08-05-2024
২৫ বৈশাখ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে এলাম গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে। আশা করছি আজকের পর্বটিও আশা করছি পড়বেন। আগের পর্বটি না পড়ে থাকলে লিংকে ক্লিক করে আগের পর্বটি পড়ে আসতে পারেন।
১ম পর্বের পর
পাত্রপক্ষের মা একের পর এক মায়াকে প্রশ্ন করে যাচ্ছে! কোথায় পড়াশোনা করেছে? কেমন রেজাল্ট? এক কথায় ছেলের বউটা যথেষ্ট স্মার্ট হওয়া চাই। কারণ ইভান আবার সরকারি চাকরি করে। তার সাথে যোগ্য মেয়েই দরকার! মায়ার চেহারার সাথে পড়াশোনাও ভালো। তবে মায়া কিছু মায়ের স্বভাব পেয়েছে। নিজেকে নিয়ে বেশি উপস্থাপন করা মানুষের সামনে। সেটা তার মায়েরও রয়েছে! মায়ার চেহারাও তার মায়ের মতো সুন্দর। কিন্তু সুন্দর দিয়ে কি হবে! যদি মেয়ের আদব-কায়দা ঠিকঠাক না জানে।
কথা বলার এক ফাকেঁ কাজল এসে হাজির! হাতে ফল ও শরবতের ট্রে! শ্যামবর্ণের মেয়েটি সবার সামনে আসতেই জোবায়দা বেগম যেন রাগে টগবগ করছিল! করারই কারণ! তার আগের বিয়েটাও কাজলের জন্য ভেঙেছে! পাত্রপক্ষ এসে কাজলের মাঝে কি পায় জোবায়দা বেগম বুঝে না! এমন খ্যাতমার্কা মেয়েকেই কেন পছন্দ করে! এবার আগে থেকেই সতর্ক করে রেখেছিল কাজলকে। সে যেন মেহমানদের সামনে না যায়! কাজলের সৎ না কিছুটা রাগে বলে উঠল -
তুই কেন ট্রে নিয়ে এসেছিস? আমি না বললাম রহিমা যেন নিয়ে আসে!
মামনি, রহিমার শরীরটা ভালো নেই। কয়েকবার বমি করেছে। তাই আমি নিয়ে এসেছি!
হয়েছে এবার! তুই ট্রে রেখে এখান থেকে যা! বাথরুমে এক বালতি কাপড় রাখা আছে সেগুলে গিয়ে ধুয়ে ফেল!
আচ্ছা মামনি, আমি যাচ্ছি।
এই বলেই কাজল টেবলের উপরে ট্রে রাখলো। ঠিক তখন ইভানের চোখে চোখ পরলো! ইভান যেন শ্যামবর্ণের মায়ার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল!
ইভান মনে মনে ভাবছে! যে মেয়ে কাজের মহিলাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে সে নিশ্চয় ভালো মনের একজন মানুষ! যে করেই হোক মেয়েটির সাথে কথা বলতে হবে। কিন্তু কিভাবে কথা বলবে সেটাই বুঝতে পারছে না ইভান!
কাজল ট্রে রেখে সোজা চলে যায় বাথরুমে। মা মারা যাওয়ার পর সৎমা তাকে গাধার মতো খাটায়। কিন্তু কাজল সব মুখ বুজে সহ্য করে যাচ্ছে। কাজলের বাবা রফিক সাহেব কাজলের কষ্টটা বুঝতে পারে। এজন্য কাজলকে আবার রফিক সাহেব বেশি আদর করে, ভালোবাসে!
কাজল চলে যেতেই জোবায়দা বেগম পাত্রপক্ষের মায়ের সাথে আবার কথোপকথন এ ফিরে গেল। মেয়ে তাদের পছন্দ হয়েছে কি না! ইভানের ছোট বোন কিছুটা চালাক! সে এমন মেয়েকে তার ভাইয়ের বউ বানাতে চাই না! যে কি না রান্না করতে পারে না! রান্না করতে পারে, সবকিছু ঘুছিয়ে রাখতে পারে এমন মেয়েকেই বিয়ে করাবে তার ভাইকে! ইভানের মায়ের আবার মায়াকে পছন্দ হয়েছে। তার ছেলের বউ করাতে তার কোনো আপত্তি নেই! তখন রিমি হঠাৎ করেই বলে উঠল-
আমার ভাইয়ার বউ তো যে কেউ হতে পারে না! আমি চাই আমার ভাইয়ার বউ এমন হোক যে কি না সব কাজে এক্সপার্ট হবে। ভাবী যে ভালো রান্না পারে তার প্রমাণস্বরূপ একটা পরীক্ষা হোক!
চুপ করে রিমি! মেয়ে দেখতে এসে এ কেমন পরীক্ষার কথা বললি?
অপর পাশে থেকে ইভান বলে উঠল, রিমি ঠিকই বলেছে মা। আজকাল মেয়েরা রান্না করতে পারে না। আর রান্না পারে না এমন মেয়েকে আমি বিয়ে করতে পারবো না!
নিমিষেই যেন জোবায়দা বেগমের মুখটা মলিন হয়ে গেল! ইভানের কথাটা জোবায়দা বেগমের গায়ে লাগলো! তৎক্ষণাৎ জোবায়দা বেগম বলে উঠল -
- কি বলছো বাবা! সামনে যা দেখছো সব আমার মেয়ের হাতে রান্না করা!
দরজায় দাঁড়িয়েছিল কাজল! কি করে তার মা এতো বড় মিথ্যা কথা বলে। কাজল সবকিছুই নিজের হাতে রান্না করেছে। মায়া রান্না করতে পারে না। শেখার চেষ্টাও করেনি কোনোদিন।
চলবে,,,,
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit