বিয়ের সাত বছর পর প্রথমবার শশুরের পৈতৃক ভিটায়

in hive-129948 •  2 days ago 

হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। কখনো কল্পনা করতে পারিনি যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে। যেহেতু আপনাদের সাথে আমার দৈনন্দিন সব ঘটনাই শেয়ার করি তাই এ বিষয়টা শেয়ার করলাম। আমরা অনেকে হয়তো ইতিমধ্যে জানেন যে আমি আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে আলাদা থাকি। অনেকে ভাবতে পারেন হয়তো খারাপ সম্পর্ক তা না আসলে সম্পর্কটা যাতে ভালো থাকে সেজন্যই থাকি। হঠাৎ করে আমাদের পরিবারে বেশ কিছু ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে। সেটা হচ্ছে আপনাদের ভাইয়ার পৈতৃক কিছু সম্পত্তি নিয়ে।

1000026358.jpg

আমাদের গ্রামের বাড়ি আসলে দুটো। একটা হচ্ছে আমার দাদা শ্বশুরের জন্মস্থান। এবং আরেকটি হচ্ছে উনার চাকরি সুবাধে চলে গিয়ে অন্য একটা গ্রামে গিয়ে জায়গা কিনে বাড়ি করা। এরপর চাকরি শেষ হওয়া ছেলে মেয়ে বড় হওয়া কখনো আর উনি উনার আগের গ্রামে ফেরত যাননি।সেখানে ওনার বাড়ি সম্পত্তি সবই আছে। যেগুলো উনি মাঝে মধ্যে গিয়ে দেখাশোনা করতেন। এবং অংশসূত্রে সেগুলো আমার শশুর এবং তার ভাই বোনরা পেয়েছেন। যেহেতু ওনারা সবাই ছোটখাটো চাকরি করেন তাই কখনো সেভাবে চাষাবাদের দিকে নজর দেননি।

1000026348.jpg

1000026356.jpg

1000026349.jpg

কিন্তু গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত তাদেরকে ঠকিয়ে গেছেন। এটা তারা বেশ কিছুদিন হলো বুঝতে পেরেছে। এরপরই আসলে সবাই একটু নড়েচড়ে বসেছে আর কি। যাইহোক বিয়ের পর কখনো আপনাদের ভাইয়াকে সেখানে যেতে দেখিনি। আজ প্রথমবার আমি তার সাথে সেই গ্রামে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমার চোখ রীতিমতো ছানাবড়া। কেননা সেখানে বাড়ি আছে বাড়ির জায়গা আছে জমি আছে অথচ থাকার কোন মানুষ নেই। আর সেগুলো গ্রামের অন্যান্য লোকেরা নিজেদের মতো করে ব্যবহার করছেন। হয়তো বিশ্বাস করবেন না আমরা যখন গিয়েছিলাম বুঝতে পারিনি আমরা নিজেদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তাদের এত বাজে ব্যবহার ছিল।

1000026354.jpg

1000026355.jpg

1000026353.jpg

যাইহোক ওখানকার এক ভদ্রলোক আমাদেরকে জমিগুলো ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন। জমি বেশ ভালো এবং ফসল খুব ভালো হয়। তারা কথাটা গায়ের জোর খাটায় ভাবতে অবাক লাগছে। কিছু লোককে জমি চাষ করতে নিষেধ করা হয়েছিল তারপরও তারা গায়ের জোরে জমিতে ফসল লাগিয়েছেন। যাইহোক পারিবারিক অনেক ঝামেলা চলছে। জানিনা কবে এসব ঠিকঠাক হবে। তবে দ্রুত একটা সমাধান হওয়া দরকার। নিজেদের জমি তো আর এভাবে ছেড়ে দেওয়া যায় না। যতই হোক আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ আছে এর সাথে জড়িয়ে। আপনারা সবাই দোয়া রাখবেন যেন তাড়াতাড়ি সব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারি। ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

1000000117.png

1000000119.gif

1000000118.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু যারা যত পায় ততোই চাই। তবে অনেক ঝামেলা আছে জমিজমা নিয়ে। যাইহোক আপনাদের ঝামেলা যেন তাড়াতাড়ি মিটে যায় সেই দোয়া করি ধন্যবাদ আপু পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

জীবনে যদি কোন বড় সমস্যা থাকে সেটা হলো জমিজমার সমস্যা। যেটা কখনোই মিটমাট হয় না। এই সমস্যাগুলো সব সময় লেগেই থাকে। ভাইয়ার পোস্টে অবশ্য পড়েছিলাম তার বাবার সম্পত্তি নিয়ে বেশ ঝামেলায় আছেন। এখন আবার আপনার পোষ্টের মাধ্যমে পড়তে পারলাম। সাত বছর পর আপনি আপনার শ্বশুরবাড়ির এই পুরনো বাড়িতে গিয়েছেন সেটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু।

বিয়ের সাত বছর পর আজ প্রথমবার আপনার শ্বশুরের পৈতৃক ভিটাই গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। জমিজমা নিয়ে ঝামেলায় থাকে মনে শান্তি থাকে না। এই জমিজমার ঝামেলা যা সহজে মিটমাট হয় না। গায়ের জোরে মানুষ অন্যের জমি এভাবে ছিনিয়ে নেয় জেনে অবাক লাগছে। যাইহোক আপু, আপনাদের সমস্যা তাড়াতাড়ি মিটে যাক। দারুন ভাবে পোস্ট সাজিয়েছেন পড়ে ভালো লাগলো।