নমস্কার,
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। ইশ্বরের কৃপায় আমি ভালো আছি।
প্রতিবছর আমার জেলার সদর শহরে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলে এক্সপো মেলা। পুরো একমাস ব্যাপি এই মেলায় নানান ধরনের স্টল দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে আসে বাংলাদেশের বেশ কিছু স্টল। মেলায় মূলত ৮ থেকে ৮০, পুরুষ কিংবা মহিলা সবার জন্যই সবধরনের আকর্ষণ বিদ্যমান। বাচ্চাদের জন্য যেমন বিভিন্ন ধরনের রাইড আছে তেমনি বড়দের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবার দোকান। তাছাড়া মহিলাদের জন্য প্রসাধনীর দোকানপাট আর সাথে জামা কাপড়ের প্রচুর সম্ভার।
মাসের শুরু থেকেই কজন বন্ধুরা মিলে ঠিক করেছিলাম যে মেলায় যাব কিন্তু সবার একসাথে সময় হতে হতে দু সপ্তাহ কেটেই গেলো। আদপে সবার একসাথে সুযোগ পাওয়া তো চারটি খানা ব্যাপার নয়। বছরের শেষ সপ্তাহে যখন সবাই মিলে ছুটি পাওয়া গেলো তখন সময় করে চলে গেলাম মেলায় ঘুরতে।
আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছিলো যে আমরা সন্ধ্যের ঠিক আগ মুহূর্তে গিয়ে মেলায় প্রবেশ করবো। তাই সবাইকে সে অনুযায়ী হাতে সময় নিয়ে আসতে বলা হয়েছিলো। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমি সেজন্য বিকেলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম। কারণ মেলাটা বেশ খানিকটা দূরে, সেখানে যেতে কিছুটা সময় তো লাগবেই। কিন্তু সৌভাগ্যবশত হাতে সময় নিয়ে বেরিয়েও ঝটপট গাড়ি পেয়ে খুব তাড়াতাড়ি মেলায় পৌঁছে গেলাম। যখন পৌঁছেছি তখন দু'জন এসে উপস্থিত হয়েছে মাত্র। সত্যি কথা বলতে আমি একটু ভয়ে ভয়েই ছিলাম যে গিয়ে না একা একা বেশ খানিকটা সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তো যাক সেটা আর করতে হয়নি। মিনিট ১৫ অপেক্ষা করতেই বাকি বন্ধুরা চলে এলো। আমরা সবাই টিকিট কেটে ঢুকে পড়লাম মেলার ভেতরে। টিকিট মাত্র ১০ টাকা।
মেলায় যখন ঢুকলাম তখন গুটিগুটি করে মানুষজন সবে আসতে শুরু করেছেন। আমরা যেহেতু সবার প্রথমে রাইড গুলোর দিকেই যাই তাই মেলাতে ঢুকেই ম সোজা সেখানেই চলে গেলাম। চারপাশটা ঘুরে ঘুরে ভিন্ন ভিন্ন রাইড দেখতে থাকলাম।
প্রথমে যে রাইডটা চোখে পড়লো সেটা হলো একটা গোল গোল ঘুরতে থাকা পাখির দোলনা। টিকিট খুব একটা বেশি না মাত্র 30 টাকা। তবে আমাদের সেখানে ওঠার কোনো উপায় নেই। কারণ রাইড টা ১২ বছরের নীচের বাচ্চাদের 😁। পাশেই আরেকটা রাইড ছিলো সেটা হলো বাচ্চাদের বাইক। চারখানা বাইক রডের সাহায্যে গোল গোল ঘুরছে। আর দুটো বাচ্চা বাইকে বসেই খিলখিল করে রাইড উপভোগ করছে।
কিছুটা দূরেই ছিলো বড়দের আকর্ষণ, 'মত কা কুয়া' সার্কাস। এই সার্কাসে গ্লাসের মতো আকারের একটা গোলাকার কাঠের পাঠাতনের চারিদিকে বনবন করে মোটর বাইক এবং বিভিন্ন ধরনের চারচাকা গাড়ি ঘুরতে থাকে। আমরা যখন পৌঁছেছি তখন সবে মাত্র প্রথম শো শুরু হবে হবে করছে তাই সেদিকে যাওয়া হলো না। সার্কাসের ঠিক পাশেই ছিলো বেশিরভাগ বন্ধুদের মূল আকর্ষণ, নাগরদোলা। দলের সবাই মিলে নাগরদোলার টিকিট কেটে নিলো। আমি আর আমার সাথে আরেক বন্ধুও নাগরদোলাতে ভয় পাই তাই আমরা দুই জন নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে বাকিদের চিৎকার শুনতে থাকলাম।
মেলার রাইড গুলো আজকের পর্বে শেষ হলো। পরের পর্বে মেলায় থাকা বাকি আকর্ষণ গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আবারও দেখা হচ্ছে পরবর্তী পর্বে। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
মেলায় গেলে আসলেই অনেক ভালো লাগে দাদা অনেক প্রকার খাবার খাওয়া যায় এবং অনেক কিছু দেখা যায়।আপনি বন্ধুদের সঙ্গে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন এবং তা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি তো মূলত খেতেই যাই। খিক খিক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা, মেলাতে গিয়ে গোল গোল ঘুরতে থাকা পাখির দোলনায় আমার খুব চড়ার শখ। সে ক্ষেত্রে নিজের বয়স সাড়ে ১১ বলে চালিয়ে দেবো ভাবছি! পাবলিকের মারও পরতে পারে কিন্তু সেই রিস্ক তো নিতেই হবে এখানে পাখির দোলনায় বসতে গেলে। হিহি🤣🤣 আগে নাগরদোলাতে আমিও ভয় পেতাম দাদা তাই তখন নীরব দর্শক হয়ে সবার চিৎকার শুনতাম কিন্তু এখন এই ভয় আর করে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাড়ি কেটে মুখে মাস্ক গুঁজে চলে গেলে ধরতে পারবে না হয়তো। হাঃ হাঃ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit