শীতকাল আসলেই আমরা খেজুর রস খাওয়ার জন্য অনেক দূরে চলে যাই। আসলে খেজুর রস খাওয়ার মধ্যে অনেক আনন্দ রয়েছে। তাই তো বন্ধুদের সাথে খেজুরের রস খাওয়ার মুহূর্ত গুলো অনেক বেশি ভালো লাগে। আর শীতকাল আসলেই খেজুরের রস চুরি করে খাওয়ার এই স্মৃতিময় গল্পটি আমার মনে পড়ে যায়। তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই গল্পটি শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। আসলে খেজুরের রস চুরি করে খাওয়ার মধ্যে অনেক মজা রয়েছে। তবে এই স্মৃতিময় গল্পটি আমার শীতকাল আসলেই মনে পড়ে যায়।
তো আমরা বন্ধুরা মিলে দুটি খেজুরের গাছ থেকে হাঁড়ি চুরি করে এনে ৫ লিটার খেজুরের রস হয়েছিলো।সেগুলো আমরা খেয়েছিলাম। খাওয়ার পরে সিয়াম বলল যে এই হাঁড়িগুলো গাছে আবারও গাছে বেধে দিয়ে আসবো, পরবর্তীতে আবারো আমরা চুরি করে খেতে পারবো। সিয়াম এর আইডিয়াটি আমাদের পছন্দ হয়েছিল। যার কারণে খেজুরের গাছে আবারও আমরা হাড়ি বেঁধে দিয়ে চলে গেলাম। তো এক সপ্তাহ পরে আবারো আমরা সেই হাঁড়িগুলো পারার জন্য আসলাম। আসলে খেজুরের রস অনেক মিষ্টি ছিল। আর এই খেজুর রস গুলো খেতে আমাদের অনেক বেশি ভালো লেগেছিলো।
তারপরে আমরা আবারও অন্যদিন বন্ধুরা মিলে এই খেজুরের রস চুরি করার জন্য আসলাম। চুরি করতে এসে সিয়ামকে আমরা গাছে উঠিয়ে দিলাম। একটি হাঁড়িপারা হয়েছে এবং অপর হাড়ি পড়ার সময় সিয়াম খেজুরের হাড়িটি কাটতে গিয়ে দড়ি কেটে ফেলেছিলো, আর হাঁড়িটি নিচে পড়ে যায়, তখন অনেক শব্দ হয় আর তখনই কে কে যেন বলে কিছু মানুষ আমাদের দিকে চলে আসতে থাকে, তো আমরা অনেক ভয় পেয়েছিলাম। যার কারণে আমরা তখন রাস্তার মধ্যে দিয়ে দৌড়ে পালাই।
রাতের বেলা আমরা সোজা ফসলের মাঠের মাঝ দিয়ে পালাচ্ছিলাম। এমন সময় আমরা শীতের মধ্যে সরিষা ক্ষেতের মাঝে এসে চুপ করে বসে থাকি। তখন অনেক বড় বড় সরিষার খেয়ে ছিল, আর এই ক্ষেতের মধ্যে আমরা লুকিয়ে থাকি।তখন এলাকার মানুষ কয়েকজন চলে আসে। আসলে এত শীতের মধ্যে গ্রামের মানুষ বেশি বের হয় না। তারা আশেপাশে একটু খোঁজ করে চলে গেল। তারপরে আমরা বন্ধুরা মিলে সেখানে অনেকক্ষণ চুপ করে থাকলাম।
আসলে অনেক ভয় পেয়েছিলাম। যার কারণে এই শীতের কুয়াশার মধ্যে আমরা সরিষা ক্ষেতের মধ্যেই ছিলাম। আসলে অনেক শীত তখন, তখন শীত মনে হচ্ছিল না। কারণ মনের ভিতর অন্যরকম ভয় ছিল। যখন ভয় কেটে গেল তখন অনেক বেশি শীত লাগলো, কারণ কুয়াশা আর সরিষার ক্ষেতের কুয়াশায় পানি টপটপ করে আমাদের গায়ে ওপরে পরতে ছিল। তখন বললাম যে এখন আমাদের অনেক শিক্ষা হয়েছে। আর কখনোই চুরি করবো না, তখন আস্তে আস্তে বাড়ির দিকে যেতে লাগলাম।
আমরা যখন দৌড়ে পালাচ্ছিলাম। তখন সরিষা ক্ষেতে বাঁশ দিয়ে বেড়া ছিল। বাঁশের সাথে আঘাত লেগে পা কেটে যায়। তবে আমরা বন্ধুরা মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম, এরপরে থেকে আর কখনোই চুরি করে কিছু খাব না। এত রিক্স নেব না। যদি আজকে ধরা পড়তাম তাহলে মান সম্মান আর থাকত না। সবাই চোর বলে আমাদের জানতো। তারপরে থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলাম, আর চুরি করবো না। তারপর থেকে আর কখনোই আমরা চুরি করিনি। তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে এই খেজুরের রস চুরি করে খাওয়ার স্মৃতিময় গল্পটি শেয়ার করলাম। আর শীতকাল আসলে গল্পটি যেন আমার চোখের সামনে ভাসে।🖤✨।
ধন্যবাদ সকলকে✨💖
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
ধরণ | রাইটিং ✨ |
মডেল | এম-৩১ |
ক্যাপচার | @alif111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ -রাজশাহী- বাংলাদেশ। |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼
https://twitter.com/AhmedAlif135308/status/1875232596634038449?t=var6nFMM8udh6AQhcYSdWQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit