আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
লেখক পরিচিতি
সফর বইটার লেখক হলেন ইমরান কায়েস। উনি পেশায় একজন ডাক্তার। এবং বাংলাদেশের বাইরে থাকেন। তবে উনি লিখতে অনেক পছন্দ করেন। সফর বইটা উনি উনার মেয়ের উসরার জন্য উৎস্বর্গ করেছেন। এবার বইমেলা তেও উনার একটা বই এসেছে।
--------- | ------- |
---|---|
বইয়ের নাম | সফর |
লেখক | ইমরান কায়েস |
প্রকাশনী | অবসর প্রকাশনী |
প্রথম প্রকাশ | ফেব্রুয়ারি,২০২৩ |
দাম | ৩৬০ টাকা। |
বইয়ের কাহিনী সংক্ষেপ
বাংলাদেশের ঢাকার ছেলে কৌশিক। নিজের জীবনের একটা যন্ত্রণাময় অধ্যায় ভুলতে কলকাতা হয়ে দিল্লিতে ঘুরতে যায়। যদিও তাকে পাঠিয়েছিল তার মামা ব্যবসার কথা বলে। কলকাতা এয়ারপোর্ট থেকে কৌশিক এর পরিচয় হয় রুবিনার সঙ্গে। রুবিনার বাড়ি কলকাতা তেই। সে দিল্লিতে যাচ্ছে একটা সেমিনারে। সে একজন ইতিহাসবীদ। ইতিহাস নিয়ে লেখাপড়া শেষ করে এখন সে গবেষণা করে। পাশাপাশি দিল্লির সুলতানি আমল মোঘল আমল সবকিছু তার জানা। যাইহোক রুবিনার সঙ্গে পরিচয় হওয়াই বেশ ভালো হয় কৌশিকের। রুবিনা কৌশিক কে আমন্ত্রণ জানায় দিল্লিতে তার সবকিছু চেনা জানা সে তাকে সবকিছু ঘুরিয়ে দেখাবে। এবং দিল্লিতে গিয়ে সেই মতোই দুজন একসঙ্গে ঘুরতে থাকে।
রুবিনার স্বামী অর্জুনের সঙ্গেও রুবিনার ঝামেলা চলছিল। অন্যদিকে কৌশিকের বউ মৌ তো কৌশিক কে ছেড়ে চলে যায়। মৌ চলে যাওয়ার সময় কৌশিক কে একেবারে ভেতর থেকে ভেঙে দিয়ে যায়। এরপর দিল্লিতে কৌশিক কে নিয়ে রুবিনা একে একে আজমীর শরীফ দিল্লি জামে মসজিদ সহ বিখ্যাত সব জায়গা ঘুরতে থাকে এবং সেসবের ইতিহাস বলতে থাকে। ওখানে তাদের কাজী সাহেব নামক একজন ভদ্রলোকের সঙ্গে পরিচয় হয়। লোকটা এককথায় অসাধারণ। নিজের কথা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে তার বেশি সময় লাগে না। এরপর রুবিনা এবং কৌশিক যায় দিল্লির তাজমহল দেখতে।
কৌশিক এবং রুবিনার মধ্যে অসাধারণ একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কারণ তাদের দুজনরেই ভাঙা মন। দুজনের জীবনসঙ্গীই তাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে। এরপর রুবিনা কৌশিক কে নিয়ে ঢাকা ফিরে আসে। কারণ তার এক বন্ধুর কবিতার বই বের হওয়ার কথা ছিল। সেখানে দুজন অংশগ্রহণ করে। রুবিনা এবং অন্য সবাই মিলে চলে যায় দার্জিলিংর্জিলিং কাঞ্চনজঙ্গা দেখতে। কৌশিক প্রথমবার এসেছে। কিন্তু রুবিনা এর আগেও এসেছে অনেক বার কিন্তু একবারের জন্যেও কাঞ্চনজঙ্গা দেখার সৌভাগ্য হয়নি। কারণ হয় কুয়াশা না হয় মেঘ বাঁধা দিয়েছে। কিন্তু আজ কাঞ্চনজঙ্গা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। সবাই ফোনের ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলছে। কিন্তু কৌশিক খেয়াল করে দেখে রুবিনার নজর অন্যদিকে। হ্যা হঠাৎ অর্জুন রুবিনার স্বামী এসে হাজির। ওকে দেখে রুবিনার চোখে পানি ছলছল করতে থাকে।
ব্যক্তিগত মতামত
আমার পড়া বই গুলোর মধ্যে এটা অসাধারণ একটা বই ছিল। বিশেষ করে যাদের ভ্রমণকাহিনী পছন্দ তারা বইটা পড়তে পারেন। কারণ লেখক এখানে ইতিহাসবীদ রুবিনার মাধ্যমে ভারতের অনেক ইতিহাস সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছে। যেগুলো আমি নিজেও আগে জানতাম না। তাদের বর্ণনায় মির্জা গালিব, সম্রাট আকবর সহ কয়েকজন সুফী এর ইতিহাস। তাজমহল এর ইতিহাস এগুলো যেন রুবিনার নকদর্পনে। এককথায় অসাধারণ একটা বই এটা।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit