নমস্কার বন্ধুরা,
আমরা পাশাপাশি দুই বাড়ি একসাথে জলের মারসিবল বসাচ্ছি সেকারনে যা কাজকর্ম হচ্ছে সবই একসাথে চলছে। যেহেতু পাশের বাড়ির মার্সিবল বসানো দিয়ে শুরুটা তাই তাদের কাজ মোটামুটি শেষ পর্যায়ে চলে এসেছিলো ঠিক তখনই বিপর্যয় নেমে এলো। আর এ বিপর্যয় যে সে বিপর্যয় নয়। দুদিন ধরে বোরিং করার পরে শেষ মুহূর্তে গিয়ে কাজটা পুরোপুরি থমকে গেল। যখন জলের পাইপগুলো নীচে নামাতে গিয়ে ১৬০ ফিটে গিয়ে আটকে গেলো।
আসলে হয়েছে কি ১৬০ ফিট পাইপ নামানোর পরে হঠাৎ করেই জলের যে স্তরটা প্রথমে পাওয়া গেছিলো সেটা ধসে গেলো। চেষ্টা করেও জলের পাইপ আর কিছুতেই ঢুকছিলো না। শেষে মিস্ত্রি উপায় বাতলে দিলেন। পাইপ গুলো নাকি কম্প্রেসার দিয়ে পরিস্কার করতে হবে তাহলেই কাজ হয়ে যাবে। তার কথামতো কমপ্রেসার চালিয়ে দেওয়া হলো। এইবার বাইরে বেরিয়ে থাকার বাকি ২০ ফিট পাইপ ঢুকে গেলো।
মিস্ত্রি ফের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আন্দাজ করলেন ২৫ মিটার জলের লেয়ার আছে যা নাকি বাড়ির খাওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু ওই যে বিপদ দূরে অপেক্ষা করে করছিলো। মিস্ত্রি বললেন, দুই হর্স পাওয়ারের মটর দিয়ে আর কাজে হবে না এখন এক হর্স পাওয়ারের মটর লাগবে। কিন্তু দুই হর্স পাওয়ারের মটর বসানো হবে আগে স্থির করে সমস্ত সরঞ্জাম সে হিসেবেই কিনে আনা হয়েছিল যা এখন সব অচল। বিপত্তি থেকে নিস্তার নেই।
মিস্ত্রির মুখে যখনই শোনা গেল যে এক হর্সপাওয়ারের মটর লাগবে তখনই হুড়মুড়িয়ে পুরাতন মটর আর কিছু সরঞ্জাম নিয়ে বেরিয়ে পড়া গেলো। দোকানের দূরত্ব তো কম নয়, আর বেলা গড়িয়ে দুপুর হয়েছে।
খুব তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম। দুপুর বেলা তাই দোকানটি ফাঁকাই ছিলো। আমাদের সমস্যা বলতেই তারা সাথে নিয়ে যাওয়া সরঞ্জাম গুলো ফেরত নিয়ে এক হর্সপাওয়ারের সরঞ্জাম গুলো দিয়ে দিলেন। আমরা বেশ খানিকটা চিন্তা মুক্ত হয়ে গেলাম যন্ত্র পাতি গুলো নিয়ে আবার বাড়িতে উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম। বাড়ি ফিরতেই ফের কাজ শুরু হয়ে গেলো। মিস্ত্রিরা ধীরে ধীরে পাইপগুলো ঢোকাতে শুরু করে দিলেন। বেশ কিছুটা সময় লাগলো বটে তবে শান্তি পূর্ণভাবে কাজটা সারা গেল।
তারপর কন্ট্রোল প্যানেলে বিদ্যুৎ জুড়ে দিয়ে মটর চালিয়ে দিতে প্রচন্ড আওয়াজ করে খানিকক্ষণের মধ্যেই জল পড়া শুরু হলো। জল দেখে অবশেষে শান্তি পাওয়া গেলো। যেন সারাদিনের দৌড়াদৌড়ি সার্থক হলো।

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
মার্সেবল বসানো নিয়ে আপনার পোস্টটা পড়লাম। বুঝতে পারলাম যে আপনার মার্সেবলের পাইপ একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত গিয়ে আটকে গিয়েছিল, এমন অনেক জায়গায় ই হয় দাদা। কিন্তু আপনার মিস্ত্রির বুদ্ধিমত্তায় সে সমস্যা থেকে সমাধান পেয়েছেন। এটা একটা ভালো দিক ছিল। কিন্তু দাদা টু হর্স পাওয়ারের মটরের পরিবর্তে এক হর্স মটর আনতে গিয়ে মনে আপনাদের কিছুটা কষ্ট হয়েছে। তবে ভালো লাগলো যে দোকানদার চেঞ্জ করে দিয়েছেন। অনেকে এখন চেঞ্জ করতে চায়না। অনেক ঝামেলার পরে ও যে কাজটা সম্পন্ন হয়েছে, এটা জেনে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যে কোনো কাজ যখন সেই কাজে পরিশ্রম করে সফলতা পাওয়া যায় ৷ তখন বেশ ভালো লাগে ৷ প্রথমে পাইপ বসালেও কাজ হয় নি ৷ পরে দুই হর্স মটর কাজ করবে না ৷ আপনার দোকানে গিয়ে এক মটর এনেছেন ৷
যা হোক জল বেড়চ্ছে দেখে ভালো লাগলো ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পানির অপর নাম জীবন, দুঃশ্চিন্তা তো হবেই। তবে দাদা আপনাদের এলাকার খাবার পানির ব্যবস্থা আমাদের এলাকার তুলনায় বেশ কিছুটা ভিন্ন মনে হল। আমদের এদিকে গ্রামের মানুষ টউবওয়েল আর শহরের মানুষ সাপ্লাই পানি ব্যবহার করে। আর পানির লেয়ারেও ৫০ ফুট থেকে ১০০০ ফুটের ব্যবধান হয়ে থাকে। যাইহোক অবশেষে সব যে ঠিকঠাক মত হল এটাই বড় কথা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একটার পর একটা বিপদ লেগেই আছে। আসলে তোর চিন্তা মানুষের জীবনের লেগেই থাকে।যাই হোক সব মিলিয়ে যে লাস্টে পানি বের হয়েছে এটা শুনে খুব ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি কথা বলতে দাদা যে কোন কাজ আপনি শুরু করেন না কেন অস্বস্তি এবং চিন্তা নিয়েই শুরু করতে হয়। দৌড়াদৌড়ি পরিশ্রম তার কোন শেষ নেই। সেই কাজটি যখন পরিপূর্ণ হয় তখনই আত্মার তৃপ্তি এবং মনের আনন্দ কাজ করে। শুকরিয়া আদায় করছি আপনার কষ্ট সফল হয়েছে। আমাদের মাঝে আপনার অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাসায় যদি পানির সমস্যা হয় তাহলে বেশ ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। আসলে পানি সব কাজেই লাগে। তাইতো পানির সমস্যা সবচেয়ে বেশি সমস্যা। ভাইয়া আপনি বেশ ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করছেন বুঝতেই পারছি। আপনার পাশের বাসার কাজগুলো যেহেতু আগে শুরু করেছিল তাই তাদের কাজ শেষের দিকে। তবে এই কাজগুলো বেশ ঝামেলার। কারণ মাটির নিচে তো কিছুই দেখা যায় না। তাই অনুমান করা ছাড়া আর কিছুই নেই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
লেখাপড়ে নিজের ও আসলে জল পরার দৃশ্যটা দেখে ভালো লাগলো।আমাদের বাসার এই ডিপ বসাতে গিয়ে একজন গুরুতর আহত হয়েছিলো,পরে সে সারাজীবন এর জন্যই পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যাক শেষ পর্যন্ত যে কাজটা সফলভাবে হয়েছে এটাই অনেক। আমাদের বাড়ি যখন টিউবয়েল পোতা হয়েছিল তখন বেশ খানিকটা গিয়ে পাইপে পাথর আটকে যায় পরবর্তীতে প্রায় একদিন অতিরিক্ত সময় লেগেছিল শুধু পাথরটা কেটে পাইপ ভেতরে ঢোকানোর জন্য। তবে শেষ পর্যন্ত আমাদের কলেও জল ওঠে। এইবার তুমি একটা কাজ করতে পারো নির্মাল্য দা, দিনে ৩-৪ বার স্নান করো, আর পাঁচ মিনিট পর পর জল খেতে থাকো। হা হা হা...
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যিই এটা খুবই ঝামেলার কাজ।তারপর মাটির গভীরে জলের নিচের স্তর একটুতেই বদলে যায়।একটু বদলে গেলেই আবার যন্ত্রপাতির গড়মিল।যাক শেষমেশ শান্তিপূর্ণভাবে কাজটি সম্পন্ন হয়েছে জেনে ভালো লাগলো দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে পানির সমস্যা হচ্ছে সবচেয়ে বড় সমস্যা। কেননা নিত্য প্রয়োজনীয় কাজের জন্য পানি ব্যবহারের বিকল্প কিছু নেই। আপনি সারাদিন অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছেন এবং দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলেন ঠিকই কিন্তু অবশেষে পরিসমাপ্তিটা খুবই সুন্দর ছিল। জল পড়া দেখে আপনার সারাদিন এর কষ্ট দূর হয়ে গেছে এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত দুশ্চিন্তার মধ্যে থেকেও আমাদের সাথে সবকিছু শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit