জামদানি পল্লীতে একদিন ।

in hive-129948 •  2 years ago 

২১ ই জানুয়ারি ২০২৩ খৃস্টাব্দ ।


আজ রোজ শনিবার

মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব।



কেমন আছেন সবাই ?আশা করি সকলে ভালো আছেন। ভালো না থেকে উপায় নেই ,কারণ আজ দেখলাম বেশ ভালোই রোদ উঠেছে যার জন্য শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। শীতকাল টা ভালো লাগে তখন ,যখন কোন কাজ না থেকে শুধু মাত্র কাঁথা কম্বল দিয়ে শুয়ে থাকা যায় ,কিন্তু কোন কাজ করতে হলে তো আর শীত কাল ভালো লাগে না। বিশেষ করে যখন ঠান্ডা পানির কাজ যদি করা লাগে। যাই হোক প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজকে একটু ভিন্ন রকম পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। বেশ কিছুদিন আগে ডেমরার বিখ্যাত জামদানি পল্লীতে গিয়েছিলাম। আসলে বাঙালি মেয়েদের সবচেয়ে বেশি পছন্দের শাড়ি হচ্ছে জামদানি শাড়ি। আমাদের বাসা থেকে খুব বেশি একটা দূরে না।আমাদের বাসা থেকে যেতে প্রায় ৩০ মিনিটের মত লাগে। আসলে ঐখানে গেলে এত এত জামদানি দেখলে আমি বেশ পাগল হয়ে যাই। এত এত কালার আর এত এত নকশা যা আসলে চোখ ফেরানো যায় না।

কয়েকটি ছবি একসাথে

326498794_726349295572387_8655050559251004109_n.jpg

captured by @rahimakhatun

Device- Galaxy -A13

আসলে প্রত্যেক শুক্রবারএকদম ভোরে ডেমরাতে একটা হাঁট বসে আজ থেকে প্রায় ১১/১২বছর আগে আমি একবার গিয়েছিলাম আমার বাবা আর বোনের সাথে শাড়ি কিনতে তখন আমার তেমন শাড়ি সম্পর্কে আইডিয়া ছিল না। যাই হোক আপু আমি মায়ের জন্য শাড়িতে কিনতে গিয়েছিলাম। তখনই দুইটা শাড়ি খুব সম্ভবত ৬০০০ টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল। শাড়িগুলো বেশ সুন্দর। এখনো বাসায় আছে। মায়ের জন্য মিষ্টি কালারের কেনা হয়েছিলো। একদম ফরমাল শাড়ি। বিভিন্ন ভাইবা কিংবা প্রেজেনটেশন দিতে গেলে এই শাড়িটা আমাদের পড়া হয়। যাই হোক আমি আর আপু মিলে সেইদিন যেখানে শাড়ি বানানো হয় সেখানে যাবো বলে সে দিন দুপুরের দিকে রওনা হলাম। রিকশা ওয়ালা মামাকে ঠিকঠাক লোকেশন বলতে পারছিলাম না ,কারণ জায়গার নাম জানতাম না।পরে বলেছিলাম যেখানে শাড়ি পাওয়া যায়। পরে মামা অন্য জামদানি মার্কেটে নিয়ে গেলো। সেখানে দেখলাম অনেক অনেক দোকান জামদানি শাড়ির।

326302308_735455621133263_8052575493373694184_n.jpg

মোটামুটি সব শাড়ির দোকান দেখে বুঝতে পারলাম,দোকানগুলোতে অনেক দাম। আমার বেশ ভালোই লেগেছে শাড়িগুলা। কালার কম্বিনেশন গুলো অসাধারণ। উপরে যে ছবিটা দেখতে পারছেন ,আমার নামের সাথে মিল আছে। 😜এইটা নেভিব্লু ও গোলাপি কালারের কনটেস্ট দাম চেয়েছিলো ৫০০০ টাকা।

326675156_501675401875271_7406564798876122082_n.jpg

কমলা আর রানীগোলাপীর কনটেস্ট।

326418810_560569019265912_8164420069793719838_n.jpg

এই শাড়িটা বেশ সুন্দর লেগেছে। দাম ১২০০০ টাকা চেয়েছিলো। নকশা গুলো একটু অন্যরকম।

324546031_519288676959314_7428470734639664826_n.jpg

লোকেশন : রূপসী ,ডেমরা।
তারিখ : ১ লা জানুয়ারি ২০২৩।
সময় :বিকাল ০৪.০২
ডিভাইস : Galaxy -A13.

326560014_972583890382172_3265183085802987149_n.jpg

লোকেশন : রূপসী ,ডেমরা।
তারিখ : ১ লা জানুয়ারি ২০২৩।
সময় :বিকাল ০৪.০২
ডিভাইস : Galaxy -A13.

324632389_2495924997228023_2595212429648850774_n.jpg

লোকেশন : রূপসী ,ডেমরা।
তারিখ : ১ লা জানুয়ারি ২০২৩।
সময় :বিকাল ০৪.০২
ডিভাইস : Galaxy -A13.

326578137_751481072584685_126291252750545094_n.jpg

লোকেশন : রূপসী ,ডেমরা।
তারিখ : ১ লা জানুয়ারি ২০২৩।
সময় :বিকাল ০৪.০২
ডিভাইস : Galaxy -A13.

পরে আমরা আবার মানুষকে জিজ্ঞাসা করে জামদানি শাড়ি যেখানে বানানো হয় সেখানে গিয়েছিলাম ,সেখান থেকে একটা শাড়ি কিনেছিলাম । পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

আজ আর নয়। আবার আসবো নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই পযর্ন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।

ধন্যবাদ সবাইকে

device Galaxy A13
LocationDhaka
photograpy bride and groom
link(Source)

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

ঠিক বলেছেন আপু শীত ভালো লাগে, যদি শীতের ভিতর কোন কাজ না করা হয়। আর অন্য কাজ যেমন তেমন পানির কাজ করতে আসলেই কষ্টকর। তবে আপু যতই শীত পড়ুক না কেনো রোদ উঠলে আর সমস্যা নেই। আপনার জামদানী শাড়ি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগল। আসলে আপু আপনি আপনার মায়ের জন্য যে শাড়ি দুটি ৬০০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন, এক যুগ পর দাম তো ডাবল হবেই। যাইহোক আপু কি শাড়ি কিনলেন দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

এটা ঠিক রোদ উঠলে তেমন সমস্যা হয় না,তবে রোদ না উঠলে বেশ বিরক্ত লাগেআপু ডাবল এর চেয়ে বেশি দাম।কি শাড়িটা দেখানো যায় কিনা।ধন্যাবাদ আপনাকে।শুভেচ্ছা নিবেন।

শীত সবার ভালো লাগে৷ কিন্তু পানির কাজ করার ইচ্ছে করে না ৷ তবে আমার কাছে পানি বাদে সবই ঠিক আছে ৷
যা হোক আপনার ডেমরায় জামদানি শাড়ি কেনার মূহুর্ত গুলো দেখে ভালো লাগলো ৷ আর দাম শুনে তো অবাক হলাম ১২০০০ হাজার টাকা ৷ সর্বোপরি প্রতিটি শাড়ি অনেক সুন্দর ছিল ৷

পানি কি আর চাইলে বাদ দেওয়া যায়,যেই ছেলে আমার একখান,একটু পর পর এটা সেটা,একদম বিরক্ত কর।অবাক হওয়ার কিছু নেই ৪৫০০০ টাকার শাড়িও দেখেছি 😆😆।ধন্যবাদ

জি আপু ঠিক বলেছেন শীত ভালো তখনই যখন ঠান্ডা পানি দিয়ে কাজ করা লাগেনা,শুধু লেপ,কম্বল নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা যায় যখন।প্রতিটি জামদানি শাড়ির কালার ই দেখতে ভালো লাগলো। ১১/১২ বছর আগে শাড়ি কিনেছিলেন ২ টি , ৬০০০ টাকা তার মানে এখন তো প্রায় ডাবল হবে তার দাম বা বেশি ও হতে পারে ।পরে আপনার জন্য যে শাড়ি কিনেছিলেন,পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ আপু সুন্দর ব্লগটি শেয়ার করার জন্য।

সেই উপায় কি আর আছে কাঁথা কম্বল নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা।ডাবল না আরো বেশি দাম।দিব আপু পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই। ধন্যবাদ

শীতের তীব্রতা আসলেই খুব কম এসেছে। তেমন একটা শীত এখন একদম লাগেই না। আসলেই আপু, আমাদের মেয়েদের জামদানি শাড়ির প্রতি আলাদা একটা ভালোবাসা থাকে। ফটোগ্রাফিতে দেখানো প্রত্যেকটা শাড়ি খুব সুন্দর। জামদানি পল্লী তো আপনার বাসার বেশ কাছাকাছি। জামদানি শাড়ি গুলোর দাম আসলে এরকমই। দাম সব সময় একটু বেশিই থাকে। প্রথম শাড়িটা আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে।

আমার তো জামদানী শাড়ি দেখলেই কিনতে ইচ্ছে করে।আসলে এত সুন্দর সুন্দর কালার হয় জামদানি শাড়ির।আসলে জামদানি শাড়িতে মেয়েদের অন্যরকম ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।শুভেচ্ছা নিবেন

শীতকাল সবারই খুবই পছন্দের কিন্তু শীতের তীব্রতা একটু বেশি হলে কেউ পছন্দ করেনা। আপনি তো দেখছি জামদানি পল্লীতে গিয়ে বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার জামদানি শাড়ি গুলো দেখে। এখন তো সব জিনিসের দাম একটু বাড়তি তাই শাড়ির দামও একটু বাড়তি। কিন্তু আপনার কাটানো মুহূর্ত পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে।

আমার শীতকালটা ভালোই লাগে না,একে তো দিন ছোট তারউপর যা শীত পরে।হুম জামদানি পল্লিতে বেশ বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম।জিনিসের জন্য না জামদানি শাড়ি গুলো আগ থেকেই অনেক দাম।

আপু একদম ঠিক বলেছেন শীত ভাল লাগে তখন যখন পানি ধরে কাজ না করতে হয়। তবে শীত এখন অনেকটাই কম। আপনি শাড়ি কিনতে জামদানী পল্লী গেলেন। ফটোগ্রাফির শাড়িগুলো বেশ ভালোই লাগলো। আপনি সেখানে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভাল লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। এখন সব জিনিসের দাম বেশি তাই শাড়ির দাম ও বেশি ই হবে স্বাভাবিক।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম, ধন্যবাদ।

পানি যা ঠান্ডা থাকে,মনে হয় হাত কেটে যায়।আসলে শাড়ি গুলো অনেক সুন্দর ছিলো,মনে হলো সবগুলো যদি আমাকো একদিন একদিন পড়তে দিত তাহলে অনেক ভালো হইতো😜😜

যেহেতু এগুলো আপনাদের পোশাক তাই এই বিষয়ে আমার তেমন একটা অভিজ্ঞতা নেই। তবে অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে পারলাম আপনার এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে। অসাধারণ ছিল আপনার আজকের এই পোস্ট।