আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি এপার আর ওপারের সবাই মিলেমিশে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আর ভালো আছি বলেই আপনাদের সবার মাঝে আজও চলে এলাম। দেখতে দেখতে আবারও সামনে চলে আসছে কোরবানীর ঈদ। আসলে ঈদ মানেই আনন্দ আর ঈদ মানেই খুশি। আমার কাছে দু ঈদই অনেক ভালো লাগে। এক ঈদে এক রকম আনন্দ। রোজার ঈদ দীর্ঘ একমাস রোজা ও রোজা শেষে প্রথম ঈদের জন্য শপিং করার মজাটাই আলাদা।
হ্যাঁ আমার সকল শুভাকাঙ্খি ভাই ও বোনেরা আমি এই কমিউনিটির আপনাদের সবার অতি প্রিয় একজন ছোট ব্লগার। নিশ্চই আপনারা সবাই বুঝে গেছেন যে আজ আমি কি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে আবারও চলে এলাম। আজও প্রতিদিনের মত আপনাদের জন্য আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে চলে আসলাম।আজ আমি আপনাদের জন্য লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে এসেছি। আশা করি প্রতিদিনের মত আজও আমার ব্লগটি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। গেল গত এপ্রিল এর ১১ তারিখ ঈদ-উল-ফিতর। আর এই ঈদে সবচেয়ে বেশী মজা। সবাই প্রথম ঈদকে ঘিরে কি সুন্দর সুন্দর শপিং করে। আমার খুব দেখতে ভালো লাগে। যদিও এখন আগের মত সেই আমেজ বা আনন্দটা আর পাওয়া যায় না। তারপরও ঈদের শপিং বলে কথা। এ এক অন্য রকমের অনুভূতি।
বন্ধুরা এবার রোযার ঈদে সেইরকম ভাবে শপিং করা হয়নি। বা শপিং যাওয়াও হয়নি। এবার ঈদে আমি কিছুটা অসুস্থ ছিলাম। তারপরও কি আর করার পরিবারের জন্য আমার শপিং এ যেতে হয়েছিল। ঈদের চাঁদ রাতে আমরা অনেক রাত পর্যন্ত শপিং করেছিলাম।যদিও যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না তারপরও আপু আর ভাইয়াদের সাথে যেতে হলো । তাদের ও আমার ছোটা ভাইয়ের পাঞ্জাবী ও আরও কিছু কেনাকাটা বাকি ছিল। তাই যেতে হয়েছে। অনেক রাত পর্যন্ত শপিং এ ছিলাম। এবারের ঈদে সারারাত দেখলাম মার্কেট খোলা ছিল। আর রাস্তাঘাটও ছিল অনেক জমজমাট। মার্কেটগুলোও ছিল মানুষের পরিপূর্নতা ভরা।আমরা কেনাকাটা করছিলাম।আর কেনা কাটা করতে করতে গেলাম বাটাতে। বাটায় গিয়ে দেখি এত রাতেও অনেক মানুষ বাটায় কেনাকাটা করছে।
হ্যাঁ প্রিয় বন্ধুরা আজ আমি বাটা থেকে ঈদে কি কি কেনা কাটা করলাম সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম। আমি আবার ছোট থেকেই সবার ঈদের কেনাকাটা দেখতে ভালোবাসি। সবাই বলে ঈদের জিনিস নাকি দেখালে ঈদ হবে না। হ্যাঁ হয়তো আপনারা সবাই বলতে পারেন যে ঈদতো চলে গেছে তাই আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি হিহিহি। আসলে তা না আমি অসুস্থ ছিলাম। তাই আপনাদের আগে দেখাতে বা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারিনি। আগামী ঈদে যদি বেচেঁ থাকি তাহলে শুরুতেই ঈদের শপিংগুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এবার চলেন কি কিনলাম দেখে আসি।
আপু সবসময় ঈদে বাটা থেকে জুতা কেনে। তাই এবারও গেলাম আপুর সাথে বাটায়। খিলগাঁও চৌধুরীপাড়া শাখায়। আর বাটায় গিয়ে আপু আপুর জন্য জুতা পছন্দ করেছে। আর আমার জন্য পছন্দ করছে। আপু যখন আমাকে বলল যে আমাকে আমার জন্য জুতা পছন্দ করার জন্য আমি বলেছি যে আমি কিছু কেনাকাটা করবো না। আমার নতুন জুতা আছে। আপু বিশ্বাস করে না আমি কিছু কিনবো না। আর আপু ভাইয়া ও ছোট ভাই সবাই মিলে আমার জন্য জুতা পছন্দ করছে। সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে দেখে বোনের হাসবেন্ড মানে আমার ভাইয়া বাটার প্রায় অনেক জুতাই খুঁজে ও পছন্দ করে আমার জন্য নিয়ে আসছে। আর বলছে যে কোনটা পছন্দ হয়? আপু ও ভাইয়া সবসময় ঈদে আমার জন্য একটা বাজেট রাখে। এবার যদিও একটু কম রেখেছিল। কারন এবার ঈদে আপুর হাতে টাকা ছিল না।
এভাবে করে আপুর জন্য জুতা পছন্দ করে ফেললাম। আর কিনেও ফেললাম। আপুর জুতাটি আমার খুব পছন্দ হয়েছিল। আপু বলেছিল যে একই রকম কেনার জন্য। কিন্তু আমারতো এবার ঈদে কিছু কেনার ইচ্ছা ছিল না। তারপরও পরিবার থেকে তাদের পছন্দ মত কিনে দিয়েছে। এবার এলো আমার পালা। আমার জন্য তো সবাই পছন্দ করছে। কিন্তু আমি নিতে চাচ্ছিলাম না। আমাদের এই নিব, নিবনা দেখে বাটার ভাইয়ারাও যেন আমাকে জুতা কেনার জন্য উৎসাহ দিচ্ছে। আর হরেক ডিজাইনের জুতা নিয়ে নিয়ে এসে আমাকে পছন্দ করানোর চেষ্টা করছে। এটা দেখেও ভালো লাগলো। তখন আর কি করা সবার এত ভালোবাসা দেখে নিয়ে নিলাম আমিও এক জোড়া জুতা। ছোট ভাই আমার জন্য এক জোড়া কেইস পছন্দ করে নিয়ে এলো। আর দেখে আমারও ভালো লাগলো।ব্যাস নিয়ে নিলাম।তবে বাটার জুতা পরে কিন্তু আসলেই অনেক শান্তি খুব সফ্ট জুতা।আর সাথে কিনে নিলাম একজোড়া মুজা। এটা ভালোই হলো জুতার সাথে এখানে মুজাও পাওয়া যায়।
আর এভাবে বাটার দোকানের কেনাকাটা করতে করতে আরও রাত হয়ে গেল। আর এখানে শেষ করে চলে গেলাম আরও অন্য জিনিসগুলো কেনার জন্য। তবে যদিও কিছুটা অসুস্থ ছিলাম তারপরও কেন যেন এই রাতে কেনাকাটা করতে ভালোই লাগছিল।
পরিচিতি
আমি মাহফুজা আক্তার নীলা । আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুননি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসুস্থ শরীর নিয়েও বেশ ভালো শপিং করেছেন আপু। যেহেতু গতবার ঈদে জুতা কিনেছি তাই এবার আর কিছুই কেনা হবে না। তবে আপনি ঈদের জন্য শপিং করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনি অসুস্থ থাকা অবস্থায় ঈদের শপিং করতে গেছেন এবং অনেক ভালো শপিং করেছেন। আমিও ভাবছি কয়েক দিনের ভিতরে ঈদের শপিং করতে বের হব কিন্ত প্রচন্ড রোদের কারণে বাবুকে নিয়ে বের হতে পারছি না। তবে আপনি ঈদের জন্য শপিং করেছেন ভালো লাগলো। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঈদ আসলে সবারই কেনাকাটা বেড়ে যায়। যদিও রমজানের ঈদে বেশি শপিং করা হয়। তারপরেও কোরবানির ঈদে কিছু কিছু শপিং হয়। আপনাদের বাটার জুতো গুলো খুবই সুন্দর। রাতের বেলা মার্কেট করতে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাটার জিনিষ অনেক ভালো টেকশই হয়। আমিও বাটা অথবা এপেক্স থেকে শপিং করি। এখন যে জুতো গুলো পড়ছি সে গুলো এপেক্সের। ঈদের সময় বাটা থেকে এক জোড়া জুতো কেনার প্লান আছে। আপনার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit