"হ্যালো",
দীর্ঘদিন পর নানু বাড়িতে দুদিনের জন্য গিয়েছিলাম। মনে হয় দীর্ঘ ছয় বছর পর আমি আমার নানু বাড়িতে রাত কাটিয়েছি। অনেকে হয়তো ভাবছেন এই ছয় বছর কি আমি একবারও যায়নি নানুবাড়িতে। হ্যাঁ গিয়েছি তবে কিছু সময়ের জন্য।ছেলেবেলায় শীতকাল শুরু হলেই স্কুল ছুটি দিলে নানু বাড়িতে যেতাম। ১০ দিন ১৫ দিন করে থাকতাম। কত যে মজা করতাম সেটা এখন শুধুই স্মৃতি। বিয়ের পর সেভাবে কখনো নানু বাড়িতে গিয়ে রাত কাটানো হয়নি। গিয়েছে কয়েক ঘণ্টা থেকে সময় কাটিয়ে আবার চলে এসেছি। তবে এবার প্রথম থেকেই ইচ্ছে ছিল নানু বাড়িতে গিয়ে রাত কাটাবো। আসলে মেয়েদের জীবনটাই মনে হয় এমন নিজের সংসার সামলাতে সামলাতে কত কিছু বিসর্জন দিতে হয়।
নানুর হাতের গরম গরম পিঠা সে যে কি মজা। যাইহোক এবার নানু বাড়ি থেকে দাওয়াত করা হয়েছিল গ্রামে মাহফিল হচ্ছে এবং শীতের পিঠাপুলি খাওয়ার। যদিও বৃহস্পতিবারে যাওয়ার কথা ছিল নানু বাড়িতে কিন্তু হ্যাংআউটের কারণে আপনাদের ভাইয়া যেতে পারেনি।তাই শুক্রবার দুপুরবেলায় আমি আর আপনাদের চলে গিয়েছিলাম নানু বাড়িতে।গিয়ে দেখলাম সবাই মিলে মাটির চুলায় রান্না করছেন। আমার নানু বাড়ি কিন্তু পুরোটাই মাটির তৈরি দোতলা বাড়ি। বাড়িতে মাটির সিড়িও আছে। গিয়ে আমরা রোদে বসলাম। প্রচন্ড ঠান্ডা ছিল কয়েকদিন পর মনে হয় রোদ উঠেছিল। পাশেই মাটির চুলায় গরম গরম তেল পিঠা ভাজা হচ্ছিল।
প্রথমে আমরা কিছু তেল পিঠা খেয়ে নিলাম। আমার খালা মনিরা খালাতো ভাই বোন সবাই চলে এসেছিল। আপনাদের ভাইয়া অবশ্য দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করে বাসায় চলে এসেছিল। আসলে সেখানে আমি এতগুলো সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছি যা একটি পর্বে শেয়ার করা সম্ভব নয় তাই আমি পর্ব আকারে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব। যাইহোক এরপর দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে আপনাদের ভাইয়াকে বিদায় দিয়ে আমি আমার মতো করে সময় কাটাতে শুরু করেছিলাম। সেগুলো পরের পর্বে শেয়ার করার চেষ্টা করব। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/HiraHabiba67428/status/1868352695477882929?t=4pFHChtZ7zX9u6vFHWNJZA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই মেয়েদের জন্য বিয়ের আগের জীবন আর বিয়ের পরের জীবনের কত কত পার্থক্য যে আসে!! যাই হোক, মাটির দোতলা বাড়ির কথা শুনে বেশ আগ্রহ হলো। পরের বার গেলে ভিডিও করে আনবেন আপু। আমার মতো আরো অনেকেই প্রথমবারের মতোন দেখবেন...
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অবশ্যই আপু পরের বার নানু বাড়ি গেলে আপনাদের জন্য সুন্দর একটি ভিডিওগ্রাফি করে আনবো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাই ঠিক বলেছেন এই সময় যাওয়া আর ছোট্টবেলার যাওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য। এখন গেলেই তাড়াতাড়ি চলে আসার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ি। ছোট্টবেলার নানুর বাড়ি যাওয়ার কথা শুনলেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে যেতাম। কি যে মজা আসলেই ছোট্টবেলার অনুভূতিটাই বেস্ট ।ভালো লাগলো অনেক দিন পর গিয়েছেন। এরকম মাঝে মাঝে যাওয়া উচিত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চেষ্টা তো করি ভাইয়া মাঝেমধ্যে যাওয়ার। তবে সংসার সামলিয়ে আর যাওয়া হয়ে ওঠে না। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি ছোটবেলার দিনগুলো অনেক বেশি ভালো ছিল। শীতের ছুটি হলেই দাদু বাড়িতে কিংবা নানু বাড়িতে চলে যেতাম। আর অনেক আনন্দ করা হতো। সময়ের সাথে সাথে দিনগুলো হারিয়ে গেছে। আপু আপনি আপনার নানু বাড়িতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সেদিনগুলো অনেক মজার ছিল এবং মধুর ছিল। এখন সেগুলো শুধুই স্মৃতি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit