নতুন আলু এবংটমেটো দিয়ে মজাদার কাচকি মাছ চচ্চড়ি

কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আশা করি সবার দিনটা ভাল কেটেছে। আজকে আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমার রেসিপির পোস্ট দেখে আসি কেমন হয়েছে।

হ্যাঁ বন্ধুরা, আজ আবার আমি চলে এলাম সবার প্রিয় একটি অনেক মজাদার মাছের রেসিপি নিয়ে। আমরা কেউ বলতে পারব না ছোট মাছ খেতে আমরা পছন্দ করি না। আর ছোট মাছের মধ্যে কাচকি মাছ কিন্তু সবার অতি প্রিয় একটি মাছ। আমারও ভীষণ পছন্দ। আগে অবশ্য কাচকি মাছ ছাড়া অন্য ছোট মাছগুলো খেতে পারতাম না। কিন্তু এখন বড় মাছ থেকে ছোট মাছগুলোই আমার বেশি ভালো লাগে। আর এই কাচকি মাছটি যদি শীতের নতুন আলু টমেটো কাঁচা মরিচ পেঁয়াজ কুচি ধনেপাতা দিয়ে শুকনা শুকনা করে চচ্চড়ি করা যায় তাহলে গরম ভাত দিয়ে খেলে আর কিছুর প্রয়োজন হয় না। আজ আমার এই কাচকি মাছ আর নতুন আলু র🥔 সাথে টমেটো 🍅 দিয়ে কাচকি মাছের মজাদার চচ্চড়ি আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে।

তাহলে চলুন দেখে আসি,এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লেগেছে। আর আমি পুরো রেসিপি কিভাবে রান্না করলাম। তার পুরো প্রস্তুতি নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ

উপকরণ	পরিমাণ
কাচকি মাছ	১ কেজি
আলু	২৫০ গ্রাম
পেঁয়াজ কুচি	১ কাপ
রসুন বাটা	১ টেবিল চামচ
কাঁচামরিচ কুচি	২ টেবিল চামচ
ধনিয়া পাতা কুচি	২ টেবিল চামচ
হলুদের গুঁড়া	২ টেবিল চামচ
মরিচের গুঁড়া	২ টেবিল চামচ
টমেটো	২৫০ গ্রাম
লবন	পরিমাণমতো
তেল	পরিমাণমতো

রান্নার বিবরণ :

ধাপ - ১ :

প্রথমে একটি পাত্রে কেটে রাখা আলু কুচি গুলো দিয়ে তার মধ্যে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচিগুলো দিয়ে দিলাম।

ধাপ - ২ :

এরপর আলু ও পেঁয়াজ কুচি গুলোর মধ্যে এক এক করে হলুদ গুঁড়, মরিচ গুঁড়া, আদা রসুন বাটা, লবন ও ফালি করে কাটা কাঁচামরিচ দিয়ে সবগুলো উপকরণ একসাথে মেখে নিলাম।

ধাপ - ৩ :

এবার এর মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে আবার সবগুলো উপকরণ একসাথে মেখে নিলাম।

ধাপ - ৪ :

এবার মেখে নেওয়া আলু পেয়াজ ও সকল উপকরণের গুলো মধ্যে ধুয়ে রাখা কাচকি মাছ ও কেটে রাখা কাঁচা মরিচ ফালি গুলো দিয়ে সবগুলো একসাথে মেখে নিলাম।

ধাপ - ৫ :

এবার আবারো মাছ ও সকল উপকরণ গুলোর মধ্যে কেটে রাখা টমেটো আর ধনেপাতা কুচিগুলো দিয়ে আবার সবগুলো একসাথে মেখে নিলাম।

ধাপ - ৬ :

এবার সামান্য হাফ কাপপরিমাণ পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চুলায় প্যানটি বসিয়ে দিলাম এত অল্প পানি দেয়ার কারণ এগুলো ছোট মাছ তাই বেশি পানি দিলে মাছগুলো বেশি সিদ্ধ হয়ে নরম হয়ে যাবে

ধাপ - ৭ :

এরপর ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর ঢাকনা তুলে যখন দেখলাম মাছটি সম্পন্ন হয়ে গেছে এবং পানিগুলো শুকিয়ে আসছে তখন চুলা থেকে মাছের পাত্রটি নামিয়ে গরম গরম পরিবেশনের বাটিতে বেড়ে নিলাম।

ফাইনাল আউটপুট :

এরপর টমেটো গোল করে কেটে ও সাথে কিছু কাঁচামরিচ দিয়ে পরিবেশন এর জন্য গুছিয়ে নিলাম।

বন্ধুরা কেমন হলো আমার আজকের রেসিপিটি? আমি কিন্তু বেশ মজা করে খেয়েছি। আশা করি আপনার আমার মত এমন করে রান্না করে বাসা খেয়ে দেখবেন। আজান নয় সবাই ভাল থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।