আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বাঙালি বরাবরই সাহিত্য প্রেমি। এইজন্যই যুগে যুগে বাংলা ভাষায় এসেছে নতুন নতুন লেখক নতুন নতুন কবি। ভিন্ন তাদের লেখার ধরণ ভিন্ন তাদের কবিতার ভাষা। কেউ যদি প্রকৃতি কে নিয়ে লিখেছে কেউ লিখেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে। আবার কেউ তুলে ধরেছে সমাজের অন্ধকার দিক টা। আবার কেউ লিখেছে বেকার প্রেমিক যুবকের কথা। কিন্তু সবারই একটা বিষয় এক ছিল তারা ছিল সাহিত্যপ্রেমি। এবং বাংলা ভাষার মানুষ জনগণ সেগুলো খুব ভালোভাবেই নিত। বাংলাদেশ ভাষায় লিখে থাকে এমন লেখক আছে অসংখ্য। এরমধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, মাইকেল মধুসূদন দও, জীবনানন্দ দাস, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এরা অন্যতম। আবার উপন্যাস এর দিকে খেয়াল করলে বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র, হুমায়ুন আহমেদ এরা অন্যতম।
প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে আমাদের দেশে অমর একুশে বইমেলা অনুষ্টিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই। আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে বইমেলার পরিবেশ টা ছিল একেবারে আলাদা। তখন এতশত স্টল ছিল না এতশত পাবলিশার্স ছিল না। কিন্তু যে কজন লেখকের বই বের হতো তারা সবাই বেশ জনপ্রিয় ছিল লেখার মাধ্যমে। তারা বইমেলায় আসতো পাঠকদের সাথে দেখা করত। এবং সারাদিন বইমেলায় বইপ্রেমিদের আনাগোনা লেগেই থাকত। কিন্তু এখন পরিস্থিতি টা একেবারে ভিন্ন। এতশত স্টল বইমেলায় এতশত পাবলিশার্স একেবারে কল্পনার বাইরে। এবং কেউ একটু লিখতে জানলেই একটু পরিচয় থাকলেই তার বই বের হয়ে যায় হা হা। এটা খুবই হাস্যকর। এই বছর বইমেলায় এইরকম কিছু ঘটনা ঘটেছে। আপনারা অবশ্যই দেখেছেন সেটা।
একটা সময় ছিল যখন লেখকরা আগে বই লিখতেন তারপর লেখার মাধ্যমে ফেমাস হতেন। কিন্তু এখন একটা বিষয় এরা আগে স্যোসাল ফেমাস হয় এবং তারপর বই লেখে। বতর্মান সময়ের এইযে মোস্তাক সাহেব এবং তিশার যে বিষয়টা দেখা যাচ্ছে। এটা শুধু এই বছর না প্রতিবছরই চলতে থাকে। কেউ যদি স্যোসাল মিডিয়ায় একটু নজরে আসতে পারে পরের বইমেলায় তার বই থাকে হা হা। আবার হাইপের জন্য দিনশেষে ঐ বইগুলো বেস্ট সেলার তকমা পেয়ে যায়। এতে করে যারা সত্যি প্রফেশনাল লেখক আছেন তাদের একটা ক্ষতি হচ্ছে। না তাদেরও বই বিক্রি হয় কিন্তু এদের আড়ালে চাপা পড়ে থাকে। আর বইমেলায় তো ব্লগার টিকটকার দের ভীড় লেগেই আছে। সেগুলো আর না বলি। আসলে রিসেন্টলি আমি বইমেলা থেকে ঘুরে এসেছি তো। তো সেখানে গিয়ে বইমেলা আমার খুব একটা মনে হয়নি। শুধু দেখি জোড়ায় জোড়ায় ছেলে মেয়ে শাড়ি পাঞ্জাবি পড়ে বসন্ত উৎসব পালন করছে। দেখে অবশ্য আমার একটু হিংসা হচ্ছিল। আবার আফসোস ও হচ্ছিল এই হলো বইমেলার পরিবেশ!!
কয়েকদিন আগে আমার নজরে কলকাতার একজন ব্লগার এর ব্লগ চোখে পড়ে। তো উনি কলকাতা বইমেলা সম্পর্কে বেশ কয়েকজন এর মতামত নিলেন। ওখানের অবস্থা যে ভালো সেটা নিশ্চিত হতে পারলাম না। বইমেলাতে নাকী এখন ফুড স্টলেই বেশি ভীড় থাকে। ঐ ব্লগার কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতা সম্পর্কে। এর মধ্যে অধিকাংশ বললেন পড়েছি,শেষের কবিতা অনেক ভালো একটা কবিতা আমার অনেক পছন্দের। তাহলেই বোঝেন অবস্থা। আর একজন বা দুইজন বলল না ওটা কবিতা না উপন্যাস। এভাবেই চলছে বাঙালির সাহিত্যচর্চা। হয়তো ভবিষ্যতে গিয়ে অবস্থা আরও খারাপ হবে। এই স্যোসাল মিডিয়ার যুগে এসে আর কে বই পড়ে বলেন। সবাই এখন ট্রেন্ড এর পেছনে ছুটতে ব্যস্ত। সবাই শুধু লিংক খোঁজে কেউ আর বই খোঁজে না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। হ্যাঁ ভাইয়া আপনার কথা একদম সঠিক বাঙালিরা হচ্ছে সাহিত্য প্রেমিক। আর বইমেলা অমর একুশেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে হয়ে থাকে খুব বড়সড়ো আকারে মনে হচ্ছে। আপনার পোস্ট দেখে অনেক বিষয়ে জানতে পারলাম। এমনিতেও বইমেলাতে যেতে আমার খুবই ভালো লাগে কারণ সেখানে নতুন নতুন লেখকদের বই পাওয়া যায় এবং সেখানে বই পড়তে বেশ ভালো লাগে।। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টে আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit