আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বেশ কয়েকটি মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি। যার মধ্যে কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমার রান্না করা এবং কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি বাহিরে রেস্টুরেন্ট থেকে করা। আমি রান্না করতে যেমন ভালোবাসি তেমন খেতেও ভালোবাসি। মজার মজার খাবার চোখের সামনে থাকলে লোভ ধরে রাখতে পারি না। আমার চাইনিস আইটেমগুলো খেতে খুব একটা ভালো লাগে না। বাঙালি যে কোনো রান্না খেতে বেশ ভালো লাগে। তো চলুন খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করি। আশা করছি ভাল লাগবে।

ফটোগ্রাফি-১

প্রথমে যে খাবারটি শেয়ার করছি সেটি হচ্ছে মাটন বিরিয়ানি। আমরা যতই ডায়েট করি না কেন এই খাবারটি চোখের সামনে থাকলে নিজেকে ধরে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে। এই খাবারের ফটোগ্রাফিটি রেস্টুরেন্ট থেকে করা। আমরা কিছুদিন আগে শহরে গিয়েছিলাম প্রয়োজনীয় কাজে আর কাজ শেষে আমরা খেতে গিয়েছিলাম। আমাদের শহরে এই প্রথম কোন ভালো বিরিয়ানি খেলাম বেশ ভালো ছিল খেতে।

ফটোগ্রাফি-২

ওই যে বললাম আমার সবচেয়ে বাঙালি রান্না গুলো খেতে বেশ ভালো লাগে। আমরা সচরাচর যে রান্না গুলো সব সময় বাসায় করে থাকি সেই খাবারগুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে খেতে। এই হচ্ছে ছোট মাছের চচ্চড়ি। কিছুদিন আগে শহরে যখন কাজে গিয়েছিলাম তখন আমরা খেতে গিয়েছিলাম আর আপনাদের ভাইয়া খেয়েছিল বিরিয়ানি। যেহেতু আমি অসুস্থ ছিলাম তাই আমি বিরিয়ানি না নিয়ে ভাত নিয়েছিলাম। আর সাথে ছিল ছোট মাছ চচ্চড়ি, সবজি, ডাল এবং রুই মাছ ভুনা। সব খাবারগুলোই বেশ মজা ছিল। তবে ছোট মাছ খেতে বেশি সুস্বাদু ছিল।

ফটোগ্রাফি-৩

গত দুদিন আগে বাসায় রাতে ছোট মাছ ভাজা করা হয়েছিল। এটা ছিল মৌরালা মাছ। এই মাছ আলাদা করে ভেজে সাথে একটু পেঁয়াজ ভেজে একসাথে মিশিয়ে গরম ভাতের সাথে খেতে বেশ ভালো লাগে। এই মাছ ভাজা আমার খুব পছন্দের। প্রায় সময় বাসায় রান্না করা হয় খেতে বেশ মজার।

ফটোগ্রাফি-৪

সরষে বাটা দিয়ে যেকোনো বড় মাছ ভুনা করলে সেটা কিন্তু ভীষণ মজার হয়। আর তাছাড়া সরষে বাটা দিয়ে পাবদা মাছ গুলো খুবই ভালো লাগে খেতে। তো এবারে যে খাবারটি শেয়ার করছি সেটি হচ্ছে সরষে বাটা দিয়ে রুই মাছ ভুনা। খেতে ভীষণ মজাদার হয়েছিল। তারই একটা ফটোগ্রাফি আমি করে রেখেছিলাম আর এখন সেটা শেয়ার করছি। আশা করছি ভালো লাগবে।

ফটোগ্রাফি-৫

চিকেনের যেকোনো আইটেম আমার ছেলের ভীষণ পছন্দের। তবে চিকেন বারবিকিউ কিংবা চিকেন ফ্রাই খেতে আমার ছেলে বেশি পছন্দ করে। কিছুদিন আগে আমি বাসায় চিকেন বারবিকিউ এবং লুচি বানিয়ে ছিলাম। ইতিমধ্যে সেই রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আজ তারই একটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি। আমি একদম ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই চিকেন বারবিকিউ বানিয়েছিলাম খেতে বেশ মজার হয়েছিল।

তো বন্ধুরা এই ছিল আমার বেশ কয়েকটি মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন। আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।