অনলাইন যখন বিড়ম্বনা

in hive-129948 •  3 months ago 
❤️আসসালামুআলাইকুম/আদাব❤️

আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।

laptop-819285_1280.jpg

ছবির উৎস

আজকে আপনাদের মাঝে কোন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি বুঝতে পেরে গিয়েছেন নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।বর্তমান যুগে অনলাইন আমাদের জীবনমান অনেকটা সহজ করে দিয়েছে ঠিক।তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনলাইন বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে।আর যাতে করে মানুষের যেন হয়রানির শেষ থাকেনা।আমাদের দেশে বর্তমান শিক্ষা,চিকিৎসা,যাত্রা পথের টিকিট সবকিছুই অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়েছে।অনলাইন যেমনি আমাদের সুবিধা করে দিয়েছে অনেক ক্ষেত্রে তেমনি কিছু অসুবিধাও আমাদের ফেস করতে হচ্ছে।আপনারা নিশ্চয়ই এই বিষয়টি জানেন বর্তমান জন্ম নিবন্ধন থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ পর্যায়ের ইউনিক কার্ড গুলো অনলাইনেই করতে হচ্ছে।এটা অবশ্য কিছুক্ষেত্রে ভালো ফল দিয়েছে অফলাইন দৌড়াদৌড়ির পেরা নেই।

তবে বর্তমান স্কুল পর্যায় সেসকল শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের অষ্টম শ্রেনীর রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে বয়েসের জন্য অনেক জটিলতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।এদিকে আগেই যেহেতু ইউনিক কার্ড করা হয়ে গিয়েছে।তাই যাদের বয়স কমবেশি রয়েছে তাদের আর রেজিস্ট্রেশন এর সুযোগ থাকছেনা।যার জন্য এক ক্লাসেই থেকে যেতে হচ্ছে। অষ্টম শ্রেনীর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বয়সের সীমাবদ্ধতা রাখা হয়েছে ১২ বছর।এদিকে অনেকের জন্ম নিবন্ধন জনিত ত্রুটির কারণে স্টুডেন্টদের বয়স এলেমেলো রয়েছে। এখন যেহেতু রেজিস্ট্রেশনের সময় উপস্থিত ওদিকে ইউনিক আইডি কার্ড ও রেডি তাই কোনোভাবেই সার্ভার ১২ বছরের কম বয়সের শিক্ষার্থীদের পেপার গুলো জমা নিচ্ছেনা।আর যেটা ইউনিক আইডি কার্ড রয়েছে সেটার জন্য কোনো ধরনের পরিবর্তনের ও সুযোগ থাকছেনা জন্ম নিবন্ধন।তাহলে বুঝতে পারছেন একজন স্টুডেন্ট এর একটি বছর লস হয়ে যাবে শুধুমাত্র অনলাইন এর এই ব্যাপারটার জন্য।আগে যখন হাতে কলমে কাজ গুলো করা হতো তখন এই ব্যাপার গুলো ঠিক করা যেত। এখন অনলাইন নির্ভর কাজগুলোর জন্য আর সম্ভব হচ্ছেনা।আমার প্রশ্ন যদি কোনো শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন পেপার কোনো কারণে ভুল হয়েছিল এখন সেই ভুলটি সংশোধন করা কি সম্ভব নয়?যেকোনো কিছুতেই কারিগরি ত্রুটি থাকতে পারে যার জন্য শিক্ষার্থী দায়ী নাও থাকতে পারে।

আর যেহেতু মানুষ মাত্রই ভুল তাই কাজগুলোতে ভুল থাকতেই পারে এজন্য একজন শিক্ষার্থীর জীবন থেকে একটা বছর চলে যাবে এটা কেমন আইন।আমরা অনলাইন এর মাধ্যমে আমাদের জীবনমান সহজ করতে চেয়েছি কখনো এরকম অনলাইন ব্যাবস্থা চাইনি যেটা দিয়ে আমাদের বিপাকে পড়তে হয়।আর সবথেকে বড় ব্যাপার এটা বোর্ড থেকে ১২ বছরের নিচে যেহেতু জেএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব নয়। এই ব্যাপারটির জন্য আগেই স্কুল থেকে নোটিশ দিয়ে সবার জন্ম নিবন্ধন পত্র গুলো ঠিক করে নেওয়া উচিত ছিল।আসলে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার এই বেহাল অবস্থার জন্য অনেকটা দায়ী টিচার এবং স্কুলের দায়িত্বরত কর্মচারীগণ ।যেকোনো খসরা আগে থেকেই পাশ হয় আর এই বিষয়গুলোর জন্য তাদের তৎপর হওয়া জরুরি ছিল।আপনাদের মাঝে এই বিষয়টি নিয়ে লিখতে আসা এই জন্য আমার ভাই এর বয়স রিলেটেড সমস্যাটি হয়েছে যার জন্য পরীক্ষা হয়তোবা দিতে পারবেনা।আর এতে ওর মন খারাপ জীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা সবার জন্যই বেদনাদায়ক।স্কুল থেকে বলে দেওয়া হয়েছে কিছু করার নেই তারপরেও চেষ্টা করা হচ্ছে দেখা যাক জন্মনিবন্ধন এর কাগজ নতুন করে কিছু করা যায় কিনা।আপনাদের কারো এধরনের সমস্যা তে পড়তে হয়েছে কি?আর কিভাবে সমাধান করেছিলেন কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না বন্ধুরা।

ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।


❤️আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি❤️
আমি রাহনুমানূর দিশা।আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী।আমি বর্তমান অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়াশুনা করছি।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাথে দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় থেকে যুক্ত রয়েছি।বাংলা ভাষায় লিখতে, পড়তে এবং নতুন নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে আমার ভালো লাগে।এছাড়াও ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতে অনেক ভালো লাগে।অবসর সময়ে গান শুনতে এবং বাংলা নাটক দেখতে পছন্দ করি।

Post by-@rahnumanurdisha
Date -30th September,2024


Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Twitter_Banner_24.3.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আসলে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আর কোন কিছু বলতে মন চায় না। চার বছরের অনার্স শেষ করেছিলাম সাত বছরে। তখনই লেখাপড়া চাকরি-বাকরির জন্য প্রতিযোগিতায় নামার মন-মানসিকতা ভেঙে গেছে। আর এদিকে পারিবারিক বিভিন্ন ঝামেলা তো পিছুটান দিয়েই থাকে। এখন দেখুন অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস নেওয়া কত রকমের চেষ্টা চালাচ্ছিস কিন্তু সফলভাবে কিছুই করতে পারছে না। না জানি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কোন হালে পড়ে থাকে। শিক্ষা ব্যবস্থার কথা শুনলেই কেমন যেন কষ্ট লাগে।

আপু অনলাইন বিড়ম্বনা থেকে আমরা কখনো মুক্তি পাব না। বর্তমানে বাংলাদেশের সমস্যা না বলেই নয়। ধীরে ধীরে সবকিছু অনলাইন নির্ভরশীল হয়ে উঠছে, কিন্তু তার সঠিক ব্যবহার আমরা এখনো করতে পারছি না। আপনি ঠিক বলেছেন আপু শিক্ষা ব্যবস্থার এই বেহাল অবস্থার জন্য দায়ী টিচার এবং স্কুলের দায়িত্বরত কর্মচারীগণ। বিশেষ করে শিশুদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমিও সামান্য একটি জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট তৈরি করতে এক মাস যাবৎ সিটি কর্পোরেশন যাচ্ছি। সার্ভার সমস্যা জনিত বিভিন্ন অজুহাত দিয়েই চলছে।

হ্যাঁ প্রতিটা বিষয়ের ভালো এবং মন্দ দিক থাকবে এটা স্বাভাবিক। অষ্টম শ্রেণীর রেজিস্ট্রেশন নিয়ে যে কথাটা বললেন এটা আসলে জানা ছিল না আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম আর যদি এরকম বয়সের কমবেশির কারণে ঝামেলা তৈরি হয় তাহলে সেটা সবার ক্ষেত্রেই কম বেশি প্রভাব ফেলবে বিশেষ করে যাদের বয়স এলোমেলো আছে কিছুটা।

আপু অনলাইন শুধু সুবিধা দিচ্ছে তা কিন্তু নয় অনেক অসুবিধাও আছে। সত্যি জীবন থেকে একটি বছর ঝরে যাওয়া মানে একটা স্টুডেন্ট এর জন্য অনেক খারাপ দিক।আর হাতে কলমে হলে হয়তো ঠিক করে নেওয়া যেত। দোয়া রইল আপনার ভাইয়ের সমস্যা যেন ঠিক হয়ে যায়।ধন্যবাদ আপনাকে।

যে স্টুডেন্টের এক বছর লস হয়ে যায় সে বুঝে কতোটা কষ্ট হয়। এই অনলাইন বিড়ম্বনার শিকার তো তাহলে অনেক স্টুডেন্ট ই হবে। যাইহোক দিনদিন সবকিছুই অনলাইন ভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে। তাই অনলাইনের যে খারাপ দিকগুলো থাকবে, সেগুলোর সমাধান করার চেষ্টা করতেই হবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।