নমস্কার বন্ধুরা,
১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন হওয়ায় সেদিনটা আমার ছুটিই ছিলো। ছুটি থাকায় তাই সকাল থেকে রামকৃষ্ণ আশ্রমে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে যেতেও আশ্রমে যাওয়ার জন্য খুব একটা উচ্চবাচ্য না দেখায় আমি বেশ অবাকই হলাম। যদিও বিষয়টা তারপর দিন পরিস্কার হলো যখন জানতে পারলাম যে স্বামীজির জন্মদিন বাংলা তারিখ মেনে করা হয়। আর সৌভাগ্যের ব্যাপার বাংলা তিথিতে স্বামীজীর জন্মদিন পড়েছিল ১৪ জানুয়ারি শনিবারে, অর্থাৎ ছুটির দিন।
শনিবার সকাল হতেই তাই রামকৃষ্ণ আশ্রমে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলাম। প্রস্তুতিতে নিতেই হতো কারণ বিগত কদিনে ঠান্ডা ফের জাঁকিয়ে ফিরে এসেছে, যেটা মোটেই অভিপ্রেত ছিল না। মাঝের সপ্তাহ রোদ ওঠায় খুব ভালো কাটলেও শীত ফিরে আসায় আবার জড়োসড়ো হয়ে গেছিলাম, তাই আশ্রমে রওনা হতে হতে সেই দুপুর হয়েই গেল। রামকৃষ্ণ আশ্রমে পৌঁছেই দেখলাম, গোটা আশ্রম প্রাঙ্গণ ভর্তি। আদপে রামকৃষ্ণ আশ্রমে স্কুল খোলাই ছিলো সেই বাচ্চা গুলোই দৌড়ে বেড়াচ্ছে। আসলে ১২ই জানুয়ারি তাদেরও ছুটিই ছিলো কিন্তু স্বামীজির জন্মদিন ১৪ই জানুয়ারি পালন হচ্ছে তাই তাদের স্কুল খোলাই। মাঠের বাচ্চাদের পাশ কাটিয়ে সুযোগ বুঝে মন্দিরে গিয়ে প্রণাম ঠুকে নিলাম। প্রণাম সেরে ফের বাইরে চলে আসলাম কারণ অল্প অল্প রোদের ছটা দেখা যাচ্ছে।
বাইরে আসতেই দেখি ভোগ বিতরণের প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে। বুঝলাম যখন পৌঁছেছি তার অনেক আগেই পুজো শেষ হয়ে গিয়েছে, বাকি ছিলো প্রসাদ দেওয়ার পালা। স্কুলের ছাত্র তাদের বাবা মা নিয়ে অন্যদিনের তুলনায় বেশ ভালোই ভিড় ছিল তাই প্রথম ব্যাচে না বসার স্থির করলাম। তার পরিবর্তে ভোগ হাতে হাতে এগিয়ে দেওয়ায় হাত লাগিয়ে দিলাম। প্রথম ব্যাচে লম্বালম্বি করে চার সারিতে প্রায় আড়াইশো মতো লোক একসাথে বসলেন।
প্রথম ব্যাচের ভোগ দেওয়া শেষ হতেই ভক্ত অনেকটাই কমে গেলো। ভক্তের পরিমাণ কমা দেখে আমিও প্রসাদ নেওয়ার জন্য বসে পড়লাম, তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেলের দিকে এগিয়ে গেছে। যথারীতি শুরুতেই ফল প্রসাদ পেলাম। তারপরে আতপ চালের খিচুড়ি, ব্যাট পাপড় ভাজা আর বাঁধাকপির তরকারি।
প্রসাদ গ্রহণ করার সময় ভেবেছিলাম আমাদের টাই হয়তো শেষ ব্যাচ হবে কিন্তু প্রসাদ গ্রহণ শেষ করে উঠতেই দেখি আরো দু সারি মানুষজন বসে পড়েছেন। আমিও হাত ধুয়ে আবার প্রসাদ এগিয়ে দেওয়ার কাজে হাত লাগিয়ে ফেললাম।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
নমস্কার দাদা,
রামকৃষ্ণ আশ্রমে স্বামীজির জন্মতিথি পালন করার মূহুর্তটা দারুন ছিল ৷ মন্দিরে বেশ ভালোই ভক্ত বৃন্দ ৷ তবে দাদা সত্যি বলতে প্রসাদ আমার অনেক প্রিয় ৷ আর আপনার পাতে দেখে ইচ্ছে করছে এই ভোক প্রসাদ খিচুড়ি খেতে ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
স্কুল চলার কারনে আরো বেশি ভক্তরা ছিলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আশা করি দাদা ভালো আছেন? রামকৃষ্ণ আশ্রমে স্বামীজির জন্মতিথি পালনে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। সকলে এত সুন্দর ভাবে প্রসাদ খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্ত ভাগাভাগি করার অনুভূতি সত্যি খুবই অন্যরকম হয়ে থাকে। রামকৃষ্ণ আশ্রমে স্বামীজির জন্মতিথি পালনে এত চমৎকার কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ।ভালো থাকবেন দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আজিম ভাই 🥰
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
স্বামীজীর জন্মদিন যে তৃতীয় অনুযায়ী পালন হয় এটা আমার সত্যিই জানা ছিল না । তবে তুমি দেখছি বেশ সুন্দরভাবে নিজের মতো করে দিনটা কাটিয়েছো। এরকম শীতের দুপুরে খিচুড়ি প্রসাদের স্বাদটাই সম্পূর্ণ অন্যরকম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আশ্রমে ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী পালন হয়না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit