বাংলাদেশ বিমান বাহিনী যাদুঘর।

in hive-129948 •  2 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। মনে আছে আমি গতদিন একটা পোস্টে লিখেছিলাম মেট্রোরেলে চড়তে যাচ্ছি আজ?? বিকেল তিনটার দিকে বের হয়েছিলাম। আমি আর আমার বন্ধুরা মিলে মোট ৬ জন গিয়েছিলাম মেট্রোরেলে চড়তে। আসলে যখন মেট্রোরেল চালু হলো তখন যাওয়ার কোন ইচ্ছে ছিল না। অতিরিক্ত উন্মাদনা আমার পছন্দ না। সে কি এক অবস্থা, নিউজে দেখেছিলাম মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এজন্য ওই সময় আর যাওয়ার রুচি আসেনি।

1675005913786-01.jpeg

শুক্রবার রাস্তাঘাট একটু ফ্রি থাকে। এজন্য আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম বিকেল তিনটার দিকে। আমাদের এখান থেকে আমরা প্রথমে গিয়েছিলাম আগারগাঁও পয়েন্টে। সেখানে গিয়ে সত্যিই আমরা হতাশ। কি একটা বোকার মত কাজ করলাম। মেট্রোরেল তো এখন চলছেই না। ওখানে লেখা আছে দেখলাম যে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত এটা চলে। এটা কোন কথা হলো। প্রচন্ড রাগ হচ্ছিল বারোটা পর্যন্ত চলার বিষয়টি শুনে। আবার রাগ হচ্ছিল আমরা না খোঁজখবর নিয়েই চলে এসেছি। যাইহোক কি আর করার এতদূর এসেছি। আবার এখন ব্যাক যাওয়াটাও ঠিক হবে না। তাই আমরা প্ল্যান করলাম পাশের বিমানবাহিনী জাদুঘর থেকে ঘুরে যাব।

IMG_20230129_214549.jpg

IMG_20230129_214615.jpg

1675006011541-01.jpeg

1675006059633-01.jpeg

1675006092388-01.jpeg

IMG_20230129_215051.jpg

IMG_20230129_214705.jpg

তখন কিন্তু বাজে সাড়ে চারটা। আমরা মেট্রোরেলে চড়তে না পেরে চলে গেলাম বিমানবাহিনী জাদুঘরে। সেখানে যেয়ে আবারো হতাশ। এত পরিমাণ মানুষ, যে আপনি কোথাও ক্যামেরা ধরলে ক্যামেরার ফ্রেমের মধ্যে কোন না কোন মানুষ থাকবেই। একটুখানিও ফাঁকা জায়গা নেই এত পরিমাণ মানুষ। আমরা এদিক ওদিক হাঁটাহাঁটি করলাম এরপর কিছু ছবি উঠলাম। আমি অবশ্য ছবি উঠিনি। কিছু হেলিকপ্টার বিমান আর বন্ধুদের ছবি উঠিয়ে দিয়েছিলাম। ছবিগুলো সব ক্যামেরায় আছে অন্যদিন শেয়ার করব। তবে ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে একটা মজার ঘটনা ঘটেছিল। আননোন তিনজনের ছবি উঠিয়ে দিয়েছিলাম। তাদের মেইল এড্রেস দিয়েছিল অবশ্য, পারে সেগুলো পাঠিয়ে দিয়েছি। আরো একজন আননোন পারসন এসে জিজ্ঞেস করতেছিল আমি ছবি উঠিয়ে দিই কিনা। আমি অবশ্য তারও কয়েকটা ছবি উঠিয়ে দিতাম কিন্তু তখন আলো ডাউন হয়ে গিয়েছিল। নিজেদের কিছু ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলাম।

1675006296184-01.jpeg

1675006319037-01.jpeg

1675006387056-01.jpeg

যাইহোক বিমানবাহিনী জাদুঘরে দেখলাম অনেক কিছুই আছে। পার পারসন ৫০ টাকা করে টিকিট কেটে ঢুকে আবার অন্যান্য সুবিধাগুলো নিতে আবারো ৪০-৫০ টাকার টিকিট কেটে সেখানে ঢুকতে হবে। যেমন ধরেন হেলিকপ্টার, বিমানের মধ্যে ঢুকতে পারবেন। টিকিটের দাম ৩০ টাকা ৪০ টাকা বা ৫০ টাকা। চড়ার মত আরো অনেক কিছু আছে। বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য অনেক রকম জিনিস দেখলাম। আমার এইখানে যেয়ে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বিমানের কিছু ইঞ্জিন খুলে রাখা হয়েছে ওইগুলো দেখে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি এজন্য এই ইঞ্জিন সম্পর্কে আগেও পড়া হয়েছে। বিমানের ইঞ্জিন এত কাজ থেকে হাত দিয়ে নেড়েচেড়ে দেখার সুযোগ হলো।

1675006355656-01.jpeg

এর মাঝে একটা মজার ঘটনা ঘটলো। আমার বন্ধু সাইফ আমার পাশেই দাঁড়িয়েছিল। আমি আর এক বন্ধু কাফির ছবি তুলতে রেডি হচ্ছিলাম। পাশেই দুটি মেয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। উনাদের বয়স হয়তো ৩০ বা ৩২ এরকম হবে। বন্ধু সাইফ উনাদেরকে ডেকে বলছে আন্টি আপনার একটু সরে যান আমরা ছবি উঠাবো। ওই দুটি মেয়ে আন্টি ডাক শুনে যেভাবে তাকালো দেখার মত ছিল। হাহাহা।।

যাইহোক আমরা সন্ধ্যা সাতটার দিকে বেরিয়েছিলাম। ওখান থেকে বেরিয়ে সোজা বাসায় চলে এসেছিলাম। মেট্রোরেলে না চড়তে পারলেও ওখানে গিয়ে বেশ মজাই হয়েছিল। আবার একদিন যেতে হবে বারোটার আগে। তাহলে মেট্রোরেলে চড়তে পারব। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাংলাদেশ তো ডিজিটাল দেশ ভাই ৷ মেট্রোরেল চলছে কিন্তু বারো টা পযন্ত এটা কথা ৷ কোটি টাকা খরচ করেও আমরা ব্যবহার করছি অল্প ৷
যা হোক এর পরে বিমানবাহিনী পার্কে তো দারুণ একটা সময় অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর লাগছে ৷ হেলিকপ্টার,কামান,৷
ভাই দেখছি ফটোগ্রাফার অন্য জনের ও ছবি তুলছে ৷ ভাই আপনার ক্যামরা মডেল কত ভাবছি আমিও একটা নিব৷
যা হোক অনেক ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি ও তার সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো পড়ে ৷

ওই দুটি মেয়ে আন্টি ডাক শুনে যেভাবে তাকালো দেখার মত ছিল। হাহাহা।।

প্রথমতই আমার খুব হাসি পাচ্ছে আপনার বন্ধুর এমন কান্ড শুনে।আর আপনারা খোঁজখবর না নিয়ে যাওয়ার কারণে মেট্রোরেলে চড়তে পারেননি এটা ভীষণ খারাপ লাগলো। তবে নেক্সট টাইম গেলে ভালোভাবেই উপভোগ করতে পারবেন।আমার বেশ ভালো লেগেছে বিমান জাদুঘরের ফটোগ্রাফিগুলো।

ভাইয়া মেয়েদের বয়স যাই হোক আন্টি ডাক শুনলে একটু রাগে করেই। তবে আমি খুব অবাক হচ্ছি এখন তো ডিজিটাল যুগ আপনারা না জেনেই চলে গেলেন আগার গাঁ মেট্রোরেল দেখতে । আমাকে তো একটু কল দিতে পারতেন। সময়টা বলে দিতাম। হা হা হা। তবে আল্লাহ যা করেন ভালই করেন। বিমান যাদুঘর তো দেখা হলো। আর মেয়েদের চোখ রাঙানীও দেখা হলো। তবে বিমান যাদুঘরের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে।

নতুন নতুন যেকোনো কিছুর জন্য সবাই উপচে পড়ে।আর আপনারা খোঁজ নিয়ে না যাওয়াতে মেট্রো রেল এ উঠতে পারেননি।আমরাও উঠিনি এখনো,তবে মেট্রোতে চড়ার ইচ্ছা আছে।যাইহোক মেট্রোরেল না চড়লেও বিমান জাদুঘরে খুব সুন্দর সময় পার করেছেন সবাই মিলে।আরও ফটোগ্রাফি দেখব আশা করি।আজকের ফটোগ্রাফিগুলোও বেশ সুন্দর হয়েছে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী যাদুঘরে কয়েক বন্ধু মিলে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন । মেট্রোরেলে চড়তে গিয়ে না পেয়ে বিমান বাহিনী জাদুঘরে ঘুরছেন । ভিতরে আরো জিনিস দেখতে ও চড়তে গেলে (৩০-৪০) টাকা লাগবে।আপনি তো অনেক ছবি তুলেছেন। আস্তে আস্তে হয়তো সেগুলো আমরা দেখতে পাব। আসলে ভাইয়া মেয়েরা যেমন বয়সের হোকনা কেনো আন্টি ডাকলে একটু রাগ করে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ভাইয়া এত আশা নিয়ে গিয়ে মেট্রোরেলে চড়তে পারলেন না,দুঃখের বিষয়। প্রথম যখন মেট্রোরেল চালু হলো তখন এমন ভাবে মানুষ লাইন ধরে চড়েছে তাদের দেখে মনে হয়েছে মেট্রোরেলে চড়ে তারা স্বর্গে চলে যাচ্ছে। যায়হোক ভাইয়া পরে বিমানবাহিনী জাদুঘরের অনেক ছবি দেখালেন। শেষে সাইফ ভাইয়ার আপুদের আন্টি বলায় ধারুন মজা হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।