আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৭/০৯/২০২৪) রোজ: মঙ্গলবার।
💞শুভ সকাল💞
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করি। নাস্তা শেষ করে একটু বিলের দিকে যায়। গিয়ে দেখতে পেলাম পুরা মাঠ পানিতে ভরপুর। এরপর আবার বাসায় আসলাম। সে হাত-পা ধরে রুমে প্রবেশ করে ভাবলাম একটা পোস্ট শেয়ার করা যাক। তাই পোস্ট লিখতে বসলাম।
আমি আজকে আপনাদের মাঝে কি বিষয় পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি তা আপনার টাইটেল দেখে অনুমান করতে পেরেছেন। আসলে কি আর বলব কিভাবে যে দুইটা দিন পার করলাম তার বলতে পারছি না। সত্যিই শনিবারের পর থেকেই এভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এমনকি গত শনিবারে যখন ঘড়িতে ১১টা বাজে ঠিক ওই মুহূর্তে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঐদিন থেকে এই বৃষ্টি শুরু। তবে গত শনিবারে বৃষ্টির তেমন একটা চাপ ছিল না। তবে বাসায় এসে দেখি কারেন্ট নাই। আসলে আমাদের বাংলাদেশের একটা খুবই খারাপ অবস্থায় একটুখানি মেঘ হলেই আর বিদ্যুৎ থাকে না। কেননা এমনিতেই মেঘ হলে মানুষজন দেখে চার্জার লাইটগুলো ফোনগুলো সব চার্জে দেওয়ার জন্য ছুটে পড়ে। তবে একটুখানি মেঘ হলেই যেন বিদ্যুৎ নেই। এটা কিন্তু খুবই খারাপ একটা ব্যাপার। যাইহোক রবিবার থেকেই হল এই একাধারে বৃষ্টি শুরু। গত শনিবারে বৃষ্টি শুরু হলেও বৃষ্টির তেমন একটা চাপ ছিল না। তবে গত রবিবার থেকেই যেভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তাতে সবাই অনেক কষ্টের দিন পার করেছিল। এমনকি এদিকে বৃষ্টির সাথে সাথে ঝড়ও হয়েছিল। আর আকাশ একটু মেঘলো জমলে কিন্তু বিদ্যুৎ আর পাওয়া যায় না। আর ঝড় বৃষ্টি বুঝতে পারছেন তাহলে এই বিদ্যুতের তো আর কোন চিন্তাই নেই। তবে খুবই খারাপ লেগেছিল যে দুইটি দিন এক ভাবে বিদ্যুৎ ছিল না। তারপরেও ফোনটা এখানে ওখান থেকে চার্জ করে নিজের কাজে সক্ষমতা ঠিক রেখেছি।
তবে গত রবিবার থেকে আমি লক্ষ্য করেছিলাম আকাশে মেঘ অনেক কালো হয়ে জমেছিল। এমনকি বৃষ্টি খুবই জোরে জোরে হয়েছিল সেই সাথে ঝড়ও হয়েছিল। এদিকে ঝড়ের কারণে অনেক গাছপালা ভেঙে যায়। এমনকি পরে জানতে পারলাম বিদ্যুতের তারের উপরে নাকি গাছ ভেঙে পড়েছে। এমনিতেই মেঘ হলেই বিদ্যুতের কোন দেখা যায় না আর এখন তো গাছ ভেঙে পড়েছে তাই বিদ্যুতের আর কোন আশাই করা যায় না। তবে ওই যে গত শনিবারে হালকা বৃষ্টি হওয়া থেকে শুরু করেই বিদ্যুতের এমন ঝামেলা শুরু হয়েছে। আসলে একটা বিষয় আমি বুঝতে পারি না সেটা হচ্ছে একটুখানি ম্যাক হলেই কেন বিদ্যুৎ চলে যাবে। তবে গত দুইদিন বিদ্যুৎ নেই সাথে একাধারে বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে। সত্যি খুবই খারাপ পরিস্থিতি। তবে একটা বিষয় হচ্ছে বিদ্যুৎ না থাকলে কিন্তু মানুষ কতটা খারাপ পরিস্থিতিতে পার করে সেটা আমি এই দুইদিনে বুঝতে পেরেছি। এদিকে বিদ্যুতের যেমন সমস্যা এতে করে রাত পার করা কিন্তু খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কেননা রাতের খাবারের সময় অবশ্যই আলোর প্রয়োজন। আর বিদ্যুৎ না থাকলে কিভাবে সেই চার্জার লাইট এ চার্জ দিব কিভাবে বা আলো ধরিয়ে খাবার খাব। সত্যি আজ কয়েক দুইটা দিন খুবই খারাপ ভাবে কাটলো। আবার আরো একটি সমস্যা হয়েছিল সেটা হচ্ছে বৃষ্টির সমস্যা। সারাটা দিন কিন্তু ঘরের মধ্যে থাকা খুবই কষ্টকর একটা ব্যাপার। কিন্তু বৃষ্টি যেভাবে হয়েছিল এতে করে বাহিরে বের হওয়ার মত কোন পরিবেশ ছিল না। এভাবে গত রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত খুবই নাজেহাল অবস্থায় হয়ে গিয়েছিল। আর এদিকে এবার এতটাই বৃষ্টি হয়েছে যে পুরা মাঠ পানিতে সাদা হয়ে গেছে। তবে মাঠের এই দৃশ্য নিয়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করব তাহলে আপনারা বিষয়টা বুঝতে পারবেন ভালো। গত শনিবার যখন গাংনী থেকে বাড়িতে এসেছিলাম ঠিক ওই মুহূর্তে আমার ফোনে চার্জ ছিল 29%। আমি মনে মনে করতেছে বাড়িতে গিয়ে চার্জ দিব। বাসায় এসে দেখি কারেন্ট নাই। সত্যিই খুবই খারাপ লেগেছিল। এভাবে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও কারেন্টের আর দেখা মেলে না। এদিকে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ফোনে যেটুকু চার্জ আছে তা দিয়ে কাজও করতে পারছি না। কেননা আমার ওয়াইফাই আছে যে কারণে আমি আর এক্সট্রা কোন এমবি ক্রয় করি না। তো এভাবে ঐদিন কাজ থেকে বিরত হয়ে গেল। তবে রাত্রিবেলায় দেখে হঠাৎ করে কারেন্ট আসলো। সত্যিই খুব খুশি হয়েছিলাম কারেন্ট দেখে। কিছুক্ষণ পরে আবার দেখি কারেন্ট চলে গেল খুবই খারাপ লেগেছিল তখন। তবে এরপর এক সময় ফোন আমার বন্ধ হয়ে গেল। আমি বিদ্যুতের অপেক্ষায় রয়েছি কখন আসবে ওই মুহূর্তের চার্জ দিয়ে কাজ কমপ্লিট করে নেব। যাই হোক রাত দশটার সময় একবার বিদ্যুৎ আসলো ওই মুহূর্তে চার্জে দিয়ে আমি কিছুটা কাজ কমপ্লিট করলাম। আসলে এভাবে কাজ করার যে কতটা কষ্ট সেটা বুঝতে পারলাম। তাছাড়া বিদ্যুৎবিহীন এই দুইটি দিন পার করতে পেরে বুঝলাম বিদ্যুৎবিহীন কাটানো খুবই কঠিন। তবে যাই হোক আলহামদুলিল্লাহ আজকে রোদ উঠেছে বেশ ভালো লাগছে।
কিন্তু সব মিলিয়ে ঝড়-বৃষ্টি সাথে বিদ্যুৎবিহীন এই দুইটি দিন। যে কিভাবে পার করেছি। সেটা বা সেটার যে ক্ষোভ সেটা সত্যি কখনো ভুলাবার নয়।
টেবিল ০১ | টেবিল ০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে আমাদের এলাকার সময়োপযোগী একটি পোস্ট শেয়ার করেছ ঝড় বৃষ্টি সাথে বিদ্যুৎ বিহীন দুইটি দিন। আসলে আমাদের এলাকায় প্রায় চার দিন বিদ্যুৎ ছিল না সত্যিই কিভাবে দিন পার হয়েছে নিজেও জানিনা। আমাদের এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে এবং অনেক মানুষের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে সত্যি এই বিষয়টা আমার কাছে বেশ খারাপ লেগেছিল। আবারও গতকাল থেকে আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরে এসেছে এটাই আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ বন্ধু সময় উপযোগী একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ বন্ধু এই বৃষ্টির কারণে অনেক মানুষের ফসল নষ্ট হয়েছে। তাছাড়া বিদ্যুৎবিহীন এই দুইটি দিন কিভাবে যে পার করলাম সত্যিই অকল্পনীয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ ছাড়া চলা খুবই কঠিন। বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎহীন দিন কাটিয়েছেন। এরকম পরিবেশে সময় গুলো কাটানো আসলেই কষ্টকর। সবাই বেশ কষ্টে দিনগুলো কাটিয়েছেন নিশ্চয়ই। বিদ্যুৎ না থাকলে সব দিকেই সমস্যা। আপনার অভিজ্ঞতা গুলো শেয়ার করার মাধ্যমে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক বলেছেন আপু ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জীবনের বেশিরভাগ গ্যাজেটসই আজকাল ইলেকট্রনিক। তাই বিদ্যুৎ না থাকাটা খুবই কষ্টের।আপনি কিছু মোমবাতি কিনে রাখুন৷ সারাদিন বৃষ্টি হওয়াটাও খুবই যা তা। সব নিলিয়ে সাবধানে থাকুন৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু এখন সব ঠিকঠাক হয়ে গেছে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit