@roy.saikat বিগত দু'দিন ধরে আপনার লেখা পড়লেও একদম সময় করে উঠতে পারছিলাম না মন্তব্য করবার।
আসলে যদি কোনো লেখা মন ছুঁয়ে যায় সেই লেখা যথাযথ মন্তব্যের দাবিদার।
আপনি যতগুলো খেলার কথা উল্লেখ করেছেন সবগুলোই আমার শৈশবের সাথে জড়িত।
আমাদের বাড়ি যে পাড়ায় ছিল, সেই গলির শেষ প্রান্তে, মানে দক্ষিণ দিকের রাস্তার শেষে যে বাড়িটি ছিল, সেটি ছিল পাল বাড়ি নামে পরিচিত।
তারা মূর্তি তৈরির কাজ করত কাজেই প্রচুর এঁটেল মাটি স্তুপাকৃত করা থাকতো বাড়ির বাইরে তৈরি একটা কাঁচা ঘরে।
ঘরটি খোলাই থাকত, আর আমরা একদল বিকেল বেলায় গিয়ে খানিক মাটি নিয়ে আসতাম খেলার জন্য।
আমাদের ওই বাড়ির বড়রা কখনোই কিছু বলতো না! এবার সেই মাটি দিয়ে বাটি বানিয়ে উল্টো করে জোরে ফাটাতাম, যার যত বড় গর্ত ওই বাটিতে তৈরি হতো, অপরপক্ষ মাটি দিয়ে থালা তৈরি করে সেই সেই গর্ত পূরণ করত।
এইভাবে যার কাছে শেষ পর্জন্ত বেশি মাটি অবশিষ্ট থাকতো সেই হতো বিজয়ী।
এখন সব খেলায় ঘর বন্দী, আর আধুনিক প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্ত।
শিশু আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে, যেটা হারিয়ে গেছে সেটা হলো শৈশব! এখন শিশুরা পায়ে দাঁড়াতে পারার আগেই হাতে সেল ফোন, কথা থেকে শিখবে প্রকৃতির মাঝে বেড়ে ওঠার মজা?
সব রোবট তৈরি হচ্ছে, কাজেই যান্ত্রিক জীবনযাপনই তারা অভ্যস্ত। আর তার পিছনে দায়ী আমরাই, মানে বাড়ির বড়রা।
খুব ভালো লিখেছেন, এরকম লেখা আরো পড়বার প্রতীক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ দিদি আপনাকে। আমার পোস্টি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনি মাটি নিয়ে যে খেলার কথা বলিছেন আমরাও ছোট বেলায় অনেক খেলেছি। কিন্তু এখন ছোটদের ওই সব খেলার প্রতি কোনো আগ্রহ নাই। তারা এখন সময় পেলে হাতে ফোন নিয় বসে যায় ভিডিও দেখতে। এই জন্য এই খেলা গুলো হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম অঞ্চল থেকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit