"কলার থোরের মুচমুচে পকোড়া রেসিপি"

in hive-129948 •  yesterday  (edited)

নমস্কার

বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।আজ আমি একটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী রেসিপি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।আশা করি রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।

কলার থোরের মুচমুচে পকোড়া রেসিপি:

IMG_20241223_153316.jpg

বেশ অনেকদিন ধরেই জমিয়ে শীত পড়ছে।তার উপরে সকাল হতেই ঘন কুয়াশার দেখা পাওয়া যায়, যতই বেলা বাড়ে ততই যেন কুয়াশা সাদা গাড় রঙের আকার ধারণ করে।আর এই শীতে শুধু ভাজাপোড়া জাতীয় জিনিস খেতে মন চায়।শীতে চায়ের সঙ্গে ভাজাপোড়া খেয়ে যেন আলাদা একটা তৃপ্তি অনুভূত হয়।আসলে এই কলার থোরের পকোড়া আগে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি।এই প্রথমবারের মতো তাই পকোড়া রেসিপি তৈরি করলাম।আমি এখানে আমাদের বাড়ির বিচিকলা গাছের থোর নিয়েছি।যাইহোক এটি তৈরির পর দেখতে যেমন অনেক সুন্দর ও লোভনীয় লাগছিলো তেমনি খেতেও দারুণ মজার হয়েছিল।যদিও এর স্বাদ অনেকটাই টক জাতীয়।আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিটি শুরু করা যাক----

IMG_20241223_153300.jpg

উপকরণসমূহ:

1.কলার থোর- 2 হাত পরিমাণ
2.গরম মসলা গুঁড়া- 1/3 টেবিল চামচ
3.বেসন - 1 কাপ
4.লবণ- 1 টেবিল চামচ
5.হলুদ-1/2 টেবিল চামচ
6.শুকনো মরিচ গুঁড়া-1/2 টেবিল চামচ
7.জিরা গুঁড়া- 1 টেবিল চামচ
8.পাঁচফোড়ন-1/3 টেবিল চামচ
9.পেঁয়াজ কুচি-2 টি
10.কাঁচা মরিচ কুচি-4 টি
11.সাদা তেল-1/2 বাটি

IMG_20241223_144444.jpg

IMG_20241223_144600.jpg

প্রস্তুত-প্রণালী:

ধাপঃ 1

IMG_20241223_144433.jpg
প্রথমে আমি কলার থোর নিয়ে নিলাম।যেটা দেখতে অনেকটা লম্বা বাল্বের মতো মনে হচ্ছিলো।

ধাপঃ 2

IMG_20241223_144509.jpg
এরপর কলার থোরের গা থেকে আশ ছাড়িয়ে ধুয়ে নিলাম ভালোভাবে।তারপর কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ নিয়ে সবগুলো উপকরণ একে একে কুচি করে নিলাম।

ধাপঃ 3

IMG_20241223_144521.jpg
তো আমি এইভাবে কুচি করে নিয়েছি বটির সাহায্যে হাত দিয়ে।

ধাপঃ 4

IMG_20241223_145125.jpg
এখন অল্প পরিমান লবন ও হলুদ কুচি করা থোরের উপর দিয়ে দিলাম।

ধাপঃ 5

IMG_20241223_144824.jpg
এরপর থোরগুলি ভালোভাবে হাত দিয়ে চটকে নেব,যাতে থোরগুলো নরম হয়ে যায়।

ধাপঃ 6

IMG_20241223_144837.jpg
তো আমি থোরগুলি চটকে নিয়েছি এভাবে করে।

ধাপঃ 7

IMG_20241223_144853.jpg
এখন থোরের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।

ধাপঃ 8

IMG_20241223_145137.jpg
এরপর বেসন নিয়ে নিলাম এবং সঙ্গে সমস্ত গুঁড়া মসলার উপকরন নিয়ে মিশিয়ে নিলাম।

ধাপঃ 9

IMG_20241223_145009.jpg
তো আমার থোরের বেটার তৈরি করে নেওয়া হয়ে গেল।

ধাপঃ 10

IMG_20241223_145029.jpg
এখন একটি পরিস্কার কড়াইতে পরিমাণ মতো সাদা তেল দিয়ে গরম করে নিলাম।

ধাপঃ 11

IMG_20241223_145051.jpg
এখন অল্প অল্প বেটার নিয়ে গরম তেলের মধ্যে দিয়ে দিলাম।

ধাপঃ 12

IMG_20241223_145108.jpg
এবারে পকোড়াগুলি নেড়েচেড়ে বাদামি রঙের করে ভেজে নিলাম।

শেষ ধাপঃ

IMG_20241223_153400.jpg
সবশেষে একটি পাত্রে তুলে নিলাম পকোড়াগুলো।তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "কলার থোরের মুচমুচে পকোড়া রেসিপি"

পরিবেশন:

IMG_20241223_153339.jpg

IMG_20241223_153316.jpg

IMG_20241223_153300.jpg
এখন এটি গরম গরম পরিবেশ করতে হবে টমেটোর সস দিয়ে কিংবা এমনি।এটি খেতে খুবই সুস্বাদু ও টেস্টি হয়েছিল।


আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

পোষ্ট বিবরণ:

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PkpkXyXwzmWEkSA7U2PjRr7VoGxjyzQFnZHCkVBWn57JTVUvY7omc512mhJJX...vDZX3Fcaov38Zxjxq21rAE9wN1b8HnrBKZamZjaRXZMJVUcaVKGLWFRFVNG6MXCo9ptvvGTefY61oasZ4TrQFVwMiYWBFUH8ivxFm1LbtvBRqtkowye4ZCeEyk.png

শ্রেণীরেসিপি
ডিভাইসpoco m2
অভিবাদন্তে@green015
লোকেশনবর্ধমান

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif

আমার পরিচয়
আমি রিপা রায়।আমার স্টিমিট ইউজার আইডি @green015.আমি একজন ভারতীয়।আমি বর্ধমান ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি,ইতিহাস বিষয় নিয়ে।বর্তমানে আমি ওখানেই অধ্যয়নরত আছি।এখানে বাংলা ভাষায় মন খুলে লেখালেখি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।এছাড়া আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি।

IMG_20240429_201646.jpg
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

টাস্ক প্রুফ:

GridArt_20241224_062653364.jpg

IMG_20241224_062723.jpg

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে কলার থোরের মুচমুচে পকোড়া রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে আপু। এমনিতেই ইউনিক কোন কিছু তৈরি করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

আহারে দিদি, দুদিন আগে রেসিপি টা দিলে তো আমিও আপনার রেসিপি দেখে বানিয়ে ফেলতে পারতাম। আমাদের তো নিজের গাছ নেই, থোর খাওয়াও হয় নি আগে। বাজারে পেয়ে কদিন আগে কিনে এনেছিলাম। যাই হোক, আজ ভালো করে শিখে রাখলাম, নেক্সট টাইম থোর পেলে এভাবেই পাকোড়া করে খাবো!মাস্ট!

দিদি,শিখে নিলেন।পরের বার অবশ্যই ট্রাই করবেন কেমন!মাংসের মতো স্বাদ পাবেন এমন নিরামিষ রেসিপিতে,ধন্যবাদ আপনাকে।

এটা একটা ইউনিক রেসিপি আমার কাছে।
বেশ ভালো লাগলো আপনার চমৎকার এই রেসিপি দেখে, আশাকরি খেতে সুস্বাদু ছিল। এবার কলার থোর পেলে অবশ্যই এটা তৈরি করে খাবো।
অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার রেসিপি উপহার দেয়ার জন্য।

অবশ্যই তৈরি করবেন ভাইয়া, মাংসের মতো স্বাদ পাবেন এমন নিরামিষ রেসিপিতে।ধন্যবাদ আপনাকে।

কলার থোর দিয়ে কখনও কোন রেসিপি খাওয়া হয়নি। কলার থোর দেখে মনে হচ্ছে একদম কচি ছোট কলা গাছের মাঝখানের অংশ নিয়েছেন। তবে আপনার পাকোড়া দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। একদিন অবশ্যই এই রেসিপি তৈরি করে দেখবো। ধন্যবাদ দিদি মজাদার ও ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

কলা তোর কি সাধারণত আদাবাটা ও ঘি দিয়ে তরকারি রান্না করি। কিন্তু কলা থোড়েও যে এত সুন্দর পকোড়া বানানো যায় এটা আগে কখনো ভাবিনি। বেশ সুন্দর হয়েছে তোমার রেসিপিটা। আশা করি খেতে খুব ভালো হয়েছিল।

অসম্ভব টেস্টি হয়েছিল দিদি,একবার খেয়ে তো পোষায় নি।আবার বানাবো ভাবছি,তুমিও এভাবে বানিয়ে দেখো,ধন্যবাদ।

আজকে আপনি আমাদের মাঝে ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে সত্যি বলতে আমার ও ইউনিক কিছু খেতে এবং তৈরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার পাকোড়া রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজার হয়েছিল।

খুবই ইউনিক ভাবে আপনি এই পকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা পকোড়া দেখে আমার তো অনেক লোভ লেগে গিয়েছে। দেখেই বুঝতে পারছি এই পকোড়া খেতে দারুন লেগেছিল। বিকেল বেলায় গরম গরম পকোড়া খাওয়ার মজাটাই আলাদা হয়।

এই ধরনের বাজি জাতীয় রেসিপিগুলো আমার খুবই পছন্দের । দারুন ছিল কলার থোড়ে দিয়ে খুব সুন্দর করে ভাজি জাতীয় রেসিপি তৈরি করেছেন ।শীতকালীন সময়ে এই ধরনের খাবার গরম গরম খেতে সবচেয়ে বেশি মজা।

বাজি নয় সম্ভবত ভাজি হবে এটা।যাইহোক পরবর্তীতে বানানের প্রতি খেয়াল রাখবেন, ধন্যবাদ আপনাকে ও।

কলার থোর দিয়ে অসাধারণ রেসিপি তৈরি করেছেন। এর আগে কখনো আমি কলার থোরের পকোড়া খাইনি। আপনার কাছ থেকে এই প্রথমে রেসিপি টা দেখতে পেলাম। অনেক ভালো লেগেছে রেসিপিটা ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

কলার থোরের পকোড়া দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। বিকেলের নাস্তায় গরম গরম পকোড়া খাওয়ার মজাই আলাদা। বিশেষ করে শীতকালে পকোড়া খেতে দারুণ লাগে। বেশ ভালো লাগলো রেসিপিটা দেখে। যাইহোক এমন ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

কলার মোচার বড়া খেয়েছি ও কলার থোর ভাজা খেয়েছি কিন্তুু এতো সুস্বাদু কলার থোরের বড়া খাওয়া যায় জানতাম না।ভীষণ সুন্দর হয়েছে আপনার কলার থোরের বড়া গুলো।আমার তো এখনি বানিয়ে খেতে মন চাচ্ছে। ধাপে ধাপে কলার থোরের বড়া তৈরি পদ্ধতি চমৎকার করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় থোরের বড়া রেসিপিটি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

গরম গরম এবং মুচমুচে পকোড়া খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে আপনি তো দেখছি একটু ভিন্নভাবে পকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন। যেটা আমার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে। আর দেখে খেতেও ইচ্ছে করছে। নিশ্চয়ই মজা করে খাওয়া হয়েছিল।

কলার থোরের মুচমুচে পকোড়া রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে। খেতে কেমন হয়েছে তা অবশ্যই জানাবেন।

অসাধারণ আপু আপনি অনেক সময় নিয়ে যত্নের সাথে কলার থোরের মুচমুচে পাকোড়া রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে আমি রীতিমতো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আসলে কলার থোর অনেক ভাবেই খেয়েছি তবে এরকম পাকোড়া তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটা দেখে শিখে নিলাম পরবর্তীতে তৈরি করে খাবো ইনশাআল্লাহ। সবশেষে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এরকম ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

কলার থোরের মুচমুচে পকোড়া আমি কখনো খাইনি বটে, কিন্তু দেখে তো দারুন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। অসাধারণ একটি আনকমন রেসিপি শেয়ার করলে আমাদের সঙ্গে। একদিন বাজার থেকে থোর কিনে এনে এই পকোড়াটা বানিয়ে খেতে হবে।

কলার থোরের মুচমুচে পকোড়া রেসিপি দেখে দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। রেসিপির পরিবেশনটা আমার কাছে দারুন লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।