ফোটোগ্রাফি : গ্রাম বাংলার এক অপরূপ সৌন্দর্য্য "মাছের ভেড়ি"

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)


অদ্য রজনীই আমার শেষ রজনী বাংলাদেশে । আগামীকাল ভোরেই বাংলাদেশ ত্যাগ করছি । একটা মিশ্র অনুভূতি নিয়েই বাংলাদেশ ছাড়ছি আমি । কিছুটা ভালো লাগা, কিছুটা হতাশা মিশে আছে আমার এই বাংলাদেশ সফরে । আজকে গ্রামে ঘুরতে গিয়ে একটা ছোট্ট নদীর ধারে কিছুটা সময় কাটিয়ে এলাম । বেশ দারুন লাগলো । সময়টা অসম্ভব ভালো কেটেছে আমার ।

মেঠো রাস্তা । রাস্তার দু'ধারে অসংখ্য মাছের ভেড়ি । মূলত চিংড়ি আর কাঁকড়া চাষ করা হয়ে থাকে এই সব মাছের ভেড়িতে । তবে কাঁকড়া-চিংড়ির পাশাপাশি রুই, কাতলা, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, পার্শে, টেংরা, ভেটকি প্রভৃতি মাছের চাষও হয়ে থাকে । প্রত্যেক ভেড়িতে একটা করে টং ঘর আছে । এগুলো আসলে পাহারা চৌকি । রাতের বেলা এই সব টং ঘরে পাহারাদার থাকে ।

মাছের ভেড়ি অঞ্চলে চুরির খুবই চাপ আছে । তাই রাতের বেলা রাত জেগে এই সব টং ঘরে পাহারাদাররা ভেড়ি পাহারা দেয় । ভালোই লাগছিলো বেশ ঘুরতে এই সব মাছের ভেড়ি অঞ্চলে । রাস্তাটি ধরে মাইল খানেক গেলেই একটা ছোট্ট নদী পড়ে । নদী না বলে তাকে খাল বলাই অধিকতর সঙ্গত । একদমই ছোট্ট ।

স্রোত নেই বললেই চলে । নদীর দুই তীরেই জন্মেছে গেওয়া, হরগোজা, কেওড়া, গোলপাতা প্রভৃতি উদ্ভিদ । নদীর তীরের কাদায় অনেক গুলো কেওড়া গাছের শ্বাসমূল লক্ষ্য করলাম । এগুলোকে স্থানীয় ভাষায় বলে শুলো বন । সন্ধ্যে অবধি এই ছোট্ট নদীর পাড়ে সময়টা কাটিয়ে অবশেষে অস্তগামী সূর্য্যের লাল আভাতে আলোকিত গ্রাম্য মেঠো রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরে এলুম ।


পশ্চিম আকাশে অস্তগামী রাঙা সূর্যের শেষ রশ্মিচ্ছটা মাছের ভেড়ির অনুচ্চ ঢেউয়ের মাথায় পড়ে ঝিকমিক করছে ।

তারিখ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৩ টা ৫৫ মিনিট

স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ


যেদিকে তাকাই শুধু জল আর জল । মাছের ভেড়ি অগুনতি ।

তারিখ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ১৫ মিনিট

স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ


অগুনতি মাছের ভেড়ির বুক চিরে গ্রামের মেঠো রাস্তা ।

তারিখ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ৩০ মিনিট

স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ


সুন্দরবন অঞ্চলের খুবই কমন উদ্ভিদ গেওয়া ।

তারিখ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিট

স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ


মাছের ভেড়ি পাহারা দেওয়ার টং ঘর ।

তারিখ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ৫০ মিনিট

স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ


মাছের ভেড়ির জলে অস্তগামী সূর্যের রশ্মি ।

তারিখ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৫ টা ১০ মিনিট

স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ


ছোট্ট নদী ও নদীর তীরে জন্মানো গোলপাতার ঝাড় ।

তারিখ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৫ টা ১০ মিনিট

স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus

ক্যামেরা মডেল : EB2101

ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ



✡ ধন্যবাদ ✡


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

যে কয়টা দিন বাংলাদেশে ছিলেন মনে হয়েছে যেন আপনি আমাদের সকলের কাছাকাছি ছিলেন। হয়তো বাংলাদেশে এসে অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা সম্মুখীন হয়েছে আবার কিছু ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। যাই হোক গ্রামে কাটানো মুহূর্তগুলো সুন্দর কেটেছে ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আসলে এই ধরনের জায়গা গুলোতে গেলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। দাদা আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@bangla.witness
@xpilar.witness

We are the hope!

আসলে সব কিছুতেই ভালো লাগা মন্দ লাগার একটা ব্যাপার আছে।তাই তো মিশ্র অনুভূতি। জানি না কোন অনুভূতি বেশি।তবে আশা করছি আবার আসবেন সব খারাপ অনুভূতি গুলো ভুলে।ধন্যবাদ

দাদা অদ্য রজনীই আমার শেষ রজনী বাংলাদেশের শেষে পুকুর পারের কাটানো মুহূর্ত টা দারুন ছিল ৷ আসলে প্রায় প্রতি জায়গার পুকুরে মাছ চাষ করার জন্য এরকম করে টঙ্গের উপর ঘড় বানিয়ে পাহারা দেয় ৷
যা হোক অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ সত্যি গ্রাম বাংলার বেশ কিছু ছবি ক্যাপচার করেছেন ৷
আবার সোনার বাংলায় ঘরতে আসবেন এমনটাই প্রতার্শা ৷ সর্বোপরি আপনি ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ৷

আসলে সবকিছুতেই ভালোলাগা মন্দলাগা থাকে ।মন্দটা না থাকলে হয়তো ভালোলাগাটা এতটা অনুভব করা যেত না। তবুও মন্দ জিনিসটা ভুলে ভালো লাগাটাকেই মনে স্থান দেওয়াটাই ভালো। দেখতে দেখতে আপনার বাংলাদেশ সফর শেষ হয়ে এলো ।তবে ভালো কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে আনন্দঘন সময় কাটানোর মুহূর্ত নিয়ে দেশে ফিরলে বেশি ভালো লাগতো। যাইহোক সবকিছু ভুলে আবারও বাংলাদেশ সফরে আসবেন সেই কামনাই করছি। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভাল ছিল ।আসলে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি সত্যি অপরূপ। মাছ পাহারা দেয়ার টং ঘরটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সুন্দরবনের পাশের গ্রামটা সত্যিই সুন্দর। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

সত্যিই চমৎকার একটা পরিবেশ এরকম পরিবেশে থাকলে মনটা ভালো হবেই, আরো বেশি ভালো লাগছে আপনার পোস্টে আমার দেশের ছবিগুলো দেখে, খানিকটা তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বটে তবে এখন বোধহয় ভালোর পাল্লাটাও একটু ভরলো, আশা করি বাংলাদেশ ভ্রমণটা আপনার ভালই কেটেছে।

আদাব দাদা, ভাল আছেন আশাকরি।বাংলাদেশ সফর শেষে ভাল লাগা ও মন্দ লাগা দুই অনুভূতি নিয়েই আপনি চলে যাচ্ছেন। ভাল টাই মনে থাকুক, মনটা ভাল থাকবে।খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন, খুব ভাল লাগলো। সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম কিন্তু অসাধারণ। আবার আসবেন আমার এই সুজলা-সুফলা বাংলাদেশে। ধন্যবাদ দাদা।

বাংলাদেশ তাহলে ত্যাগ করছেন দাদা! আশা করি শহরের জীবন থেকে গ্রামের মানুষের জীবনটা বেশ উপভোগ করেছেন! সেই সাথে গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ! বাংলাদেশে দেখার মতে রয়েছে শুধু গ্রামবাংলার চিরাচরিত রূপ! তাইতো কবিরা বাংলাকে বলেছে রূপসী বাংলা! কিন্তু এই বাংলার মানুষ কিন্তু এখনপ স্বভ্য হয়নি! ঠিকই আধারেঁ মাছ চুরি করে নিয়ে যায়! তাইতো রাখতে হয় পাহারাদাড়। গ্রামের বিলরে পরিবেশে তাহলে সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছেন দাদা 🌼🦋

নিশ্চয় দাদা শহর থেকে গ্রামে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আপনি বাংলাদেশে এসে যে জায়গা গুলোতে ভ্রমণ করেছেন তার মধ্যে শহরে কাটানো মুহূর্তগুলো আপনাকে হতাশ করেছে। বাংলাদেশে শহরের পরিবেশটা একদমই খারাপ যেটা মানুষকে যে কোন বিপর্যয় ফেলে দেয় কিন্তু গ্রামের এই সৌন্দর্য প্রকৃতির রূপ সত্যিই উপভোগ্য। একান্ত নিরিবিলিতে এই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করার মজাই আলাদা যেটা আমি প্রতিনিয়ত উপভোগ করে থাকি। কেন জানি, আমার শহরমুখী হতেই মন চায় না। যাইহোক, মাছ চাষের ভেরি যেগুলো আমাদের এলাকায় নেই আপনি যেখানে গিয়েছিলেন এই পরিবেশটা নতুন ভাবে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে উপভোগ করলাম দাদা।

দাদা যেখানেই যাই না কেন ভালোলাগা এবং মন্দ লাগা এই মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকবেই। তবে প্রত্যাশা করছি মন্দলাগা গুলো ভুলে ভালো লাগার স্মৃতিগুলো ফিরে পেতে আবার আসবেন আমাদের দেশে।
মাছের ভেড়ের এই দৃশ্যগুলো দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। সেখান থেকে উঠে আসতে ইচ্ছে করে না বিশেষ করে মাছ ধরার মুহূর্তগুলোতে। অস্তগামী সূর্যের অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।
শেষের দিকে গোলপাতা গাছের ফটোগ্রাফিটা দেখে খুব ভালো লাগলো। কি আজব! নাম গোলপাতা অথচ পাতা লম্বা নারিকেলের গাছের মত।
আপনার দেশে ফেরার যাত্রা শুভ হোক।

বেশ ভালো লেগেছে দাদা আপনার শেয়ার করা গ্রাম বাংলার এমন প্রকৃতি দৃশ্য গুলো দেখে।ছোটবেলায় অনেক দেখেছি এরকম মাছ ধরার টংগুলো।আমাদের গ্রামের পাশেই ছিল সেখানে ছোটবেলায় খেলতে খেলতে অনেক মাছ ধরেছিলাম।তবে আপনি সুন্দরবনের কাছাকাছি একটি গ্রামে গিয়ে এমন দৃশ্য উপভোগ করেছেন এবং অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লেগেছে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য মুহূর্তটি।

Dada the sunset looks, warming and smooth and represents the beauty of the evening, well I read your whole journey and yes it is a sweet and bitter experience at the same time, as some people are good with you and others are not, and the traffic jam and high cost also gave you a bitter experience.

গ্রাম বাংলার এক অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করেছেন। প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে গ্রামের দৃশ্য গুলোতে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এমন জায়গায় ঘুরতে গেলে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়। আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইলো।

আসলে দাদা সব কিছুতেই ভালো লাগা ও মন্দ লাগা দুটিই রয়েছে। আর ভালো মন্দ মিলেই সব, মন্দ আছে বলেই ভালোর এতো দাম।যাইহোক দাদা আপনি ভালো মন্দ মিলেই হয়তো বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছেন। আশাকরি ভালোটা মনে করে আবার আসবেন। ধন্যবাদ দাদা।

বেশ কয়েকদিন হল আপনি বাংলাদেশে এসেছেন আর এখন দেশে ফিরে যাওয়ার আগ মুহূর্তে সুন্দরবনের পাশ দিয়ে কিছু সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। মাছের ঘেরের ছবি দেখে আমি বুঝতে পেরেছিলাম এটা হয়তো খুলনার অঞ্চলে হবে। বাংলাদেশে খুলনার অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মাছ চাষ করা হয়। আর সবার কাছেই গ্রামের সৌন্দর্যটা অনেক বেশি ভালো লাগে আর সেটা যদি হয় পুরোপুরি প্রকৃতিক সৌন্দর্য তাহলে তো আরো বেশি ভালো হয়। সুন্দরবন কেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি ছবি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন তার মধ্যে ছোট্ট নদী এবং নদীর তীরে জন্মানো গোল পাতার ঝাড়ের ছবিটা অনেক সুন্দর ছিল।

দাদা আপনার শেয়ার করা গ্রাম্য বাংলার প্রকৃতি দৃশ্য গুলো দেখে খুব ভালো লাগছে।ছোটবেলা থেকে এরকম মাছ ধরার টংগুলোর দৃশ্য দেখা হয়নি।তবে আপনি সুন্দরবনের কাছাকাছি একটি গ্রামে গিয়ে এমন দৃশ্য উপভোগ করেছেন এবং অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লেগেছে।এমন একটি মুহূর্ত সকলের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



ভালমন্দ মিশিয়েই সব।তাও হতাশ হয়েছেন এটা আমাদের জন্য অনেক দুঃখজনক।ভেরি গুলোক আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় ঘের বলে।অনেক সুন্দর হয়েছে ফটোগ্রাফ গুলো।দেখে মন্দার ওয়েব ফিল্মের কথা মনে পড়ে গেল।আপনার যাত্রা শুভ হোক দাদা। আবার বাংলাদেশ আসার নিমন্ত্রণ রইল।

সত্যি দাদা এই রকম পরিবেশে হাঁটতে বেশ ভালো লাগে, বিশেষ করে সেটা যদি হয় শীতের কোন সকালে, শিশির ভেজা মাটির উপরে, বেশ চমৎকার একটা অনুভুতি তৈরী হয়। দৃশ্যগুলো বেশ ভালো ছিলো, তবে গোলপাতার গাছগুলো আমার কাছে বেশী ভালো লাগে। আর মিশ্র অনুভূতির কথা কি বলবো দাদা, ব্যবসায়ীক মানসিকতার কাছে আমরা সাধারণ জনগন সর্বদা জিম্মি হয়ে আছি। ভালো থাকবেন সব সময়।

অপরূপ সৌন্দর্যের দেশে এই দেশ বাংলাদেশ। সৌন্দর্য যেন বাংলাদেশে আনাচে-কানাচে ছুড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আর সৌন্দর্যগুলো বেশি দেখা যায় গ্রাম অঞ্চলে। গ্রাম অঞ্চলের দৃশ্যগুলো অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। সুন্দরবন দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত সুন্দরবন খুবই একটা সুন্দর দেখার মত জায়গা। আপনার ফটোগ্রাফিতে যে সূর্যের আলো পানিতে প্রতিফলিত হয়েছে এটা খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে।। এ ধরনের দৃশ্যগুলো শুধু গ্রাম অঞ্চলে দেখা যায়।ভালো মন্দ নিয়ে মানুষের জীবন ভালোটা যেমন মানুষ গ্রহণ করে মন্দটা তেমন মানুষের পরিত্যাগ করতে হয়।আপনি সুন্দরবনের একটি গ্রামে খুব নিকটে গিয়ে এই সৌন্দর্য গুলো উপভোগ করেছেন। নিজের মনকে ভালো করার জন্য এ ধরনের সুন্দর সুন্দর জায়গাগুলো ঘুরে বেড়ানোর অনেক দরকার আছে, এতে মনের প্রফুলতা বেড়ে যায়। যাহোক দাদা আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল এভাবে ভালো থাকবেন।

এই জায়গাগুলো আমার কাছে অসাধারণ লাগে। আমি যখন নড়াইলে যাই এরকম ঘেড়ে গিয়ে সময় কাটিয়ে আসি কিছুক্ষণ। ওসব ছোট ছোট ঘরে বসে থাকতেও খুব ভালো লাগে। আশেপাশের দৃশ্যগুলো অসম্ভব সুন্দর লাগে।

বাংলাদেশ সফর থেকে আপনাকে কিছু মিশ্র অনুভূতি নিয়ে দেশে ফিরতে হলো। আপনার যেন শুধু সুন্দর স্মৃতি গুলোই মনে গেঁথে থাকে।

Love From Bangladesh dada 💖

দাদা বাংলাদেশ ত্যাগ করছেন শুনে একটু হতাশা কাজ করলে আমার মাঝেও। আমাদের দেশে এসে ঘুরে গেলেন কিন্তু আপ্যায়নের সুযোগ পেলাম না। যাইহোক মাছের ঘেরের জায়গাটি কিন্তু বেশ সুন্দর। এরকম জায়গায় ঘুরতে ভালো লাগারই কথা। চারপাশে শুধু পানি আর পানি। এরকম ফাঁকা জায়গায় মাছ চুরি হওয়ার প্রবণতা বেশি তো থাকবেই। ছবিগুলো কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে। আশা করি সুস্থ মতো বাসায় পৌঁছে গিয়েছেন।

প্রথমেই আপনার যাত্রা শুভ হোক দাদা এই কামনা করছি।আপনার বেশ ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো দাদা বাংলাদেশ ভ্রমণ,কিছুটা হতাশা থাকলেও।এসব মাছের ভেড়ি তে রাতে পাহারা দেওয়া হয় নইলে তো মাছ চুরি হয়ে যায়।টং গুলোর ফটোগ্রাফি ভালো লাগছে দেখতে,চারপাশে পানি।খুবই সুন্দর দৃশ্য।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।

সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা ছায়া ঘেরা পাখি ডাকা আমাদের এই বাংলাদেশ। চারিদিকের রুপো বৈচিত্র্যময় পরিবেশ। বিশেষ করে গ্রাম বাংলার দিকে গেলে নজর কেড়ে নেবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জিনিসের মাধ্যমে। বিশেষ করে গ্রামের মেঠো পথ ধরে হাঁটতে সবসময় সবারই অনেক ভালো লাগে।। আপনি গ্রামের মেঠো পথ ধরে হেঁটে সেখানকার পরিবেশ দেখে মাছের ঘের দেখে বিকেলের সময়টা খুব সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করেছেন জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।। আসলে জাতি হিসেবে আমরা বাঙালি তাই আমাদের ভিতরে ছ করা ৯ করা একটু বেশিই থাকে। সব মানুষই খারাপ সেটা নয় আবার সব মানুষই যে ভালো সেটাও হতে পারে না।। যাহোক বাংলাদেশ ভ্রমণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।।

আমাদের এলাকাতেও আগে ভেড়িতে মাছ চুরি হত অথবা মাছের ভেড়িতে বিষ দিয়ে দিত। তবে এখন আর সেগুলো হয় না। এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তি অনেকটাই উন্নত হয়ে গেছে। তোমার শেয়ার করা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে দাদা।

দাদা আপনি যখন হেডলাইনে মাছের ভেড়ির কথা বলেছেন তখনই আমি বুঝতে পেরেছি যে আপনি খুলনা বিভাগে সুন্দরর্বনের কোন গ্রামে ঘুরতে গেছেন। আমিও একবার সেখানে গিয়েছিলাম। মাছের ভেড়ি পাহারা দেওয়ার টং ঘর গুলো দেখতে অনেক ভাল লাগে। অনেক প্রকারের মাছ চাষ করা হয় সেই সব মাছের ভেড়িতে। ধন্যবাদ দাদা।

একটা মিশ্র অনুভূতি নিয়েই বাংলাদেশ ছাড়ছি আমি । কিছুটা ভালো লাগা, কিছুটা হতাশা মিশে আছে আমার এই বাংলাদেশ সফরে ।

কথাটা আর না বলে পারছিনা দাদা ,যে চায় সে পায়না আর যারা না চায় তারা পায়,আপনাকে আমরা সকলেই অনেক বেশি ভালোবাসি দাদা,তবে আমাদের দেশে এসে যে কষ্ট পেয়ে যাবেন তা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে অনেক ,তবে সত্যি এটাই যে একবার যদি আপনাকে আপ্পায়ন করার সুযোগ পেতাম তাহলে আপনি বাংলাদেশের কথা ভুলতেই পারতেন না। ফটুগ্রাফি গুলো ভালো ছিল দাদা। মন ছুঁয়ে গেছে।

আমি নিঃসন্দেহে বলতে চাই সময়টা বেশ উপভোগ করেছেন। যা আপনার ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
সর্বোপরি আপনার সঙ্গে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমরা লজ্জিত। আবার আসবেন, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

শুভেচ্ছা রইল ভাই

গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো অনেক বেশি ভালো লেগেছে দাদা। আসলে সুন্দরবন এরিয়াতে অনেক বড় বড় মাছের প্রজেক্ট রয়েছে। আবার মুহুরী প্রজেক্টে ও কিন্তু এই রকম বড় বড় মাছের প্রজেক্ট রয়েছে। যাই হোক দাদা খুব ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো।আর বাংলাদেশ সফরে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আপনাকে সেজন্য অনেক অনেক দুঃখিত।

গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য আসলেই হৃদয় স্পর্শী। আর আপনি যে এলাকাটায় ছিলেন। দেখে মনে হচ্ছে এখনো সেখানে গ্রামের সব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। বাঙালি অতিথি পরায়ণ জাতি। তারপরও এদেশে ঘুরতে এসে আপনার খারাপ অভিজ্ঞতার জন্য আমরা লজ্জিত। আপনি যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন আমরা চাই না বাংলাদেশে এসে কেউই সেই ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হোক। আশা করি সবকিছু ভুলে পরবর্তীতে আবার এদেশে আসবেন। তবে একটা আফসোস রয়ে গেলো। আপনি বাংলাদেশে এসে ঘুরে গেলেন অথচ আপনার সাথে দেখা করতে পারলাম না। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।

great

দাদা সুন্দরবনের কাছে দুটি গ্রামে আমি গিয়েছিলাম । একটি হচ্ছে শ্যামনগর, আরেকটি হচ্ছে কালিগঞ্জ । আর সেই সাথে সুন্দরবন ঘুরে এসেছিলাম।বাংলাদেশ থেকে একটি মিশ্র অনুভূতি নিয়ে আপনার দেশে ফেরার অনুভূতি খুবই চমৎকার করে ব্যক্ত করেছেন।কিছু ভালোলাগা কিছু মন্দ লাগা কিছু হতাশা সব মিলিয়ে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া।এবার বাংলাদেশে আসলে অবশ্যই আমাদের নীলফামারী থেকে ঘুরে যাবেন। এটা আপনার কাছে আমার আবদার স্বরূপ বলতে পারেন। আবার অনুরোধ ও বলতে পারেন। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। আবারো আসবেন আমাদের বাংলাদেশে।♥♥

বিদায় লগ্নে আপনি বেশ সুন্দর একটি বিকেল অতিবাহিত করেছেন বাংলার বুকে। বিকেলের মৃদ বাতাসে গ্রাম বাংলার মাছের বাওর বা বেড়ি যাই বলি না কেন, আপনার মনে অনেক ভালই দাগ কেটেছে বলে আমার মনে হচ্ছে। আর এই সময়ের প্রায় ৩৫ টি ছবি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। যেখানে গ্রাম বাংলার অপরূপ দৃশ্য ফুটে উঠেছে।

গ্রাম বাংলার মনোরম পরিবেশে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন দাদা। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে, প্রকৃতির সৌন্দর্য অনেক কাছ থেকে অবলোকন করেছেন এবং উপভোগ করেছেন। সেটা দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। আসলে এমন পরিবেশে গেলে যে কারোরই মন ভালো হয়ে যাবে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে, তবে আমার কাছে গোলপাতার ঝাড় এর ফটোগ্রাফি বেশি ভালো লেগেছে। এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।