৫শ্রাবণ , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
২২জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
২২জিলহজ, ১৪৪৩ হিজরী
শুক্রবার ❤️
বর্ষাকাল ।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
প্রথম ভালোবাসা মানেই তো মন কেমন কেমন করা, বুকের মধ্যে কী যেন এক তোলপাড় ধুক ধুক করা আবেগের অনুভূতি। প্রথম প্রেম হয়ে থাকে সোনালি স্মৃতি, সোনারঙে আঁকা স্মৃতির ঝলকা। কত প্রেম আসে, যায়, কিন্তু প্রথম প্রেম একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতি হয়ে রয়ে যায় মনের মনি কোঠায়।প্রথম প্রেমের প্রথম কবিতা এসে বলে হাত ধরে নিয়ে চলো যাই দূরের দেশে।
প্রেম আসে আবার ধীরে ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্র ও একদিন সরে যেতে পারে! কবির কথা কি আসলেই সত্যি? প্রেম হারিয়ে যেতে পারে? হৃদয়ের অলিন্দে প্রথম বারের মতো যদি কারও জন্য অনুভূতির জন্মায় তা আসলে হারিয়ে যেতে পারেনা! আসলে প্রথম প্রেম এবং প্রথম প্রেমেপরার স্মৃতি কখনই ভোলার না। বিশেষ মুহূর্তগুলোতে মন ঠিক বলে ওঠে, আমাকে খোঁজ না তুমি বহু দিন হলো- কতদিন আমিও তোমাকে খুঁজি নাকো কেন??কিন্তু স্মরণেই থাকো। আনন্দ অথবা বিষাদের ধূসর ছায়া গ্রাস করে হৃদয়ের মনি কোঠাকে । নিমিষেই চোখের কোণে বর্ষারজল জমে এক ফোঁটা।।
প্রেম-দুঃখ-সুখ, সবার জন্য। বাদ নেই জগতের কোন মানুষ।তাই তো কবি বলেছেন "" মানুষমাত্রই ভালোবাসার পূজারি""। যেখানে ভালোবাসা আছে, তার অন্য পিঠে আছে কষ্ট।তাই আজ লিখব আমার কষ্টের কথা গুলো😂 শুরু করছি আমার প্রথম প্রেমের কথা।
আমি তখন দশম শ্রেণীর ছাত্র। সজীব,জাহাঙ্গীর নামের আমার দুই বন্ধু ছিল।রাত বাদে তিন জন সারা দিন একই সাথে থাকতান।অনেক দূরন্ত তিন কিশোর ছিলাম আমরা। আমাদের ক্লাসে A ও T নামে দুটি মেয়ে ছিল। ৯ম শ্রেনীতে পরত P নামে আরো একটা মেয়ে। আমরা তিন জন ঐ তিন জনকে খুব পছন্দ করতাম। আসলে দোষ টা আমাদের না বয়সের ছিল।মজার বিষয় হলো ওদের তিন জনের বাড়ি ও ছিল পাশাপাশি। ওরা ও বুঝতো আমরা ওদের ফলো করি।আসলে বলার মত সাহস ছিল না কারও।
কতইনা সুন্দর ছিল সে ,রেশম কালো চুল ডাগর ডাগর দুটি চোখ লাল দুটি ঠোঁট ।ফর্সা গায়ের ত্বক মাঝারি গরণ। যার হাসিতে মনে হয় মুক্তা ঝরে। তার একঝলক হাসিতে হৃদয় ছিড়ে কলিজাটাও বের করে দিতে পারি তার হাতে।
সব কথা বলি কত আড্ডা মারি এক সাথে,টিউশন এ যাই। কত কি কিন্তু আসল কথা বলার সাহস হয় না ।কিন্তু চোখাচোখি চলছে সমানে।ও একদিন স্কুলে না আসলে আমার ভালো লাগতো না। বার বার ও খোজ নিতাম আমার অন্য বন্ধু র কাছ থেকে।ওকে না দেখলে ওর মুখের কথা না শুনলে আমার হৃদয় হয়ে যেত উৎতপ্ত মরুভূমির মতো।আসে বুঝতে পারছিলাম না ওর এত ভালো লাগার কারণ। বিকাল হলে ছুটে চলে যেতাম আমরা তিন জন সাইকেল নিয়ে ওদের এলাকায়।
তিন জনে চিন্তা করলাম ভালোবাসতেই হবে।আমি বল্লাম ওকে ছাড়া বাচব না আমি, আমার রাতে ঘুম আসে না। মনে হয় শুধু কখন দেখব তাকে।সজীব বল্ল আগে ১ জনার টা হক তাহলে আর দুটো হওয়া সম্ভব। তাই আর দেরি না করে আমার এক বান্ধবীর দিয়ে প্রোপোজাল টা দিয়ে ফেললাম আমার জন্য।১ম ক্লাস পর। প্রথমে না বলে দিল।আর বলে দিলো ভালো ছাত্ররা কখনো প্রেম করে না আমাকে ধোকা দেবে।এ কথা শুনে আমার তো মন খারাপ।কোন কথা নেই। ক্লাসের এক কোণে বসে পার করলাম চারটা ক্লাস কোন কথা না বলে। আমি মাঝে মাঝে খেয়াল করছিলাম ও আমাকে দেখছে।আমি টিফিন না খেয়ে ক্লাসের এক কোণে বসে ছিলাম ক্লাসে অন্য কেউ ছিল না এমন সময় ও❤️আসল এবং বল্ল সত্যি তুই আমাকে ভালোবাসিস। আমি কোন কথা বলছিনা। কিছু সময় পর ও বলে উঠল আমিও😁😁 সত্যি ওর দিকে তাকিয়ে কেদে ফেলে ছিলাম আমি।।।আমার কি আনন্দ হচ্ছিল আসলে বলে বোঝাতে পারবো না।
সেই ২০১৩ সালের কথা প্রেম তো হলো কথা হবে কি ভাবে।আমার একটা নোকেয়া ফোন ছিল ওর কোন ফোন ছিল না। তাই চিন্তা ভাবনা করে গণিত খাতায় চিঠি আদান প্রদান শুরু করি আমার বন্ধুর মাধ্যমে। এতক্ষণে সারা স্কুলের প্রায় সবাই জেনে গেছে ভদ্র ছেলে প্রেম করে। মাঝে মাঝে কথা হতো ওর মার ফোন দিয়ে অথবা ওর ভাইয়ের ফোন দিয়ে।আমার মনে পরে না ওর সাথে প্রেম হবার পর কোন দিন প্রাইভেট বা স্কুল বাদ পড়েছে আমার।
মোস্তাফিজার নামে আমার এক প্রিয় শিক্ষক ছিল। একপর্যায়ে এই শিক্ষক জানতে পারে আমাদের দুজনের প্রেমের কথা। অনেক উপদেশ এবং সৎ বুদ্ধি দেয় তখন কি আর এই বুদ্ধি মাথায় যায়। মাঝে মাঝে ও নুডুলস এবং অন্যান্য খাবার রান্না করে নিয়ে আসতো প্রাইভেটে স্যারের বাসায় রেখে আমি আর স্যার একসাথে বসে খাতাম। কি আর করার স্যার ও অল্প বয়স্ক মনের ব্যাথাটা বোঝে। আর প্রেমের গল্প করতাম। যাহোক স্যার আমার অনেক হেল্প করত।
বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পার করতাম ওদের এলাকায় আমরা তিন বন্ধু। খুব ভালোই যাচ্ছিল আমাদের সময়। আসলে এত কথা তো বলে শেষ করা যাবে না। লিখলে। একটা মুভি লেখা যাবে আমাদের প্রেমের কাহিনী নিয়ে। কত আবেগ কত ভালোবাসা। কতক্ষুণ ছুটি মধ্য দিয়ে পার হচ্ছিল আমাদের দিন। দেখতে দেখতে চলে আসলো আমাদের এসএসসি পরীক্ষা। আমার স্বপ্ন ছিল সব সময় আমি সর্বোচ্চ রেজাল্টটা করব। যাহোক প্রেম করতাম ঠিকই কখনো লেখাপড়ার উপর প্রভাব পড়তে দেয়নি। ক্লাস রুমে দুজন বসে গল্প করা টিফিন টাইমে একসাথে বসে গল্প করা। এক কথায় আমার সারাটা দিন সারাটা রাত সারাটা সময় যেন ওকে নিয়েই কাটতো কাছে থাক বা না থাক।।মাঝে মাঝে ও যখন অসুস্থ হতো ওর থেকে আমার টেনশনটা বেশি হতো।কারণ ও তো মিশে আছে রক্তের মতো আমার জীবনে।
আমি চিঠির ভাজে আমার ভালোবাসা খুজে পেতাম।অপেক্ষায় থাকতাম ফোন নিয়ে কখন আসবে ফোন।
হঠাৎ করেই চলে এলো বিদায়ের ঘন্টা টেস্ট পরীক্ষা হল বিদায় অনুষ্ঠান হল পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল মাঝে আমাদের মধুর সম্পর্কটা চলছে। পরীক্ষা দিতে গিয়ে দুজনে পরীক্ষা শেষে একসাথে বাড়ি ফিরতাম। একসাথে বসে সময় কাটাতাম, খাবার খেতাম সময়টা এমন ভাবে যেত। এমন মনে হতো যে ওকে ছাড়া আমার বেঁচে থাকা সম্ভব না।ও আমাকে বলত যত কষ্ট হক না কেন আমাকে ছেড়ে যাবে না তো।ধুর পাগলী তুই আমার জীবন।এ কথা শুনে মধুর একটা হাসি দিল ওর হাসি দেখে মনে হচ্ছিল এ যেন স্বর্গের সুখ উপভোগ করলাম আমি।
পরীক্ষা শেষে ওর মামা বাড়িতে ঘুরতে গেল।শেষ পরিক্ষার দিন ওর হাতের স্বণের আংটি খুলে আমাকে পরিয়ে দিল আর বলে গেল আমি তোমার সাথেই আছি। তখন থেকেই অল্প অল্প কথা হত।কারণ ওর নিজস্ব কোন ফোন ছিল না। আর আমার খুব কষ্ট হতো মনে হতো কত বছর দেখা হয় না কথা হয় না। তপমন কথা হতো না তেমন যোগাযোগ করত না। কেটে গেল বেশ কিছু দিন। আমি তখন পলিটেকনিক এর এডমিশন এর জন শহরে থাকি।ঠিক মতে খাওয়া হয় না পড়া হয় না ঘুম হয়না ওর ছবিটা ভেসে ওঠে।
এভাবেই যাচ্ছিলো সময়।ও কোন যোগাযোগ ই করে না আমার সাথে। আমি ও কোন ওয়ে পাচ্ছিলাম না।তার বেশ কিছু দিন পর আমার এক বান্ধবীর কাছে জানতে পারি যে ওর এক মামাতো ভাইয়ের সাথে ওখানে গিয়ে নতুন করে ওর সম্পর্ক হয়েছে। তখন ঠিক আমি কি করবো বেঁচে থাকব না মারা যাব কোনটাই বুঝতে পারছিলাম না। পৃথিবীটা মনে হচ্ছিল ধূসর অন্ধকার আকাশটা নিচে নেমে এসেছে কখন যেন ভেঙে পড়বে আমার মাথার উপর। অনেকভাবে চেষ্টা করছি তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য কোন ভাবেই যোগাযোগটা করে উঠতে পারছিলাম না। তখন ভাবতে থাকি যে মেয়েটি আমার জন্য এত ফিদা একদিন কথা না হলে দেখা না হলে সে ছোটাছুটি করতে থাকত কত কান্নাকাটি করত। আর সে কিনা আজ আমাকে ছেড়ে অন্য কারোর সাথে স্বপ্ন বুনে।
এরই মধ্যে ও মামা বাড়ি থেকে বাড়ি ফিরল। আমিও শহর থেকে বাড়িতে চলে আসলাম। এরপরে অনেক চেষ্টা করেছি ওর সাথে যোগাযোগ করার জন্য ওর সাথে সম্পর্কটা পুনরায় গড়ে তোলার জন্য। কিন্তু ও আমার কোন কথা রাখেনি। কোন কথার জবাব দেয়নি। দিন দিন আমার কষ্টটা বেড়েই চলছে এদিকে আবার আমার এডমিশনের পরীক্ষার ডেট হয়ে গেছে আসলে কি করব কোনটা আমার আগে দরকার কিছুই বুঝতেছিলাম না। তখন মনে মনে ভাবতে থাকলাম কোনরকম এডমিশন পরীক্ষাটা আগে শেষ করি। এর মাঝে এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট হল জিপিএ 5 পেলাম। তবুও মনের মাঝে যেন কোন সুখ-শান্তি আনন্দ কিছুই নেই। রেজাল্টের পরে বাবা ফোন দিল তুই জিপিএ ৫ পেলি। অথচ এখনো বাড়িতে এলি না তোর বন্ধুরা সবাই তো বাড়িতে চলে এসেছে তুই বাড়িতে আয়। বাবা জানতো আমি মেয়েটির সাথে একটা সম্পর্কে আছি তবে বাবা জানতো না ব্রেকআপের কথা ।আমার বন্ধুদের কাছ থেকে শুনতে পেরে বাবা তখন আমাকে সান্তনা দিয়ে বলল বাবা ক্যারিয়ার টাকে গড়ে তোল ।এরকম মেয়ে বা এর থেকে ভালো মেয়ে তুমি পাবে। তোমার মা অনেক কান্নাকাটি করছে বাড়িতে আসো। বাবার কথা শুনে দু কেজি মিষ্টি কিনে বাড়িতে আসলাম।
মনে মনে ভাবতে থাকলাম আকাশটা তো সবারই প্রিয় কেউ কি আকাশকে ছুঁয়ে দেখেছে ।আকাশের এক এক সময় এক এক বর্ণ এক একজনের এক এক রকম বর্ণ পছন্দ ।কেউ কি পেরেছে আটকে রাখতে ।আকাশ তো তার ইচ্ছামত ঘনঘন রং বদলায়। আর ঠিক মেয়েটাও হয়তো তেমনি আমার সাথে করল। আমাকে কষ্টের সাগরে ভাসিয়ে একাই সুখে থাকতে চেয়েছিল। আমাকে আর ভালো লাগেনা। সে হয়তো ধনী পরিবারের মেয়ে আমার বাবা একজন কৃষক মানুষ হয়তো তার স্ট্যাটাস এর সাথে আমার স্ট্যাটাস মিল পড়ছে না এমনও তো হতে পারে।
তবে ওর এই সম্পর্কটা ও বেশিদিন টেকে না কোন কারনে ভেঙে যায়। তারপরেও অনেক চেষ্টা করেছে আমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য ।আমি আসলে তারপরে আর কোন যোগাযোগ করিনি। ওর কারনে আমি আমার পছন্দের পলিটেকনিক এবং পছন্দের ট্রেড এ চান্স পাইনি। খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্টের দিন পার করেছি। শুধু বাবা-মায়ের মুখের দিকে চেয়ে তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য। তা না হলে তো কবেই ছেড়ে যেতাম এই পৃথিবী। আবার মাঝে মাঝে ভাবি ও যদি আমাকে ছাড়া ভালো থাকতে পারে তাহলে আমি কেন পারব না ভালো আমাকে থাকতেই হবে ওর থেকে ভালো কিছু করে আমি দেখ। ও আমাকে ছেড়ে চলে গেল আবার আমার সাথে সম্পর্ক হবে আমার থেকে ভালো কাউকে পেলে আবার চলে যাবে আর বারবার আমি শুধু কষ্ট পেতে থাকবো এটা ভেবে আর নতুন করে ওর সাথে সম্পর্কটা জড়াইনি।
একটি মজার বিষয় হচ্ছে আমি জীবনে একটাই প্রেম করেছি ।সেটা হচ্ছে ও তারপরে আর কোন মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়ানো হয়নি। যত যাই বলি না কেন সব সময় ও আমার স্মৃতির পাতায় রয়েছে। ওকে এখনো বিন্দুমাত্র ভুলতে পারি না। তাইতো আর কোন মেয়ের স্থান হয়নি এখনো আমার মনের মনি কোঠায়। ওর বিয়ে হয়েছে দু'বছর হল একটা ছেলেও হয়েছে ।মেসেঞ্জারে ওর ছেলের ছবিও দিয়েছে আমাকে। কিন্তু আমি কোন রিপ্লে করিনি। ও ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়েছিল আমাকে আমি সেটা রিসিভও করিনি। ঠিকই তার আইডিটা ফলো করি মাঝে মাঝে দেখতে মন চাইলে তারে ফেসবুক আইডিতে ঢুকে তাকে দেখে আসি।
এখনো আমি সযত্নে রেখে দিয়েছি ওর দেওয়া গিফট গুলো কলম, প্যাড ,চশমা ,ঘড়ি স্পেশালি একটি স্বর্ণের আংটি ।আসলে কখনো ভাবি নি যে এরকম মুহুর্ত আমার জীবনে আসবে। পার করতে হবে ওকে ছাড়া পার করতে হবে আমার সারাটি জীবন। এখনো মাঝে মাঝে গিফট গুলা বের করে দেখি আর ফিরে যায় সেই সোনালী দিনগুলোতে।
অনেক কথা গ্যাপ দিয়ে হিস্টোরি টা লিখলাম আসলে কথাগুলো লিখতে পারছি না দুচোখ জুড়ে বর্ষার ধারা বইছে এত সাধের প্রেম এত সুখের কথা এত ভালো সময় পার করতাম সেই সময়গুলো ও নিজেই ভেঙে দিল কি করে বলি কথাগুলা আর কি করে লিখি বুঝতেছিনা।
সবাইতো প্রেমে পড়ে তাই না এটাই ঠিক? সবার ভালোবাসাই কী সত্যি হয়? ভালোবাসা সত্যি হোক বা না হোক জীবনের প্রথম প্রেম কিন্তু বেশ আবেগের ও মজাদার হয়।
প্রেমময় আমাদের জীবন। কত প্রেম আসে, কত প্রেম যায়...কিন্তু প্রথম প্রেমের স্মৃতির কথা রয়ে যায় চিরকাল। যে কারণে সবাই প্রথম প্রেমকে সত্যি কারের ভালোবাসা বলে থাকে। প্রথমবার কাউকে ভালোবাসার অনুভূতি, প্রথম চুম্বন, প্রথম রোম্যান্স- এই সবটাই কিন্তু ভীষণ খাঁটি এবং আবেগ মিশ্রিত।
প্রথম ভালোবাসাই আজীবন রয়ে যায়, এরকমটা কিন্তু খুব কমই দেখা মেলে। বেশিরভাগ প্রথম প্রেমই ব্যর্থ😂। তবে সেই প্রেম জীবনে অনেক কিছু শিখিয়েছে, এরকমটা দাবি করে থাকেন সকলেই। প্রথম ব্রেকআপের স্মৃতি কিন্তু রয়েই যায় আজীবন । আর তা মাঝেমধ্যেই ফিরে আসে এটাই স্বাভাবিক । আর তাই এই কারণ গুলির জন্যই প্রথম ভালোবাসা কখনও ভোলা হয় না।
****বিচ্ছেদের পর নতুন সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেও বার বার মনে প্রথম প্রেমের কথা।***
কবিগুরুর মতে সহজে- 'হেথা হতে যাও, পুরাতন/ হেথায় নূতন খেলা আরম্ভ হয়েছে'-
এমন কথা অনেকেই বলতে পারেন না। আর তাই ঘুরতে-ফিরতে অন্য প্রসঙ্গের ছলেও বার বার তাঁর কথাই মনে পড়ে ফেলা আসা প্রথম প্রেম। সেই সঙ্গে নতুন-পুরনোর তুলনা থেকেই যায় মনের মাঝে।
পুরনো প্রেম ভোলা কি এতটাই সহজ? কোথাও গিয়ে তাঁর জন্য একটু না একটু জায়গা থেকেই যায়। প্রথম প্রেমিকার জন্য বরাবরই আবেগ একটু বেশিই থাকে। সহজে সেখান থেকে বেরনো যায় না
রাগের মাথায় প্রথমদিকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ব্লক করে দিলেও ঘুরে ফিরে আবার যোগাযোগ রয়েই যায়। কারণ কম বেশি প্রাক্তনকে সকলেই বিশ্বাসের চোখে দেখেন। সমস্যার কথা তাঁর সঙ্গে ভাগ করে নেন। পরামর্শ নেন। যদিও পূর্বের ন্যায় ভালোবাসা আর থাকে না।
প্রাক্তনের সঙ্গে অদ্ভুত একটা যোগাযোগ খুঁজে পান সকলেই যেমন আমি। কোথাও গিয়ে যোগাযোগটা বেশ ভালো থেকেই যায়। দেখা হলে কিংবা কথা বললে মনে হয় সব ঠিকই আছে, একদম আগের মতোই।যদিও ও এখন এক ছেলের মা। বেশ কিছু দিন আগে একবার দেখা হলো যমুনা ফিউচার পার্কে ৫ মিনিট কথা হলো। আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন আমার স্কুল লাইফে আছি।ও চলে যাওয়ার পর কিছু সময় অনেক খারাপ লাগছিল।পরক্ষণেই ভেসে উঠল তার বেঈমানি কথা আর আচার-আচরণ। এটা ভেবে বেশি কষ্ট হচ্ছিল।
প্রেমে বিচ্ছেদ কয়েক বছর আগে হলেও প্রাক্তন প্রথম ভালোবাসা কিন্তু ঠিক মনে রায়েছপ। আপনি কী কী ভালোবাস তেন। ঠিক কোন বিষয়ে আপনার বেশি রাগ হতো। আপনার পছন্দ অপছন্দ সবকিছু। তাই দেখাটা পরে হলেও না বলা কথার মধ্যে দিয়ে সহজেই বুঝে যান আপনার মনের কথা। তখন দুজনেরই মনে হয় এটাই বুঝি ছিল সত্যি ভালোবাসা।
প্রথম প্রেমে বিশ্বাসটা খুবই জোড়ালো থাকে।যেমন আমার ছিল।আমি কখনো ভাবতাম না সে আমাকে ছেড়ে যাবে। আর প্রেম ভাঙলেও সেই বিশ্বাস রয়ে যায় মনের মনি কোঠায় আজীবন। পরিচিতি রয়ে যায় কন্ঠের স্বরের। আর তাই মুখ দেখেই বলে দিতে পারি ও আমাকে নিয়ে কি ভাবছে।।
কত বর্ষা পেরিয়ে ফাগুন এলো আবার ফাগুন পেরিয়ে বর্ষা এলো! তবুও যেন প্রথম প্রেমের স্মৃতিগুলো প্রথম প্রেমের কথাগুলো মনের মনি কোঠায় আগের মতই রয়ে গেল❤️ ভালো থাকুক সবার ভালোবাসা আর সেই সাথে ভালো থাকুক বেইমান গুলা। যাদের জন্য কেঁদেছে আমার মত অনেকের হৃদয়।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
টুইটার
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার প্রথম প্রেম এর অনুভূতি পরে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো ,তাছাড়া মানুষ এর জীবন এ প্রথম প্রেম কেউ কক্ষনোই ভুলতে পারে না ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে আমার প্রথম জীবনের প্রথম প্রেমের গল্প করে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সব প্রেমের এমন বাণী গুলো মুহূর্তের মধ্যে যে কাউকে স্বর্গে পৌঁছে দিতে পারে আবার মুহূর্তে নিক্ষেপ করে পাতালে ফেলিয়ে দেয়।
বাণী দিয়ে ভরা এসব প্রেমের বাস্তবতার কোনো রূপ নাই।
সুন্দর ছিল আপনার প্রেম কাহিনী এবারের বিজয়ী আপনি হবেন এই কামনা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক কথা বলেছেন ভাই সব প্রেমের এমন অমর বাণী থাকে আর যে বাণী গুলো মুহূর্তের মধ্যে কাউকে স্বর্গে আর কাউকে পাতালে নিক্ষেপ করতে পারে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit