মাসকাবারি বাজার করার অভিজ্ঞতা

in hive-129948 •  18 days ago 

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আমি প্রত্যেক মাসের বাজার একেবারে করে ফেলি। মাসের শুরুতেই লিস্ট করে বাজার করি। বিশেষ করে শুকনা বাজার গুলোসহ মাছ-মাংস এসব একেবারে পুরো মাসের জন্য কিনে রাখি।আর সবজি বাজার যখন-যখন প্রয়োজন পড়ে তখন তখন করা হয়। যেহেতু এখন গ্রামে থাকছি তাই বাজারে যাওয়ার আগে সংসারের খুঁটিনাটি সবকিছু দেখে শুনে তারপর লিস্ট করি যাতে করে কোনো কিছু ছেড়ে না যাই। কেননা শহরে প্রত্যেক দিন তো যাওয়া সম্ভব নয়।

1000019463.jpg

যাইহোক এ মাসের শুরুতেও চলে গিয়েছিলাম শহরে বাজার করতে। তো প্রথমেই গিয়েছিলাম মাছ কিনতে যদিও সেখানকার ফটোগ্রাফি করতে পারিনি কেননা মাছ বাজারে খুবই ভিড় থাকে সেখানে মোবাইল ফোন বের করা খুবই কষ্ট এবং রিক্স হয়ে যায়। যাইহোক এরপর চলে গিয়েছিলাম ছেলের জন্য দেশি মুরগি কিনতে।কিন্তু সেখানে গিয়ে তো আমার মাথায় হাত। এত পরিমাণে দাম বেশি চাচ্ছিল আবার সেগুলোকে দেখে কোনোভাবেই মনে হচ্ছিল না এগুলো দেশি মুরগি। মনে হচ্ছিল সোনালী জাতের কিছু ছোট ছোট মুরগিকে দেশি মুরগি বলছে। তাই আমার মা বললেন গ্রাম থেকেই মুরগি কিনে নেবেন। সেখানে দেখছিলাম কিছু পাখি বিক্রি হচ্ছিল। ঘুঘু সহ অন্যান্য জাতের এগুলো নাকি খাওয়া হয়। কবুতরও ছিলো।

1000019462.jpg

1000019460.jpg

1000019461.jpg

1000019465.jpg

যাইহোক ছেলে রোস্ট খেতে ভীষণ পছন্দ করে আর ছেলের বাবাও। তাই মাঝারি সাইজের কিছু সোনালি মুরগি নিলাম। মুরগিগুলো সাইজ করে কেটে এনেছিলাম। আমার মায়ের একটি সেলাই মেশিন আছে উনার খুব শখ সেলাই কাজ করবে। তাই একটি সেলাই মেশিন কিনে দিয়েছি। সেটার গল্প না হয় আরেকদিন শেয়ার করবো। মেশিনের জন্য বেশ কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিলেন আমার মা।

1000019459.jpg

1000019464.jpg

আমরা মেয়েরা যদি এক দরকারে যায় বাজারে তাহলে হাজারটা দরকার সেরে আসি। ঘরের জন্য কিছু কেনাকাটার দরকার ছিল তাই চলে গিয়েছিলাম সেগুলো কিনতে। এরপর প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে সেখান থেকে আসতে মন চাইছিল না। আমার মত প্রত্যেকটা মেয়ের ইমোশন মনে হয় এখানে গিয়ে কাজ করে বেশি।সেগুলো দেখছিলাম আর ভাবছিলাম আমার যখন আবার অনেক টাকা হবে এসে এটা কিনব ওটা কিনব।

1000019469.jpg

যাইহোক এরপর বেশ কয়েক প্রকার শাক এবং গরুর খাবার কিনে একটা অটো রিজার্ভ করে বাসায় চলে আসি।অনেকে হয়তো বিশ্বাস করবে না এই কয়েকটা বাজারে আমার প্রায় ১৪ হাজার টাকার মতো চলে গিয়েছে। পুরো মাসের আরো তো অনেক খরচ বাকি আছে। আসলে দিন দিন সব পন্য যেন হাতের নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে।যদিও সবজির দাম অনেকটাই কম। কিন্তু মাছ মাংস তেল মশলার দাম অনেক বেশি।

যাই হোক এই ছিল আমার মাসকাবারি বাজার করার অভিজ্ঞতা। যা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করছি ভাল লেগেছে। আজ এখানে বিদায় দিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

1000000117.png

1000000119.gif

1000000118.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপু আপনি আজ মাসকাবারি বাজার করার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। সত্যিই আপু সব মেয়েই এক সময় কিছু কিছু জিনিস কিনতে না পেরে পরবর্তীতে কিনবে বলে আশা করে থাকে।সবকিছুর দাম যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সত্যি ই হিমশিম খেতেই হয়।সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

সত্যি আপু আমি মেয়েরা একটা জিনিস কিনলে সাথে আর একটা দেখে রাখি যাতে পরবর্তীতে কিনতে পারি সময় সুযোগ করে। তবে এটা ঠিকই বলেছেন আপু সব কিছুর দাম যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে নিমশিম খেতে হচ্ছে সবাইকে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আসলেই দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশচুম্বী। বাজারে গেলে পকেট ফাঁকা হতে সময় লাগে না। যারা নিয়মিত বাজারে যায়, তারা এটা খুব ভালোভাবে জানে। যাইহোক সবকিছু কেনাকাটা করতে আপনার ১৪,০০০ টাকা চলে গিয়েছে তাহলে। আসলে বর্তমানে একেবারে ছোট পরিবারেরও আমার মনে হয় ২৫/৩০ হাজার টাকা মাসিক খরচ লাগে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।