন্ন দেশ তথা স্থানের ইতিহাস জানতে, তারমধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক স্থান এবং সেটার পিছনের গল্প, সেই স্থানের খাদ্যের উদ্ভাবণীর ইতিহাস, মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাপনের ধরন ধারণ ইত্যাদি।
যখন যখন আমার ক্যুরেশন থাকে, সবচাইতে এই বিষয়গুলোকে আমি বেশ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করি।
তোমার লেখা প্রশংসার দাবিদার, এমন ভাবেই কাজ করে যাও, তোমার জলপাইয়ের আচার এর পোস্ট দেখেছি, তবে এই ইতিহাসের বিষয়টি আমার কাছে বেশি দৃষ্টিনন্দন ছিল।
লেখায় টক ঝাল মিষ্টি বিভিন্ন স্বাদের দেখা না মিললে এক্ ঘেয়েমি লাগে পড়তে, কাজেই রান্নার লেখাও দেবে, অনেকেই ভীষণ আগ্রহী এই প্ল্যাটফর্মে ভারতীয় রান্না নিয়ে।
হ্যাঁ দিদি, ইনিই সেই রাজা কৃষ্ণচন্দ্র, যার রাজসভায় রসিক রাজ গোপাল ভাঁড় বিরাজ করতেন।
এখনো পর্যন্ত রাজ বাড়িতে গেলে যে দালানে মা রাজ রাজেশ্বরীর পূজা হয় সেখানে এই গল্প বর্ণিত আছে। যদি কখনো কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ির মন্দির দালানপরিদর্শন করেন তাহলে সেই লেখা অবশ্যই চোখে পড়বে। আমিও প্রথমবার সেইখান থেকেই এই তথ্য জেনেছিলাম।
আর আপনার সাথে একটি বিষয়ে নিজের মিল খুঁজে পেলাম। আমিও ইতিহাস পড়তে ভীষণ ভালোবাসি। পুরনো দিনের গল্প, তখনকার সমাজব্যবস্থা, মানুষের জীবিকা এই সমস্ত কিছুই আমাকে ভীষণভাবে আকৃষ্ট করে। ক্লাস টেনের পর ইতিহাস বিষয়টিকে নিজের সাবজেক্ট এর মধ্যে বেছে না নিলেও ইতিহাসের প্রতি ভালোবাসা আমার একটুও কমেনি।
আর দুঃখের বিষয় হল কৃষ্ণনগরের সব মন্ডপই এই বছর পরিদর্শন করার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে খাবারের গন্ডগোলের কারণে আমার ভীষণ পরিমাণে অ্যাসিডিটি হয়ে যায়। তাই অনেক ঠাকুরই মিস করে গেছি। 🥲
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit