ঢাকায় ব্যুফে খাওয়ার অভিজ্ঞতাsteemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 

IMG_20230105_205644[37].jpg


গতকাল রাতে গিয়েছিলাম ঢাকার এক বুফে রেস্তোরাঁয় । এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো বুফে রেস্তোরাঁতে খেলাম । সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার দিকে বাড়ি থেকে বেরোলাম । বাট, গন্তব্যে পৌঁছতে পৌঁছতে প্রায় সাড়ে আটটা বেজে গেলো । কারণ রাস্তায় বেশ জ্যাম ছিল ।

এই বুফে রেস্তোরাঁটি ডেকোরেশনের দিক থেকে দারুন, কিন্তু খাবারের স্বাদ ও মানের দিক থেকে এভারেজ । খাবারের পদের সংখ্যার দিক থেকেও বেশ কমই ছিল । আরেকটা ব্যাপার হলো খাবার পাত্র রিফিল রেট খুবই স্লো । প্রায়ই আমাদের শূন্য প্লেট নিয়ে wait করতে হচ্ছিলো । তবে, রেস্তোরাঁর কর্মচারীদের ব্যবহার খুবই আন্তরিক ছিল । এদেশের আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ ।


IMG_20230105_211119[38].jpg

IMG_20230105_211128[35].jpg


অসম্ভব ক্রাউডেড ছিল রেস্তোরাঁটি । এই জন্যই মনে হয় খাবার খুবই দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছিলো । রেস্তোরাঁর একজন কর্মচারীকে ডেকে বিষয়টি বুঝিয়ে বললাম । মানুষ পে করবে অথচ খেতে পারবে না, এ কেমন কথা ? খাবার কই ? দেখলাম এই কথায় বেশ কাজ হলো । ঘন ঘন ফুড বৌল এবং ট্ৰে গুলো রিফিল হতে থাকলো ।


IMG_20230105_211201[39].jpg

IMG_20230105_220442[41].jpg


মোট খাবারের পদের সংখ্যা ছিল আনুমানিক মেইন কোর্স ২০, স্ন্যাক্স ১০, স্যুপ ২, জুস্ ২, ডেজার্ট ৪ । উল্লেখযোগ্য আইটেমগুলো হলো পোলাও, মাটন বিরিয়ানি, চিকেন পোলাও, কাঁকড়া কষা, চিকেন রোস্ট, চিকেন ফ্রায়েড রাইস, চায়নিজ ভেজিটেবল, চিকেন ভেজিটেবল, চিকেন ফ্রাই, ক্রিস্পি চিকেন, অন্থন, চিকেন স্যুপ ।


IMG_20230105_205723[36].jpg

IMG_20230105_220508[40].jpg


আমি খুবই কম খেয়েছিলাম । ১ প্লেট চায়নিজ ভেজিটেবল ও ২ প্লেট চিকেন ভেজিটেবল, ১ বাটি চিকেন স্যুপ, ৪ টে অন্থন, ২ পিচ্ কাঁকড়া আর ১ পিস্ চিকেন ফ্রাই । শেষ পাতে এক বাটি গ্রীন স্যালাড আর ফ্রুটস ।

ওভারঅল বলবো ভালোই লেগেছে এই বুফে রেস্তোরাঁটি ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এতো টাকা খরচ করে খাবারের খালি প্লেট নিয়ে বসে থাকা সত্যিই খারাপ লাগার কথা। যাক আপনার ধমক খেয়ে খাবারের পরিমাণ বাড়িয়েছে তারা। দাদা দেখছি খুব বেশি খেতে পারলেন না। সবমিলিয়ে ভালো লেগেছে আপনার এটাই বড় বিষয়।

এবার তো আসলেই কম খেলেন মনে হচ্ছে দাদা!অন্যান্য দিন তো আরো বেশি লম্বা থাকে খাবার এর লিস্ট।আসলে বুফের খাবার বেশিরভাগ এভারেজ ই থাকে।

খাবার শেষ হয়ে গেলে খালি প্লেট নিয়ে বসে থাকলে কেমন লাগে! কর্মচারীদের নজরে থাকেনা বিষয়গুলো! তবে বেশ বড়সর বোফেঁ রেস্তোরা ছিল বুঝা যাচ্ছে! কর্মচারীদের আন্তরিক ব্যবহার এটা জেনে ভালো লাগলো অবশ্য! বড় বড় রেস্টুরেন্ট গুলাতে কর্মচারীরা বলতে গেলে দাদা ভালই আন্তরিক হয়! খাবারের মোটামোটি ভালোই মনে হচ্ছে!

১ প্লেট চায়নিজ ভেজিটেবল ও ২ প্লেট চিকেন ভেজিটেবল, ১ বাটি চিকেন স্যুপ, ৪ টে অন্থন, ২ পিচ্ কাঁকড়া আর ১ পিস্ চিকেন ফ্রাই আর শেষ পাতে এক বাটি গ্রীন স্যালাড আর ফ্রুটস, তাও আবার খুব কম - হা হা হা। ঢাকা শহরে জ্যামের যে অবস্থা দাদা। তাও ভালো যে আপনি এদেশের আতিথিয়তায় মুগ্ধ। ও আর একটি কথা দাদা এদেশে কিন্তু আদরের কাজ না ধমকে কাজ হয়।

এই খালি থেকে বসে থাকার ব্যাপার টা মনে হয় সর্বজনীন😂কলকাতার রেস্টুরেন্ট গুলোতেও একই ভাবে অপেক্ষা করতে হয়

@tipu curate 8

ঢাকা শহরে খুব জ্যাম।আমি ঢাকা আসি মাঝে মাঝে খুব জ্যাম পড়ে । বিশেষ করে শুক্রবার ঢাকাতে বেশি জ্যাম পড়ে।

দাদা আপনাকে বুঝতে পেরেছেন ঢাকা শহর হল জ্যামের শহর। এখানে যানজট নিত্যদিনের সঙ্গী। যাইহোক খাবার উদ্দেশ্যে প্রায় আপনি দেড় ঘন্টা পরে ব্যুফে পৌঁছেছেন।যাক আমাদের দেশের আন্তরিকতা আপনার ভালো লেগেছে এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনারা বেশ মজার মজার খাবার খেয়েছেন। খাবার গুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদ।বড় রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা অনেক আন্তরিকতা দেখায়।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



বুফেতে যদিও কখনো যাওয়া হয়নি কিন্তু রিভিউ গুলা দেখেছিলাম। আসলে বুফেতে অনেক মানুষ ভিড় করে। আর সেজন্যই হয়তো বা খাওয়ার খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। আর আপনারা সেখানে গিয়ে যে খালি প্লেট নিয়ে বসে ছিলেন সেটা শুনেও বেশ খারাপ লাগছে। তবে তাদের বলে দেওয়াতে হয়তোবা তারা কিছুটা কাজ এগিয়ে নিতে পেরেছে। যাই হোক আপনার কাছে খাবার গুলো ভালো লেগেছে শুনে ভালোই লাগলো,দাদা।

ভাই বড় রেস্তোরাঁর স্টাফরা আন্তরিক এটা সত্য, তবে বুফে হোক বা যাই হোক আমাদের দেশের মানুষজন বড়ই ভোজনরসিক তাই হয়তো বার বার খাবারের ট্রে গুলো রিফিল করতে হচ্ছিল। ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

হুম দাদা, আপনি যে সব সময়ই কম খান সেটা কিন্তু আমরা জানি, আর এই কারনেই তো আপনি এতো স্মার্ট। আসলে সব খারাপের মাঝেও কিছু ভালো লুকিয়ে থাকে, আর হয়তো সেই ভালো ব্যবহারের কারনেই আপনি জ্যামসহ অন্যান্য কষ্টগুলো নিমিষেই ভুলে যান। ধন্যবাদ

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@bangla.witness
@xpilar.witness

We are the hope!

দাদা আপনি বুফে খাবেন আমাকে বলবেন না? আমি আপনাকে সাজেস্ট করতাম। আপনি তো অনেক কম খেয়েছেন। সব বাফেট রেস্টুরেন্টের খাবার টেস্টি হয় না। তাই রিভিউ দেখে অথবা ভাল এলাকায় যেমন গুলশান বা বনানী বা ধানমন্ডির কিছু রেস্তোরায় যেতে পারতেন যদিও জানিনা কোনটাতে গিয়েছেন। কিছু রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে রিফিল এর জন্য ২-৩ জন ফিক্স থাকে এবং তাদের কাজ হচ্ছে কোনটা খালি হলে সাথে সাথে ফিল করে দেয়া। মাত্র ৩৮ টি আইটেম ত খুবই কম । যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার ভাল লেগেছে ভাল লাগল। ধন্যবাদ দাদা ।

আমি খুবই কম খেয়েছিলাম । ১ প্লেট চায়নিজ ভেজিটেবল ও ২ প্লেট চিকেন ভেজিটেবল, ১ বাটি চিকেন স্যুপ, ৪ টে অন্থন, ২ পিচ্ কাঁকড়া আর ১ পিস্ চিকেন ফ্রাই । শেষ পাতে এক বাটি গ্রীন স্যালাড আর ফ্রুটস ।

সত্যি দাদা আপনি খুবই কম খেয়েছিলেন। আরো কিছু আইটেম খেতেই পারতেন। বাসায় গিয়ে নিশ্চয়ই অনেক আফসোস হয়েছে। এতগুলো খাবার কোথায় রেখেছিলেন দাদা 😅। যাই হোক ঢাকায় ব্যুফে খাওয়ার অভিজ্ঞতার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। বাংলাদেশের ভ্রমণ ভালো কাটুক এই প্রত্যাশাই করি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

দাদা কেমন আছেন, আশাকরি ভাল আছেন। আপনার বুফেতে খাওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে পোস্টটি পড়ে বেশ ভাল লাগলো।ঢাকা শহরে জ্যাম তো থাকবেই। যাই হোক রেস্তোরাঁটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো। আর এখানকার সকলের ভাল ব্যবহার আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।খাবার তো কম ই খেলেন।যাক সবাইকে নিয়ে সুন্দর মুহুর্ত অতিবাহিত করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি।

আয় হায় দাদা এতো অল্প খেলেন আপনি। আমি হলে তো অনেক গুলো মারতে পারতাম। মাটন আইটেম তো ধরেনই নি। তবে বুফে গুলোর আসলেই এই অবস্থা। আমি এখন পর্যন্ত ৩ বার বুফে খেয়েছি। প্রতিবারই রিফিল এ ঝামেলা হয়েছে। ওদের বলেও লাভ হয়না।

মাত্র এটুকু খেয়েই হয়ে গেলো তাও আবার বুফেতে🤔। বাসা থেকে কি খেয়ে গিয়েছিলেন? বুফেতে খাবার আইটেম একটু কমই ছিলো মনে হচ্ছে। যাক আপনার কথাতে অন্যদেরও একটু লাভ হলো খাবার দ্রুত রিফিল করায়। যাক এদেশের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।

দাদা প্রথমে ঢাকা শহরের জ্যামের অবস্থা জানান দিলেন। বুফে রেস্তোরাঁয় যেতে আপনার সময় লেগেছিল প্রায় দেড় ঘন্টা। আয়তনের তুলনায় মানুষ আর গাড়ি বেশি হলে যা হয় আরকি। যায়হোক রেস্তোরাঁটির ডেকোরেশন সত্যিই অনেক সুন্দর। খাবারের মান যেমনই হোক আপনি তাদের ব্যবহারে সন্তুষ্ট। ধন্যবাদ দাদা।

Great share @rme. How to become part of your community?

সবশেষে ভাল লেগেছে এটা জেনে ভাল লাগছে। একটা ভাল অভিজ্ঞতা পেলেন অসহ্য সব জ্যামের পর। ধন্যবাদ।

দাদা প্রত্যেকটা জায়গায় আপনি নতুন নতুন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হচ্ছেন। বাংলাদেশে এসে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করছেন দেখছি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া মুহূর্তে খাবার সংকটের যে দৃশ্যটি দেখেছেন আসলে তারা এই ধরনের অভ্যাসকে ধারাবাহিকভাবে নিয়ে নিয়েছে। তাছাড়া খাবারের উপর অনেক চাহিদা থাকে এখানে।

এটা এদের টেকনিক। যত স্লো রিফিল করবে ততই এদের লাভ। তবে এত টাকা খরচ করে বুফ্যে খেতে গিয়ে যদি খালি প্লেট নিয়ে বসে থাকতে হয়। তাহলে মেজাজটা খুবই খারাপ হয়। তবে এদের আইটেম দেখতে পাচ্ছি যথেষ্ট কম। কারণ ঢাকায় এখন অনেক বুফ্যে রেস্টুরেন্ট আছে যাদের ১২০ প্লাস আইটেম থাকে। যদিও তার ভিতরে অনেক হাবিজাবি দিয়ে নানা রকম আইটেম তৈরি করা হয়। শুধু আইটেম সংখ্যা বাড়ানোর জন্য।

আমি বোধ হয় দুই সপ্তাহ আগে এমন একটা বুফেতে গিয়েছিলাম দাদা। দুই ঘণ্টা থাকার পর মনে হলো বুফে আসলে আমার জন্য না 😉। একটু না খেতেই হাপিয়ে উঠি 😅। তবে অনেকে বেশ ভালো খেতে পারে। যাই হোক আমার কাছে মনে হলো একটু একটু কম কমই খেয়েছেন বোধ হয় 🤔। আর ঢাকার এমন রেস্টুরেন্টের কর্মচারী গুলো সত্যিই বেশ আন্তরিক হয়।