অথ ট্রাফিক-জ্যাম উপভোগ্য একটি দিন অতিবাহিত ঢাকা শহরের বুকে

in hive-129948 •  2 years ago 


গতকাল দুপুরের দিকে হঠাৎ ভাবলুম একটু শপিং মলে ঘুরে আসি । নেটে সার্চ করে দুটি বেশ বড় শপিং মলের নাম পেলুম - বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স আর একটা হলো "যমুনা ফিউচার পার্ক** । এর মধ্যে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স মঙ্গলবার বন্ধ পেলুম । তাই যমুনা ফিউচার পার্ক -এ যাওয়াই মনস্থির করলাম ।

আমি যেখানে আছি সেখান থেকে বেশ কাছেই এই যমুনা ফিউচার পার্ক । গাড়িতে যখন উঠলুম ঘড়িতে তখন ২ টো বেজে ১০ মিনিট । রাস্তায় বেরিয়ে কোনো যানজট পেলুম না । খুব দ্রুত মাত্র ২০ মিনিটেই পৌঁছে গেলাম যমুনা ফিউচার পার্ক-এ ।


যমুনা ফিউচার পার্কের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছি


বিশাল বড় একটা শপিং মল । অনেকগুলো গেট । আমরা গিয়েছিলাম বাংলাদেশে মন্ত্রণালয়ের গাড়িতে করে । এই গাড়ির বিশাল একটা সুবিধে আছে । যেখানে সেখানে পার্কিং, নো পার্কিং ফীস, নো টোল ট্যাক্স, রং ওয়ে এন্ট্রি এন্ড ড্রাইভ সব কিছুই ভ্যালিড । আমি যে কয়দিন ঢাকায় থাকবো সে কয়দিনের জন্য এই গাড়িটি পেয়েছি বেড়ানোর জন্য । ভোর থেকে রাত অব্দি । যেখানে যেতে চাইবো সেখানেই নিয়ে যাবে ।

তো, গাড়িটি একদম main গেটের সামনে রেখে আমরা ঢুকে পড়লুম যমুনা ফিউচার পার্কের ভেতর । বিশাল বড় এক একটা ফ্লোর । শপিং কমপ্লেক্সের মোট জমির আয়তন ৩৩ একর । মোট ৭ টি তলা রয়েছে । একদম টপে রয়েছে ফুড কোর্ট, সুইমিং পুল, জিম, বাচ্চাদের পার্ক আর অসংখ্য খাবারের শপ । বাকি ৬ তলায় রয়েছে প্রায় ৫০০ টির মতো নানান পণ্যের দোকান । এক একটা ফ্লোর আয়তনে এতো বিশাল যে আমরা বার বার পথই হারিয়ে ফেলছিলাম ।


যমুনা ফিউচার পার্কের মধ্যে ৩ তলা উঁচু বিশাল একটা ক্রিসমাস ট্রি


কেনাকাটা করলাম । পোশাক, খেলনা আরো কিছু টুকটাক । এরপরে বার্গার কিং এ ঢুকলাম কিছু খেতে । এরপরে আবার ঘুরলাম । তবে, পোশাকের দাম অনেক বেশি এখানে । তনুজা একটা ড্রেস চয়েস করেছিল । দাম লেখা ছিল ১৮,০০০ টাকা, কোয়ালিটির দিক থেকে ইন্ডিয়ার প্যান্টালুনস এর সেম । তো প্যান্টালুনস এ এই রকম একটি ড্রেস এর দাম বড়োজোর ৬,০০০ থেকে ৭,০০০ টাকা । এখানে ১৮,০০০ । এবার আমি একটা পছন্দ করে দিলাম । দাম দেখে মরে যাওয়ার দশা । বেশি না মাত্র ৪২,০০০ টাকা ।


যমুনা ফিউচার পার্কের ভেতরের কিছু দৃশ্য


কোনোমতে ডাকাতদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে ঘুরতে ঘুরতে বারবার পথ হারিয়ে ফেলে অবশেষে বের হওয়ার গেট খুঁজে পেয়ে বের হলুম । বের হয়েই দেখি গাড়ি দাঁড়িয়ে । ড্রাইভার হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আর শপিং কমপ্লেক্সের সিকিউরিটি গার্ড কাঁচুমাঁচু মুখ করে দাঁড়িয়ে । সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে পার্ক করা আমাদের গাড়ি । সম্পূর্ণ রুলস ব্রেক করে । তবে ড্রাইভার এটা করেছেন আমাদের সুবিধার্থে । না হলে খুঁজে বের করতে পারতাম না গাড়ি ।

তো এবার ডাইরেক্ট বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা । ঘড়িতে তখন বাজে ৫ টা ৩২ । বেরিয়েই গুলশানের বাড্ডাতে এক বিশাল গাড্ডায় পড়লুম । ট্রাফিক জ্যাম ভালো বাংলায় যার নাম যানজট । খারাপ বাংলায় নরকের রাস্তা । বাড্ডা থেকে ফ্লাইওভার অব্দি আসতে টাইম লেগে গেলো এক ঘন্টা । ফ্লাই ওভার থেকে নেমে এমব্যাসি অব্দি আসতে আমাদের সবার পিন্ডি চটকে গেলো একদম । টিনটিন বিশাল কান্না চেঁচামেচি জুড়ে দিলো । আমাদের সাথে আর একটি বাচ্চা ছিল । তার এসবে অভ্যাস আছে । সে ঘুমে তলিয়ে গেলো । ঘুমের আগে আমাদের বলে গেলো ২ ঘন্টা পরে তাকে ডেকে তুলতে ।

শুনে আমার মাথা একদম ঘুরে গেলো । বলে কী ! ড্রাইভার হাসিমুখে জানালো ২ ঘন্টার বেশি লাগবে । আমার আর তনুজার তখন মুখ শুকিয়ে গিয়েছে । টিনটিন একদমই জ্যাম সহ্য করতে পারে না । কলকাতায় তো জ্যাম নেই একটুও । তাই ওর অভ্যাস নেই । কলকাতায় সিগন্যালে ২-৩ মিনিট গাড়ি দাঁড়ালেই যে ছেলে অস্থির হয়ে পড়ে তার কাল কি অবস্থা হয়েছিল আপনারা অনুমান করে নিন ।

চিৎকার, চেঁচামেচি, কান্না কাটি শুরু হলো । আর গাড়ি ১০ মিনিট পর পর এক ইঞ্চি দুই ইঞ্চি করে এগোতে লাগলো । অবশেষে ভারতীয় হাই কমিশনের সামনে পৌঁছতে পৌঁছতে রাত গভীর হয়ে গেলো । অবশেষে নিষ্কৃতি মিললো । বিকেল ৫ টা ৩২ এ বেরিয়ে ২০ মিনিটের রাস্তা আসতে ঘড়িতে বাজলো রাত ৮ টা ১০ । খুব একটা শিক্ষা হলো আর যাই হোক ।

ভেবেছিলাম আরো কয়েক জায়গা ঘুরবো । প্ল্যান ক্যানসেলড । খুব শীঘ্রই ঢাকা ছাড়ছি । তবে বাংলাদেশ নয় । বাংলাদেশ ত্যাগ করবো ১০-১১ তারিখের মধ্যে । কলকাতায় প্রচুর কাজ জমে আছে আমার । আমার ভাই অলরেডি চলে গিয়েছে কলকাতায় । ঢাকায় আসলেই দমবন্ধ করা অবস্থা । জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া আর জ্যামে নরক ভেঙে পড়ে । বসবাসের অযোগ্য শহর ।




Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

টিনটিন বাবা কতই না কষ্ট করল,সত্যিই খুব খারাপ লাগছে।আমি নিজেও জ্যামের মধ্যে থাকতে পারিনা।আর টিনটিনের তো একদম নাজেহাল অবস্থা।তবে আপনাদের এই খারাপ অভিজ্ঞতা শুনে বেশ কষ্ট লাগলো।ঢাকা শহরে বসবাস যারা করে তারা প্রতিনিয়তই ভোগান্তির স্বীকার।

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

টিনটিনের কথা ভেবে সত্যিই খারাপ লাগছে দাদা। বাচ্চাটা ভীষণ কষ্ট পেয়েছে 😔😔। ইন্ডিয়ার তুলনায় এখানকার জিনিসপত্রের দাম সত্যি অনেক বেশি। কালকে গিয়েছিলাম প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনতে। সেখানে ইন্ডিয়ার ট্যাগ লাগানো আছে 122 টাকা আর দোকানের লোকটি আমার কাছে ৫৫০ টাকা চাইছে। আমি বললাম এত ডিসটেন্স কেন? বলল বাহিরের প্রোডাক্ট তাই দাম বেশি। আগে তো ডাবল দাম নিত। এখন চার গুন বাড়িয়ে ফেলেছে। তবে ঢাকা শহরের তুলনায় আমাদের দেশের অন্যান্য শহরগুলোতে তুলনামূলক জ্যাম খুবই কম। বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় ঘুরে দেখতে পারেন দাদা। অনেক অনেক শুভকামনা রইল। আপনার ভ্রমণ সুখের হোক এই প্রত্যাশাই করি।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

দাদা কি যে বলবো কিছু বলার নাই। আপনারা তো আজ বাদে কাল কলকাতায় ফিরে যাবেন। আর আমাদের এই সমস্যা গুলো নিয়েই বাচঁতে হচ্ছে। কিছু বলার নাই। শুভ হোক আপনার বাংলাদেশ জার্নি।

ঢাকায় আসলেই দমবন্ধ করা অবস্থা । জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া আর জ্যামে নরক ভেঙে পড়ে । বসবাসের অযোগ্য শহর ।

দাদা এই বসবাসের অযোগ্য শহরে সত্যিই কোন রকমে বেঁচে আছি। আপনাদের বেশ কষ্ট হচ্ছে দাদা 😕 বুঝতে পারছি। যাক যতটুকু সম্ভব আনন্দ করুন দাদা 🙏
তবে মন্ত্রণালয়ের গাড়ি পাওয়াতে কিছুটা সুবিধা হলেও জ্যাম বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে

কিচ্ছু বলার ভাষা নেই। শুধু এটুকুই বললাম যে খুবই কষ্ট পেয়েছি।

প্রথম যাত্রায় একটু স্বস্তি পেলেও ফেরার পথে যানজটের ভালই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। ঢাকা শহরের মানুষ কতটা কষ্টে এবং তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে এই যানজটের কারণে সেটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। যাইহোক, দাদা আমাদের দেশে এসেছেন ঘুরছেন খুবই ভালো লাগলো।

যমুনা ফিউচার পার্কে বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম কিন্তু এত উচ্চ মূল্য দেখে কখনো কিছুই কেনা হয়নি। ড্রেসের এত দাম শুনে চোখ কপালে উঠে গেছে।
সন্ধ্যার ওই সময়টায় অফিস ও মিল ফ্যাক্টরি ছুটি হওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি জ্যাম থাকে। জ্যামের কারণে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে আমি কখনো ঢাকা যাই না। টিনটিন বাবুর অবস্থা যে খুব খারাপ হয়েছিল নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারছি।
ভালো কাটুক বাকি দিনগুলি এই প্রত্যাশা করি।

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@bangla.witness
@xpilar.witness

We are the hope!

খুব দুঃখের বিষয় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে থেকেও যমুনা ফিউচার পার্কে যেতে পারলাম না। হায়রে আমাদের কপাল আর আপনাদেরও কপাল।

যাই হোক আপনার লেখাটা পড়ে একটু ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে হাসি পেল আবার মাঝে মাঝে কষ্ট পাইলাম ।

যানজট আর প্রোডাক্ট এর দাম শুনে খারাপ লাগল

আর পার্কের ভেতরের অবস্থা বর্ননা করার জন্য ভালো লাগলো

ঢাকাতে এই রকমই অবস্থা দাদা। তবে বৌদির জন্য ড্রেসের দাম শুনে সত্যিই চোখ কপালে। কিন্তু শেষমেষ কি কোন ড্রেস কিনেছেন দাদা? টিনটিন বাবু তো দেখছি একেবারে অধৈর্য। অবশ্য ওর কোন দোষ নেই কলকাতায় জ্যাম না থাকার কারণে আপনাদের অভ্যেস হয়ে গেছে। যাক ঢাকা ছাড়লেও বাংলাদেশে আরও কয়েকটা দিন আছেন শুনে ভালো লাগলো। আপনাদের জার্নি শুভ হোক।

আমার মনে হয় বসবাসের সবচেয়ে অযোগ্য শহর হচ্ছে ঢাকা। মনে হয় যেন মানুষের থেকে যান বহনের সংখ্যায় অধিকতর। সকালের দিকে যদিও জ্যাম একটু কম থাকে। ঢাকা শহরে কোন জায়গা যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে, আপনাকে ধরে নিতে হবে আজকের দিনটা মনে হয় শেষ হয়ে গেল। যদি কোন জায়গায় জ্যাম লাগে তাহলে ঘন্টার পর ঘন্টা আপনাকে। এই যন্ত্রনাটি আপনি একটু হলেও আচ করতে পেরেছেন। এ জ্যামের জন্য একজন সুস্থ মানুষ ও অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।

ঢাকার যানজট আমার কাছেও খুবই বিরক্তিকর লাগে দাদা, এই একটা কারণেই আমার ঢাকায় থাকতে ইচ্ছে করে না। তবু কি আর করার থাকতেই হয়।
যাই হোক আপনার বাকি দিনগুলো ভালো কাটুক এই প্রত্যাশাই করি দাদা।

দাদা এতো সহজে কোন সৎ পরামর্শ কেউ দেবে না ঢাকায়, দুই ঘন্টা পর ডেকে দেয়ার মানে ছিলো, আপনারাও দুই ঘন্টার জন্য ঘুমিয়ে পড়ুন হা হা হা। সত্যি দাদা এটাতো এখন ঢাকার সবচেয়ে বড় ক্রেডিট, ঢাকা শহর বসবাসের অযোগ্য! তবুও আমরা মানিয়ে নিচ্ছি ভাগ্যের দোহাই দিয়ে।

@tipu curate 8

দাদা! এটাই তো ঢাকা শহর! জ্যামের শহর, টাকার শহর! ঢাকা শহরের মানুষগুলো মানিয়ে নিয়েছে তাদের জীবনযাত্রা জ্যামের সাথে! ২০ মিনিটের রাস্তা যেখানে রাত আটটা বাজায় দিল! ৪২০০০ টাকা একটা জামার দাম! আমার তো শুনেই মাথা ঘুরে গেল 🙂। টিনটিন বাবুর খুব কষ্ট হয়েছে জ্যামের মাঝে! যদি গরম থাকতো তাহলে তো অবস্থা খারাপ হয়ে যেত! খুব বাজে অবস্থা ঢাকা শহরের জ্যামের! জ্যামের শহর ছেড়ে গ্রামের দিকে একটু ঘুরে যান দাদা! আপনার সাথে যদি দেখা করা যেত 🥺

আপনি তো দেখছি বেশ ভালোই একটা গ্যারাকলের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন। ২০ মিনিটের রাস্তা পার হতে গিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা ৪০ মিনিট লেগে গিয়েছিল। আসলে ঢাকা শহরে জ্যামের পরিমাণটা অনেক বেশি। আর জিনিসপত্রের দাম দেখে তো আমি কিছু বলার ভাষা পাচ্ছি না। যাইহোক আর কিছু বলার নাই। শুধু এটুকুই বলবো আপনার বাংলাদেশ কাটানো সময় গুলো ভালোভাবে কাটুক।

২০ মিনিটের রাস্তা শেষে কিনা ২ ঘন্টা ৩৮ মিনিট। যা অবস্থা জীবনের বেশি সময় তো জ্যামেই কেটে যাবে। মানুষ জন আছে কিভাবে, ভেবেই অবাক লাগছে।

টিনটিন বাবুর তো তাহলে কালকে জ্যাম এর জন্যে অনেক কষ্ট হয়েছিল। তবে এত সুন্দর জায়গায় গিয়ে নিশ্চয়ই অনেক মজা পেয়েছিল। তবে এই যমুনা ফিউচার পার্ক এর জিনিস এর দাম তো মাথা খারাপ হয়ে গেল।

যমুনা ফিউচার পার্কে আমার দুইবার যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল, তবে কোন কিছু কেনা হয় নি। হয়তো সেটা দামের কারণে। তবে ঢাকা যে বসবাসের উপযোগী নয়, সেটা আমরাও জানি ভাই। তবে কিছুই করার নেই, সব মিলিয়ে এখানেই থাকতে হচ্ছে আমাদের।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



দাদা খুব খারাপ লাগছে আপনার অবস্থার কথা শুনে।কিন্তু জীবনে যানযটে থাকার একটা অভিজ্ঞতা হয়ে গেলো আপনার।আসলে বাংলাদেশে ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে ৪ কোটিরও বেশি মানুষ ঢাকায় বাস করে।তাই যানযট হওয়াটাই স্বাভাবিক আর এই যানযটের জন্যই পৃথিবীর সবথেকে দূষিত ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম।

যেখানে সেখানে পার্কিং, নো পার্কিং ফীস, নো টোল ট্যাক্স, রং ওয়ে এন্ট্রি এন্ড ড্রাইভ সব কিছুই ভ্যালিড ।

কয়েকদিনের জন্যে গাড়িটা নিতে হবে আপনার কাছ থেকে দাদা।🤪🤪
আসলেই ঢাকা বসবাসের অযোগ্য এখন।আর দাম তো দাম ই!ছাড় নেই।

আমরা এই যানজটের শহর ঢাকাতেই থাকি দাদা। টিনটিন তো ছোট বাচ্চা মানুষ, আমরা বড়রাই জ্যামে সিক হয়ে যাই।তবে ঢাকা আসার পর আপনার পোস্ট গুলো পড়তে আলাদা মজা পাচ্ছি দাদা।কি সুন্দর করে লিখছেন বর্ননাগুলো, খুব হাসি পাচ্ছে। এই আজব শহরে, এতো দামের ভীড়ে আমরা হারিয়ে গিয়েও আবার এই শহরে ফিরে আসি। খুব ভালো লাগলো দাদা পোস্টটি পড়ে। ভাল থাকবেন দাদা।

কিছু বলার নেই দাদা।
আমার বেড়ে ওঠা একদম গ্রামীণ পরিবেশে। এসব যান্ত্রিক শহর আমার মোটেও সহ্য হয় না। কিন্তু, পড়াশোনার জন্য এই ব্যস্ত নগরীতে নিজেকে মানিয়ে নিতে বেশ বেগ পেতে হয় এখন।

আর দাম নিয়ে তো কিছু বলার ভাষা নেই। এদেশে নিয়ম থাকলেও তার কোনো প্রতিফলন নেই বাজারে। যে যার মতো করে বিক্রি করতেছে সবকিছু। 😑

আহা দাদা। আপনি যমুনায় এসে ঘুরে গেলেন। হেহে আমার বাসা এখান থেকে খুব কাছেই। ২-৩ কিলো হবে হয়তো। ইশ আমি আগে জানলে যেয়ে দেখা করে আসতাম। ঢাকার শহর জ্যাম এর শহর দাদা। কিছু করার নাই। আমরা প্রতিনিয়ত ভুগি। মেনে নিতে হয়েছে আমাদের।

যমুনা ফিউচার পার্ক কমপ্লেক্সটি আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি জায়গা। আমি ঢাকা গেলেই একবার চেষ্টা করি সেখানে ঢুঁ মারার। বিশাল আকারের এই শপিং মলটি। এমন জিনিস নেই যা ওখানে পাওয়া যায় না। তবে যানজটের নগরী ঢাকায় এসেছেন আর সেই যানজটের সাদ ভালোমতো উপভোগ করবেন না সেটা কি হয়? আশা করি এখন ঢাকা বাসির কষ্ট বুঝতে পেরেছেন। ২ কোটির বেশি মানুষ থাকে এই শহরে। এক নরক গুলজার অবস্থা। ওখানে মানুষ যে কিভাবে বছরের পর বছর টিকে আছে সেটা চিন্তা করেই আমি অবাক হয়ে যায়। আপনার মত আমারও একই অবস্থা হয় ঢাকা গেলে। শুধু সব সময় মাথার ভেতর একই চিন্তা কাজ করে। যে কখন এই নরক থেকে বের হতে পারব। যাইহোক দাদা আসল ঢাকার চেহারা দেখতে পেরেছেন সেটা আপনার পোস্ট থেকে বুঝতে পারলাম। তবে মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগানো গাড়িটি না থাকলে হয়তো আরো সমস্যায় পড়তেন।

দাদা ঢাকা শহর হচ্ছে জ্যামের রাজধানী।এই জ্যামকে সঙ্গে করে আমাদের নিত্যদিন চলতে হয়। যাইহোক যমুনা ফিউচার পার্কে আমিও বহু শপিং করেছিলাম।আর আজ আপনার শপিং অভিজ্ঞতা আমাকে আরো বেশি প্রাণবন্ত করেছে হাহাহা।আপনি আমাদের নীলফামারী শহরে এসে ঘুরে যান। অনেক বেশি ভালো লাগবে। কারন নীলফামারী খুব শান্তিপ্রিয় যানজট হীন একটি শহর। সেইসাথে নীল সাগরে গেলে আপনার প্রাণটা জুড়িয়ে যাবে। হিমেল বাতাসে আর অতিথি পাখির কলরবে। আর সেই সাথে আমার হাতের কিছু রেসিপি বৌদি সহ আপনাদেরকে খাওয়ানোর আমন্ত্রণ জানালাম।

নীলফামারী এসো দাদা
লাগবে তোমার ভালো
চোখেমুখে উঠবে ফুটে
সজীবতার আলো

♥♥

দাদা কয়েক দিনেই হাপিয়ে গেলেন ঢাকায়। তাহলে আমরা কি করে থাকি ঢাকায়। প্রতিদিন সকালে এই জ্যাম ঠেলে অফিসে যাওয়া কি যে এক দুর্বি সহ জীবন যাপন করি। দামের কথা বলেন এই ডাকাতদের জন্য তো শপিং এই যাই না। দুর্বিষহ লাগে। আমার মনে হয় এসব বড় বড় শপিংমল গুলো শুধুমাত্র কিছুসংখ্যক মানুষের জন্য করা হয়েছে। আমাদের সেখানে না গেলেও চলে।

ভাগ্যিস হারিয়ে যাননি হারিয়ে গেলে আমরা কোথায় খুঁজে পেতাম। 😜😜.দাম শুনে মরে গেলে বৌদিকে ড্রেস কে কিনে দিবে। আসলে ঢাকার রাস্তায় যানজট ছাড়া বড্ড বেমানান ,তাই বাংলাদেশে আসবেন আর জ্যাম খাবেন না তা কি করে হয়। হা হা