আলুর পাপড় রোদে শুকাতে দেওয়ার মুহূর্ত

in hive-129948 •  12 days ago  (edited)

হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি পোস্টে স্বাগতম।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আলুর পাপড় রোদে দেওয়ার মুহূর্ত। এই সময়টাতে প্রত্যেকটা বাসায় আলুর চিপস বা পাপড় বানানো হয়ে থাকে। বিশেষ করে গ্রামের প্রত্যেকটা বাড়িতেই এই সময় প্রচুর আলুর পাপড় বানানো হয়। যেহেতু এখন রমজান মাস ঘুম থেকে উঠতে অনেকটাই দেরি হয়। কিন্তু গতকাল মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙলো। কিছুতে উঠতে ইচ্ছে করছিল না তারপরও উঠতে হল।

উঠে দেখলাম আমার মা, পাশের বাসার এক ভাবি এবং আরেক বাসার চাচি মিলে অনেকগুলো আলুর পাপড় তৈরি করেছে। এবার ছাদে উঠে সেগুলোকে রোদে দিতে হবে। প্রচুর রোদ ছিল আমিতো চোখই খুলতে পারছিলাম না রোদে। ঘুম ঘুম চোখেই ছাদে উঠলাম। উঠে সবাই মিলে বসে পড়লাম আলুর পাপড় গুলো রোদে দিতে। আলুর পাপড় অনেকেই অনেকভাবেই তৈরি করে থাকে তবে এভাবেই বেশিরভাগ তৈরি করা হয় গোল গোল করে কেটে। গোল করে আলু কেটে ধুয়ে পরিমাণ মতো লবণ এবং হলুদ গুঁড়া দিয়ে চুলায় হালকা করে ভাপিয়ে নেওয়া হয়।

1000032181.jpg

1000032179.jpg

এরপর পানি ঝরিয়ে সেগুলোকে রোদে দিতে হয় এবং ২-৩ দিনের মত সময় লাগে এই আলুর পাপড় গুলো খাওয়ার উপযোগী হতে। এই আলুর পাপড় গুলো আমার তো ভীষণ পছন্দের। আর আমার ছেলের কথা নতুন করে কি বলবো ও পাপড় খেতে বরাবরই পছন্দ করে। মা চাচিরা সবাই মিলে এই পাপড় গুলো রোদে দিচ্ছিলাম এবং অনেক গল্প করছিলাম। এরপর বেশ কিছু ফটোগ্রাফি নিলাম যাতে করে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি।

1000032173.jpg

1000032171.jpg

1000032172.jpg

আসলে কোন কাজে যদি অভিজ্ঞতা না থাকে সেই কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা থাকে। শররের বাসায় একবার আমি আলুর পাপড় বানাতে গিয়েছিলাম এবং তাতে কোন প্রকার লবণ ব্যবহার করিনি এবং অনেকটা সেদ্ধ করে ফেলেছিলাম তাই শুকাতে অনেক সময় লেগে গিয়েছিল। আর লবণ ছাড়া কাপড় গুলোও খেতেও ভালো লাগছিল না। এরপর থেকে আমার মা গ্রাম থেকে পাপড় বানিয়ে শহরে পাঠিয়ে দিতেন আমার কাছে। আর আমি সেগুলো মজা করে খেতাম।

এই আলুর পাপড় গুলোর ডাল ভাতের সাথে খেতেও ভীষণ ভালো লাগে। আমি কিন্তু পাপড় দিয়ে ভাতও খাই। আপনারা কে কে এই আলুর পাপড় খেতে পছন্দ করেন এবং পাপড় দিয়ে কে কে ভাত খেয়েছেন অবশ্যই জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

1000000117.png

1000000119.gif

1000000118.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপনার মা দেখছি সব কাজে অনেক পারদর্শী। সবাই মিলে আলুর পাপড় তৈরি করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। বাসায় তৈরি করা যেকোনো জিনিস খেতে ভালো লাগে।

এটা ঠিক বলেছেন বাসায় তৈরি করা যে কোন খাবার খেতে ভালো লাগে। সকালবেলা উঠে এই মুহূর্ত টা দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছিল আপু। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

আলুর পাপড় খেতে আমিও ভীষণ পছন্দ করি আপু। আর আপনি খুব সুন্দর করে কেটে কেটে পাপড় গুলি তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এগুলিকে আমরা আলুর চিপস বলে থাকি। ঘরে বানানো চিপস করে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। দোকানে কিনলে তো প্রচুর দামে অল্প পরিমাণ কিছু পাওয়া যায়। আপনার তৈরি করা আলুর পাপড় গুলি দেখতে কিন্তু বেশ হয়েছে।

আমাদের গ্রামবাংলায় ঘরে ঘরে এই আলুর চিপস বানানো হয় ভাইয়া। খেতেও ভালো লাগে। দোকানে যেগুলো কিনতে পাওয়া যায় সেগুলোর তো আর বাড়ির মতো স্বাদ হয় না। যাই হোক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

আলুর পাপড় রোদে শুকানোর মুহূর্তটি একটি ঐতিহ্যবাহী এবং স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি।আলুর পাপড় রোদে শুকানোর এই পদ্ধতিটি আমাদের ঐতিহ্যের একটি অংশ। এটি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, বরং প্রিজারভেটিভ ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে সংরক্ষণের একটি দুর্দান্ত উপায়।এই পদ্ধতিটি পরিবেশবান্ধব, কারণ এতে কোনও শক্তির উৎস ব্যবহার করা হয় না। শুধু সূর্যের আলো এবং বাতাসই যথেষ্ট। ধন্যবাদ আপু আপনাকে

এটা ঠিক বলেছেন এটি একটি ঐতিহ্যবাহী মুহূর্ত। গ্রামবাংলার মানুষরা এই ঐতিহ্যগুলোকে এখনো ধরে রেখেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আলুর পাপড়ের কথা শুনেই তো আমার ইচ্ছে করছে এই পাপড় গুলো শুকানোর পর আমি নিয়ে আসি।কারণ আলুর পাপড় খেতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। যদিও তৈরি করার অভিজ্ঞতা নেই।আসলেই অভিজ্ঞতা না থাকলে কোন কাজ সুষ্ঠুভাবে করা যায় না। আপনার মা যেহেতু খুব সুন্দর করে পারে তাহলে তো আপনার ভাগ্য ভালো। আপনি এবং বাবু দুজনেই মজা করে খেতে পারেন।

জ্বি আপু আমার মা অনেক ভালো করে এই চিপস গুলো বানাতে পারে। আমি একবার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পারিনি। এটা ঠিক বলেছেন আমি এবং বাবু দুজনেই অনেক মজা করে খাব। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আমাদের জন্যও পাঠিয়ে দেন আপু।

অবশ্যই পাঠাবো আপু ঠিকানা দিন।❤️

আলুর পাপড় খেতে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে। খিচুড়ি কিংবা ডাল ভাতের সাথে পাপড় খেতে বেশি ভালো লাগে। গ্রামের দিকে এই পাপড়ের প্রচলন বেশি দেখা যায় কিন্তু শহরেও অনেকে আলুর পাপড় তৈরি করে থাকে। আপনারা সবাই মিলে বেশ মজা করে একসাথে আলুর পাপড় দিয়েছেন। চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

হ্যাঁ গ্রামে এই পাপড়ের প্রচলন বেশি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আলুর চিপস এভাবে তৈরি করলে খেতে নাকি দারুণ লাগে। যদিও বাসায় আলুর চিপস কখনো তৈরি করা হয়নি। কিন্তু বাহিরে থেকে আলুর চিপস কিনে মাঝেমধ্যে খাওয়া হয়। যাইহোক দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আমরা এই পাপড় অনেকটা বানিয়ে সারাবছর খেয়ে থাকি ভাইয়া।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।