আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
![]() |
---|
দীর্ঘদিন পর ঢাকায় এসেছিলাম এবার ঢাকায় আসার পর ভেবেছিলাম ৩-৪ মাস আর বাসায় যাবো না৷ কিন্তু রংপুরে হঠাৎ করেই আমার একটা কাজ পরে যায় তাই ইচ্ছা না থাকা সত্বেও আমাকে ঢাকা ছেড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে হয়৷ ঢাকায় থেকে কাজ সেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু আমার অনুপস্থিতিতে কাজটি কোন ভাবেই সম্পন্ন হয় না তাই শেষ মেষ আমাকে যেতেই হয়৷
ঢাকার বাসা থেকে আমি আর আমার ফুপাতো ভাই সোহাগ বের হই সন্ধ্যার দিকে৷ সন্ধার দিকে বের হয়ে একটি সিএনজি ঠিক করি সোজা গাবতলির উদ্দেশ্যে। গাবতলিতেই সব বাসের কাউন্টার৷ বাসা থেকে বের হওয়ার সময় একটু টেনশনে ছিলাম বাসের টিকিট নিয়ে৷ কারন অনেক দেরি করে আমরা বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। টিকিট পাওয়ার সুযোগ খুবই কম ছিলো।
গাবতলিতে পৌছানোর পর সব গুলো কাউন্টার খুজলাম কোন বাসেই সিট পাচ্ছিলাম না। শেষ মেষ শ্যামলী পরিবহনে দুটো সিট পাই কিন্তু সিট গুলো একদমই পেছনের দিকে ছিলো৷ নিরুপায় হয়ে সেই সিট গুলোই কনফার্ম করলাম, যেতে তো হবেই আমার কাজটি ভীষণ জরুরি ছিলো।
আমরা টিকিট কেটেছিলাম ৭ঃ০০ টার দিকে আর আমাদের বাস ছিলো ১০ঃ৩০ টায়, হাতে অনেক্ক্ষণ সময় আমি আর সোহাগ চা খেয়েই অনেকটা সময় পারি দিলাম। তারপর আমার বিরক্ত লাগতে শুরু করেছিলো, কি আর করার অপেক্ষা করতেই হবে। এই কাউন্টার থেকে আমাদের অন্য কাউন্টারে যেতে হবে বাসে ওঠার জন্য। কাউন্টার মাস্টার বলেছিলেন বাস ছাড়ার আগে আগে আমাদের সেই কাউন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে তাই আমরা বসে অপেক্ষাই করছিলাম।
![]() |
---|
জায়গা: গাবতলি বাস স্টান্ড
সময়: রাত ১০:০৭
তারিখ: ২৩/১২/২২
![]() |
---|
জায়গা: গাবতলি বাস স্টান্ড
সময়: রাত ১০:০৭
তারিখ: ২৩/১২/২২
তার পর আমরা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দাড়ালাম, সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম বাস আসতে আরো সময় লাগবে। কি আর করার সেখানে দারিয়েই অপেক্ষা করছিলাম আর চায়ের দোকানে চা নাস্তাটাও সেরে ফেললাম, আমার খুবই খুদা লেগেছিল৷
![]() |
---|
জায়গা: গাবতলি বাস স্টান্ড
সময়: রাত ১০:১৭
তারিখ: ২৩/১২/২২
![]() |
---|
জায়গা: গাবতলি বাস স্টান্ড
সময়: রাত ১০:১৯
তারিখ: ২৩/১২/২২
তারপর অনেকটা সময় বাসস্ট্যান্ডে কাটানোর পর আমাদের বাস চলে আসে আর আমরা বাসে উঠে বসি। আমরা বাসে ওঠার পর ভাগ্যিস বাস সেখানে আর বেশি দেরি না করে চলতে শুরু করে। তারপর আরো অনেক গুলো কাউন্টার থেকে অল্প অল্প করে প্যাসেঞ্জার উঠানো হয়৷ ঢাকার এরিয়া পার হওয়ার পর বাস আর অন্য কোথাও দাঁড়ায়নি৷ বাস চলতে চলতেই আমি যে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তা বুঝতেই পারিনি।
![]() |
---|
জায়গা: ফুড ভিলেজ, ধানকুনডি
সময়: রাত ০২:১৪
তারিখ: ২৪/১২/২২
![]() |
---|
জায়গা: ফুড ভিলেজ, ধানকুনডি
সময়: রাত ০২:১৪
তারিখ: ২৪/১২/২২
তারপর হঠাৎ সুপারভাইজারের ডাকে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় আর আমি চোখ খুলে বাইরে তাকিয়ে দেখি আমরা ফুড ভিলেজে পৌঁছে গিয়েছিলাম এখানেই বাস দাঁড়িয়ে 30 মিনিটের জন্য খাবারের ব্রেক দেয়। তারপর আমরা ফুড ভিলেজের ভিতরে গিয়ে আমাদের খাবার-দাবার সেরে নিয়ে আবার বাসে উঠে পড়ি৷
তারপর আবারো আমাদের বাস চলতে থাকে, বাস চলতে চলতেই আবার যে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তা বুঝতেই পারিনি। এরপর আমার চোখ খুলে একদম সকাল আটটায়, আমাকে সুপারভাইজার ডাক দিয়ে বলে আমরা খলিলগঞ্জ বাজারে পৌঁছে গিয়েছি। এটাই আমার বাসার এলাকার বাজার৷ তারপর আমরা বাস থেকে নেমে আমাদের লাগেজ, ব্যাগ হাতে উঠিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে হাঁটতে শুরু করি।
এই ছিল আমার ঢাকা থেকে রংপুর যাওয়ার ভ্রমণ কাহিন। এভাবে বাস দিয়ে ঢাকা থেকে রংপুর অথবা রংপুর থেকে ঢাকা যেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি বিশেষ করে রাতের বেলা বাস জার্নি আমার কাছে ভীষণ প্রিয়। যাই হোক আশা করি আমার এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার এই পোষ্টে আসার জন্য সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল সকলের জন্য।
YouTube |
---|
VOTE @bangla.witness as witness

OR

Twitter Link
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি ঢাকা থেকে রংপুর খুব সুন্দর করে পৌঁছেছেন এটা শুনে খুব ভালো লাগলো। তবে আমি কখনো গাড়িতে উঠলে ঘুমাই না আমার ঘুম আসে না। তবে বাস করে গেলে একটি জিনিস খুব খারাপ লাগে। সময় মত বাসগুলো না আসলে অনেক তিক্ত লাগে। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit