মায়ের মতো আপন কেউ নাই❤️

in hive-129948 •  13 days ago 

1000001046.jpg
সোর্স

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। পৃথিবীতে যতই সুন্দর জায়গা থাক শান্তির জায়গা থাক মায়ের কাছে আলাদা শান্তি পাওয়া যায়। যার মা বেঁচে আছে তার দাদা বাড়ি বলেন নানা বাড়িতে বলেন সব জায়গাতেই ভালোবাসা থাকে। আর যাদের নেই তাদের ভালোবাসা তো দূরের কথা খোঁজ নেওয়ার মতো কেউ থাকেনা। আজ ছোট্ট একটি বাস্তব ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। মায়ের কাছে সকল আবদার করা যায়। মা থাকলে হাজারো বায়না করা যায় মায়ের কাছে। সারা দুনিয়া ঘুরে এসে যদি মাকে একবার মা বলে ডাকা যায় হাসি মুখ দেখা যায় তাহলে মায়ের আমার মনে হয় না একটা সন্তানের জন্য আর কিছুর প্রয়োজন আছে।

আমার পাশের বাসায় এক মহিলা ছিলেন তার তিনটা মেয়ে সন্তান। একটা সময় ওই মহিলা আর স্বামীর সাথে একটু ঝগড়া করে তিন মেয়েকে রেখে চলে গিয়েছিল বাবার বাড়িতে। বড় মেয়েটার বয়স ১৫ হবে। মেজ মেয়ের বয়স ১০। আর ছোট মেয়েটার বয়স ৪ বছর। অনেক বোঝানোর পরও মহিলা কিছুতেই আসতে রাজি নয় স্বামীর বাড়িতে। বড় মেয়েটা তখন স্কুলে পড়ে মেজো মেয়েটা প্রাইমারিতে পড়ে। আর ছোট মেয়েটা একদমই ছোট।মা চলে যাওয়াতে বড় মেয়েটার স্কুলে পড়াশোনা বন্ধ হয়। কারণ সে যদি স্কুলে যায় তাহলে রান্নাবান্না কে করবে। ছোট বোনদের কে দেখবে। বাবা বাড়িতে খুব কম থাকে।

যাইহোক মাস ছয়েক কেটে যায়। আমরা পাশে থেকে দেখেছি এই মেয়ে গুলো কতটা কষ্ট। আশেপাশের সবাই কত কটু কথা শোনায়।মেয়ে গুলোর মুখে হাসি নেই। এরমধ্যে হঠাৎ একদিন ছোট মেয়েটা বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ে। মায়ের মন আর কিছুতেই থাকতে পারেনি চলে এসেছে মেয়েদের কাছে। মাকে কাছে পেয়ে মেয়েগুলো যে কতটা খুশি হয়েছে সেটা হয়তো আমি বলে বোঝাতে পারবো না। যেদিন থেকে মা এসেছে তার পর দিন থেকে মেয়েগুলো স্কুলে যাচ্ছে। তারা আবার পুনরায় পড়াশোনায় মনোযোগী হয়েছে। বিষয়টা আমার দেখে বেশ ভালো লেগেছে।

একটা সন্তানের কাছে মায়ের যে কতটা গুরুত্ব সেটা জানি বুঝি তবে আরো ভালোভাবে বুঝেছি এই মেয়েগুলোর কষ্ট দেখে।যাইহোক তাদের এই সুখগুলো অমলিন থাক। তাদের মুখের হাসি গুলো যেন কখনো না ফুরায়।চাচী ফুফু খালা যতই আদর করুক না কেন মায়ের মতো ভালোবাসা কেউ দিতে পারবে না। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মা এবং সকল সন্তানরা তার মাকে সম্মান করুক।সবাই ভাল থাকবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারো নতুন কোনো বিষয় নিয়ে। ধন্যবাদ সবাইকে।

1000000117.png

1000000118.png

1000000119.gif

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এই পৃথিবীতে মা আমাদের সবচেয়ে বেশি আপন মানুষ। মা ছাড়া আপন বলতে কেউ নেই। তিনি সবসময় আমাদের বিপদে পাশে দাঁড়ান। আপু আপনি খুবই চমৎকার ভাবে কথাগুলো উপস্থাপন করেছেন। অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

জ্বী ভাইয়া মায়ের মতন আপন কেউ নাই। বিপদে আমরা কাউকে পাশে পাই বা না পাই মাকে সবসময়ই পাশে পাই। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

image.png

একদম ঠিক কথা বলেছেন আপনি। মায়ের মত আপন কেউ নেই দুনিয়ায়। একমাত্র মা সেই জিনিস যে সকল দুঃখ কষ্ট ভুলে ছেলের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করে। খুব ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই লেখাগুলো পড়ে।

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

প্রথমে তাদের মা তাদের বাবার সাথে ঝগড়া করে চলে যায়।এই কারণে বড় মেয়ের পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যায়।কিন্তু ছোট মেয়েটা ভীষণ ছোট ছিল তার মাকে ছেড়ে কষ্ট হচ্ছিল।এরপর একদিন ছোট মেয়ের অসুস্থের কথা শুনে তাদের মা চলে আসে এটা শুনে ভালো লাগলো। আসলে মায়েদের মন এমনি হয়।সন্তনের কষ্ট হলে মা আগে ছুটে আসে।আর মায়ের মত আপন কেউ কখনও হয় না।ধন্যবাদ আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

অবশেষে তাদের মা ফিরে এসেছে এটাই অনেক আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আসলে এই পৃথিবীতে আপনি যত মানুষকে দেখতে পাবেন না কেন সব মানুষের মধ্যে স্বার্থ এবং হিংসা থাকলেও মায়ের মধ্যে কিন্তু এর দুটো কোনটাই থাকে না। আসলে আপনি মাকে নিয়ে যেসব কথা বলেছেন তার সব কথাগুলোই কিন্তু সঠিক। আসলে এই পৃথিবীতে আমরা আমাদের মাকে পেয়ে সত্যিই নিজেদেরকে ভাগ্যবান মনে করি।

আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো দাদা। ধন্যবাদ।

সত্যি ই আপু মায়ের মতো আপন কেউ হয় না।মা কিন্তু মা ই।মায়ের মন বলে কথা।এজন্য ই কুরআনে বলা হয়েছে, "মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেশত।" আশাকরি আপনাদের পাশের বাসার ওই পরিবারটি সুখে-দুঃখে একই সাথে কাটাবে।কোন সন্তান যেন মা হারা না হয়।

হ্যাঁ আপু আমার পাশের বাসার ওই পরিবার এখন সুখে আছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন। আপনার কথা আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। দুনিয়াতে মা ছাড়া এত আপন কেউ নেই। একমাত্র মা বুঝে সন্তানের ভালো মন্দ বিষয়গুলো। আপনি খুব সাজিয়ে গুছিয়ে বিস্তারিত বর্ণনার সাথে উপস্থাপন করেছেন পরে ভালো লেগেছে আমার।

জ্বী আপু একমাত্র মা সন্তানের ভালো-মন্দের দিকগুলো বুঝে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

আমরা এই স্বার্থের পৃথিবীতে মা ছাড়া আর দ্বিতীয় কাউকে কখনোই খুঁজে পাবো না।মা আমাদের কে সব সময় বিনা স্বার্থে আগলে রাখেন। আপনি একজন মায়ের গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা গল্প টি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে মা কখনোই নিজের সন্তানদের কে দুরে সরিয়ে দেন না।

খুব সুন্দর একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করলেন আপু পড়ে খুব ভালো লেগেছে। আসলে পৃথিবীতে মায়ের মত কেউ হয় না। অথচ মা তিনজন মেয়েকে রেখে চলে গিয়েছিল। কিন্তু মেয়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে আবার চলে আসলো শুনে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি শেয়ার করার জন্য।

আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

বাবা-মায়ের ঝগড়ার কারণে একসময় সন্তানদেরকেই অনেক কষ্টে থাকা লাগে। ওই মহিলাটা নিজের তিনটা মেয়েকে রেখে চলে গিয়েছিলেন বাবার বাড়িতে। এর ফলে ওনার সন্তানদের অনেক বেশি কষ্টে থাকা লেগেছে। একসময় তিনি আবারও ফিরে এসেছিলেন, এটা শুনে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। আসলে মায়ের মত আপন কখনো কেউ হতে পারে না। মায়ের ভালোবাসার মতো কেউ ভালবাসতে পারে না। অনেক সুন্দর করে লিখেছেন আপু বাস্তবিক বিষয়টা নিয়ে এই পোস্ট।

আত্মীয়স্বজন যতই ভালবাসুক মায়ের ভালোবাসার মতো কেউ ভালবাসতে পারবে না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

আসলেই আপু মায়ের মতো আপন কেউ নেই এবং এটা একেবারে সত্যি কথা। যাইহোক সেই মেয়েগুলোর মা শেষ পর্যন্ত বাসায় ফিরে এসেছে,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। এতে করে তাদের মুখে হাসি ফিরে এসেছে এবং সবকিছু স্বাভাবিক হয়েছে। সন্তানের অসুস্থতার কথা শুনলে প্রতিটি মা অস্থির হয়ে যায়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ঠিক ভাইয়া অবশেষে তাদের মা ফিরে এসেছিল দেখে বেশ ভালো লেগেছিল। সন্তানেরা খুব খুশি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।