আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো এবং সুস্থ আছেন। আমিও কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো এবং সুস্থ আছি। তবে শরীরটা আর চলে না। চলবেই বা কেমনে দীর্ঘ এক মাস পরিশ্রম করার পর আজ তার অবসান হলো। অবশ্য পরিশ্রম আরও আছে সামনে। সে যাই হোক ব্যাস্ততার মাঝেও আমাকে যে আপনাদের মাঝে আসতে হয়েছে। কারন তো আপনারা জানেন। দিন শেষে একটি পোস্ট লেখলেও কিন্তু দেহের সব ক্লান্তি গুলো কিছুটা হলেও দূর হয়ে যেত।
শেষ হয়ে গেল এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা। সারা দেশ হতে প্রায়ে দেড় লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী নিজেদের কে একজন ভালোমানের চিকিৎসক হিসাবে গড়ে তুলতে এই পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। অনলাইনে ফরম ফিলাপ যেদিন থেকে শুরু হয় সেদিন থেকেই আমাদের ব্যাস্ততা বেড়ে যায়। কিন্তু শত ব্যাস্ত কাটিয়ে আজ শেষ হয়ে -গেল এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষা কে সফল করতেই আমাদের এই প্রয়াস। যার কিছু কথা আপনাদের মাঝে কয়েকটি ধাপে শেয়ার করার চেষ্টা করছি। আশা করি আপনাদেরও বেশ ভালো লাগবে।
Banner credit --@maksudakawsar
ভর্তি পরীক্ষার যুদ্ধে
আমরা যখন সৈনিক
ভর্তি পরীক্ষার যুদ্ধে
আমরা যখন সৈনিক
৯ই ফেব্রুয়ারী কে মাথায় রেখে বেশ সুন্দর করে সাজানো হয় ভর্তি পরিক্ষায় সহযোগিতার কমিউনিটিকে। আর এই কমিউনিটির উপর দায়িত্ব পড়ে পরীক্ষার জন্য যাবতীয় কাজ সমাধা করার। হলে ডিউটির রোস্টার তৈরি করা, সে সমস্ত রোস্টার ডিউটি গুলো সকল কে বিতরণ করা, বিতরণকৃত রোস্টার ডিউটি গুলো কনফার্ম করা সহ আরও অনেক কাজ। আর বিষয়টি মাথায় রেখেই আমাদের কে বলে দেওয়া হয় আমরা যেন খুব ভোরে অফিসে যাই। আর তাই তো গত একটি মাস বেশ কঠিন একটি সময় গেছে আমার মাথার উপর দিয়ে।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
সেই ভোরে কনকনে ঠান্ডার মধ্যে ঘর হতে বের হওয়া যে কত কষ্টের সেটা বুঝানো যাবে না। আর ঘরে ফেরা সেই রাতে। কখন রাত ৮ টা তো, কখনও রাত ১০ টা। কি যে জীবন গেছে গত একটি মাস। দুপুরে খাওয়া অফিসে। আর তো রইল সন্ধ্যার নাস্তা। সব মিলিয়ে যেমন পরিশ্রম তেমন খাবার। আর এত সব কাজের মাঝে তো রইল প্রিয় কমিউনিটির তে নিজের মনের কথা গুলো পোস্ট করা। সব মিলিয়ে যেন পাগল পাগল লাগছিল আমার।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
দফায় দফায় ভর্তি কমিউনিটির মিটিং। আর তার জন্য কনফারেন্স কে সুন্দর করে সাজানো। যেন কমিউনিটির সকলের কাছে পছন্দ হয়ে যায়। যাতে কিছুটা সুনাম অর্জন করতে পারি। সব টেনশন গুলোই গেছে ব্রেণের উপর দিয়ে। তবে এরই মাঝে কিন্তু বেশ আনন্দ আর উদ্দীপনা ও ছিল। কখনও কারও জন্মদিন । আবার হয়তো কারও থেকে টাকা খসানো। সব মিলিয়ে যেন বেশ আনন্দের স্বপ্নপুরী ছিল আমাদের।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
১৪০০০ হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রায় ২৫০ হলসুপার এবং ৩৫০ জন ইনভিজিলেটর কে ফোন করার দায়ত্বটি আমাকেই দেওয়া হয়। আমি তো প্রতিদিন এত গুলো মানুষ কে ফোন করতে করতে শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম। কেউ দরে তো কেউ ধরে না। কেউ আবার বিজি বাব দেখায়। আমি তো শেষ। কি আর করার কাজ তো করতেই হবে। দিনের পর দিন পার হয়ে যাচ্ছে। ঘনিয়ে আসছে পরীক্ষার তারিখ। যতই দিন ঘনিয়ে আসছে কাজের চাপ আরও যেন বেড়ে গেছে। তখন তো শুধু ফোন করার মধ্যেই সীমা বদ্ধ ছিল না। সব কাজের সাথেই হাত দিতে হয়েছে।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
তারপর এত এত কষ্টের পর ঘনিয়ে আসলো সেই পরীক্ষার সময়টুকু্। তখন যেন আর নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় তো জুটছিল না। ১৪০০০ ছাত্র ছাত্রীর জন্য বিভিন্ন ট্র্যাংক তৈরি করা। দফায় দফায় সবকিছু গুছানো সব মিলিয়ে নিঃশ্বাস করার মত সময় গুলো পার করতে হয়েছে। তারপর তো আছে সবাই কে ম্যানেজ করা। সব কিছুই। তবে এত কাজ করে আবার সংসাররের কাজ করাটা কিন্তু আমার জন্য বেশ মুশকিল হয়ে পড়েছিল। তবে আমার ছোট বোন @mahfuzanila যদি না থাকতো তাহলে কিন্তু আপনাদের ভাইয়ার বারোটা বেজে যেত। শুধু ও রান্না বান্না করে দিয়েছে দেখেই আপনাদের ভাইয়া খেতে পেরেছে। তাই আমি বলবো এমন বোন ঘরে ঘরে থাকা দরকার।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
শেষ কথা
শেষ কথা
পরিশ্রম যাই হোক না কেন । এমন কাজে থাকতে পেরে কিন্তু খারাপ লাগেনি আমার। বেশ ভালোই লেগেছে আমার। সব মিলিয়ে বেশ বাস্ত কিছুদিন গেল আমার।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আসলে আপনার দীর্ঘ একমাস অনেকপরিশ্রম গিয়েছে।আপনি যেই প্ররিশ্রম করেছেন সেটাতো নিজেই দেখেছি।এত ঠান্ডার মধ্যে খুব সকাল অফিস যাওয়া। আবার রাত ৯ কি কখনও রাত ১০টায় এমনকি দেখা গেছে কখনও রাত ১১ টায়ও বাসায় ফেরা।তবে এটা বলতে হয় যে, ভাইয়া আপনার অফিসে গিয়ে প্রতিদিন আপনাকে নিয়ে আসতো।এমন মানুষ পাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার। তারপর এত রাতে বাসায় ফেরা এবং আবার আপনার ক্লান্ত শরীর নিয়ে আমাদের সবার প্রিয় কমিউনিটিতে পোস্ট ও সময় দেয়া।আবার আপনার সংসার সামলানো।আপু আপনাকে দেখে আমি সত্যি অভাগ হয়েছি ।খুব পরিশ্রম গেছে এই একমাস আপনার উপর দিয়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাপরে বাপ! ভালোই দখল গেছে দেখছি আপনার উপর দিয়ে আপু। এতো কিছু সামলানু আসলেই কঠিন কাজ ছিল। যাক, অবশেষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার কাজ শেষ হলো! এখন কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছেন আশা করি
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আর স্বস্থি রে ভাই। আগামী মাসে আবার পরীক্ষা। যাক ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit