এক্সপো মেলায় ঘোরাঘুরি (অন্তিম পর্ব)

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার,

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা ভালো আছেন। ইশ্বরের কৃপায় আমি ভালো আছি।

মেলা ভ্রমণের শেষ পর্বে চলে যাবো আমার সবচেয়ে পছন্দের জায়গা গুলিতে। কেন পছন্দের আপনারা ব্লগটির শেষ পর্যন্ত পড়লেই ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। খুব বেশি হেঁয়ালি না করে আপনাদের বলেই ফেলি, মেলা ভ্রমণের অন্তিম পর্বে আমি আপনাদের সামনে ভাগ করে নেবো মেলায় আসা বিভিন্ন ধরনের খাওয়া-দাওয়া। মেলায় যাওয়ার আমার মূল উদ্দেশ্য।

PXL_20221225_174425178_copy_1035x739.jpeg

মেলার প্রথম দোকান ছিল জিলিপির। আদপে মেলা মানেই জিলাপি। তবে সাধারণত মেলায় যেসব জিলাপি পাওয়া যায় সেটা হয় বেশ মোটা এবং গাঢ় চিনির সিরাপে ভেজানো। আর এখানেই লুকিয়ে আছে এক্সপো মেলার আমার প্রধান আকর্ষণ। এই মেলায় এক বিশেষ দোকান আসে যেখানের জিলিপি গুলো যেমন পাতলা তেমন মুচমুচে হয় তার সাথে একদম হালকা চিনির সিরাপে কিংবা গুড়ের সিরাপে চোবানো। সাধারণ জিলিপির থেকে ১০ গুণ মিষ্টি কম অথচ সাধারণ জিলিপির থেকে ১০ গুণ স্বাদ বেশি। তাছাড়া জিলিপিগুলো ছোট হওয়ার পাশাপাশি অনেক ধরনের মসলা ভরপুর। মেলায় যতবার আসি ততবার আমি এখানেই জিলিপি খাই।

PXL_20221225_174704820_copy_1124x843.jpeg

PXL_20221225_174758402_copy_1209x907.jpg

এবারেও ভিন্নতা হয়নি। গুড় এবং চিনি দুই ধরনের জিলিপি ছিলো। আমার পছন্দ যদিও গুড় কিন্তু বাকিদের পছন্দ চিনি। শেষমেষ যে দিকে ভোট বেশি সেদিকেই যেতে হল অর্থাৎ কষ্ট হলেও জিলিপির লোভে চিনির জিলিপি দুপিস খেয়ে নিলাম। জিলিপি খেতে খেতে ভাবলাম, জিলিপি খাওয়াটাই আসল কথা চিনির না গুড়ের সেটা বড়ো কথা নয়। 😭

PXL_20221225_181309601_copy_1168x876.jpeg

পরের যে দোকানটায় গিয়েছিলাম তা বাংলাদেশ থেকে আসা এক দম্পতির। নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বগুড়ার দই আর রাজশাহীর গুড় নিয়ে তাদের সম্ভার। আমার হৃদয়ে কাঁচাগোল্লার আলাদা একটা বিশেষ স্থান রয়েছে। সেখানে স্বাদের কোনো বিভেদ নেই। চিনি হোক বা গুড় দু-স্বাদের আমার সমান ভালো লাগে। বেছে না নিয়ে তাই গুড় ও চিনির একটা করে কাঁচাগোল্লা হাতে তুলে নিলাম।

PXL_20221225_181303082_copy_1209x907.jpeg

PXL_20221225_181155787_copy_1018x727.jpeg

আহা। শীতে যেন অমৃত। কাঁচাগোল্লা খেয়ে ইচ্ছে ছিলো অল্প গুড় কেনার কিন্তু দাম শুনে কেনার সাহস আর পেলুম না।

কাঁচাগোল্লা খেয়ে শেষ যে দোকানটায় গিয়েছিলাম সেটা হলো, রাধাগোবিন্দ মিষ্টান্ন ভান্ডার। দোকানটা কলকাতার। আমি সঠিক জানিনা কলকাতায় কোথায় দোকান তবে যেখানেই হোক তাদের মালপো আমার খুব পছন্দের।

PXL_20221225_182907233_copy_1158x869.jpeg

দোকানের ঠিকানা আমার অজানা হলেও রাধা গোবিন্দ মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালপো আমার অত্যন্ত পরিচিত। শীত এলে বাড়িতে তেল পিঠা অনেকেই খেয়ে থাকি। আসলে তেলপিঠা বাড়িতে হয়েও থাকে কিন্তু রাধাগোবিন্দ মিষ্টান্ন ভান্ডারের তেল পিঠা হয় রসে চোবানো। আর পিঠার মাঝখানটা হয় বেশ ফুলকো। মুখে দিলেই রস বেরিয়ে আসে।

PXL_20221225_182609876_copy_1209x907.jpeg

PXL_20221225_182753930_copy_1209x907.jpeg

মাথা পিছু দুখানা করে মালপো নিয়ে তাতে কামড় দিতে দিতে ভিন্ন স্বাদ নিয়ে মেলা থেকে বেরিয়ে পড়লাম। সব শেষে মিষ্টি মুখটা নাকি খুব জরুরি হয়। আমি আবার মেলায় গিয়ে অনেক খাবার সুযোগ থাকলেও জানিনা কেন মিষ্টির দিকটাতেই ঝুঁকি। হয়তো মেলার মিষ্টতা মুখে লেগে রাখার জন্য করি। পরের বার আবার ফিরতে হবে যে।




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness


Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join HEROISM ||

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আজকের পর্বে তাহলে আপনি মিষ্টি নিয়েই এলেন। পাতলা করে ভাজা জিলিপি গুলো খেতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। সেগুলো বেশ মুচমুচে হয়। কিন্তু কিছু কিছু জিলিপি আছে একদম মোটা সেগুলো কিন্তু একদমই ভালো লাগেনা। মিষ্টি কম খেলেও আমি এই মুচমুচে জিলাপি খেতে খুব পছন্দ করি।

পাতলা জিলিপি সব জায়গায় আবার পাওয়া যায় না। শুধু ওই দোকানেই আসে দেখি।

দাদা এক্সপো মেলায় ঘোরাঘুরি শেষ পর্বে খাওয়া দাওয়া ফটোগ্রাফি দেখে জিভে জল চলে আসল। আমি জিলাপি তেমন খাইনা তবে কাঁচাগোল্লার কথা শুনে লোভ সামলাতে পারছিনা। আমি কাঁচাগোল্লা খেতে অনেক পছন্দ করি। তবে মালপো নাম শুনেছি কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার এক্সপো মেলায় ঘোরাঘুরি অন্তিম পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো।

আমি তো মেলায় জিলিপি খাওয়ার জন্যই যাই 🤣। মালপো মাস্ট ট্রাই।

দাদা মেলা মানেই তো মিষ্টান্ন এর মেলা যতরকম মিষ্টি ৷ তবে দাদা মেলা হলে গরম গরম গুড়ের জিলিপি আহা দারুন দারুন লাগে ৷ তবে আপনারা চিনির জিলিপি খেয়েছেন ৷
তবে দাদা এরপর দেখলাম বাংলাদেশি এক দম্পতির কথা বললেন সে কী এখন ওই খানকার বাসিন্দা না ব্যবসা করার জন্য গেছে ৷
এরপর রাধাগোবিন্দ মিষ্টান্ন ভান্ডার হতে দুটি করে তেলের পিঠা রসে চোবানো ৷
যা হোক দাদা অনেক ভালো লাগলো আপনার মেলার কাটানো অন্তিম খাওয়ার মূহুর্ত গুলো ৷
ধন্যবাদ

ব্যবসা করার জন্য আসেন। আবার মেলা শেষে ফিরে যান।

জিলিপি গুলো অসাধারণ দেখতে। পাতলা জিলিপি তাতে মিস্টি কম, অসাধারণ স্বাদ অনুভব হচ্ছে আমার😃

খেতে ইচ্ছে করছে, বাট যেতে পারছিনা। বাকী আরো খাবারের পিক দিয়েছেন। তার মধ্যে এই জিলিপই ভালো লেগেছে

আমারও তাই হয়। জিলিপি বস্তু টাই অসাধারণ।

দাদা একেতো মজার মজার খাবারের ছবি দিলেন দ্বিতীয় তো খাবারের বর্ণনা গুলো পড়ে জিভকে সামলানো বেশ কঠিন।এভাবে একা একা না খেয়ে আমাদের জন্য পাঠালেও তো পারতেন,দেখিয়েন পেটে অসুখ করবে😉😉।আপনাকে হলুদ কার্ড দেখানো হলো আমাদের জিভে জল আনার জন্য🤣🤣।

ভার্চুয়ালি পাঠানো যায় না যে।

আপনার এই পোস্টটি পড়ে যা বুঝলাম আপনি মিষ্টির পোকা 😁। শুরুতেই জিলিপি দিয়ে শুরু করলেন আবার শেষে মালপো আবার মাঝের কাঁচাগোল্লা সবেতেই মিষ্টি। আপনি শেষে মিষ্টি মুখ শুনেছেন কিন্তু আমি আপনার সবেতেই মিষ্টি দেখতে পেলাম 😁।

আমি হলো গিয়ে খাওয়ার পোকা। ঝাল যেমন খাই তেমনি মিষ্টি। হাঃ হাঃ।

😂😂😂