কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ দুর্গাপূজার বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ঘটনা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে এবার আমি একটা জিনিস খেয়াল করে দেখলাম যে বিভিন্ন জায়গায় এই বৃন্দাবনের প্রেম মন্দির তৈরি করা হয়েছে। যদিও বৃন্দাবনে কিন্তু দুই একটা প্রেম মন্দির নেই। এখানে অনেক প্রেম মন্দির রয়েছে যেখানে এই কৃষ্ণ এবং রাধার মূর্তি রাখা রয়েছে। ঠিক তেমনি বিভিন্ন জায়গায় প্রেম মন্দির তৈরি করা হলেও ডিজাইন কিন্তু আলাদা ধরনের। আসলে পরবর্তীতে আপনারা দেখতে পারবেন যে আমি আরো অনেক জায়গায় ঘুরেছি যেখানে এই প্রেম মন্দিরের প্যান্ডেল করা হয়েছে। যাইহোক মন্দিরটা কিন্তু একটু ভালোভাবে দেখতে পারলাম। কেননা অন্যান্য প্যান্ডেল দেখতে গেলে অনেক বেশি ভিড় ছিল এবং এই ভিড়ের চাপে আমরা কোন একটা জায়গায় স্থির ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না। আসলে মানুষের চাপে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হচ্ছিল।
যাই হোক খুব শান্তি করে এই প্যান্ডেলটি আমরা দেখতে পেলাম। এরপর আমরা আস্তে আস্তে করে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করলাম এবং মন্দিরে চারিদিকের কারুকার্য দেখতে শুরু করলাম। আর আমিও কিন্তু মন্দিরের চারিপাশ খুব সুন্দর ভাবে ছবি তুলে রাখলাম যাতে করে পরবর্তীতে পোস্টে আপনাদের সাথে এই ছবিগুলো শেয়ার করতে পারি। আসলে এত ফাঁকা ছিল বলে আমি ভালো করে এই প্যান্ডেলের চারিদিকের ছবি তুলতে পেরেছিলাম। আর অন্যান্য প্যান্ডেল গুলোতে যখন গিয়েছিলাম তখন অন্য মানুষের ধাক্কায় হাতে স্থির ভাবে ফোন রেখে কোন ছবি আমি তুলতে পারছিলাম না। যাই হোক নিজের মতো করে সুন্দর করে চারিদিকের ছবিটা তুললাম এবং মানুষের হাতের কারুকার্য দেখে আমি বারবার অবাক হয়ে গেলাম।
আসলে এই জিনিসগুলো যখন আমরা দেখতে লাগছিল তখন কিন্তু আমার খুব ভালো লাগছিল। আসলে মায়ের মুখ খানা দেখেও কিন্তু আমার মনটা ভরে গেল। এত সুন্দর করে মায়ের মুখ তৈরি করা হয়েছে যা দেখে সবারই ভালো লাগবে। যাইহোক প্যান্ডেলের উপরে বড় ঝাড়বাতি দেখতে কিন্তু খুব ভালো লাগছিল। আসলে তখন তেমন একটা বেশি কিন্তু ঠান্ডা ছিল না। অর্থাৎ গরমের প্রায় শেষের দিকে এই পূজা হয়। তাই আমরা যখন এই প্যান্ডেলের ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম তখন কিন্তু অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। আসলে তখন আনুমানিক প্রায় রাত দুটো বাজে। যাই হোক আমরা প্যান্ডেলে একটা কোণে ফ্যানের সামনে দাঁড়িয়ে একটু হাওয়া খেয়ে নিলাম। কেননা এভাবে রিলাক্সে হয়তোবা আর কোন প্যান্ডেল আমরা দেখতে পারবো না।
আসলে এতগুলো প্যান্ডেল দেখতে দেখতে আমরা সত্যি খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম এবং একটা জিনিস সবথেকে খারাপ লাগছিল যে আমরা এই পুজো দেখতে গিয়ে ভাল কোন খাবারের দোকান দেখছিলাম না। তাইতো এদিকে আমাদের একটু ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল। এরপর আমরা একটা কাজ করলাম দুজনে আর দেরি না করে প্যান্ডেল থেকে বের হয়ে আসার জন্য চিন্তা ভাবনা করলাম। কিন্তু গিন্নির পায়ে ফোসকা পড়ে যাওয়ার জন্য আমরা কিন্তু আরেকটু ক্ষণ অপেক্ষা করতে চাইলাম। আসলে প্যান্ডেলটি ফাঁকা ছিল এবং আকারে বড় ছিল বলে আমরা একটা কোণে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম এবং আরো কিছু ছবি সুন্দরভাবে তোলার চেষ্টা করলাম। এরপর আমরা আস্তে আস্তে করে প্যান্ডেল থেকে বের হয়ে এলাম। কেননা এরপরেও আমরা অনেকগুলো প্যান্ডেল দেখতে যাব।
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসাধারণ একটি মাতৃ মণ্ডপ ছবি তুলে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন। প্রেম মন্দিরের আদলে বানানো এই পূজা মন্ডপটি সত্যিই ভীষণ সুন্দর হয়েছে।। আর তার সঙ্গে ভালো হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফিগুলি। মন্দিরের কারুকার্য দেখে সত্যিই অবাক হয়ে যেতে হয়। দূর্গা পূজার সময় এই অসাধারণ মণ্ডপসজ্জাগুলোই ঘুরে দেখলে যেন শরীরের সমস্ত পরিশ্রম জুড়িয়ে যায়। অসাধারণ এই মন্ডপের ছবি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit